তানত-গোভিয়েত চুড়ি

পরিপ্রেজিত ভবিষ্যৎ

স্থখবীর চৌধুরী

ন্যাশনাল পাবলিশার্গ ২৭৬ বিধান সরণি, কলিকাতা-৬

প্রথম বাংল! সংস্করণ, বাচ ১৯ ৭৫ প্রকাশক £

গণেন্্রনাথ বল্্যোপাধ্যায় স্তাশনাল পাবলিশাস”

২০৬ বিধান সরণি

কলিকাতা-৬

সুদ্রক £

বস্কিম চ্রোপাধ্যার

দীপালী প্রেস

১২৩/১ আচার্য প্রফুল্লচক্ত্র রোচ্চ -কলিকাভা-৬

প্রচ্ছদ অলংকরণ £ অজয় গুধ্ধ

সূচীপত্র বির

প্রথম অধ্যায় ধঁতিহা্িক ঘটনার ভূষিকা

দ্বিতীয় অধ্যায় চুক্তির যৌক্তিকতা! তৃতীয় অধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা (1) পশ্চিম পাশে বৈরীহুলভ সামরিক সমাবেশ (11) উত্তত্র দক্ষিণ থেকে বিপদ

চতুর্থ অধ্যায় জোট নিরপেক্ষতার সাফল্য

পঞ্চম অধ্যায় ক্রমবর্ধ ধান অর্থনৈতিক সম্পর্ক

বন্ঠ অধ্যায়

বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতা অপ্তম অধ্যায়

সাংস্কৃতিক সংহতি

উপসংহার

পরিশিষ্ট

গ্রন্থপঞ্জী

৮২

১১৬

৩৮

১৪২ ১৬৩. ১৬৮ ১৯৬

ভূমিক!

বিশ্বাম করুন বানা করুন, সোভিয়েত ইউনিয়ন তার জনগণ সম্বস্ধে গারতের জনগণের 'মাবেগ ধারনার অভিব্যক্তি দেবার জগ যে পরিস্থিতি আমাকে এই ক্ষুদ্র গ্রস্থ রচনায় অনুপ্রাণিত করেছিল তা ছিল অত্যন্ত উদ্দীপনা ময়। ১৯৭১ মালের পাক-ভারত যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়েই ভারতের জনগণ সোভিয়েতের সময়োচিত অতি প্রয়োজনীয় পাহায্যে্র আন্তরিকতা] প্রকৃতই উপলব্ধি করতে পেরেছিল এই সময় কয়েকটি স্থানীয় বিরোধের মীমাংলায় সাভাধ্য করতে আমাকে আমার গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছিল সেখানে পৌঁছে আমি দেখলাম, গ্রামবাপীর1 হু'কে। টানতে টানতে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছে। বঙ্কোপসাগরের দিকে মাকিন সপ্তম নৌবহরের অগ্রগতির সংবাদে আতঙ্কিত তাদের একজন সঙ্গীদের প্রশ্ন করল, “এখন কি হবে?” সোভিয়েত সাহায্য সম্পর্কে আস্থাশীল তাদেরই আর একজন আশ্বাস দিয়ে বঙ্গ, “ঘাবড়াও নেহি রুশ-সম্কটকা সাথী "হায় উয়ো হামারি পুরি মদত করে গা ।*

তাব ভবিহ্যংবাণী ফলে গেল। মাত্র কয়েক ঘন্ট। পরই আকাশবানীতে সোভিয়েত নৌবহরের ভারত মহাসাগর অভিমুখে অগ্রগতির সংবাদ ঘোষণা কর] হল। বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলে গেল এই সংবাদে গ্রামবাসীরা! উংস.!র মন নিয়ে আনন্দে নৃত্য সোভিয়েত জয়গান করতে লাগল মধ্যরাত্রি পথন্ত ধবনি উঠতে লাগল, “দীর্ঘজীবী হও ।*

দু'বছর বাদে ভারত আবার বিপদের সম্মুখীন হগ। যচ্ছুতদার কালোবাজাদীরা কৃত্রিম খাছ্ভাভাবের শ্রী করল, দেখা দিল অনাহারের বিপদাশঙ্কা। জনগণের চোখে মুখে ফুটে উঠল বিষাদের গভীর ছায়া সেই সময় আবার আগি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন হঠাৎ দেখ! হয়ে গেল সেই লোকটির সঙ্গে। সহসা! আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, “এখন কি হবে বলে তোমার মনে হয়?” মনে হপ, লে ক্রণদের প্রতি সমপরিমাণেই আস্থাশীল আছে। সে জোর গলায় বলল *্ডরিয়ে মত। নির্ধন কা ভগওয়ান রুশ হায়। উয়ো কভি ভি হাষে' ভূখা! নেহি মরনে দেগা। কম বেনিয়া নেহি" হায় গো আউরে" কি তর! সওদেবাজি কৰে" ।”

1 ছয়]

আবার তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যে পরিশত হুপ। যাত্র একসন্তাহ বাদে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শ্রীমতী গান্ধীর কাছে এক বিশেষ বার্তায় ঘোষণা করলেন যে দেশকে ২* লক্ষ টন গম খন হিসেবে দেওয়! হবে এফং পরে দেশের হৃবিধামত সময়ে তা পরিশোধ করা চলবে ভারতীয়েরা হাফ ছেড়ে বাচল। আবার সবাই সোভিয়েত ইউনিয়নকে ধন্ত ধন্ত করতে লাগল

. রাজধানীতে ব্রেজনেভের উপস্থিত্কির দিনে “হিন্দুস্থান টাইমস" পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় উপরের দিকে স্থধীর দারের একটি কার্ট,ন ছাপা! হয়। ভারতের জনগণের এই মনোভাবের অভিব্যক্তি এর মত আর কিছুতেই এমন স্থন্দরভাবে পরিস্ফুট হয়নি কার্টনে দেখান হয়, দেবাদিদেব মহাদেবের মত তিনি ভারতে আসছেন, তর মপংখ্য হাতে ধর! রয়েছে ভারতের জনগনের অব্ত, প্রয়োজনীয় "থাছ্ি*। “কেরোনিন", 'আধিক সাহায্য”, প্প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম», কারিগরী সাহায্য”, “সাংস্কৃতিক বিনিময়*+, “নিউজপ্রিণ্ট” এবং “এশীয় যৌথ নিরাপত্তা” | কার্টুনটিতে উপযুস্তই পাদটিকা ছিল--“বাশিয়া থেকে গ্রীতিসহ*। রাশিয়া একটি ভূ'ইফোড বর্বর দেশ, সামরিক দিকে দিয়ে সে হয়তো অতি বৃহৎ শক্তির মর্যাদা অঞ্জন করেছে, কিন্ত তাব উচ্চ সামাজিক মর্ধাদা নেই, শুধু এদেশের প্রতি লোক-দেখানে৷ বন্ধুত্ব দেখায় এবং যেকোন সময় এই বন্ধুত্বের ভাবখানা! সে 'অনাবশ্নক বলে ঘুচিয়ে দিতে পারে-_এই ধরনের কথা বলে ভারতের ষে সব কৃত্রিম কৃটতাকিক সোভিয়েত ইউনিয়নকে অবিশ্বাস কর) একট! ফ্যাশন বলে মনে করেন, এই কাটরনখানিই তাদের (বাকা বানিয়ে দিয়েছে।

ওর! ডিসেম্বর, ১৯৭৬ ভুঙ্গবীর চৌধুরী নয়াদিজী

প্রথম অধ্যায় এঁতিহাসিক ঘটনার ভূমিকা

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু সোভিয্ে ইউনিয়নের পররাষ্ট্ম্ত্রীর এক অভিনন্দন বার্তার জ্বাবে সারা ছুনিয়ায় শান্তি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকার জনগণের সহযোগিতা চেয়ে যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, তারপর ছাব্বিশ বছর কেটে গেছে। ভারতের ইতিহাসের এই সংক্ষিপ্ত অথচ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পর্বে উপনিবেশবাদের সবচেয়ে গুরুতর পরিণতি -সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতারই শুধু অবসান হয়নি, ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে গড়ে উঠেছে মৈত্রীর এক স্থদুঢ় সেতুপন্ধ, যার পেছনে ছিল ছৃ'তরফেরই নেতৃবৃন্দ জনগণের সমান আন্তরিক প্রয়াস। এই শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত- সোভিয়েত সহযোগিতার স্থচনা ১৯৫০-৫১ সালে ভারতে খাগ্চ সংকটের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এদেশে তিন জাহাজ গম পাঠিয়ে বন্ধুত্বের পরিচয় দের। ১৯৫২-৫৩ সালে ভারত সোভিয়েত দেশের কয়েকটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল পরস্পরের দেশ সফর করে ।২ এই সময়ই কোরিয়ায় যুদ্ধবিরত্তি ঘটাবার জন্য ভারতের প্রয়াস সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপুল প্রশংসা লাভ করে। ১৯৫৩ সালের পর ছু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এক দীর্ঘমেয়াদী ( পঞ্চবাধিক ) বাণিজ্য ঢুক্তি। সেটা দ্িপাক্ষিক স্থষম বাণিজ্যের এক নতুন পর্যায়ের সুচনা করে। ১৯৫৪ সালে শুরু হয় শিল্প ক্ষেত্রে ভারত-সোভিয়েত অর্থনৈতিক সহযোগিতা অর্থনৈতিক ্রযুক্তিবিগ্ভাগত সীহায্যের জন্ট ভারতের প্রস্তাব সোভিয়েত ইউনিয়ন বিচার-বিবেচনা করতে শুরু করে। একটি ইস্পাত কারখান। স্থাপনের প্রথম স্থনিদিষ্ট প্রস্তাব সম্পর্কে আলোচনা সাফল্যমপ্ডিত হয় এবং এঁতিহাসিক ভিলাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৫৫ সালের খর! ফেব্রআরি ১৯৫৫ সালের জুন মাসে অর্থাৎ ভিলাই চুক্তি স্বাক্ষরের পর কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারী সফরে গেলে তা এক বিরাট উৎসবের রূপ নেয়

ভারত-সোভিরেত হুক্তি

নেহক্টর এই সফর ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় রকমের মোড় নেয়। ১৯৫৬ সালে সোভিয়েত নেতার] এদেশে পালটা সফরে আসেন এবং ভারত তাদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগভরা অভিনন্ধন জানায় পরবর্তী বছরগুলিতে উভয় দেশের সম্পর্কের এই সোপানগুলি আরও দৃঢ় প্রতিঠিত হয়

কাশ্মীরত গোয়ারণ মত সমস্ত বড় বড় রাজনৈতিক প্রশ্নেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এনং তেল, ভারী এপ্রিনিয়ারিং, বিদ্যুৎ, ভেষজ, ঘন্ত্রপাতি নির্মাণ প্রভৃতি মৌল শিল্প স্থাপনে উদার হস্তে খণদান করেছে এই সহযোগিতার ফলে ভারতে ৭০টিরও বেনী বৃহৎ কারখানা শিল্প প্রকল্প নিমিত হয়েছে বা ইচ্ছে এইসব গ্রকল্নে গ্রতিশ্রুত মোট খণের পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকার বেশী। এইসব প্রকল্পের মধ্যে হ্ডিলাই ইস্পাত কারখানা, হরিদ্বার ভারী বৈদ্যতিক সরঞ্জাম কারখানা, রণাচী জারী যন্ত্র নির্মাণ কারখানা সহ প্রায় ৪০টি প্রকল্পে ইতিমধ্যেই উৎপাদন শুরু হযে গেছে ।৫

৬*দেশের দৃষ্টিভঙ্গীর এক্য শান্তির প্রতি নাধারণ নিষ্ঠার জন্য ক্ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। রাষ্টসঙ্ঘ অগ্ঠান্ত আন্র্জাতিক সংস্থায উপনিবেশবাদ, নয়! উপনিবেশবাদ নর্ণবিঘেষের বিরুদ্ধে এবং নিরজ্ত্ীকরণের স্বপক্ষে ছু'দেশের সম্মিলিত সংগ্রাম তরুণ উন্নয়নশীল দেশগুলির জনগণকে এক নতুন পথ নির্দেশ করেছে। ডালেস বলেছিলেন, “নিরপেক্ষতা নীতি-বিগহিত' আর লোভিয়েত সরকার ঘথোচিত প্রশংসা করেছেন জোট-নিরপেক্ষ নীতির শক্ষণীয় বৈসাদৃশ্ঠ |

ভারতের স্বাধীনতালাভের পর পঁচিশ বছর "পার হয়ে গেছে। এই পঁচিশ বছর বান্তবিকই এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, বু লাভজনক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সাধারণ প্রেক্ষাপট এবং শান্তি প্রগতির জন্ সংগ্রাম গত ২৬ নছরে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নকে পরস্পরের গ্মারও অনেক কাছে টেনে এনেছে ।৬ পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে সক্রিয় পারস্পরিক সহযেগিতার যে প্রক্রিয়া শুরু হয় তাতে আহ্ষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয় দু'বছর আগে শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং তাতে ছু'দেশের মধ্যে বহু সাধারণ বন্ধনের কথ। বিশেষভাবে তুলে ধর! হয়। ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন এখন মিলিতভাবে এক বিরাট শক্তি ঘ! শুধু দ্'দেশের পারস্পরিক শ্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম নয়,

এঁভিহাসিক ঘটনার কৃষিকা

"্ছনিয়ার যুক্তি শান্তির সংগ্রামেও ত। এক উল্লেবষোগ্য ভূষিকা গ্রহণ

করেছে।?

১।

|

$ | $8 |

ন্‌ |

২১শে অগস্ট, ১৯৭২ নয়াদিন্বীস্থ সোভিয়েত দুতাবাসের তথ্য বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত “নিউজ আগ ভিউজ ফ্রম দি সোভিয়েত্ত ইউনিয়ন বুলেটিনে উদ্ধৃত বার্তার যুল বিবরণ, পৃষ্ঠা ৪।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুন দেবেন্দ্র কৌশিকের “সোভিতেত় রিলেশন্স উইথ ইগ্ডিয়া আযাণ্ড প|কিস্তান (দিক্বী, বিকাশ পাবলিকেশন্স, ১৯৭১ ) পৃষ্ঠা ৪৯-৫১।

তী, পৃষ্ঠা ৩৭, ৪০ €৮।

শী, পৃষ্ঠা ৫৮ |

আরও বিবরশের অন্য দেখুন এম. এম. ভ্তাসভ এবং জি. কে. শিরোকভের 'ইগ্ডিয়াজ ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট আযাণ্ড সোভিয়েত এড', সোভিয়েত র্রিভিউ (নয়াদিল্লী, ভারতস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের সথ্য বিভাগ ), ৭ই ফেব্রুআরি, ১৯৭৩, দশম খণ্ড, পৃ্ঠা ৪৪-৪৭ ; ভ্যালেন্টিনা নিকোলায়েভা-তেরেসকোভার “সোভিয়েত পিপলস রিজয়েস আাট ইগ্ডিয়াজ আ্যাটিভমেন্ট স', সোভিয়েত ল্যাগ্ত (নয়াপিভী), ৭ই ফেব্রুআরি, দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪*-৪৩, এবং “এ কেস স্টাডি অব্‌ সোভিয়েত এড টু ইত্ডিয়া” পয়েপ্ট অব্‌ ভিউ (নয়া- দিল্লী), তৃতীয় খণ্ড, ৪৭নং, ১৭ই জান্ুআরি, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা €।

আরও পর্যালোচনার জন্য দেখুন, বিজন্ন এস বুধরাজ-এর “সোভিদ্বেত রাশিয়া আযাগ্ড পি হিন্দুস্থান সাবকষ্টিনেপ্ট ( নয়াদিল্ী, সিষাইয় পাবলিকেশন্স, ১৯৭২ ), পৃষ্ঠা-২৬৪ |

আরও দেখুন খুশবন্ত সিং-এর সঙ্গে শ্রীমতী গান্ধীত্র সাক্ষাৎকারের বিবরণ, 'ইলাস্ট্রেটেড উইকলি' (বম্বে), ১২ই জর্থন্ট, ১৯৭৬, পৃডা ৯৪।

দ্বিতীয় অধ্যায় চুক্তির যৌক্তিকতা

ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে পারস্পরিক সম্পকের ক্ষেত্রে শারভ-. সোভিয়েত চুক্তি এক বিরাট এঁতিহাসিক ঘটনা। উভয় দেশই অবিরাষ চেষ্টা করে চলেছে চুক্তিটিকে জীবন্ত করে তুলতে, আর একথা প্রমাণ করান্তে যে ইতিহাণ হচ্ছে এক প্রবহমান স্োতত্বিনী যা প্রবাহিত হয়ে চলেছে মান- জাতির কল্যাণের জন্য ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কের ইতিহাসে এব আর কোন অধ্যায়ের নজীর মেলে না যা এই চুক্তি স্বাক্ষরের চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সমৃদ্ধ পাকিস্তান চেক্গিসখানের মত এক শয়তানী নীতি বৈরীভাবাপন্ন অভিসন্ধি পোষণ করে আসছিল এবং তাতে মদত জোগাচ্ছিল চৌ এন লাই রিচার্ড নিকসন, যারা সব সময়ই তাদের ষাবেদারের ( পাকিস্তান ) প্রতি গোপন সহানুভূতি প্রদর্শন করে এসেছে-_ একথা সম্পূর্ণ অবগত হয়েই ভারত দু'বছর আগে এই চুক্তি খক্করের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে

চুক্তি স্বাক্ষরের অল্পকাল পরেই টুক্তির শক্ররা আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে, শুরু করে দেয় বিরাট শোরগোল এবং এর বিরুদ্ধে তাদের বিভ্রান্তিকৰ উপদেশামৃত বর্ণ করতে থাকে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তার! হতাশাব্যঞ্ক ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে বিশেষ কোন সাহায্য পাওয়া যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশ আজ বাস্তৰে রূপ নিয়েছে এবং সোভিয়েত সাহায্যের পরিমাণও আজ এক এঁতিহাসিক. ঘটন। এই চুক্তি ভারতের স্বাধীন ইচ্ছা খর্ব করবে বলে ব্যাপকভাবে যে আশঙ্কা প্রকাশ কর! হয়েছিল১ তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে

প্রায় এই সময়ই “দি শ্যাডো অব. দি বিয়ার' (ভালুকের ছায়া! )-ও প্রকাশিত হয়। স্বতন্ত্র জনসংঘ, কংগ্রেস ( সংগঠন ) ভারতীয় ক্রাস্তি দল (বি কে ভি)--এই দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলি কর্তৃক দিনীতে আয়োজিত এক আলোচনাচক্রে প্রদত্ত ভাষণগুলির সংকলন হচ্ছে এই গ্রস্থথানি। “এই লোকগুলে। যে মুখ থুবড়ে পড়ল এট! দেখ'র”২ আনন্দই শধু এই গ্রস্থখানি থেকে পাওয়া যেতে পানে যেমন, এম. আর. মালানি

চুক্তির যৌক্তিকতা

“বলেছিলেন, 'পূর্ববন্ধ সম্পর্কে এর (এই চুক্তির) প্রতিক্রিয়া খুবই সংশয়জনক ।" আচার্য কপালনী বলেছিলেন £ “যুদ্ধের কোন আশঙ্কাই ছিল না।”৩

এখন এটা স্পষ্ট যে আমাদের স্বয়ং-নিযুক্ত রাজনৈতিক গুরুর দন্গ কি ভুঙগ করেছিলেন চুক্তি সম্পর্কে গ্রস্থখানিতে সবাই মিলে বে রায় দিক্ে- ছিলেন তা এখন যিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এটা হবেই, কারণ ভাষণগুনি “দিয়েছিল চুক্তির শক্ররা। এই উক্তিগুলি সংকলন করার পেছনে ষে একটা ্তলববাজি ছিল সে সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক যে কেউ প্রশ্ন করতে পারত, এই ধরনের বক্তৃতা দেওয়ার কি কোন প্রয়োজন ছিল 1? কিন্ত যখন শক্রদের অহ্ক্কান বিকৃত সংক্কারেন রাজনৈতিক জট মনের গভীরে তখন কে কার পরোয়৷ করবে? এখনও এই রাজনৈতিক জটগুলি শিথিল হয় নি। ভারতে এমন সব শক্তি রয়েছে যারা ভারত-পোভিয়েত সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে চায়! কিন্তু হাওয় ক্রুত তাদের প্রতিকৃলে বয়ে চলেছে

এই চুক্তিতে যে কি লাভ হয়েছে তা অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে ১৯৭১-এর শ্সেম্বরের যুদ্ধের সময় োভিয়েতের গমিকাই এই উপমহাদেশের ব্যাপারে 'ৰাইরের হস্তক্ষেপ নিবারণ করে এবং এই অঞ্চলের সব আত্তঃ-রাষ্ট্র বিরোধ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার নীতি অনুমোদন করে

এটা বিশেষভাবে স্মরণীয় যে সময় মাকিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের গোয়েন্ধা সংস্থাব এক রিপোর্টে প্রকাশ পায় যে চীন ভারতের উত্তর সীমান্ত আক্রমণ করে পাকিস্তানের পক্ষে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার চক্রান্ত করছে 'ুগপৎ মাকিন সপ্তম মৌবহর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করছিল। সোভিয়েত কূটনীতিকরা এই শক্রতামূলক আচরণ সম্পর্কে উদাসীন না থেকে চীন -ষাকিন যুক্তরাষ্ট উভয়ফেই এই বিপজ্জনক পন্থা গ্রহণ থেকে নিবৃত্ত করার উদ্যোগ শুরু করে। কাঠমাগুতে সোভিয়েত ভারতীয় মিলিটারী এটাশেরা মাকিন মিলিটারী এটাশে কনে'ল মেলাভিনের কাছে চীন] সৈন্যদের চলাচন

সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করা সম্পর্কে তিনি যা জানেন তা জানতে ান। সোভিয়েত এটাশে লগিনভ কাঠমাতুঁতে চীনা মিলিটারী এটাঁশে 'র্ষঃ চাও কুয়াং-চিহ-এর সঙ্গে দেখা করে তাকে উপদেশ দেন, এই ব্যাপারে চীন বেন হস্তক্ষেপ করার জন্য বেশী বাড়াবাড়ি না করে, কারণ তা করনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছার জবাব দেবে ।৪ ১৯৭১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর 'নয়াদিন্্রীতে সোভিয়েত রাষ্ট্রদুত নিকোলাই পেগভ শ্রীমতী গান্ধীকে আশ্বাস 'দেন যে আক্রমণস্থল থেকে চীনের দৃষ্টি অন্যদিকে আকর্ষণের অন্ত সোভিয়েত

তাঁয়ত-সোভিকেত চুক্তি

চীনের বিরুদ্ধে সিনকিয়াংএ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করবে এবং সগ্তঘ, নোবহ্রকে হন্তক্ষেপ করতে দেবে না। মিঃ পেগভ আরও মন্তব্য করেম ধে' চাকার মুক্তি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠার পর মাকিন যুক্তরাষ্ট্র চীঙ্গ উত্ভয়েই কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করতে »ক্ষম হবে না এবং এই সংকট সম্পর্কে দর মনোভাব পরিবর্তন করবে 1 রঃ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর প্রাভদ সৈগ্ঠবাহিনীর সংবাদপজ্জ ক্রাসনায়া৷ ভেজদা (রেড স্টার ) ভারত মহাঁসাগারে সপ্তম নৌবহব প্রেরণের নিন্দা করে। ক্রাসনায়া ভেজদায় এক প্রবন্ধে ক্যাপ্টেন ভি. পুস্তভ বজেন, "্ারত মহাসাগর আমেরিকার একটি হুদ নয়।” তিনি প্রত্যক্ষ ভীতিপ্রদর্শনেদ্ব উদ্দেস্টে এই নৌবহর মোতায়েনের নিন্দা করেন সোভিমেত ভাষ্যকার আরও বলেন যে এই লময় ভারতেন উপকলে মাকিন প্রারোচল। "গানাবোট এবং বিমানবাহী জাহাজী কুটনীতির” এক জলন্ত দষ্টান্ত। ১৯৭১ পাশের ১৯শে ডিসেম্বর প্রাভদা পেন্টাগনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে তান্না সামরিক মনস্তাত্বিক চাপ ক্র পরীক্ষিত অস্ত্র প্রয়োগের চেষ্টা করছে। জাতে আরও বল হয় ষে আমেরিকার গানবোট-নীতি-_সারা বিশ্বে লৈল্ক' ছভিয়ে দেবার নীতির ব্যথতা৷ ক্রমশই আরও বেশী প্রকট হয়ে উঠেছে

সোভিয়েত সমর্থন শুধু মৌখিক সহানুভূতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিন্ম না। মাকিন নৌবাহিনীর টাক্ষ ফোর্সের পিছনে পিছনে সোভিয়েত নৌবািনীক' প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহর৬ মালাক্কা প্রণালী দিয়ে ভারত মহাসাগরের দিফে অগ্রসর হতে শুরু করে

অপরের অঞ্চলের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়নের কোন অভিসাদ্ধ নেই আমেরিকা, ব্রিটেন ফ্রান্প ভারত মহাসাগরে সামবিক গুরুত্বপূর্ণ ঘাটি স্াপজ করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিন্ত এই সামরিক গুরুত্বপূর্ণ মহাসাগরে তার প্রভাব-ক্ষেত্র সুষ্টির জন্য কোন আগ্রহ দেখায় নি।৭ বরং ভারত মহাসাগরকে' পারমাণবিক অন্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে রাখার জন্য ভাগত যে দানি তুলেছে ভাতে সে সমর্থন জানিয়েছে! তাছাড়।, এশিয়া মহাদেশে এক বৃহৎ্শক্ছি হিসেবে ভারতের ভূমিকার প্রতি সে শ্রদ্ধা পোষণ করে এবং তার সঙ্গে লে আচার-আচরণও করে মৈত্রী সমান মর্যাদার ভিত্তিতে | নেহরুর পঞ্চ, শীলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সে ভারতকে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের নীতি অনুসরণে অনুপ্রাণিত করেছে

উদ্ভয় দেশের নেতাদেব পরস্পরের দেশ সফরেয় সময় ভারতকে এক;

চূক্তির যৌক্তিকতা শী.

মহান জাতি বিরাট সম্ভাবনাপূর্ণ সম্পদের দেশ বলে উল্লেখ করা হয়। ভারত যাতে এক মজবুত অর্থনৈতিক বনিয়াদের ওপর ধ্াড়াতে পারে সেজন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রকার অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়েছে এবং তার সরকারী শিল্পক্ষেত্রকে বিশেষ করে ইম্পাত, লৌহেতর ধাতু, তেল, যন্ত্রপাতি নির্মাণ বিদ্যুৎ শিল্পকে শক্তিশালী করে তুলেছে। চুক্তি স্বাক্ষবকারী টি দেশ ভিন্ন ভিন্ন পাজনৈতিক ব্যবস্থা অন্থসরণ করে চলেছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে টক্তিটি পর্যালোচনা করলে পারম্পর্রেক মর্যাদা মৈত্রীর বাস্তব সত্য আধও স্পট হয়ে গঠে। সোভিয়েত ইউনিয়ন একাস্ত- ভাবে কামনা করে ভারত তাই মত একটি বিরাট শক্তিতে পরিণত হোস্ ষাতে তারা "সনে উপনিবেশনাদ 'ও নয়া উপনিব্েশবাদ-মুক্ত এক বিশ্ব গড়ে তুলতে এঁতিহাপিক ভূখিকা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু আমেরিক! তা চাষ না। এই চুক্তির সমালোচদকরা__এবং এদের সংখ্যা 'নগণ্য -যারা মাকিষ যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেনের সছ শামতরি * চুক্তি স্বাক্ষরের দাবি তুলেছে তারা দেখেও দেখছে না যে এশিগা যে দেশগুলো আমেরিকার কোলে ঝাঁপ দিয়ে পড়েছে সেই দেশগুলিতে অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে তাদের রাজতন্ত্র, সামন্ততন্ত্র সামরিক নিয়ন্ত্রশধীন ব্যবছান প্রতি আযেরিকার গ্যারার্টিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রসা৭ অবশ্স্তাখীরূপে বিপন্ন হনে পড়েছে এবং স্বাধীন ইচ্ছা- অনিচ্ছার গল] টিপে মারা হচ্ছে। ১। সময় প্রগারিত কতকগুলি তুয়া মতামত নীচে দেওয়া হল : ($) “যুদ্ধে রাশিয়া ভারতকে সমর্থন করবে না”- শ্রপাতিল। (11) “এই চুক্তি সন্নিবেশিত ধারাগুলি বাংলাদেশের ব্যাপারে আমাদেন্ছ স্বাধীনভাবে ব্যবস্থা অবলম্বনে অন্তরায় স্থট্টি করতে পারে ।”__সমন্ গুহ। + (111) “চুক্তির কতকগুলি শর্তে বিপজ্জনক সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে”. স্যে/সালিস্ট পার্টি জনসংঘ। | (৮) “এই চুক্তিতে রাশিয়ার দ্বার্থক বাক্চাতুরীর' তাসখন্দীয় কূটনীতির যে অবসান হবে সে সম্ভাবন]। খুবই কম”__-এ জি* নূরানি। ২। অনিল পি. ধারকরের মন্তব্য, “ইন্দো(-সোভিয়েত ট্রিটি রিভিউ অব থি, বুকৃস্‌ ট্রিটি”__টাইমস অব. ইত্ডিয়া, ১৩ই ফেব্রুআরি, ১৯৭২ পৃষ্ঠা ১০, স্তত্ত ৫।

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

৩। এ. পি. জৈন সম্পাদিত, “দি শ্যাডো অব. দি বিয়ার £ দি ইন্দো- সোভিয়েত ট্রিটি' (নয়াদিল্লী, ১৯৭১), পৃষ্ঠা ৯১।

স্থখবীর চৌধুরী কর্তৃক উল্লিখিত, ইন্দো-পাক ওআর আ্যাণ্ড বিগ পাওয়ার্স' (নয়াদিল্লী, ত্রিমুতি পাবলিকেশন্স, ১৯৭২), পৃষ্ঠা ১১২-১৩।

৫। এ, পৃষ্ঠা ১১৩।

&। নৌশক্তি সম্পর্কে বিশ্বের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞর্দের একজন একদা বলেছিলেন যে নিজস্ব বিমানশাখা অধিকতর দূরপাল্লার সাব- মেরিনে পুষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নৌবহর

জেন-এর “ফাইটিং শিপ্‌স'-এর সম্পাদক ক্যাপ্টেন জন মৃত বিশ্বের নৌশক্ষি সম্পর্কে সবচেয়ে প্রামাণা এই বাধিক সংকলনের ১৯৭২-৭৩-এর সংস্করণে সম্পাদক হিসেবে প্রথম ভূমিকায় লিখেছিলেন যে সোভিয়েত নৌবাহিনীর গত বছরে “বিম্ময়কর অগ্রগতি” হয়েছে। | |

সোভিয়েত নৌবাহিনী সম্পর্কে তিনি লেন, “তিনটি প্রধান শ্রেণীর জাহাজের আবির্ভাব ঘটেছে, প্রত্যেকখানিই শ্রেণীর পূর্ববর্তী জাহাজ অপেক্ষা অনেক বেশী উন্নত ধরনের তিনি আরও বলেন যে নির্মীয়মাণ “কিয়েভ' বিমানবাহী জাহাজ, পূর্ব- বণিত 'মস্কাভা” শ্রেণীর হেলিকপটার ক্রুজার থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র +০১০০০-টনী “কারা” শ্রেণীর ক্রুজার পূর্ববর্তী যে-কোন ক্রুজার অপেক্ষ। উন্তত ধরনের এবং নবনিমিত “বেলট?” ধরনের ক্ষেপণাপ্- বাহী সাবমেরিন আকারে 'ইয়াঙ্কি শ্রেণীর মত তবে এটা নব- নিমিত ৬৬** কিলোমিটার পাল্লার “এস এস এন-৮ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে

ক্যাপ্টেন মুর সোভিয়েত সাধমেরিনের তালিকার ১১১ খানি পরমাণুশক্তি-

বিত্ত ৩০৫ খানি ডিজেল-চালিত যানের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন দে সোভিয়েত নৌবহরের দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। খদিও তিনি নির্মীয়মাণ সাবমেরিনের সংখ্যার সামগ্রিক অ|ন্মানিক হিসাব দেন নি।

[ তথ্যগুলি উল্লিখিত হয় প্যাট্রিয়-এ ( নয়াদিল্লা ), ২৭শে জুন, ১৯৭৩

পৃষ্ঠা ৩, সভ্ভ ২-৪ | ]

চুক্তির যৌক্তিকতা

ক্ষেপণান্ব নির্যাপেও সোভিয়েত ইউনিয়নে ঠিক এমনি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে ১৯৭৩ সালের ১৭ই অগস্ট ওআশিংটনে পেন্টাগনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা প্রসঙ্গে মাকিন প্রতিরক্ষা সচিব জেম্স আর. শ্লেসিঙ্গার স্বীকার করেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভিন্ত্র লক্ষ্যস্থলে ক্ষেপণযোগ্য হাইড্রোজেন ৰোমাবাহী আই সিবি এম ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে এক বিরাট পদক্ষেপ করেছে এবং মাকিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধরে ফেলেছে। গ্লেসিঙ্গার আরও বলেন যে মনে ক্র সোভিয়েত তাদের সবচেয়ে নতুন চারটি আত্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আই শিবি এম) নিয়ে এই অতিউন্লত অস্ত্রের প্রায় যুগপৎ পরীক্ষা চালাচ্ছে তিনি বলেন, “সোভিয়েত এক অতি দুঃসাহসিক কর্মস্থচী গ্রহণ করেছে ।” | সানভে স্ট্যাগার্ড ( নয়াদিলী ), ১৯শে অগস্ট, ১৯৭৩, পৃষ্ঠ| ৪, ভ্তত্ত ৬1] "। বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্ত দেখুন দেবেন্দ্র কৌশিকের “দি ইত্ডিয়ান ওশান : টুয়ার্ডস পিস জোন' (দিল্তী, বিকাশ পাবলিকেশন্স, ১৯৭২ )।

তৃতীয় অধ্যায় জাতীয় নিরাপত।

(1) পশ্চিম পার্থে বৈরীন্ুলভ্ভ সামরিক সমাবেশ

এটা অনস্বীকার্য যে ভারতের শক্রদের অদূর ভবিষ্যতে শ্ভারতের বিকুঙ্ে সামরিক অভিযান চালাবার চটকদার চক্রান্ত থেকে নিবৃত্ব রাখার পক্ষে ভারত-সোভিয়েত চুক্তি আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসা ভারতকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারবার চক্রান্তের বিরুদ্ধেও এট1 একট] বিরাট রক্ষা-কবচ গ্যারার্টি। পাঁক- ইরান-চীন অক্ষশক্তির মাধ্যমে তার লক্ষ্য করে এক সশস্ত্র কাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং মাকিন সামরিক-শিল্প সমাহারের প্রভুরা এতে এমন প্রবলভাবে মদত যোগাচ্ছেন ষে তারা ( প্রয়াজন হলে ) সশস্ত্র যুদ্ধের রণার্দ*নেও সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন, যেমন তারা করেছিলেন ১৯৭১ সা? পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ।. তাই কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ এবং তাদের চীনা মাকিন মদতদাতাদের দিক থেকে ভারতের সার্বভৌমত্ব আঞ্চলিক অথগ্তার পক্ষে এক গভীর বিপদ জবদাই বিদ্যমান এই অবস্থয় এশিয়ায় কোন রকম শক্তির ভারসামা সৃষ্টির পথসন্ধান ভারতের পক্ষে এক রাজনৈতিক প্রয়োজন হয়ে দেখ। দেখ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও রাজনৈতিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থ। অবলম্বনের ক্ষেত্রে শক্তির ভারসাম্যই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার | ভারতের স্বাধীনতা, শান্তি নিরাপত্তা অক্ষুণ রাখার জন্য এই ধরনের ভারসাম্য প্রয়োজন। সবলের বিরুদ্ধে ছুর্বলকে রক্ষা, সবলের বৈরী স্থল আচরণ কার্ষকলাপ প্রতিরোধ, তাদের ছদ্ম লিগ্সপা দমন, শক্তির মদমত্তত। সংযতকরণ এবং বিশ্বে ধ্বংসের তাওব স্ষ্টিকারী যুদ্ধের সন্তাবনা থেকে রাষ্রগুলিকে রক্ষার ব্যাপারে এক পশ্মিলিত প্ররাস | নয়! উপনিবেশ- বাদের রূপপরিবর্তন অবিরাম বিরোধের অস্থিরতার ফলে যে আতঙ্ক 'আশঙ্ক। দেখা দেয় তা নিবারণে শক্তির ভারসাম্য যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তির রাজনীতির খেলা সম্পর্কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ হান্স জে. মর্গেনখাউ ঠিকই বলেছেন, পসার্ধর্ভৌম দেশগুলির

জাতীয় নিরাপতা ১১

সমাজে শান্তি স্থায়িত্ব রক্ষার ব্যাপারে শক্কির ভারসাম্য এবং সেই ভারসাষ্য রক্ষার নীতি শুধু অপরিহার্যই নয়, অনিবার্ধও বটে ।”১

ওআশিংটন-তেহরান-পিপ্ডি-পিকিং জোটবদ্ধন কোন আকম্িক ঘটন! নয়। এর প্রকৃত চরিত্র উদঘাটন করতে হলে থে রাজনৈতিক-অর্থ নৈতিক অবস্থা এই চতুঃশক্তির অক্ষগঠনের পথ প্রস্তুত করেছে তার পটভূমি গভীর- ভাবে অনুধাবন করতে হবে

মান সামরিক-শিল্প সমাহার

আমেরিকা আর বনু মত-বৈপরীতোর দেশ নয় ধা এককালে মনে করতেন প্রখ্যাত মাকিন ভাষ্মকার আন্তর্জাতিক বিষয়ক পণ্ডিত ফ্রেডারিক এন. সথম্যান। ফ্রাঙ্কলিন ডি, রুজভেল্ট একটানা চারবাণ প্রেপিক্ডেপ্ট নির্বাচিত »ন। তীর 'ববিধান* (নিউ ডীল) এবং ন্যায্য বিধান” ( ফেয়ার ডীল )- এর স্মরণীয় যুগেই যৌথ শিল্প অর্থ-বিনিয়োগ ব্যবস্থা মেঘাবৃত হয়ে পড়ে। তারপর আসে আইকের শাসনকাল। অল্প সময়ের মধ্যেই সামরিক-শিল্প সমাহারের এজেন্ট জন “্বস্টাব" ডালেসই ইয়ে ওঠেন সর্বেসর্বা২ এবং অনিচ্ছা সত্বেও আইককে তা মেনে নিতে শয়। তারপর জন এফ. কেনেডির স্বল্ায শাসনকাল। এই সময়ই ঘটে পিগ উপসাগরেণ বিপর্যয়। এই বিপর্যয়ের পরই প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্রনীতি আমূল ঢেলে সাজার কাজে হাত দেন। রাজনৈতিক গণতন্ত্র অনেকদিন আগে থেকেই ক্ষমতাশালী ধনিক গোঠীর সেবাদাসে পরিণন্ত হয়েছে ।& জনসাধারণের ক্ষমতা অর্থ মুষ্টিমেষ এমন কয়েকজনেব স্বার্ণে নিয়োজিত হয়েছে যার] মরকারী সংস্থাগুলিকে সন্ত্রাসস্থষ্টি দমন-পীডনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে, যারা শুধু গোয়েশা সংস্থা পুলি” বিভাগই নয়» অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অবলম্বন মূণাকা অর্জনের বিরাট যন্ত্রকেও নিজেদের স্বার্থে নিয়োজিত করেছে তাদের সন্ধে যাদের মতের অমিল তাদের শক্র তিসেবে গণা করে তারা শক্রতালিকাতুক করেছে ।৫ তাদের চরিত্র জীবন হনন করাই তার উদ্দেশ্য দুই কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করা হল, আলাবামার গভন'র জর্জ ওয়ালেস হুইল চেয়ারে তার অবসর জীবন কাটাবার সময়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে কোনক্রমে মরতে মরতে বেঁচে গেছেন। এদের অপরাধ-এ র! আমেরিকার প্রকৃত গণতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাস করতেন বলে সেকথা নির্ভষে প্রকাশ এবং ত৷ রূপায়িত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন

এই ধনিক গোঠী এমনভাবে ক্ষমতার আসনে অধিষিত রয়েছেন যে স্বাধীন

১২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

নির্বাচন, বলপ্রর়োগ ব। দেশের জনগণের জঙ্গী বিক্ষোভ প্রদর্শন দ্বার! এদের ধবংল বা ক্ষমতাচ্যুত করা প্রায় অসম্ভব ।৬ মাকিন গণতন্ত্র এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বিশ্বয়কর উভয় সংকট

আগে যেটি ছিল স্বাধীনতার ছুর্গ, ধনিক গোঠী এইভাবে সেটিকে প্রর্তি- বিপ্লবের অস্ত্রাগারে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্রুকে ধৃণিসাৎ করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সন্ধান শুরু হয়েছে তাদের রাষ্্রত্রোহী “হিসেবে প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে “স্টার ডালেসের পন্থা অন্থসরণ করে জনসন-প্রশাসন আবার মাকিন পররাষ্নীতির প্রগতিশীল গতিমুখ উন্টে দিলেন। তাদের কার্ষকাল শেষ হল, এল নিক্সন-প্রশাসল। তারাও অনুসরণ করল পূর্বস্থরীর জঙ্গীবাদ সাম্রাজ্যবাদ বস্ততঃ মাকিন যুক্তরাষ্ যে নীতি অনুসরণের কথা৷ গলাবাজি করে ঘোষণা করে, তৃতীয় বিশ্বে অনুসৃত নিকসনের নীতির সমগ্র কর্মধারাই তার প্রতি নির্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতার পরিচায়ক একটির পর একটি দরিদ্র দেশে তারা মদত যুগিয়েছে, অত্যা- 'চারীদের এবং স্বৈরাচারী শাসককুলকে ক্ষমতার আসনে বাহাল রাখার জন্ত সাহায্য দিয়েছে তৃতীয় বিশ্বের প্রায় সর্ব্ই এরা অতি অন্যায়ভাবে গণতান্ত্রিক শক্তিকে মাথা তুলে দীড়াতে বাধা দেবার চে করছে এবং সবই এরা.করছে গণতান্ত্রিক জীবনধারা অক্ষু্ রাখার অজুহাত দেখিয়ে 1৭ স্বাধীন বিশ্বের অধিকাংশ এবং জোট-নিরপেক্ষ বিশ্বের সকল দেশই মরিয়। হয়ে জানতে চেয়েছে, আমেরিকা কিচায়। ফরমোজায় চিয়াং-এর, দক্ষিণ ভিয়েতনামে থিউ-এর এবং আরব ছুনিয়া, ইরান উপদ্বীপ ভারত উপ- মহাদেশের অনেক নগণ্য ডিক্টেটর নৃপতির মদতদাতা আমেরিকা] এই প্রশ্থের কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। এই আমেরিকা পাকিস্তানের দিকে চনে পড়ে এবং ভারতকে বর্বল নিঃসহায় দেশে পরিণত করার চেষ্টা করতে থাকে। ৃঁ

ফ্রেডারিক এল* স্থম্যান বলেছেন, বিগত প্রায় ছয় পুরুষ ধরে অন্যান্ঠ সার্বভৌম রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আচরণে আমেরিকার জাতীয় উদ্দেশ্য বলতে বোঝায় সম্পংশালী, উচ্চশ্রেণীজাত, ব্যবসায়ী চুড়ামণি, কারখান৷ মালিক, ব্যাঙ্কার, একচেটিয়া শিল্পপতি, স্টক এক্সচেঞ্জের পাগা, সরকার নিয়ন্ত্রণকারী গোঠী, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মচারী প্রভৃতি উচ্চশ্রেণীর যে সমস্ত সম্প্রদায় পর পর রাজনৈতিক মঞ্চে আবিভূত হয়েছে তাদেরই উদ্দেশ্ঠ এবং তাদেরই স্বার্থ লিগ্দা প্রতিফলিত হত তার মধ্যে 1৮ মাকিন জীবনধাবায় এরা এখন

জাতীয় নিরাপত্তা ১৩,

এত শক্তিশালী যে লিঙ্কন, উইলসন, ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট, চেস্টার বে।ল্জ, জন এফ. কেনেডি গলতব্রেথের সময় যে অবিশ্বান্ত উদারতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তাকে আল গ্রাস করেছে এক অদ্ভুত লালসা স্থম্যান লিখেছেন, আমেরিকানর] পৃজ! দেয় ধন-দৌলতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর বেদীতে এবং ধন সংগ্রহের অপ্রত্যাশিত স্থযোগ গ্রহণ, অন্থপাজিত আয়, অর্থ সংগ্রহের প্রতিযোগিতা এবং বিরাট অপচয়ের খেলায় তারা মেতে আছে বলে বিদেনী সমালোচকরা যে মন্তব্য করেন তা অতি খাটি কথা ।৯

এইসব ধনপতি শাসকগোষ্ঠী নিঝ্সন-প্রশাসনের মাধ্যমে এক সামরিক- শিল্প সমাহারের জাল বুনে চলেছে, যাদের কাছে অকল্পনীয় মুনাফা অর্জনের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র স্বাধীনতার সব কথাই অর্থহীন এর! বিপুল সরিষা সমরসস্ভার বিক্রি করে প্রঠুর মুনাফা অর্জন করছে এবং এইভাবে সমৃদ্দিলাভের লোভ এদের সীমাহীন সাধারণতঃ জাতীয় স্বার্থের ছদ্মবেশে সৎ কাজ হিসেবে এইসব কারবার চালানে। হচ্ছে, আর শক্রদের এই ধরনের কাজে কলঙ্ক আরোপ কর] হচ্ছে। অস্ত্র বিক্রয় করে রাজকোষ ফুলিয়ে ফাপিয়ে তোলার এক হতাশাব্যগ্রক এবং নিন্দনীয় রীতিই হয়ে দাড়িয়েছে মাকিন পররাষ্নীতির সারকথা। নয়া উপনিবেশবাদ বিভেদ স্থষ্টি করে শাসন করার নীতির দিকে পররাষ্ট্রনীতির ঝেঁক দুঢ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মাকিন প্রশাসন সার] বিশ্বে মাকিন অস্ত্রশস্ত্র বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য যে এক বৃহত্তর কর্মন্চী গ্রহণ করেছে তা কয়েক সপ্তাহে আরও স্থ্প হয়ে উঠেছে এই বছরের গোড়ার দিকে ইরানের শাহ্‌ ২৫ কোটি ডলার মুল্যের মাকিন অস্ত্রশস্ত্র ক্রয়ের অভিপ্রায় প্রকাশ করেন এবং এটিকে একটি দফার কারবার ৰলেই গণ্য করা হয়। তা দেখে আরব ছনিয়ার অন্তান্ত সামন্ত ৃপতিরাও জালে ধরা দেন। ,

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সার বেসিল জাহারফ মধ্য প্রঃচ্যের দেশে দেশে উস্কানি দিয়ে সংঘর্ষ বাধিয়ে দিতেন ফলে তাদের প্রয়োজন হত অস্ত্রের তখন তিনি তাদের কাছে তাঁর অন্তর বিক্রি করতেন। এইভাবে প্রচুর মুনাফা লুটেছিলেন। এইজন্য তাঁকে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল মৃত্যুর ব্যবসায়ী” বলে। উইলসনের নেতৃত্বাধীন এবং তারপরও কিছুকাল ফ্রাঙ্কলিন ডি, রুজভেপ্টের নেতৃত্বাধীন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে যে নৈতিক আদর্শ স্থাপিত হয় তা ছিল যার-তার কাছে মাকিন অস্ত্র বিক্রয়ের বিরোধী

কিন্ত সে নীতি পাল্টে যায় ভালেসের আমলে শুধন অনেক দেশে

১৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

কম্যুশ্জি প্রতিরোধের নামে সবপ্রকার অন্্রশত্ত্র বিক্রয় বা বিনা মূল্যে সরবরাহ কর! হয় অথচ সব দেশে কম্যুনিজ্মের নামগন্ধ ছিল না এবং যে-কোন লোককে দমন করার মত হাতিয়ার তাদের নিজেদেরই হাতে ছিল |

ফলে মাকিন অস্ত্রশস্ত্র রপ্তানি তিন গুণেরও বেশী বৃদ্ধি পার ১৯৬১ সালে যেখানে ১* কোটি ডলার মুল্যের অস্ত্রশস্ত্র রপ্তানী হয়েছিল, ১৯৭১ সালে সেই রঞ্চানির পরিমাণ গিয়ে দ্রাড়ায় ৩৪ কোটি ভলারে | অন্তান্ত পশ্চিমী শক্তিও তখন বাজারে প্রবেশ করে। ফলে সার! বিশ্বে অস্ত্র বিক্রয়ের মূল্য ২৪ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৬২ কোটি ডলারে গিয়ে দাড়ায়

অন্তর বিক্রয়ের নতুন কর্মস্থচী গ্রহণের ফলে আমেরিকার অন্ত্রধাতে আঙ অস্বাভাবিক দ্রতহারে বেড়ে চলে। এই অস্ত্রবিক্রয় অভিযানের জন্ত অবশ্য সব রকমের আজে-বাজে কৈফিয়ত দেখানো হয়। কিন্তু গভীরভাবে অন্থ্ধাবন করলেই দেখা যাবে যে নিক্সন-প্রশাসনের ব্যাপকহারে অন্ত্রবিক্রয় অভিযানের পেছনে কতকগুলি মূলগত কারণ রয়েছে প্রথম, মাকিন রপ্তানি বাণিজ্যের ক্রমাবনতিগন এবং বাণিজ্যিক লেন-দেনে আমেরিকার বর্তমান বিরাট ঘাটতি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া দ্বিতীয়, গাজনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী মাকিন সমরশিল্পকে সাহায্য করা, কারণ ভিয়েতনামে যুদ্ধবিরতি এবং সেখান থেকে মাকিন সৈগ্ঠ প্রত্যাংরে তার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তৃতীয়, সামন্ততন্ত্র, বাজতন্তর এবং স্বৈরাচারী শাসনকতৃপক্ষগুলির হাত শক্ত করা, কারণ আমেরিকার সামরিক-শিল্প সমাহারের ধনী ব্যারনদের কাছে তারাই হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্রী; চতুর্থ, আমেরিকার পেন্টাগন ছোটখাট যুদ্ধে অত্য্ত আগ্রহী তাদের কাছে ভিয়েতনামের যুদ্ধ মোটেই অপচয় নয় এট৷ ছিল তাদের সর্বাধুনিক অন্ত্রশস্ত্রের অবাধ পরীক্ষাক্ষে্। ভিয়েতনামে তার্দের অবাধ অন্ত্র-পরীক্ষার দিন কার্যতঃ শেধ হয়েছে, তাই পেপ্টাগন সিদ্ধু উপত্যকায় অন্ুরূপ পরিস্থিতি স্ষি করতে একান্ত আগ্রহী পঞ্চম, মাকিন সমর-নায়কদের সীমাস্ত-সংঘর্ষয জীইয়ে রাখা এবং তাকে আরও সম্প্রসারিত করার প্রবল এ্রতিহ্ব রয়েছে! উনবিংশ শতাব্দীর শেষাশেষি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরকার সীমান্ত-সংঘর্ষ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তারপর আমেরিক। হাত বাড়ায় মেক্সিকো, কিউবা ফিলিপাইন হ্বীপপুঞ্চে। সেদিন পর্যন্ত তার। কোরিয়া, ইন্দোচীন, লাওস ক্বোডিয়ার সীমান্ত-সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। স্পষ্টই বোঝ! যায়, এখন তার! একান্তভাবে চাইবে পাকিস্তান ইরানের চারপাশে সীমান্ত-সংঘর্ষের মত অবস্থার কুঙি করতে যাতে মাকিন সমর-

জাতীয় নিরাপত্রা ১৫

'নাঃকেরা এই বিরাট সীমান্ত ক্ষুড়ে সংঘর্ষ বাধিয়ে প্রঠর মুনাফা লুটতে পারে

পাকিস্তান এই খেলায় নাচতে নাচতে নামতে চায়। ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের অবস্থা সে মেনে নেয় নি। একজন ভাখ্কার লিখেছেন ভারতের বিরুদ্ধে হস্ত প্রসারণে তার একমাত্র ভরসা, ভারতের সঙ্গে ভার বিরোধে সে ইরান আমেরিকাকে জড়িয়ে ফেলতে পারবে 1৯০

১৯৭১-এর নিনেধাজ্ঞ। প্রত্যাহার করে পাকিস্তানকে পুনরায় ঘন্ত্রসাজ্জতকরণ

মাকিন সামরিক-শিল্প সমাহার ১৯৭৩ সালের ১৪ই মার্চ পাকিস্তানকে পুনরায় সমরসম্তার সরবগাং শুরু করার উদ্যোগ নেয় ।১৯ থেকে বোঝা যায় যে ওআশিংটন আশাতীত দ্রুততার সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অগ্রসর হয়। আ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারী সিস্কোর বক্তৃতা থেকে জানা যায়, প্রকৃত বিবেচনার পর্যায় 'ও পুনরায় অস্ত্র সধবরাহ শুরু করার মধ্যে সময়ের ব্যবধ।ন ছিল বড়জোর ২৪ ঘণ্টা থেকে স্পষ্টই (বোঝা যায়, সিক্ষো যখন ববনিকা উত্তোলন করলেন তার আগেই পুনরায় অস্ত্র সরবরাহের নেপথ্য প্রস্ততি অনেক দুই এগিয়ে গিয়েছিল আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৩০০ খানি গৈল্যবাহী যান খার মূল্য কোটি ৩* লক্ষ ডলার €৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা) এবং ১১ লক্ষ ডলার (৮২ লক্ষ ৫* হাজার চাভা) যুল্যের সমর-অন্ত্রাংশ, প্যারাস্থট মেরামত করা বিমান-এপ্রিন বিক্রয় করা সম্ভব হয়।৯২ পদস্থ মাকিন আমলাদের বক্তব্য, আমেরিকাই প্রধানত: পাকিস্তানকে সমরসম্ভার সরবরাঁভ করে, তাই তাঁর অস্ত্রাগার আমেরিকা থেকে অবিরাম অস্ত্রাংশ সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল |

পাকিস্তানের এই অস্ত্রক্ষধা বেড়েই চলতে থাকে আমেরিকা! যাত্রার প্রকৃকালে প্রেসিভেণ্ট ভুট্রো৷ রাওয়ালপিগ্ডিতে একদল মাকিন সংবাদদাতার কাছে বলেন যে জুলাই-এর শেষ দিকে মাফিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্কে তার সালোচনার সময় তিনি ভারতের সঙ্গে তথাকথিত “সামরিক সমতা অর্জনের জন্গ পাকিস্তানে পুনরান্ মাকিন সামরিক সাহায্য প্রেরণের অন্থরোধ জানাবেন ভিনি শেষে ফেটে পড়েন, ভারতের নেতৃত্ব আমরা মেনে নিতে পারি না, এই উপমহাদেশে তাকে প্রভাৰশালী বা সর্বোচ্চ শক্তি হিশেৰে গড়ে উঠতে দিতেও পারি ন1।

প্রসিছেণ্ট ভুটে! ফেসৰ মাকিন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তাদের

দধিকাংন্ইি করমকন নাহি কিমা চিনি মাকিন দূতাবাসের

১৬ ভারত"সোতিয়েড চুক্তি

মাধ্যমে এদের রাওয়ালপিপ্ডিতে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ৬ই স্ুলাই, ১৯৭৩ নিউইয়ক টাইম্স ওআশিংটন পোস্ট ছুখানি পত্রিকাতেই ভূত্রো এই সাক্ষাৎকারের বিবরণ প্রকাশিত হয়। তখন ভুট্টোর ছয় দিন ধরে লরকারী ভাবে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল।১৩

পাকিস্তানকে বছরের পর বছর ধরে ব্যাপকভাবে অস্্রসঙ্ফিত করা! হচ্ছে আমেরিকার দীর্ঘদিনের দ্বণ্য খেলারই অঙ্গ এর শোচনীয় পরিণক্চি এতদিনে সকলেই ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন আমেরিকা এই অঞ্চনের স্বাভাবিক শক্তিন্ন ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে পাকিস্তানকে তার আয়তনেক্স উপযুক্ত শক্তি হিসেবে সন্ধষ্ট থাকার পথে বাধা দিয়েছে পেন্টাগন €ই দ্ররিদ্র প্রতিবেশীর মধ্যে অস্ত্রক্রয়ের প্রতিযোগিতার স্ষ্টি করেছে এবং তাদের জাতীয় স্বয়ংভরতা অর্জনের গতি ব্যাহত করেছে। তাদের আরও বসন্ত কাজ হচ্ছে, পাকিস্তানে এক বিরাট সামরিক সংস্থ! গড়ে তুলে তারা সেদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠার পথ বিপন্ন করে তুলছে এর কজে পাকিস্তান দক্ষিণপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছে ।১৪

অস্ত্র সরবরাহের তীব্র সমালো চন £

মাকিন যুক্তরাষ্্রেরে এই জঘন্য অভিসন্ধিপূর্ণ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সারা ভারতে তীব্র প্রতিবাদ ওঠে। দিদ্তী রাজ্য শান্তি সংহতি সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভাম্ন শ্রীরমেশচন্্র বলেন, মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সার! দুনিয়ায় জনগণের আন্দোলন দমন করতে চায়। তাদের সামরিক শিল্পকে বাচিন্কে রাখার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন, তাই যেখানে কোন যুদ্ধ হচ্ছে না সেখানে তারা উস্কানি দিয়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দিচ্ছে ।৯৫

১৯৭৩ সালের ওর] গুন সারা ভারত শান্তি সংহতি সমিতির সম্মেলনেন্ব গুজরাট শাখ। কর্তৃক আয়োজিত এক সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে শ্রীরমেশচন্ত্ অভিযোগ করেন যে ভিয়েতনামে আমেরিকার অন্ত্রবিক্রয়ের বাজার বন্ধ হয়ে গেছে, তাই তার অস্ত্রের বাজার বজায় রাখার জন্তই মাকিন যুক্তরাষ্ট্র চায় না ভারত পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হোক। তিনি বলেন, ভিয়েতনামে প্রেরণের জন্ত চিহ্নিত অস্ত্রসস্তার এখন পাকিস্তানে পাঠিস্নে দেওয়। হচ্ছে ।৯১

তাছাড়া ১৯৭৩ সালের মে মাসে চাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলৰে এই অভিমত ব্যক্ত কর! হয় যে পাকিস্তানে অঙ্্র সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা,

জাতীয় নিরাপত্বা ১৭'

প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আমেরিকা নিয়েছে তাতে ভারতীয় উপমহাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে গভীর বিপদ দেখা দিয়েছে ।১৭

সর্বোপরি ১৯৭৩ সালের ১৯শে €মে সীতাপুরে অনুষ্ঠিত লক্ষৌ বিভাগীয় কংগ্রেসকর্মী সম্মেলনে বক্তৃতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধী হু'শিয়ার করে দিয়ে বলেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি চায়না এমন কতকগুলি দেশ পাকিস্তানকে নতুন করে অস্ত্রসাহায্য দিতে শুরু করায় এই দেশের নিরাপত্তার পক্ষে নতুন বিপদ দেখা দিয়েছে ।১৮

কানাডায় সাম্প্রতিক সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী আবার হু'শিয়ারি দিয়ে বলেন যে অন্যান্য দেশ পাকিস্তানের জঙ্গী মনোভাবাপন্ত্ন গোঠীগুলিকে মদত দিলে এই উপমহাদেশের জনগণের দারুণ ক্ষতি করা হবে! ১৯৭৩ সালের ১৮ই জুন অটোয়ায় কানাডার গভর্নর জেনারেল মিঃ মিচেনার শ্রীমতী গান্ধীর প্রতি সন্মান প্রদর্শনার্থে যে ভোজসভার আয়োজন করেন তাতে বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি উক্ত মন্তব্য করেন ।১৯

১৯৭৩ সালের ২৮শে মে নয়াদিলীতে “ফোরাম অব. ফিনানশিয়াল রাইটার্সঃ আয়োজিত এক আলোচনাচক্কে প্রশ্নোত্তরে ওআশিংটনস্থ প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এল. কে. ঝা বলেন যে আমেরিক। কর্তৃক পাকিস্তানে মন্ত্র সরবরাহে তিনি বিম্মিত বিচলিত হয়েছেন। এই অস্ত্রসাহায্যের পেছনে গভীর অভিসদ্ধি থাকতে পারে |২।

১৯৭৩ সালের ২৪শে ছ্ুন অটোয়ায় টেলিভিশনে প্রচারের জন্য গৃহীত এক প্রশ্নোত্বর-কর্মহুচীতে শ্রীমতী গান্ধী আরও তিক্ত মন্তব্য করেন। তিনি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, পাকিস্তানকে অস্ত্র সাহায্যের সমগ্র প্রশ্ন সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের মনে হয়, তারা ( মাকিন যুক্তরাষ্ট) আমাদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নয় ।২১

তারত-বাংলাদেশ যুক্ত ঘোষণার প্রস্তাবগুলির যে জবাব পাকিস্তান সরকার দেয় তাতে ক্রমবর্ধমান আপস-বিরোধী উদ্ধত মনোভাব প্রকাশ পায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা পাকিস্তানে পুনরায় মাকিন অস্ত্র সরবরাহ ভুট্টোর প্রতি তাদের ( আমেরিকার ) অভ্রান্ত মদত এবং পাক সরকারের এই মনোভাবের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ লক্ষ্য করেছেন। পাকিস্তান কোন ইতিবাচক জবাব ন1 দেওয়ায় সন্দেহ জাগে, যুদ্ধবন্দীদের প্রশ্ন সম্পর্কে তুষ্ট প্রকৃতই আগ্রহান্িত কি না! এতে আরও এই সনোহ বদ্ধমূল হয় যে মাকিন সাম্রাজ্যবাদ তাদের. সহযোগীরা পাকিস্তানের আপস-বিরোধী

্‌

১৮ ভারত-বোভিয়েত চুক্তি

মনোভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে চাপে রাখা এবং অর্থ নৈতিক রাজনৈতিক দিক থেকে তাকে ছূর্বল করা।২২

ইরানের শাহ-এর সঙ্গে বিরাট অস্ত্রের কারবার £

পাকস্তানকে অস্ত্রসা্জত করা ছাড়াও মাকিন সামরিক-শিল্প সমাহার 'পারহ্বা উপসাগরীয় অঞ্চলের তথাকথিত নতুন জবরদস্ত ব্যক্তি_ ইরানের শাহ মহম্মদ রেজা পহ্‌ লবিকে নদত যুগিরে চলেছে এৎং তাকে অন্ত্রসজ্জিত করে চলেছে আতঙ্কজনক হারে ।২৩ এই শাহ্‌ একমাত্র মামেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (দি আই এ) অন্গ্রহেই ইরানের মযূৰ ধিংহাসন ভোগদখুল করছেন তার নিরম্কুণ রাজতন্ত্র বজায় পাখার জন্য তিনি জনপ্রির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বা শাহ-এর বিরোধিতা করার মত নিজন্ব শক্তির ঘাটিওয়াপ৷ সব রাজনীতিকদের বরখাস্ত, হত্যা বা নিবাসনে পাঠাবার কাজে লাগিয়েছেন তার সেনাবাহিনীকে বিদেশী গোয়েন্দ। সংস্থাকে ।২৪

এই ধরনের জঘন্য কাজের সবচেয়ে জলন্ত দু্ঠান্ত হচ্ছে ডঃ মোসাদেগের মর্মাতিক পরিণতি ১৯৫৩ সাপে গ্রগস্ট মাসে সেনাবাহিনী সি-মাই-এ'র মাধ্যম এই অপকর্ম সাধন করা হয়।৯?

ডঃ মোপাদেগ ব্রিটিশ মালিকানাধীন ইপানিয়।শ অফ কোম্পানি রাষ্থীয়ন্ত করেছিলেন এবং জনগণকে প্র“তঞ্রুতি দিরেছিলেন ষে রাষ্ট্রায়ত্ত এই তৈল সংস্থা থেকে যে আয় হবে তা সাধারণ মাঞ্ধষের কল্যাণে ব্যয় করা হবে, পারিপ্র্য দূর করা হবে শকলের, সংগ্রাম চালানো হবে বিদেশীদের বিরুদ্ধে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার আদায় করা হবে। তাই ছাত্র, বুদ্ধিজীবী সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ যে তার পতাকাতলে সমবেত হয়েছিল এতে বিস্মিত হবার কিছুই নেই।

তা সত্বেও সার! জাতির পক্ষে মর্মত্তিক ঘটনা ঘটে গেল--ডঃ মোসাদেগকে গদিট্যুত করা হল। জনসাধারণের জাতীয়তাবাদ আমূল সংস্কারকামী মতবাদের উন্মেষ উধালগ্নেই রাহগ্রস্ত হল। রুবিকন অতিক্রম কর হল কিন্তু উন্টো দিক থেকে। পেপ্টাগনের এই বিজয়লাভে শুর হল লাভজনক দূর কষাকধি। সংক্ষেপে বললে, তার ফল ধীড়াল, মাকিন তেল কোম্পানিগুলি ব্রিটিশ পারুস্থস্থ অগ্ঠান্য বিদেশী তেল কোম্প!নির কাছ থেকে তেলের ভার গ্রহণ করল এবং ইরানকে মাকিন নয়৷ উপনিবেশবাদের “প্রোটেক্টরেট'-এ পরিণত করার পথ প্রস্তুত করল।২৬ দেশের সেনাবাহিনীকে নিজের খুশিমত পোষ মানিয়ে গড়ে তোলার শিক্ষা রাজ। ভালই নিয়েছিলেন

জাতীয় নিরাপত্তা ১৯

একদিকে শাসক শ্রেণীর ভূম্বামীদের শোষণে দেশের বিরাট জন-সমষ্টি চরষ দরিদ্র্য দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করতে লাগল,২৭ অন্যদিকে শাহ্‌ একের পর এক অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি করে তার সামরিক আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে লাগলেন প্রথম চুক্তি হল ডালেসের সঙ্গে ১৯৫৪ সালে ১২ কোটি ৭৩ লক্ষ ডলার যূল্যের অন্ত্র ক্ররের। তারপর হল তৎকালীন প্রেধিডেন্ট জনসনের সর্গে এফ-এইচ ক্যাপ্টম জেট ধিষান ক্রয় সম্পর্কে পেন্টাগন রপ্ত।নি-আমদানি ব্যাঙ্ক ২০০১০০০১০০০ ডলার খন দেয় এবং পেই অর্থে এই বিষানগুলি ক্রয় করা হয়। ক্কম্যান লিখেছেন, এই চুক্তিটি লাভজনক হয় শাহ বিভিন্ন ঘাকিন কর্পোরেশন সহ সকলের পক্ষেই ।২৮ তেল বিক্রি করে যে ডলার অজিত হচ্ছিল তা ব্যয় হতে লাগল অংশতঃ শাহ্‌ তার হুষ্ট নতুন উচ্চশ্রেণীর ছ্াবেদার গোঠার জন্য, আর মোটা পরিষাণ অর্থ ঢালা হতে লাগল প্রতিরক্ষা ৰাজেটে।

গত দশকে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যয় দশগুণ বৃদ্ধি পায় এবং ১৯৭৩-৭৪ সালে তার পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। আজ সারা দুনিয়ায় প্রতিরক্ষা খয়ের দিক খেকে হবানে স্থান সম্ভবতঃ দশম ১৯৭৩-৭৪-এর প্রতিরক্ষা বাজেট ১৯৭২-৭৩-এঞ প্রতিরক্ষা ব্যয় অপেক্ষা ৪৫ শতাংশ বেশী। শঞ্চাশের দশকে ইরানের প্রতিরক্ষা! ব্যয় ছিল মোটামুটি মাঝারি ধরনের__ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ছিল ১০ কোটি ডলারেরও কম দশকেরই দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিত্রক্ষা খাতে বরাদ্দ কোটি থেকে ২৫ কোটি ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ষাটের দশকের প্রখমার্ধেও প্রতিরক্ষা ব্যয়ে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি কিন্ত ১৯৬৭-৬৮ আথিক বছর থেকে এই ব্যয় দ্রুত বাড়ত্তে থাকে 'শীচের তালিকাতেই প্ররুত অবস্থা প্রকাশ পাবে £

বছর পরিমাণ

( ডলারের হিসাবে? ১৯৬২-৬৩ ১২ কোটি ৫০ লক্ষ ১৯৬৩-৬৪ ১৭ কোটি ১৯৬৪-৬৫ ১৯ কোটি €* লক্ষ ১৯৬৫-৬৬ ২১ কোটি ৭০ গন্ষ ১৯৬৬-৬৭ ২৬ কোটি ১৯৬৭-৬৮ ৪৮ কোটি

১৯৬৮-৬১ ৪৯ কোটি ৫০ লক্ষ

তারত-সোভিয়েত চুক্তি

বছর পরিমাণ (ডলারের হিসাবে ) ১৯৬৯-৭০ ৫০ কোটি ৫০ লক্ষ ১৯৭০-৭১ ৭৭ কোটি ৯০ লক্ষ ১৯৭১-৭২ ১০২ কোটি ৩০ লক্ষ ১৯৭২-৭৩ ১৩৮ কোটি ১৯৭৩-৭৪ ২০০ কোটি২৯

১৯৫১ থেকে ১৯৭১-এর মধ্যে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যয় গড়পড়তা বাধিক' ১৩৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায় এবং এখন তা বেড়ে চলেছে আরও দ্র হারে।

বৃহ্ত্তন লনব-পশ্ভতার লনা বশ

ভিয়েতনাম থেকে আমেরিকার হুঠে আসার পর থেকে শাহ্‌ বিশ্বের বৃহত্তম সমর-সম্ভার সমাবেশের কর্মস্থচী গ্রহণ করেছেন। আন গ্ভ বোর্ গ্রেভ লিখেছেন, তেহরানের সমরনায়কেরা আমেরিকার কাছ থেকে সমর- সম্ভার ক্রয় করছেন ( এবং ব্রিটেন ফ্রান্স থেকেও কিছু কম পরিমাণে ) যেভাবে অধিকাংশ মানুষ স্থপার মার্কেট থেকে এক সপ্তাহের মুদিখানাণ জিনিস কিনে এনে মজুত করে রাখে ।৩০ শুধু ১৯৭৩ সালেই শাহ্‌ তার তেলের আয় থেকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার সমর-সরঞ্রাম ক্রয়ে ব্যয় করেছেন এরং গত ১৫ বছরে অস্ত্র ক্রয়ের জন্ত মোট যত অর্থ ব্যয় কর! হয়েছে তেহরানের প্রভুর পরবর্তী ছ'বছরে তার চেয়েও বেশী বায় করবেন বলে মনে হচ্ছে ।৩১ তাছাড়া, শাহ-এর নজর বিদেশী অদ্ভুত অতি ব্যয়বহুল অস্ত্রের দিকে _লেসার-চালিত বোমা এবং ফ্রান্সের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ভূ-পৃষ্টে ক্ষেপণের অন্তর থেকে শুরু করে কে সি-১৩৫ জেট ট্যাঙ্কার পর্যন্ত তার নজবর। এই জেট ট্যাঙ্কারগুলি দিয়ে তিনি তার ১৯০ খানি এফ-৪ ফ্যাণ্টম জঙ্গী বোমার বিমান এবং ১০০ খানি এফ-৫ বিমানের বিরাট বহরকে যাঝ আকাশে নতুন করে তেল যোগান দিতে পারবেন (এর ফলে জেটের হান দেবার পান্ধ। ছিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৪০০ মাইলে গিয়ে দীড়াবে )1৩২ আমেরিকার সামরিক-শিক্প কর্পোরেশনের কাছ থেকে শাহ-এর সংপ্রতি কেন! সমরোপকরণগুলির মধ্যে আছে £

--১০৮ খানি এফ-৪ ফ্যাণ্টম যার মূল্য মোট ৭২ কোটি ভলার। অবশ্য শাহ'-এর এই ধরনের ৭২ খানি বিমান আগে থাকতেই কেনা আছে

জাতীয় নিরাপত্তা ২১

--১০* খানি এফ-৫ জঙ্গী বিমান, মূল্য ৩০ কোটি ডলার 9

-_-১০ খানি কে সি-১৩৫ জেট ট্যাঙ্কার, মূল্য কোটি ভলার )

_9০* হেলিকপটার, যূল্য ৫* কোটি ভলার ;

_-৮০* ব্রিটিশ চীফটেন ট্যাঙ্ক, আহ্থমানিক মূলা ৪৮ কোটি ডলার ( শাহ্‌ এর হতে ইতিপূর্বেই কেন। আছে ৮৬০ খান প্যাটন ট্যাঙ্ক )$

--৮ খানি ডেস্ট্রয়ার, খান ফ্রিগেট, ১২ খানা দ্রতগামী গানবোট এবং খানি মেরামতী জাহাজ, যৃল্য প্রায় ৩০ কোটি ডলার ;

--১৪ খান। নতুন হোভারক্রাফটউ, মুল্য কোটি ডলার ( শাহ-এর হোভারক্রাফট বহর আগেই ছিল বিশ্বে বৃহত্তম, তার সঙ্গে যুক্ত তবে এই নতুন ১৪ খান ) 3 |

_-২টি নতুন নৌ-বিমান ঘাাটির সবঞ্জাম, মূল্য ১* কোটি ডলার ৯৩

এই সাম্প্রতিক সমর-সম্তারে ইরানের সমর-শক্তি ভয়ঙ্করতাবে বৃদ্ধি পাবে। এখনই তার হোভারক্রাফট বহর মাত্র দু্ঘণ্টার মধ্যে উপসাগরের অপর পারে এক ব্যাটেলিয়ান সৈন্য নামিয়ে দিতে পারে ব্রিটেনে নিমিত বৃহদাকার বি এইচ-৭ বিমান দ্বারা পরিচালিত এই বহুরটি, আর এঁ বি এইচ-৭ বিমান ১৫০ জন পর্যন্ত নৌ-সৈন্য নিয়ে ঘণ্টায় ৭০ মাইল বেগে যেতে পারে

ইরান তার নৌ-বাহিনীকেও সম্প্রপারিত করেছে পাঁচ বছর আগে শাহ-এর্ নৌ-বাহিনী ছিল প্রধানতঃ বে-আইনী ভাবে মাল পাচার দমনের বাহিনী আজ সে বাহিনী সাপ উপসাগরে দ্রুত সাষরিক ব্যবস্থা অবলম্বনে শক্ষম ।৩৭ অর্থাৎ নৌ-নাহিনীর আয়তন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে |

সম্প্রতি “নিউজ উইক'-এবর সম্পাদক আন দ্য বোর্টগ্রেভের সঙ্গে এক পাক্ষাৎকারে শাহ্‌ নিজেই স্বীকার করেন যে ইরান নম্মার্ট বোমা অখীৎ লেসার টি ভি চালিত বোমা পাচ্ছে তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া অন্থান্ত ঘেসন অস্ত্র আমেরিকার আছে তা সবই আমরা পাচ্ছি।”৩৫ ব্রিটেনের কাছ থেকে শাহ ৮০০ খান। চীফটেন ট্যাঙ্ক ক্রয় করছেন। এর ফলে ইরানের ট্যাক্ক-বাহিনীতে ট্যাক্কের সংখ্যা ১৭০০-এর মত হবে 1১১ শাহ-এক্র [সশস্ত্র বাহিনীর মোট পৈন্তপংখ্যা আগ্ুমানিক ১৯১,০০০ 1৩৭

ইরানের শাহ, নাকিন ক্ষেপণাজ্্ কিনবেন

ইরানের শাহ্‌ ১৯৭৩ সালের ২৪শে জুলাই মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্র সফরে |ন। তখন তার সমর-সন্তার ক্রয়ের তালিকায় শুধু মারাত্মক অন্ত্রশস্ত্ে সম্পূর্ন

সজ্জিত নৌ-বাহিনীর জঙ্গী বিমান 'টমক্যাট' (এফ-১৪)-ই ছিল না? ফিনিঝ

২২ ভারত-সাভিয়েত চুক্তি

ক্ষেপণাস্ত্র দূর পাল্লার রাডার সহ অন্তান্ত অতি উন্নত ধরনের সমরোপ করণও ছিল। এই রাভারগুলি সোভিয়েট বিমানে ব্যবহৃত রাডার অপেক্ষা অনেক বেশী উন্নত ধরনের

ওয়াকিবহাল মহল থেকে জানা গেল, প্রত্যেকটি এফ-৪ জঙ্গী বিমানের মূল্য প্রায় কোটি ৪৮ লক্ষ ডলার (প্রা ১১ কোটি টাকা ) এবং একাট ৫৪-এ ফিনিকা ক্ষেপণাস্ত্রের মূল্য ২১৫০১০০* ডলার (প্রায় ১৮ লক্ষ টাক! )। এই এফ-১৪ জঙ্গী বিমানগুলি নির্মাণ করছে একটি জার্মান কর্পোরেশন মাকিন নৌ-বাহিনীর জন্ত এবং বিশ্বে সামরিক বিমানগুলির মধ্যে এরই মূল্য সর্বাধিক

শাহ্‌ কতগুলি টমক্যাট' কিনতি চেয়েছিলেন তা ঠিক জানা যাঁর নি। প্রেসিডেপ্ট নিঝ্সনের সঙ্গে তার আলোচনার লিশয়গুলি মধ্যে এটি ছিল অন্যতম | মাঞ্চিন প্রতিরক্ষা দপ্ূর ইতিমধোই উক্ত কর্পোপ্েশনকে শাওএর কাছে টমক্যাট বিক্রয়ের অনুমতি দানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। উরানী অফিসারেরাও উক্ত কর্পোবেশনের সঙ্গে ফিনিকা ক্ষেপণান্ত্র ক্রয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সাধারণতঃ প্রত্যেকখানি বিমানের সঙ্গে ওটি ক্ষেপণাস্ত্রের বরাদ' থাকে 1৩”

নৌ-বাহিনীর এফ-১৪ জঙ্গী বিমান হবে শাহশুএর পর্বে বণ্তি তন্সাগ।বে নতুন সংযোজন

১৯৭৩ সালের ২৬শে জুলাই ওআমশিংটনে এক বিধৃতিতে উপরোক্ত অস্ত্র ক্রয়ের সংবাদের সত্যতা স্বীকার করে শাহ বলেন ঘে তিনি নিশ্চয়ই জার্মান কর্পোরেশনের কাছ থেকে এফ-১৪ জঙ্গী বিমান ক্রয়ে অত্যন্ত আগ্রহান্তিত | তিনি মেরীল্যাংগ্ডর আ্যাগ্ক্ত বিমান ঘাটিতে টমক্যা দিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন দেখবার বাসনা প্রকাশ করেন | টিমক্যাট নিমানের দাষের ( দেড় কোটি থেকে দু'কোটি ডলারের মধ্যে ) কথা উল্লেখ করে শাভ্‌ একজন পাংবাদ্কিকে বলেন, “আপনাকে হয় সংখ্যা, অথবা মান এই ছুই-এর মধ্যে যেকোন একটা বেছে নিতে হবে আমরণ চাই ভাল মানের জিনিস | ভাল জিনিস নিতে গেলে তার ভাল দাম দিতে তো তবেই সৌভাগ্যবশতঃ আমাদের তা দেবার ক্ষমতা আছে ।” শাহ আরও স্বীকার করেন যে এক-৪ ফ্যাণ্টম জঙ্গী বোমারু বিমানের বিরাট বহর ছাড়াও তিনি এফ-১৪ বিমানও কিনতে চান। (ম্মরণ থাকতে পারে যে এফ-১৪ হচ্ছে নৌ-বিনীর বিমান এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাধুনিক জঙ্গী বিমানকে রুখতে সক্ষম বলে বিশ্বাস)! আর

জাতীয় নিরাপত্তা ২৩"

বিমান বাহিনীর এই ধরনের যে এফ-১৫ বিমান আছে তাও শাহ. কিনতে চান। শাহ্‌ কতগুলি টমক্যাট কিনবেন তা বলেন নি, তবে পর্যবেক্ষকদের অনুমান এই সংখা! আট থেকে বারোর মধ্যে ।৩৯ তার বিবৃতির অপরাংশও বিশেষ লক্ষণীয় অংশে তিনি বলেছেন যে পারস্য উপসাগরে প্রভাবশালী রক্ষক শক্তি হিসেবে গডে ওঠা ইরানের শুধু কর্তব্যই নয়, আদুষ্টেরও লিখন! তিশি বলেন, “আমার বিশ্বাস, দশ বছরের মধ্যে আমরা আজকের ফ্রান্স, ব্রিটেন বা জার্মানীর মত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হন ৮২০

ভারতের পক্ষে আরও আতঙ্কজনক ঘটনা হচ্ছে, ফ্যাণ্টম, হেলিকপটার, গানশিপ, লেসার টিভি চালিত বোমা, বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রভৃতি অতি উন্নত ধরনের জটিল অস্ত্রাদির ব্যবহার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে ইরানী সৈম্তবাহিনীকে শিক্ষাদ্নের এক বিরাট কর্মস্ছচী অনুযায়ী মাকিন সামরিক বাভিনীব ১১,০** বিশেষজ্ঞকে ইরানে পাঠানো হয়েছে।৭১৯ শত শত ইরানীকে ইন্ত্রাইলে পাগনো হরেছে উন্নত ধরনের শিক্ষা গ্রহণের জন্য তাছাড়া ওআশিংটন, তেহরনি দ্েকজালেম অঞ্চলে সামরিক শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সম্পর্কে গোয়েন্দাগিরি করে তার তথ্য ত্রিমুখী বিনিময়ের জন্য একর সক্রিয় সংস্থা! গঠন করেছে |

ভারতের প্রতিরক্ষা নিরাপত্বাণ দিক থেকে আরও নিপজ্জনক ঘটনা হচ্ছে, ইবানী বালুচিস্তানে চাহ, বাহার উপস'গরের তীরে একটি মালভূমিতে ৬০ কোটি ভলাণ ব্যধে স্থল বাতিনী, নৌ-বাহিনী বিমান বাহিনীর একটি ঘাটি নির্মাণ কৰা হচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এটিই হবে এই ধরনের ধৃহত্তম ঘাঁটি | আগামী তিন-চার বছবের মধো এই ঘটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন করার জন্য মাকিন গিকাদারেবা মাটি অপসারণের ২৫* খানি অতিকাষ যন্ত্র এনে কাজে লাগিরেছে।

তাছাড়া সর্বশেষ সংবাদে প্রকাশ, ইস্ফাহ।নে বিশ্বের দ্িতীয় বৃহত্তম হেলিকপট।র ঘটি নির্মাণের জন্য ১৯৭৩ সালের বড়দিনের মধ্যে ৫০৯ আমেরিকানের ইরানে পৌছবার কথা | “ফিনান্শিধাল টাইমস*-এর একটি

বাদে প্রকাশ, ইপান তার সমর-প্রস্ততিতে দ্রুত আঘ।ত হানার ক্ষমতা

বিম।ন শক্তির ওপত্ গুরুত্ব আরোপ করেছে অতি গীদ্রই সে ২০ গান- শিপ সহ ৭০০ হেলিকপটারের ডেলিভারি নেবে উদ্দেশা, তার ১০০ "খানি সি-১৩০ পরিবহণ বিমান বহরের শক্তি বৃদ্ধি

এই সব ঘটন থেকে বোঝা যায় ষে এটি একটি বিপজ্জনক অঞ্চলে পরিণত

২৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

হতে চলেছে। ভারতীয়রা যেন সহজে ভুলে না যান যে ইরানের নাদির শাহ তাদের দেশ থেকে ময়ূর সিংহাসন কোহিনুর নিয়ে গিয়েছিলেন শাহ্‌ যে বিবরণ দিয়েছেন তাছাড়া গোপন হ্ত্র থেকে ইরানের সমর-প্রস্ততি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা গেছে। পারস্য সর্বাধুনিক জঙ্গী বোমারু বিমান “দি ঈগল" কিনতে চলছে মাকিন সামরিক-শিল্পে এই বিমানগুলি নিমিত হুচ্ছে। উপসাগর অঞ্চলে পর্যবেক্ষণ চালানার উপযুক্ত খানি লকনুড গ্রিয়ন বিমান, খানি বোয়িং ট্যাঙ্কার বিমান, হিউজেস টো। ট্যাক্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বি সি রেপিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র (ভূ-পৃষ্ঠ থেকে আকাশে ), ছোট সি-ক্যাট ভ-পষ্ঠ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যা্ক-বিধবংসী ক্ষেপণাস্ত্র, বি সি হয়িং হালকা ক্কপিয়ন ট্যাস্ক, ফক্স সাজোয়! পর্যবেক্ষণযান, সি কিলার এম কে-২ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ভূ-পৃষ্ঠে ক্ষেপণাস্ত্র, খানি এস এম শ্রেণীর ফ্রিগেট এবং কখানি আধুনিক কায়দায় পুনরায় সজ্জিত ম্যালন সামার শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ারেরও অর্ডাব 'পারশ্য দিয়েছে এই সন সমরোপকরণের একট! মোটা অংশের ডেলিভারি সঙ্গতি দেওয়া হচ্ছে | প্রচলিত অন্ত্র দ্বারা আঘাত ানাপ শক্তি বিমান শক্তির দিক থেকে এট] হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভাতঙ্কজনক সমর-প্রস্ততি, ত! যেদিক থেকেই বিচার করা হে।ক না কেন। এতে চীন, জ।পান, ভারত ইন্াইলের মত শক্তিকেও ইরান ছ।|ডিয়ে যাবে ণহিরাক্রমণের বিপদের সঙ্গে এই সমর-সম্তার মজুত কণার কোন সম্পর্কই নেই, সঅভ্যপ্তরীণ নিরাপত্তার দিক থেকেও সম্পূর্ণ অর্থহীন তাই এর লক্ষ্য মাত্র দ্রটিই হতে পারে। প্রথম, পশ্চিমে আরবের শেখ রাজ্যগুলিতে সশস্ত্র গণ-এভ্যুথান চুর্ণ করা; দ্বিতীয়, পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে উৎসাহিত করা। সেঙ্গেত্রে অতীতের মত ইরান পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণে সর্বপ্রকার প্রয়োজনীয় অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারবে ।১৩ তবে শ্রীমতী গান্ধী সম্প্রতি দৃঢ়তার সঙ্গে এই ধরনের দঃসাহসিক ধ্বংসাজ্মক অভিযানের বিরুদ্ধে সত করে দিয়েছেন ১৯৭৩ সালের ১৯শে জুন অটোয়ায় কানাডীয় পার্লামেণ্টের উভয় সভার সদস্যদের সম]নে বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন £ সামরিক প্রস্তুতির গতি ত্বরান্বিত কর। হচ্ছে, এটা আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। বৃহৎ শক্তিবর্গ ( পরোক্ষভাবে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন ফ্রাম্পকে কটাক্ষ করে ) ছোট ছোট দেশগুলিকে অস্ত্রসজ্ভিত করে চলেছে আগে করত ঠাণ্ডা লড়াই-এর তাগিদে, এখন

জাতীয় নিরাপত্তা ২৫

করছে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার অন্গুহাতে ।-'"বাইরে থেকে অস্ত্র আমদানি স্থায়িত্ব আনতে পারে না, কারণ এতে অনিবার্য ভাবে অন্তপ্রাণিত হয়ে ওঠে যুদ্ধবাজর1, গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ সমাধানে যাদের কোনই প্রয়োজন নেই 1৯৪ ওআশিংটনস্থ প্রাক্তন ভারতীর রাষ্ট্রদূত শ্রীএল কে ঝা-ও ১৯৭৩ সালে ২৮শে মে নয়াদিল্লীতে ফোরাম অব. ফিনান্শিয়াল রাইটাঁস” আয়োজিত এক আলোচনাচক্রে প্রশ্নেত্তরকালে আমেরিকা কর্তৃক ইরানকে অস্ত্রসঙ্জিত করণের নিন্দা করেন এবং বলেন যে এটি নিশ্চয়ই ভারতের স্বার্থের অন্থকুল নয় 1৪৫ এই সমস্যা সম্পর্কে মন্তব্য প্রসঙ্গে কে পি এস মেননও বলেন £ “স্য়েজের পূর্ব থেকে জাপানের পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মধ্যে সনচেয়ে শক্তিশালী দেশে” পরিণত হওয়ার আকাজ্ষা শাহ. ঘোষণা করেছেন এবং মাকিন সরকার যে রকম আগ্রহ নিয়ে তার সে আকাজ্্াঁ পুরণ করছেন তার আংশিক কারণ যে ভারতের প্রতি তাদের বিদ্বেষ সন্দেহ মনে না জেগে পারে না।?৬ নিউন্স উইকের বোর্চগ্রেভের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শাহ সামরিক প্রস্ততি অন্ততঃ ভারতীয় উপমহাদেশের ঘটনাবলী সম্পর্কে বিকৃত মিথ্যা বিবরণ দেবার চেষ্টা করেন ইয়াহিয়া £ঘাষণা করেন, “দশ দিনের মধ্যে আমি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হব” এবং ১৯৭১ সালের ওরা ডিসেম্বর রাত্রে সত্যই তিনি তা করলেন, পাক বিমান বহর ভারতের পশ্টিষ।ঞ্চলে বিমান ক্ষেত্রগতুলির ওপর বোম! বর্ষণ করল (ক্ষতিও হল প্রচুর ) যার ফলে ভারত্ত পালট। ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হল। শাহ ইয়াহিয়া খানের এই ঘোষণা! পাক 'বিমান বহরের আক্রমণের ঘটনা নিজের স্থবিধার জন্ত সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে সরাসরি ভারতের বিকদ্ধে তার ৈম্তবাহিনীকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত 'অতিক্রমের? নির্দেশ দানের পাকিস্তানের অঙ্গচ্ছেদ করার অভিযোগ আনেন এবং কুৎস1 রটনা করেন। এই ধরনের ঘটনা-বর্ণনা ঠিক €ঘাডার সামনে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার ম৩। এই অভিযোগ শুধু তিত্বিহীনই নয়, এক সম্পূর্ণ কাল্পনিক আবিষ্কার | তাছাড়া, এক কোটি উদ্বাস্ত যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছিল সে খবর বিশেষ কোন কারণে মনে হয় তার কাছে পৌছয়নি (অন্রিয় রেডিও টেলিভিশন সাভিস তার হস্তগত থাকা সত্বেও )। তিনি প্ররৃত ঘটনা চাপা দিয়ে সম্পূর্ণ এক বিভ্রান্তির -হ্ুঙি করেন তাছাড়া যে 'গতিহাসিক খটনা-প্রবাহের কলে ভারত সোভিয়েত

২৬ ভাপ্নত-সোভিয়েত চুক্তি

ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে বাধ্য হল তা৷ উদ্দেশ্যযূলকভাবে উপেক্ষা করে: শাহ, এটা এক বিপদ-ঘণ্টা হিসাবে গ্রহণ করলেন। আসন্ন সংঘর্ষে চীন যখন ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হস্তক্ষেপ করে পাকিস্তানকে সাহায্যের প্রতিক্রতি দিল* এবং কিসিঙ্ষার ভারতস্থ মাকিন রাষ্ট্রদূত কিটিং মারফত কোন সংঘর্ষ বাধলে কোন প্রকার সাহায্য দেওয়! হবে না বলে ঘোষণা করলেন তখনই ভারত বাধ্য হল এমন এক মিত্র শক্তির সন্ধান করনে যে জরুরী অবস্থা দেগা দিলে তাকে রক্ষা করতে পারবে। তার ফলেই হল ভারত-সোভিয়েত চূক্তি। ইরান যদি সোভিয়েত ইউনিয়নকে শক্র হিসেবেই মনে করে, তালে ইরানে এই সব সমর-সম্ভার সমাবেশ শুপু প্ররোচনারই কৃষ্টি করবে, কখনই তা ( সমর-সম্তার ) যথেষ্ট বলে মনে হবে না।

সম্প্রতি ইরানের শাহ্‌ যেসব বিবৃতি ছাড়ছেন এবং ঘে ধরনের হাল-চাল- দেখাচ্ছেন তাতে ভারতে শুধু প্ররোচনারই হষ্টি হনে। তিনি বলেছেন, ভারত-সোভিয়েত চুক্তি ইরাক-সোভিয়েত চক্তির দ্বারা তার দশ পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েছে বলে তিনি বিপন্ন বোধ করছেন ! ইরান ভাল করেই জানে: যে ভাঁরতের সঙ্গে তাঁর কোন পাঁধারণ সীমান্ত নেই তা পত্েও শাহ মনে করেছেন যে ভারত-সোভ্িরেত মৈত্রীর ফলে ইরানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল আরও খণ্ড খণ্ড হয়ে যেতে পারে | স্পঞ্ুই বুঝা যায়, এটা শাহ-এর আবিফার এবং তার আশঙ্কাব অহ্িরগ্রন। পাকিস্তানের অন্কলে সোভিয়েত মধ্যস্থতাতেই যে ভার ০*বার--১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে তার অধিরুত পাঁক অঞ্চল পাকিস্তানকে ফেরত দিয়েছিল সে সত্যটা! তিনি সহজেই উপেক্ষা করে গেছেন। তাছাডা ভারতের ইতিহাসের স্থদীর্ঘ এীতিহ্া হচ্ছে ভারত কখনও ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে বা সীমান্তের ওপারে আক্রমণ চালাবার স্বপ্নও দেখে নি।

ইরাকের কথাই ধর! যাক। সে দেশের এক লক্ষের চেয়ে সামান্য বেশী সৈন্তের ক্ষুদ্র বাহিনী প'রশ্যের তুলনায় এমনই নগণ্য যে ইরানের পক্ষে সম্ভবতঃ সে কোন বিপদ স্্টি করতেই পাবে না! প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, শাঁহ বাগদাদের বিরুদ্ধে কুদ্দিদের অন্তর্থাতযূলক ক্ষার্ধকলাপে সাহায্য সহযোগিতা করছেন এবং উক্কানিও দিচ্ছেন তারই প্রতিক্রিয়ান্বরূপ ইরাক বালুচিদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে তবে শাশ২এর কার্যকলাপের তৃলনায় শুধু নিক্ষল প্রতিক্রিয়া তাছাড়া, সম্প্রতি ইরাকের বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে এক বার্থ সামরিক অক্থ্যথানের আয়োজনে শাহ-এর হাত ছিল। তাছাড়া, উত্তরে,

জাতীয় নিরাপত্তা ২৭

বিপ্লবী ইরাক এবং দক্ষিণে গেরিলাদের তৎপরতা সম্পর্কে ভার আতঙ্ক অতি-- রঞ্জিত করে এবং পারন্ত উপসাগরে সোভিয়েত অভিসদ্ধির কথা রটিয়ে এক ভুয়া আতঙ্কের স্থট্টি করে শাহ ত্বার দেশকে মাকিন সামরিক-শিল্পের কাছে সঁপে দিয়েছেন

ইরান ক্রমাগত গুজব ছড়াচ্ছে যে রাশিয়1 পাকিস্তানকে খণ্ড খণ্ড করার ধারাবাহিক আন্দোলনে মদত যোগাচ্ছে, ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত মহাসাগরে এক প্রভাবশালী রাষ্ট্রে উন্নীত করার চেষ্টা করছে, আর পারস্য উপসাগর-তীরে ইরানের পশ্চিম পার্শে 'অন্তর্থাতমূলক"” কার্ধকলাপে সমর্থন: দিচ্ছে |৭৭

তাছাড়া, পাকিস্তানের ধর্মপিত” আমেরিকা পাকিস্তানের বিভাগ মেনে নেয় নি। নিষ্সন-প্রশাপন আবার ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে এক সংঘর্ষে লিপ্ধ করার জন্য এক নোংর1 খেল! খেলতে পারে, বিশেষ করে তার ধেশ যখন আর ভিয়েতনামে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ধ নয়। মাফিন প্রশাসন ভারতের যুক্তি মেনে নেবে এট আশা করা বুথা |

এরূপ এক সংকটজনক সন্ধিক্ষণে সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে ভারতের উদাসীনতা৷ শুধু তাঁর নিজের জাতীয় নিরপত্তা বিপন্ন করে তুলবে

ভারত-সোভিয়েত চুক্তির শর্তগুলি যতদিন সততার সঙ্গে অন্সরণ কর] হবে ততদিন এই চুক্তিটি এই উপমহাদেশে যে-কোন বৈদেশিক আক্র- মণের বিরুদ্ধে শান্তি নিরাপত্তা স্থনিশ্চিত করে রাখবে ইরান তার বোমার বিমানবহর হানা দিতে পাঠাতে সাহস পাবে না, গারতের বুকে আক্রমণ চালাবার জন্ত পাকিস্তান তার স্থলবাহিনীকে নামাতে পারবে না চীনারাও দিল্লী বা কলকাতাকে ধ্বংস করার জন্য তাদের আত্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পাঁরবে না, পেপ্টাগনও ভারত মহাসাগরে তার সপ্ম নৌবহরের চলাচলের ব্যাপারটি হালকা ভাবে গ্রহণ করতে পারবে না

সম্প্রতি ভারতের বুর্জোয়৷ সংবাদপত্রগুলির কিছু সংখ্যক শাহ-এর চাটুকার তড়িঘড়ি আয়োজিত এক সাক্ষাৎকারের মাধ)মে ভারতীয়দের মনে এই ধারণার স্ষটি করতে চান যে ইরানের অস্ত্র ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না। তার। এক অদ্ভুত ধরনের বক্তব্য নিয়ে হাজির হয়েছেন | তারা বলছেন ষে ভারত ইরানের মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধ এড়ানে! যেতে পারে কিছুদিন আগে শাহ যেসব বৈরীম্থলভ বিবৃতি ছাড়েন এবং ১৯৭৩ সালের ২৮শে জুন, ইরানী বেতারে যে ঘোষণা করা হয় সেগুলি তার! এই যুক্তি খাড়া করার

২৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ময় বেমালুম চেপে গেছেন। সব বিবৃতি ঘোষণায় বলা হুর যে ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে ইরান তার সম্ভবপর সব সাহায্য পাকিস্তানকে দেবে 18৮ সত্বেও বলা হচ্ছে যে ইরানের অস্ত্র ভারতের বিরুদ্ধে বাবন্ত হবে না। এই ধরনের বিবৃতি অর্থহীন। সারা বিশ্ব এখনও কোরীয় যুদ্ধের স্চন। নিয়ে বিতর্ক করছে। ১৯৬৫ ১৯৭১ সালে কখন যুদ্ধ বেধেছিল বা পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনী কখন জন্বু কাশ্বীরে অনুপ্রবেশ করেছিল বিষয়ে কখনই মতৈক্য হবে না কারণ যুদ্ধের সুচনা 'সম্পর্কে বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে কেউ রায় দেয় না অধিকাংশ লোকই নিজের মনের দর্পণে দৃষ্টিপাত করে রায় দিয়ে থাকে আর শাহ-এর কথা বলতে গেলে, ভার পাকিস্তান-ঘেষা মনোভাব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখ! দিতে পারে ন।। ইন্দার মালহোত্রা মন্তবা করেছেন, “ভারতের বিরুদ্ধে অতীতে ছবার পাকিস্তানকে আক্রমণের অভিযোগ না করলেও তিনি একই কথা বলেছেন একটু ঘুরিয়ে, তবে সেটা আরও ক্ষতিকারক বিদেশী সংবাদ্দিকদের কাছে, ভুট্টোর সাম্প্রতিক ইরান সফরের পর প্রচারিত যুক্ত ইস্তাহারে এবং তেহ্‌রানে “সেণ্টোর' মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এক বাণীতে তিনি ১৯7১ সালের যুদ্ধ সম্পর্কে 'বার বার যেসব কথ। বলে গেছেন সেগুলি পড়লে এদেশে তার ঢাক-পেটানোর দল ভালো করবেন 1৯৪

স্কতরাং থেকে সিদ্ধান্ত করা যায় যে পাকিস্তান যদি দেশের সঙ্গে আবার যুদ্ধ বাধাবার. পিদ্ধান্ত করে, সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ইরান সর্বাজ্মক গাহায্য দেবে এবং তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কোন দেশই তার সীমান্থের কাছে এবং তার পক্ষে অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোন অঞ্চলে আকন্মিক কোন বিরাট সামরিক শক্তির সমাবেশে উদাসীন থাকতে পারে না। পঞ্চাশের দশকে ভারত তার সীমান্তে চীনের সামরিক শক্তিকে যুক্তি দেখিয়ে শান্ত করতে পারেনি, তার জন্ত মূল্য দিতে হয়েছে অনেক ১৯৬২ সালে এৰং তার ভীতি এখনও কাটে নি।

১৯৫৪ সালে পাকিস্তানে যখন মাকিন সামরিক সাহায্য আসতে শ্রু করল আমরা তখন তার বিরুদ্ধে অনেক ট-চৈ করেছিলাম, কিন্তু সব অস্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সম্ভাৰনার বিরুদ্ধে পালটা! ব্যবস্থা গ্রহণের জন্ত তেমন কিছুই করি নি।

ভারতের বুর্জোয়া চাটুকারের৷ শ/হ-এর এই ধরনের তথ্য-বিকতির বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেন নি। ১৯৪৭-৪৮) ১৯৬৫ এবং ১৯৭১-_এই তিন

জাতীয় নিরাপত্তা

যুদ্ধে প্রতিবারই পাকিস্তান প্রথম আক্রমণ চালিয়েছে এবং ভারতের কাছে প্রতিহত ভীষণভাবে পেটানি খাবার পর নিজের ক্ষত চাটতে চাটতে সে আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে আর্ত চিৎকার জুড়ে দিয়েছে এবং বাইরে , বিশেষ করে ইরান আরব এমনকি আমেরিকার কাছেও সাহাষ্য ভিক্ষা করেছে। শাহ অতি সহজেই এই যৌলিক সত্য উপেক্ষা করে গেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সব সংঘর্ষের সময়ই শাহ্‌ প্রকৃত অবস্থার গুণা- গুণ বিচার না করেই আমাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছেন আমর! তার সঙ্গে মৈত্রীর জন্য আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করেছি সদ?র স্বরণ সিং-এর সাম্প্রতিক ইরান সফরের উদ্দেশ্যও ছিল তাই। আমাদের সে চেষ্টা ফলবতী হয় নি। শাহএর তোষামোদ করে আমরা কোন ফল পাই নি, এটাই হচ্ছে নির্যম পরিহাস এতে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতাই প্রকাশ পেয়েছে ভারত-বিরোধী বিবৃতি দিয়ে শাহ্‌ কে কাকে আক্রমণ করল তার একমাত্র বিচারক হতে চান ১৯৬৫ এবং ১১৭১-এর ডিসেম্বরে দববারই শাহ্‌ এই সব সংঘর্ষের কারণগুলির গভীরে না গিয়েই সিদ্ধান্ত নেন যে ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছে এটা স্পষ্ট যে দ্ুবারই ইরান পাকিস্তানকে ব্যাপকভাবে সামরিক সাহায্য দিয়েছিল মাকিন অস্ত্র সরবরাহের পক্ষে এটা একটা স্ববিধাজনক পথ হয়ে দ্রাড়িয়েছিল।

১৯৭৩ সালের ৮ই মে উচ্চপদস্থ পাক আমলাদের প্রচারিত এক বিবৃতিতে ছুটি যুদ্ধের সময়ই পাকিস্তানের প্রতি ইরানের শাহ-এর সমর্থনের কথা প্রকাশ করা হয়। এতে আরও প্রকাশ পায়, শাহ্‌ তেহ্‌রানস্থ পাক দৃতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, “দিনে বা রাত্রে যখনই হোক পাকিস্তানের কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলেই যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ।” এতে আরও বল! হয়, “গোলাবারুদ বিমান সহ কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সমরোপকরণের দারুণ অভাব দেখ! দেয় এবং ইরানের দ্রুত সাহায্যদ্ানে সে. অভাবও পুরণ হয়।” পাক সরকারী বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, “পাকিস্তানী বিমান বহর সারা দিন-রাত ইরান থেকেই হানা দিতে আসে ।” পাকিস্তানের প্রতি ইরানের *মৈত্রীস্থলভ” সাহায্যের এই তালিকা নিশ্চয়ই চোখ খুলে দেবে ভারতীয় চাটুকারের] সহজেই ভুলে যান ফে পাকিস্তান ইরান ১৯৬৫ বা ১৯৭১ সাল অপেক্ষা এখন আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কোন যুদ্ধ হলে ভুট্টোর প্রতি শাহ্‌-এর সমর্থন যে অনেক বেশী ব্যাপক হবে তা! সহজেই অন্মান করা যায়।

শু 5 ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ইরানের €নীতিপরায়ণ সামন্ততান্ত্রিক শ্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ইরানে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে 1৫০ জনমতকে টু'টি টিপে মেরেছে, ডঃ মোসাদেগের গণতান্ত্রিক সরকারকে, অবশ্য সি আই এর সাহায্য নিয়ে, উৎখাত করে সাংবিধানিক বিধি- নিষেধ অমান্ত করেছে এবং এখন নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানের খর্মান্ধ সরকারের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছে। এহেন রাজতন্ত্রকে সমর্থন করার মধ্যে ভারতীয় বুর্জোয়া চাটুকারেরা বিস্ময়জনকভাবে গর্ব অনুভব করে থাকেন। এটা চরম নিবু দ্বিতার পরিচায়ক তা ছাড়া, সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটন। হচ্ছে, যে দেশ ব্রিটিশ জারের সাআ্রাজ্যবাদের উপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে ডঃ মোপাদেগের আমলে শাহ্‌কে নিয়মতান্ত্রিক প্রধান করে শ্বাধীন সাংবিধানিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মর্ধাদা অর্জন করেছিল সে দেশ আবার মাফিন সামরিক-শিল্প সমাহারের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। মাকিন পু'জিপতি শ্রেণী এবং ইরানের পুরনো সামন্ততন্ত্রী রাজতন্ত্রীদের মধ্যে এক প্রচণ্ড আতাত গড়ে উঠেছে ভারত গণত্থে প্রতিশ্ররতিবদ্ধ আর ইরান সামন্ততান্ত্রিক র/জতন্ত্রের বাহুগ্রস্ত এইরূপ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এই ছুই দেশের মধ্যে কোনরূপ অর্থপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলে যনে করা কি বিশ্মরকর নয়? প্রতিক্রিয়া আধুনিকতর মধ্যে, প্রাচীন নবীনের মধ্যে, ধ্বংস্রে অচল-অনড় গহ্বরে ক্রমশ নিমজ্জমান নুষ্টিমেয় শাসক গো্ীর বিরাট সৌধ এবং সকল পি থেকে উন্নতিশীপ একটি আধুনিক দেশের মধ্যে এটা এক অসস্তব মৈত্রা- বন্ধনের প্রশ্ন এই ধরনের অন্থস্থ প্রস্তাব উত্থাপন করার আগে ভারতীয় চাটুকারদের তাদের মতামতের বিষয়ে আর একবার ভেবে দেখা উচিত ছিল।

শাহ্‌ ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে খণ্ডিত করার অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন বলে বিশেষভাবে প্রচার করে ভারতীয় বুর্জোয়া চাটুকারেরা দেশের জনগণকে সম্পূর্ণ বি্রাপ্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রাখতে চায়, অথচ শাহ কতবারই না৷ কত কথাঁয় এই অভিযোগ পশ্চিমী সাংবাদিকের কাছে তুলে ধরেছেন | কেউ জানে না কে সতা কথা বল্ছে। হয় শাহ একই সঙ্গে নরম- গরম ছেড়ে ছনিয়াকে বিভ্রান্ত করেছেন, নয়তো ভারতীয় সাংবাদিকের! ভারতীয়দের তাদের জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করে রাখতে চাইছেন

আর একটি উর্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ভারতীয় গণতন্ত্র নয়, ভুট্টোর স্বৈরাচারী শাসনই উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বালুচিস্তানের জনগণের নিজেদের নির্বাচিত সরকার গঠনের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে

জাতীয় নিরাপত্ত ৩১

পাকিস্তানে আর এক ভিয়েতন।ম সৃষ্টির পথ প্রস্তুত করছে ভুট্টো যখন ঘোষণা করেন যে তিনি বালুচিস্তানে ন্যাপ-জমিয়ত সরকার পুনঃপ্রতিঠার পক্ষপাতী নন তখন ইরানের শাহ, ভুট্টোর এই কাজে অভিনন্দন জানান বালুচিস্তানের জনগণের রায় ঘোষণার পর পাকিস্তানের ব্যাপারে মাথা! গলবার এবং তার ইচ্ছা নির্দেশ করার অধিকার ইরানের শাহকে কে দিয়েছে? তিনি যেন মনে . রাখেন যে কোন ঘরের আগুন নেভাবার যোগ্য একমাত্র প্রতিবেশী তিনি নন। আরও অনেক প্রতিবেথ আছে_শোভিয়েত ইউনিয়ন, আফগানিস্তান, ভারত প্রভৃতি_যারা শাহ্‌-এর নীতি গ্রহণ করা হলে নিজেদের অধিকার-বলেই সংঘর্ষের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে এটা সুস্পষ্ট যে ধরনের কোন পরিস্থিতির হুষ্টি হলে শাহ্‌, ভুট্টো 'ও নিক্সন একযোগে দাড়াবেন ইন্দিরা, বকৃর কোসিগিনের নিরুদ্ধে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় যে শাহ তান শু'ড় বিস্তার করছেন | ইরানের আঞ্চলিক অখগ্ডতা রক্ষা এটাই ছিল তার প্রথম দিকের বন্তব্য। মাকিন অস্ত্র ক্রমাগত আসতে থাকায় তিনি এখন ত্মারও কিছু দাবি করছেন তার ঘোষিত প্রাথমিক প্রয়োজন এখন আরও বেড়ে গেছে। তিনি এখন আঞ্চলিক দায়িত্ব নিরাপদ রাখার কথা বলতে শুরু করেছেন এবং অঞ্চল বলতে ভূগোলে যা বোঝায় তা তিনি মানতে রাজী নন। শাহ-এর এই ধরনের ছঃসাইসিক অভিযান চালাবার, ব্র্যাকমেল করার ও, সম্প্রসারণবাদী মনোভাব হালচাল এবং তাতে পেপ্টাগনের গোপন অনুমোদন উৎসাহ্দানের ফলে পাকিস্তানে অভ্যন্তপীণ আস্থিরতা এবং শেষে তা থেকে এক যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে ইরানের শাহেগ ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের ফলে বালুচিন্তান, আজাদ কাশ্মীর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ধুমায়িত অসন্যোষ মিলিতভাবে দানা বেধেছে কোন্‌ দেশ প্রথম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ শুরু করেছিল তার বিচার করবেন এঁতিহাসিকেরা তবে মনে রাখা! দরকার, পাকিস্তানে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার প্রতিক্রিয়৷ একবার শুরু হয়ে গেলে পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং বহিঃশক্তির চাপে ধ্বসে পড়বে। শাহ ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানের বালুচিস্তানে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন যদি দান। বেঁধে ওঠে তাহলে ইরানে তার তথাকথিত আত্মরক্ষা মূলক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে অর্থাৎ তিনি বালুচিস্তান এবং পাকিস্তানের অন্য যেকোন অঞ্চল পারেন তে। দখল করে নেবেন। একদিক থেকে তিনি তা ইতিমধ্যেই করেছেন। পেশোয়ারের উদ্দ দৈনিক 'শাহ বাজ'-এ প্রকাশ, পাকিস্তানের বালুচিন্তানে জনপ্রিয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন দমনে

৩২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

উক্ত প্রদেশে ইতিমধ্যেই বছ ইরানী সৈম্ভ এসে উপস্থিত হয়েছে ১৯৭৩ সালের অগস্ট মাসে এই ইরানী সৈন্যদের সাহিদান থেকে স্পেশ্যাল ট্রেন যোগে মান্তং রেল স্টেশনে পাঠান! হয়। উক্ত পাক পত্রিকায় আরও বল হয়েছে ষে রাজকুমারী আসরফ পহ্‌লবি সম্প্রতি নয়াদি্ত্রী যাওয়ার পথে কোয়েটায় থেমে ইরানী সৈন্যদের পরিদর্শন করে যান। মাকরান উপকূল অঞ্চল থেকে আগত পর্যটকদের প্রদত্ত সংবাদ উদ্ধত করে উক্ত পত্রিকায় বলা হয়েছে ষে পাকিস্তানের জিওয়ানি, গোয়াদার পাহ্থই বন্দরে ইরানী যুদ্ধজাহাজ সৰ. নোঙর ফেলে রয়েছে ।৫১ এদিকে করাচীর “ডন' পত্রিকায় প্রকাশ, স্াপ-প্রধান ওয়ালি খান আবার অভিযোগ করেছেন যে ইরানের শাহ-এর নিদেশেই বালুচিস্তানের জনপ্রয় সরকারকে বরখাস্ত কর] হয়েছে ।৫২

ভুট্টোর ইরান সফরের তাৎপর্য

১৯৭১-এর যুদ্ধে প্রচণ্ড মার খাওয়ায় এবং তার প্রাক্তন পূর্বাঞ্চলীয় শাখা ছিন্ন হওয়ায় পাকিস্তানকে তার গর্ব বিসর্জন দিতে হয়েছে এবং ইরানের কাছে তার গৌণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়েছে।

কিছুদিন আগে ভুট্টো! চারদিনের জন্য ইরান সফরে যান। প্রকাশ, তখন ছুটি দেশ পাক ইরান অধিকৃত বালুচিস্ততনে জনগণের মুক্তি আন্দোলন দমনে এক যুক্ত কৌশল উদ্ভাবন করেন। ভুট্টোকে এক রাজকীয় ভোজসভায় আপ্যায়িত করা হয় এবং সেই সভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে শাহ্‌ পুনরায় ঘোষণ।! করেন যে, ইর।ন পশ্চিম পাকিস্তানে স্বাধীনতা-আন্দোলন বরদাস্ত করবে না॥ এবং প্রয়োজন হলে সামরিক ব্যবস্থা অবলম্বন করবে তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তানে কোনরূপ স্বায়ন্রশাসনের আন্দোলন উপেক্ষা করব না।” সঙ্কে সঙ্গে কাবুল পাকিস্তানকে এই মর্মে সতর্ক করে দেয় যে পাখতুনদের অধিকার পদদলিত করা হলে আফগানিস্তান তা বরখাস্ত করবে না। কাবুল থেকে বলা হয় যে, পাখতুনদের নংস্কৃতি জীবনধারা এই*মহাদেশের অন্থান্তদের থেকে সম্পূর্ণ শ্বতন্ত্র। এই সত্যকে অস্বীকার করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আফগানিস্তানের কাছে তা বৈধ বলেই গণ্য হবে না। পাখতুনদের আত্ম- নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

একজন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকও বুঝতে পারবেন যে ইরানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ভুট্টো বালুচিন্তানের জনগণকে দমন করতে ক্রীত্দাসে পরিণত করতে চান এটা করা হলে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ হবে তার প্রাতঃরাশ। ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন ছ'দেশই জাতীয় মুক্তি-আন্দোলনে প্রায় সর্বদাই সমর্থন,

জাতীয় নিরাপত্তা ও৩"

জানিয়েছে। তাই এই ধরনের, গণহত্যায় তার! চোখ বুঁজে থাকতে পারবে ন! বিশেষ করে ন্যাপনেতা আতাউল্লা খান মঙ্গল যখন জনগণের কাছে আইন- অমান্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন 1৫৩ পাকিস্তানের ঘরোয়! ব্যাপারে ইরানের হস্তক্ষেপ সম্বন্ধে সরকারী ভাবে যে কৈফিয়ত দেওয়া হয়েছে ভার কঠোর সমালোচনা করে ন্যাপপ্রধান ওয়ালি খান বলেছেন, আমরা বদি সরকারের যুক্তি মেনে নিই, তাহলে. সেই যুক্তিই চীন আমেরিকাকে আমাদের নিদেপিদানের অধিকার দেবে, কারণ, তারাও আমাদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আথিক সাহায্য দিয়েছে 1৫৪

পিশ্ডিতেনুব্রান প্রেতিরক্ষ! চুক্তি '

ইরানে ভুট্টোর অবস্থানকালে পাক প্রধানমন্ত্রী ইরানের শাহ্‌ নাকি সেশ্টোর অংশীদার হিসাবে আরও ঘনিষ্ঠ সামরিক নৌ সহযোগিতার বিষয়ে' এক সমঝোতায় আসেন মনে হয়, এট ভারতের প্রতি ভুট্টোর হু"শিয়ারি এই মর্মে যে নতুন করে যুদ্ধ বাধলে পাকিস্তান আর এক লড়ে মরবে না। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কতকগুলি দেশকে তার পক্ষ নিয়ে লড়তে টেনে আনতে পারবে। |

নতুন পাক-ইরান আভাতে আমেরিকার খেল

ইবান-পাকিস্তান সম্পর্কে যে নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে ভা মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্ত বলে পাকিস্তানের একখানি জনপ্রিয় উদ্“দৈনিক মন্তব্য করেছে। করাচীর জমিয়ত-ই-ইসলামীর উদ“ দৈনিক 'জসরত, ভবিষ্যদূবাণী করেছে যে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইরান পাকিস্তানের. মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে এবং তাতে ইসলামাবাদ তেহরানের কাছে গৌণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। উক্ত পত্রিকায় বল! হয়েছে যে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান পারশ্য উপপাগ্নর ভারত মহাসাগরে তথ'কথিত “ভারতীয় সোভিয়েত প্রভাব” কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে চায়। প্রত "কথ! হচ্ছে, পেন্টাগনই পরোক্ষভাবে বালুচিস্তান প্রদেশের মাকরান উপকূল গ্রাস করার চেষ্টা করছে, কারণ, আক্রমণাত্মক অভিসন্ধি নিয়ে ভারতকে ভীতি প্রদর্শনের পক্ষে এই অঞ্চলের সামরিক গুরুত্ব অনেকখানি

মকিন সমর্থন ছাড়া ইরান পাকিস্তান উভয়েই এখন চীনেরও সমর্থন লাভ করেছে। ১৯৭৩ সালের জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্ন যনিটর-এ বল! হয় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চি পেং-ফি ১৯৭৩-এর ১৭ই জুন পাকিস্তান যাত্রার প্রাক্কালে তেহরানে যেসব বিবৃতি দেন তাতে মনে হক

৩৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

পারস্য উপসাগর ভারতীয় উপমহাদেশে তথাকথিত 'সৌভিয়েত সম্প্রসারণ- বাদকে? রুখবার জন্য একটি গোপন চীন-ইরান-পাক আতাত গড়ে উঠেছে।'

পাকিস্তানে ইরানের সামরিক ঘাটি নির্মাণ

ইতিমধ্যে সামরিক অংশীদার হিসাবে ইরান পাকিস্তানকে বালুচিস্তানে তিনটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে সাহায্য করছে। বালুচিস্তানের প্রাক্তন সুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাপনেত৷ সদ্ণার আতাউল্ল, খান মঙ্গল বালুচিস্তানে এক জন- সভায় একথা প্রকাশ করে দেন। তিনি বলেন যে ইরানী সামরিক অফি- সারের এই উদ্দেশ্ঠে বালুচিস্তানে স্থান-মীক্ষা চালাচ্ছে। তিনি ইরানে শাহ-এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সরাসরি সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ আনেন .৫৫ তাছাড়া, বালুচিস্তানে সেণ্টোর চারটি ঘ'টি স্থাপিত হয়েছে দেখা গেছে, পাক বালুচদের স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন ইরানী সৈন্যর] সক্রিয়ভাবে দমন করছে। প্রাক্তন এয়ার মার্শাল আসগর খান আব্,ল ওয়ালি খান সহ পাকিস্তানের কয়েকজন বিরোধী নেতা যে বার বার বালুচিন্তানে ইরানী সৈন্যদের উপস্থিতির নিন্দা করেছেন তা তাৎপর্য-বিহীন নয় “বিদেশীয়দের” সম্পকিত সংবাদ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরে এয়ার মার্শাল উক্ত প্রদেশ সফর করে এসে বলেন.যে ইরানী বিমান বাহিনীর হেলিকপটারগুলি উক্ত অঞ্চলে কার্ধ- -কলাপ চালাচ্ছে ।৫১

প্রেসিডেণ্ট ভুট্টো নিজেও এইসব ঘটনাবলীর সত্যতা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন। তিনি বলেন যে পাকিস্তান ইরান তাদের যুক্ত প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে ।৫?

সীমান্তে পিগ্ডির সৈম্ভাদের তৎপরতা |

ইরানের সমর্থনপুষ্ট হয়ে পাক যুদ্ধবাজরা ভারতকে তার বিষর্ধাত. দেখাতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রীজগজীবন রাম সীমান্তের ওপারে পাক সৈম্যদের তৎপরতার সংবাদ সমর্থন করেন।৭৮ তাছাড়া সম্প্রর্তি একটি সীমাস্ত সংঘর্ষ হয় এবং তাতে একজন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এইরূপ অন্ত্রআমদানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিলশাদ আলাভি নামে একজন ভারতীয় মুসলমান .লিঙ্ক-এর সম্পাদকের কাছে এক পত্রে লিখেন £ |

ভারতীয় উপমহাদেশে পরিস্থিতি ভ্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। সিমলা চুক্তির মেজাজ প্রায় অন্তহিত। পরাভূত ছিন্নাঙ্ হওয়া! সব্বেও পাকিস্তান 'মাবার যুদ্ধের পথে নেমেছে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের মধুচন্ত্রিম।

জাতীয় নিরাপত্তা! ৩৫

£

“যাপনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ভিয়েতনাযকে হারাবার পর 'মাকিন যুক্তরাষ্ট্র এখন সুস্পষ্ট কারণে সামরিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত, তৈল- সম্পদে সমৃদ্ধ ইরানে গেড়ে বসছে। ভুট্োর ঘনিষ্ঠ দোস্ত শাহ. তে! মাকিন খুক্ত- রাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের প্রায় গাঁটছড়া বেঁধে দিয়েছেন এতে এক উদ্্‌বেগ- 'জনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এবং পাকিস্তান আবার তার ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পছন্দসই পন্থার দিকে ঝুঁকে পড়তে. উৎসাহিত হয়েছে এইসব ঘটনাবলী পাকিস্তানে যুদ্ধবাজদের শক্তিশালী করেছে””-*"পাকিস্তানের জন- 'গণ এখনও উপলব্ধি করতে পারেনি যে ভারতের লঙ্গে সংঘর্ষের নীতি তাদের দেশকে ধবংস করেছে এবং তাদের এক অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলেছে কুখ্যাত দ্বিজাতিতত্বের চিরদিনের মত সমাধি রচিত হয়েছে বাংল।দেশে 'এবং এই সত্যকে উপেক্ষা করা যায় না।

সর্বশেষে তিনি বলেছেন £

বহিঃশক্তিরা সবদাই গোলযোগের স্থযোগ গ্রহণে উদগ্রীব তার] যদি ভারতীয় উপমহাদেশে আর একবার যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে তাহলে যে কি ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারে না।৫৯

আরবদের কাছে মাকিন অস্ত বিক্রনে দিল্লীর উদ্বেগ

প্রতিবেশী ইরাকের সঙ্গে এক সীমান্ত বিরোধের অজুহাত দেখিয়ে পারস্থয উপসাগরীয় শেখ রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে ধনী কুয়াইত সম্প্রতি ৫* কোটি ডলার মূল্যের আধুনিক মাকিন অস্ত্রশস্ত্র ক্রয়ের পিদ্ধান্ত নিয়েছে মাকিন সামরিক-শিল্প সমাহারের অসীম লালসার ( অস্ত্রশস্ত্র বিক্রয়ের মুনাফায় তা প্রতিফলিত ) কথা ধার! অবগত আছেন তারা ভালই জানেন যে তেল ক্রয়ের জন্ত আমেরিকার যে বিপুল পরিমাণ ডলার খণচ হয়ে যাচ্ছে ত৷ পূরণের জন্য আমেরিকা কুয়াইতকে মাকিন বিমান সরঞ্জাম ক্রয়ে প্ররোচিত করছে। আর কুয়াইতের শেখ তার দেশের জনগণের স্বার্থে একটি. স্বয়-নির্ভর সামাজিক- অর্থ নৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে আমেরিকার হক ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক, হেলিকপটার এফ-৮ জেট জঙ্গীবিমান ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন

সেই সঙ্গে সৌদী আরবও আমেরিকার কাছ থেকে তার শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর বিমান এফ-৮ ফ্যান্টম জেট বোমারু সহ ১০০ কোটি ভলার মূল্যের সমরোপ- করণ ক্রয়ের জন্য আমেরিকার সঙ্গে আলোচন। শুরু করেছে বলে জান! গেছে। সম্ভবতঃ ২৪ খানি এই ধরনের শক্তিশালী বোমারু বিমান সৌদী আরবের কাছে বিক্রয় করা হবে। এতে ভারতীয়দের পক্ষ থেকে নিক্সন-

৩৬ ভারত-সোভির়েত চুক্তি

নিিরন্রনর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে প্রকাশ, ভারত সরকারও " সৌদী আরব কুয়াইতের কাছে এই ধরনের শক্তিশালী বিমান বিক্রয়ে ওআশিংটন দিশ্তী উভয় স্থানেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ১৯৭২ সালের: ওর] অগস্ট অটোয়ায় কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্বরণ সিংও যেসব অস্ত্র-ব্যবসায়ী ইরান, কুয়ইত, সৌদী আরব এবং পারস্য ' উপসাগরীয় অঞ্চলের অস্থান্ত দেশে “অতি আধুনিক মারণাস্ত্র বিক্রয় করছে তাদের বিরুদ্ধে তীত্র আক্রমণ চালান তিনি বলেন £ “আমাদের মনে রাখতে হবে.*-*"'যে (ভারত ) মহাসাগরের বিভিন্ন ধমনীতে নতুন করে' এক সমরসম্ভার সমাবেশের প্রতিযোগিতায় উৎসাহ যোগানে হচ্ছে. এবং তাতে ভবিস্ৎ বিবাদ-বিসম্বাদের স্চন। হুতে পারে ।” বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন যে “অস্ত্রব্যবসায়ীদের উদ্যোগে উৎসাহদানে” যে অস্ত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে শান্তির অথব1 উক্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমৃদ্ধ তৈল-উৎপাদনকারী দেশ নগর-রাষ্রগুলির জনগণের লক্ষ্য অজিত হতে পারে না। তিনি বিশ্বয় প্রকাশ করে বলেন, এই অস্থির বিস্ফোরণোম্মুখ অঞ্চলে' ক্রমাগত অধিক পরিমাণে অস্ত্র এনে যর্দি ঢালা হতে থাকে তাহলে স্বাধীনত। শান্তি কিরূপে নিরাপদ থাকতে পারে ! তিনি আরও বলেন যে অস্ত্র মজুতকরণের ফলেই “উক্ত অঞ্চলে জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এবং এঁ সব দেশের জনগণ তাদের প্রতিবেশীদের পক্ষে তার পরিণাম কল্পনাও কর] যায় না।৮৬০ ভারত জানে বে রাওয়ালপিত্ডি চাইলেই এঁ সব অস্ত্র পাকিস্তানে এসে যেতে পারে এবং সেটাই ভারতের আশঙ্কা ।৬১ পাকিস্তান মাকিন অন্ত সরাসরি না পেলেও তৃতীয় দেশের মারফত পেতে পারে, এই আশঙ্কাতেই মাকিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ জানানে। হয় 1৬২ ইরান, পাকিস্তান প্রতিক্রিয়াশীল আরব বাষ্টগুলিকে মাকিন অন্ত সরবরাহের প্রতিবাদে ১৯৭৩ সালের ৭ই জুন দিদ্লী রাজ্য শান্তি সংহতি সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এক জনসভায় বক্তৃত৷ প্রসঙ্গে বিশ্বশান্তি পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র বলেন, “মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত পাকি- তানের মধ্যে বিরোধ ৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তারাই হচ্ছে ভারত পাকি- স্তানের জনগণের সবচেয়ে বড় শত্র। তিনি আরও বলেন যে পাকিস্তান, ইরান প্রতিক্রিয়াশীল আরব রাষ্টুগুলিতে ষতদিন মাকিন অস্ত্র আসতে থাকবে ঘততদিন শাভি আসতে পারে না 1৬৩

জাতীয় নিরাপত্ত। ৬৭

আমযোরকার জনগণকে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ওআশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস ভারতের এই আশঙ্কার কথ। প্রকাশ করেন তারা বলেন যে কুয়াইতের মত তৃতীয় দেশগুলির মারফত পাকি- 'স্তানে মাকিন অস্ত্র প্রেরিত হলে বিপদ দেখা দেবে এবং সেইজন্য ভারতে গতীর উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে উক্ত মহল বলেন “বে তারা জানতে পেরে- ছেন যে ১৯৬৫ ১৯৭১ সালে অন্তরূপ আশ্বাস দেওয়া সত্বেও মাকিন অন্ত পাকিস্তানে অন্তদেশ মারফত পৌছে দেওয়া হয়েছিল। দূতাবাসের একজন পদস্থ কর্মচারী বলেন £ “এটা আমাদের পক্ষে গতার বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছিল, পাকিস্তানের হয়েছিল হবিধা। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাকিন অস্ত্র যদি তৃতীয় দেশগুলির মারফত পাকিস্তানে পাঠানে। হতে থাকে তাহলে তাতে শুধু ভারত-বিরোধী চরমপন্থীদেরই শক্তিশালী করা হবে না, গত বছর সিমলায় ষে মীমাংসা-প্রচেষ্ট। শুরু হয় তা আরও বিলম্বিত হবে ।”৬৪ ১৯৭৩ সালের ১৯শে যে লগ্ডন থেকে “হিন্দ'র সংবাদদাতা লেখেন, “পশ্চিষ এশিয়ায় সম্প্রতি যে বণকৌশলগত সামরিক আলোচনা চলছে তাতে উক্ত অঞ্চলের সামরিক শক্তির স্বাভাবিক ভারপাম্য বিপর্যস্ত হতে পারে এবং তার

ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সংকটের, স্ষ্টি হতে পারে 1৬৫ ]

১৯৭৩ সালের ১৫ই জুন সরকারীভাবে যুগোন্পেভিয়া সফরের সময় বেল- গ্রেডে শ্রীমতী গান্ধী বলেন যে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া একটি উদ্বেগজনক অঞ্চলে? পরিণত হোক ভারত তা চায় না। বাইরের অস্ত্র যদি ক্রমাগত পার্ববর্তী অঞ্চলে আমদানি করা হতে থাকে তাহলে শাস্তি প্রতিষ্ঠা বা তা রক্ষা কর] কষ্টকর হয়ে ধ্াড়াবে 1৬৬

ভুট্টো] এখন আশা করছেন, শাহ-এর রাজনৈতিক, সামরিক অর্থনৈতি* সমর্ধনে, সৌদী আরবের প্রচুর অর্থপম্প? এন্লামিক গ্রীতির হুযোগ নিয়ে এবং চীনের রাজনৈতিক সমর্থন অস্ত্র সাহায্যে তিনি পাকিস্তানকে আবার সামরিক শক্তি হিনেব গড়ে তুলবেন। এই সংকটজনক সময়ে এই ক্রম- বর্ধমান বিপদের বিরুদ্ধে ভারত-সোভিয়েত চুক্তিই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ গ্যারা্টি

সেন্টো থেকে বিপদ সেন্ট োর অস্তিত্বও ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে সমান বিপজ্জনক | কারণ,

অতীতে এই ঢুক্তি-মংস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের সমর- প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছে, আর ভারত-পাক যুদ্ধের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সযরান্ত্র

ভারত-সোভিয়েত চুক্কি

পাকিস্তানে যোগান দিয়েছে একমাত্র ভারত-সোভিয়েত চুক্তি স্বাক্ষরের" ফলেই ভারতের বিরুদ্ধে সেণ্টোর জঘন্য চক্রান্ত সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থ করে" দেওয়া সম্ভব হয়েছে এর শ্রেষ্ঠ প্রমাণ হচ্ছে সেন্টোর সেক্রেটারি-জেনারেল' মিঃ নাসির আসারের রাওয়ালপিপ্ডিতে প্রদত্ত এক বিবৃতি। ১৯৭৩ সালের: এপ্রিলের শেষার্ধে সেপ্টৌর রা'জধানীগুলি সফরের কর্মশ্চী অনুযায়ী মিঃ" মাসির আসার পাঁচদিনের জন্য পাকিস্তানে আসেন সময় রাওয়াল- পিপ্ডিতে এক বিবৃতিতে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত-সোভিয়েত' চুক্তি সম্পর্কে সেণ্টোকে সজাগ থাকতে হবে ।৬৭

সেপ্টো৷ রাজতন্ত্র জনগণের শক্র সামন্ততান্ত্রিক শাসনচক্রকে আগলে রাখার ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এরা শুধু জনগণের মুক্তির সংগ্রামকে চু করার ব্যর্থ চেষ্টাই করেনি, জনগণের সংগ্রামে সমর্থন দানের জম্ত সোভিয়েত ইউনিয়নেরও কুৎসা! রটনা করেছে ।৬৮

১৯৭৩ সালের ১১ই জুন তেহরানে সেপ্টোর মন্ত্রী-পরিসদের সির অভিযোগ তোল হয় ষে ভারত ইরাকের সঙ্গে সোভিয়েতের স্থাক্ষবিভ' চুক্তি “এ অঞ্চলের সদ্য দেশগুলির কাছে এক ভীষণ বিপদ হয়ে দেখা! দিয়েছে ।”৮৬৯ এক প্রশ্নের উত্তরে ইরানের পররা্মন্ত্রী আব্বাস আলি খালাতবারি বলেন যে সেপ্টোর বৈঠকে তারত ইরাকের সঙ্গে সোভিয়েতের সামরিক চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে তিন্নি আরও স্বীকরি করেন যে «এই বিপদ মোকাবিলা করার পদ্ধতি, সম্পর্কেও সেণ্টো আলোচন। করেছে ৭0

১৯৭৩ সালের ১০৭ই জুন তেহরানে সেণ্টোর এক বৈঠকে পিপি পীড়া” পীড়ি করেছিল ( পাক ) যুদ্ধবন্দীদের প্রশ্নে ভারতের “তীব্র নিন্দা” করা হোক, কিন্তু অন্তান্ত দেশ পিগ্ডির স্থরের প্রতিধবনি করতে অস্বীকার করে। এতে চুক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চূড়াস্ত ইস্তাহারের বয়ান নিয়ে দ্ু্ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে বিতগ্] চলে এবং শেষ পর্যন্ত পাক" পররাষ্ট্র প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী মিঃ আজিজ আমেদকে যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির প্রশ্নের মু উন্লেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী শাস্তি প্রতিষ্ঠিত হবে-_-এই আশা ব্যক্ত করা হয় ইন্তাহারে এবং তাও যেনে নিতে হয় আজিজ 'ামেদকে 1১ পাকিস্তান সেণ্টোর সমর্থন না পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করে।

পাবিস্তার্নের বিরোধী দলীয় অনেক নেতাই সেণ্টোর সঙ্গে পাকিস্তানের

জাতীয় নিরাপত্তা ৬১

গাটছড়া বেঁধে রাখার তীব্র নিন্দা করেছেন। ১৯৭৩ সালের ১৪ই জুন পেশোয়ারে বতৃন্তা প্রসঙ্গে জাতীয় আওয়ামী দলের সভাপতি, খান আব্দল' ওয়ালি খান কেন্দ্রীয় চুক্তি সংস্থায় (নেণ্টো ) পাকিস্তানের সক্রিয় অংশ গ্রহণের তীব্র নিন্দা করেন এবং বলেন যে বৃহৎ শক্তিবর্গ সার! ছনিয়ায় তাদের রণকৌশলের অঙ্গ হিসেবে পাকিস্তানকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।৭২

প্রাভর্দায় পাক নিরাপত্তা পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা

পাকিস্তানের একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা সেণ্টোর ওপর নির্ভর করে এবং চীন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মদত পৃষ্ঠপোষকতায় এশিয়ায় যৌথ নিরাপক্তা ব্যবস্থা 'গড়ে তোলার এক বিশ্ময়কর প্রস্তাব করায় ১৯৭৩ সালের ৩০শে জুন সোভিয়েত কম্যুনিস্ট পাচির সংবাদপক্জ “প্রাভদা*য় তার তীব্র সমালোচনা! কর হয়

সোভিয়েত পত্রিকায় বল৷ হয় যে এই প্রস্তাবের পেছনে পিকিংএর হাত বয়েছে। প্রাভদায় আরও অভিষে।গ কর] হয় যে এশিয়ায় সত্যিকারের যৌথ নিরাপত্তার জন্য মস্কো যে প্রস্তাব দিয়েছে পিকিং তাকে বানচাল করার চেষ্টা করছে ঠিক যেভাবে ইওরোপে উত্তেজন।- প্রশমনের চেষ্টায় সে বাধ। নিনিনিই নীতিবিগহিতভাবে “নাট” কমন মার্কেটকে সমর্থন করে

পাকিস্তানী সাপ্তাহিক “কন্্যাট-এ প্রকাশ এই প্রস্তাবের ,নিন্দা করে প্রাভদার বিশিষ্ট ভাষ্যকার ভিক্টর মায়েভস্কি উক্ত সাঞ্তাহিকখানির কাছে শ্তুধু প্রশ্ন তুলেছেন, এই প্রস্তাবটি তাদের নিজেদের মস্তিষ্বপ্রন্ত, না অপর কারও কাছ থেকে ধার করা ?

ভাষ্তকারের মন্তব্যের ধারা, পাকিস্তান ইরান থেকে শুরু করে বল্কান পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দেশগুলির দিকে চীনের. কূটনৈতিক অভিযান সম্পর্কে তৎকালীন সোভিয়েত রচনাবলী এবং তেহ,রানে সেশ্টোর বৈঠকে "সোভিয়েত বিপদ সম্পর্কে আলোচনায় চীনের. পররাষ্ট্রমন্ত্রী চি পেংঃফি'র সমর্থনস্থচক বিবৃতি থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় এই প্রস্তাবের উৎসাহদাতা চীন |

প্রাভদার ভাম্তকার বলেছেন যে, এশিয়ায় যৌথ নিরাপত্তার জন্ক সোভিয়েত যে পরিকল্পনা দিয়েছে পাক পত্রিকাখাঁনিতে তার ভবিষ্যৎ পরিণামের এক ভয়ঙ্কর চিত্র দেওয়া হয়েছে বল হয়েছে যে এর ফলে সমগ্র ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত শক্তি সম্প্রসারিত হবে, পারস্য উপসাগরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলি তার নিয়ন্ত্রণে আসবে আর আরব এলাকার তেলও দখল করে নেবে তারা। দারুণ শ্লেষের সঙ্গে ভাষ্যকার বলেছেন যে সাধ্ঠাহিক-

৪৬ | ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

খানিতে এই কাল্পনিক বিপদ থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করার কথা যত ন] বলা হুয়েছে তার ধচেয়ে অনেক বেশী দুশ্চিন্তা প্রকাশ করা হয়েছে চীনের ভবিষ্যৎ 'ভেবে। তাতে বিশেষ জোর য়ে বলা হয়েছে যে চীন অসহায়ভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং পশ্চিমের সঙ্গে তার (যোগাযোগের সমুদ্র বিমান পথও ছিন্ন হবে

মায়েত্‌্ধি পাক পত্রিকাধানিকে ম্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন 'যে এশিয়ার যৌথ নিরাপত্তার জঙ্য সোভিয়েত যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে সকল রাষ্ট্রের, বিশেষ কূরে চীনের সমান মর্যাদায় অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে, আরও এই কারণে যে চীন নিজেই এই ধরনের প্রস্তাব তুলেছিল।

তিনি সোভিয়েতের যৌথ নিরাপত্তার প্রস্তাবের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের উল্লেখ করে বলেন যে. এই প্রস্তাবটি সামরিক জোট গঠনের নীতি থেকে সম্পূর্ণ স্বতগ্ত। তিনি আরও বলেন, “এই ধারণা ক্রমশঃ বদ্ধমূল হয়ে উঠছে যে সিয়াটো, সেন্টো অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী জোটের স্থান ইতিহাসের আস্তার্ক,ড়ে ।+৮৭৩

১। হ্যানস জে, মর্গেনথাউ, “পলিটিক্স আযামং নেশন্স” ( নিউইয়র্ক, আলফ্রেড এ. নফ, চতুর্থ সংস্করণ ), পৃষ্ঠা ১৬১।

২। প্রেসিডেন্ট ্াইসেনহাওয়ার তার_কার্যকালে বিলম্বে হলেও বুঝতে পেরেছিলেন যে পি আই জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল পররাষ্টট বিভাগ-_-এদের সকলেরই আমেরিকার বিরাট অস্ত্রশস্ব নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগযোগ রয়েছে, তাই এদের পরামর্শমত পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে পরিচালিত হওয়া অবমাননাকর এবং বিপদের আশঙ্কাপূর্ণ ইউ-২ গোয়েন্দা বিমানের ব্যর্থ ্ুঃসাহসিক অভিযানে এই তিক্ত অভিজ্ঞতা জন্মে তাই তার দ্বিতীয় কার্যকালের শেষভাগে ১৯৬১ সালের ১৭ই . জান্ুআরি তিনি তাঁর বিদায়ভাষণে নিম্নোক্ত সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন, যাতে অবশ্য সামরিক-শিল্প সমাহারের প্রভুরা কোন আমলই দেন না £ সরকারের কাউন্দিলগুপিতে সামরিক-শিল্প সমাহারের অবাঞ্চিত প্রভাবহৃষ্টি আমাদের অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে, ত। প্রাথিত বা! অপ্রাধিত যাই হোক না কেন। অস্থানে স্থত্ত ক্ষমতার বিপজ্জনক

জাতীয় নিরাপত্তা ৪১

উত্থানের সম্ভাবনা! রয়েছে এবং তা থাকবেও। আমাদের স্বাধীনতা

গণতান্ত্রিক ধারা এই জোটের চাপে বিপন্ন হয়ে পড়বে তা আমরা

কখনই হতে দেব না। একমাত্র সতর্ক ওয়াকিবহাল নাগরিকরাইি

- , আমাদের প্রতিরক্ষার উচ্চন্তরের শিল্প সামরিক যন্ত্রকে আমাদের

শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি লক্ষ্যের সঙ্গে একন্থত্রে গ্রথিত করতে বাধ্য

করতে পারে, যাতে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা উন্নত স্বাধীনতা সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারে

| ১৯৬৩ সালের ১০ই ছুন ওআশিংটনে আমেরিকান ইউনিড|পিটি তে ' প্রারস্তিক ভাষণে জন এক. কেনেডি পররাষ্টনীতি ব্যাপকভাৰে চেলে সাজা সম্পর্কে তার বক্তব্য বিশ্লেষণ করে বলেন £

কি ধরনের শান্তি আমি চাই এবং আপনারাই বা কি ধরনের শান্তি কামনা করেন» আমেরিকার সমরান্তের জোরে সারা বিশ্বে আমেরিকার প্রভুত্ব তথা শান্তি চাপিয়ে দেওয়া নয়। কবরের শান্তি নয় বা ক্রীতদাসের নিরাপত্তা নয়। আমি প্রকৃত শান্তির কথা বলছি--যে ধরনের শান্তি পৃথিবীর বুকে মান্তষের জীবন বেঁচে থাকার উপযুক্ত করে তোলে-_যে ধরনের শান্তিতে মাণ্ষ রাষ্্রগুলি উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে এবং তাদের সম্তান-সন্ততির জন্ত আশ! রাখতে এক উন্নত ধরনের জীবন গড়ে তুলতে পারে ।”**""কোন সরকাব বা কোন সমাজব্যবস্থা এমন অসৎ নয় যে তাদের জনগণের মধ্যে গুণের অভাব রয়েছে বলে বিবেচনা করতে হবে [ কম্যনিজ ম-এর প্রতি আমাদের বিতৃষ্ণা সত্বেও ] আমরা এখনও রাশিয়ার জনগণকে বিজ্ভান মহাকাশ, অর্থনৈতিক শিল্পের উন্নয়ন, সংস্কৃতি, সাহসিকতাপূর্ণ কার্যকলাপ প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অনেক কীত্তির জন্ত অভিবাদন জানাতে পারি

| আরও পর্যালোচনার. জন্য দেখুন রবার্ট শোগ্যানের “ইমপ্যাক্ট অব. ওয়াটারগেট” ইস্ডিয়ান এক্সপ্রেস ( নয়াদিল্লী ), ১১ই জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা স্তস্ত ৩-৫। লেগক উদ্ধত করেছেন মিচিগানের একজন রিপার্িকানের সস্তব্য £$ “ওয়াটারগেট শব্দটি জনগণের মধ্যে আলোড়নের স্থষ্টি করেছে, যেমন করেছিল “ওয়াটার্ল,” ৷” [এ স্তত্ত ৫]

-& | ১৯৭৩ সালের ৪ঠা জুলাই ডেকাটারে ( আলাবাম। ) প্রদত্ত সেনেটর

১৮

|

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি এডওআর্ড কেনেডির বিবৃতি দেখুন, ইভনিং নিউজ £ হিন্দুস্থান টাইম্‌স ( নয়াদিস্ত্ী ), ৫ই জুলাই, ১৯৭৪ পৃষ্ঠা ৮, স্তস্ত ৩-৪। নিক্সনের প্রতি আমেরিকানদের ৬৫ শতাংশের আস্থা নেই, তবু তিনি ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন--এ থেকেই এই ধারণা স্থগ্রতিষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি পলস্টার লুইস হ্যারিস কর্তৃক- গৃহীত এক সমীক্ষায় প্রকাশ, আমেরিকার জনগণের মাত্র ২৪ শতাংশ নিক্সনের সরকারী কার্যকলাপ অনুমোদন করেন, আর ৬৫ শতাংশেরই তার প্রতি কোন আস্থা নেই। [দেখুন “মাদারল্যাণ্ড ( নয়াদিস্রী ), ৩*শে জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৫, স্তত্ত ৭।] এশিয়ায় গণতন্ত্রেরে ভবিষ্যৎ দুর্গগুলিকে মদত দিয়ে ভিক্টর স্বৈরাচারী শাসকদের মদত দেওয়ার আরও পরিচয় পাওয়া যায় ভারতীয় রাষ্ট্রদুত শ্রী টি. এন. কাউলের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নি্সনের আচরণে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে অবতরশের পর পরিচয়পত্র পেশের জন্যই প্রায় একমাস অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছিল তাকে পর্যবেক্ষকরা লক্ষ্য করেছেন, শ্রীকাউলকে তার পূর্ববর্তী রাষ্ট্রদূত শ্রী এল. কে. বার মতই ওআশিংটনে (প্রেসিডেণ্টের প্রতীক্ষায় চুপচাপ বসে থাকতে হয়েছিল, একাধিক কূটনীতিকের* পরিচয়পত্র একসঙ্গে পেশের ব্যবস্থা করার স্থযোগ-ন্থবিধা প্রেসিডেন্ট পর্রাষ্ দণ্ধরের কখন জুটবে তার জন্য ওআশিংটনে পর্যবেক্ষকর1 আরও লক্ষ্য করেছেন, ভারতায় রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণের সময় না পেলেও মিঃ নিক্সন চীনা রাষ্ট্রদূত মিঃ হুয়াং চেনকে তার ওআশিংটনে উপস্থিতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভ্যর্থনা করার সময় পেয়েছিলেন |. [ দেখুন টাইম্স অব্‌ ইতডিয়া ( নরাদিলী ), ১৪ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৯, স্তম্ভ ৪-৫ ] ভারতীয় রাষ্্দূত তাই এক সামাজিক বয়কটের অবস্থায় পড়েছিলেন “নিরাপত্তার” নামে অসহিষ্ণুতা ও. অবিচারের নীতি অনুসরণে কৃতসন্বল্প কোন দেশ বন্ধু খুজে পেতে পারে না এবং বিদেশের জনগণকে প্রভাবিত করতেও পারে না-_-ইতিহাসের এই বিখ্যাত শিক্ষণ গ্রহণে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারকেরা কোন আগ্রহ দেখান নি। ফ্রেডারিক এল. স্ুম্যান, ইণ্টাবন্তাশনাল পলিটিক্স” ( নিউইয়র্ক, . ম্যাকগ্র বুক কোম্পানি, ১৯৬৯, সপ্তম সংস্করণ ), পৃষ্ঠা ৫৯৪ | বিশদ.

জাতীয় নিরাপত্তা ৪৩"

বিবরণের জন্য দেখুন, “আযান আ্যালায়েন্ অব. দি মনোপলিজ আ্যাণ্ড- দি মিলিটাব্রী--অন দি ইউ এস মিলিটারী ইগ্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স” ( মস্কো, নোভান্তি প্রেস এজেন্সী পাবলিশিং হাউস, ১৯৭৩ )।

৯। এ, পৃষ্ঠা ৫৯৩ |

১০। কে. আর. মালকানি, “বিওয়ার অব্‌ দি শাহ, মাদারল্যাণ্ড ( নয়-- দিশ্তী ), জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৫, স্তস্ত ৬।

১১। পাকিস্তানকে পুনরস্ত্রসজ্জিতকরণ প্রকৃতপক্ষে শুরু হয় অনেকদিন আগে ১৯৫৪ সালের মে"মাসে পাক-মাকিন পারস্পরিক সাহায্য নিরাপত্৷ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর থেকে এই চুক্তিতে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে অস্ত্র সমরোপকরণ পরবরাহ্‌ করার প্রতি্রতি দেয় ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পর্যন্ত পাকিস্তানকে প্রায় ২০* কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্রসাহায্য দেওয়া হয়। অস্ত্র সরবরাহ সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হ্বার পর পাকিস্তান তৃতীয় _ দেশের মায়ফত ২* কোটি ডলার যূল্যের সমরোপকরণ সংগ্রহ

করে-_ইরানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে »* খানি জঙ্গী বোমারু বিমান এবং অনেকগুলি প্যাটন ট্র্যাঙ্ক। [ দেখুন দেবেন্দ্র কৌশিক এম. এ. এস. খানের *ইউ এস আর্মস ফর পাকিস্তান" ( নয়াদিলী, পার্সপেন্টিভ পাবলিকেশন্স, ১৯৭০ ), পৃষ্ঠা ৪-৫ | ১৯৫৮ সালে জেনারেল আফুব খান যখন পাকিস্তানে ক্ষমতা দখল করেন তখন তাঁকে এবং পরে তার স্থলাধিকারী জেনারেল ইয়াহিয। খানকে এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বিপর্যয়ের পর ভুটো যখন ইয়াহিয়া খানকে কাবাগারে নিক্ষেপ করে ক্ষমতা দখল করেন তখন তাঁকেও জর্বাস্মক মাকিন সমর্থন দেওয়। হয়! থেকে বোঝায় না যে মাকিন সামরিক-শিল্প সমাহারের বণিক প্রভুদের নিজ দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণের কাছে বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বালুচিস্তানের, যথেষ্ট পরিমাণে সিন্ধুর এবং অংশতঃ পাঞ্জাবের" জনগণের কাছে দ্বণ্য এইসব লোকদের প্রতি প্রকৃত কোন দরদ আছে দিয়েমের মত যখনই এর! মাকিন কংগ্রেসের অভিপ্রায়ের পথে অন্তরায় হয়ে দাড়ায় তখনই ওআশিংটন এদের ক্ষমতার আসন থেকে উৎখাত করে এদের সমর্থন দিলে সংশ্সিষ্ অঞ্চলে আমেরিকার নয়া উপনিবেশবাদীদের প্রভাব অঙ্থুপ্জ রাখার:

*৪8

ভার্ত-সোভিয়েত চুক্তি

পক্ষে সহায়ক হবে_শুধু এই কথা বিবেচনা করেই এদের সমর্থন দেওয়৷ হয়। আর এর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলির দীর্ঘকাল ধরে নির্যাতিত জনগণকে যে ঝি ভয়ানক মূল্য দিতে হয় ত| তাদের নেতারা একবার ভেবেও দেখেন না পাকিস্তানের নির্যাতিত মানুষ একটি সংযুক্ত গণতান্ত্রিক স্রণ্ট গঠন করেছে এবং ভুট্টোর পদত্যাগ দাবি করেছে। [ “ইভনিং নিউজ : হিনুস্থান টা (নয়াদিঙ্বী ), ৮ই জুন, ১৯৭৩, পষ্ঠা ৮, সতত ৩-৪ |]

বিদ্বশে থেকে সমরোপকরণ ক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেটও বেড়ে গেছে। পাকিস্তান ১৯৭৩-৭৪ আথিক বছরে প্রতিরক্ষায় পূর্ববর্তী বংসর অপেক্ষা ২৫ শতাংশ বেশী ব্যয় করবে অরমস্ত্রী মিঃ. মুবাসির হাসান ইসলামাবাদে জাতীয় পরিষদে পরবর্তী বছরের জন্য বাজেট পেশ করে বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪২৩ কোটি টাকা__-১৯৭২-৭৩-এর বরান্দ অপেক্ষা ৮৩ কোটি টাকা বেশী [ “সানডে স্ট্যাগ্ডার্ড” ( নয়াধিস্ত্ী ), ১০ই ভন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১১ স্তস্ত ২। ]

'মাদারল্যাপ্ত, (নয়াদিস্্ী ), ৭ই জুলাই, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৬-৭।

১৯৭৩, সালের ৭ই ছুলাই রাওয়ালপিপ্ডিতে “ওআশিংটন পোস্ট'-এর

সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ভুট্টো (তার বাতিল হয়ে যাওয় মাকিন যুক্করাষ্ট্র সফরের প্রাক্কালে ) ক্রুদ্ধভাবে হম্বিতম্বি করে ভারতকে হুশিয়ার করে দেন, “সে যেন মনে ন!। করে যে. পরবর্তী যুদ্ধে জয়লাভ করবে ।” তিনি নলেন, “সবচেয়ে নির্বুদ্ধিতার কাজ' ভারত করেছে বাংলার জলন্ত ঠুল্লীতে তার অঞ্গুলি স্থাপন করে চাকার পতন হচ্ছে ভারতের পতনের স্থচনা |” ওআশিংটন পোস্টের রিপোর্টে বনী হয়েছে, মোগল হানাদারেরা বার বার. যখন, এদেশে এসে হিন্দু জনগণের উপর আক্রমণ চালিয়ে যেত অতীত ইতিভাসের মেই সময়কার কথা উল্লেখ করে ভুট্টো হুমকি দেন, “উত্তরের পর্বতযালার ওপার থেকে দিল্লীর সমতলে এসে আক্রমণ চালানোর কথ! ধার। ভুলে যাবেন তার! নিজেদের বিপই ডেকে আনবেন ।” প্রেসিডেন্ট ভুট্টো! পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায়

ভারতের ক্ষীণ দৃষ্টির কধাও বলেন তিনি "পরবর্তী যুদ্ধে ভারতকে

ধ্বংস করার' সঙ্কল্পও প্রকাশ করেন

জাতীয় নিরাপত! 8৫.

[ সাক্ষাৎকারের বিবরণ “ইওিয়ান এক্সপ্রেস'-এ ( নয়াদিক্লী ) ৯ই জুলাই, ১৯৭৩ তারিখে প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৭-৮। আরও দেখুন “লিঙ্ক' ( নয়াদিল্লী ), ১৫ই জুলাই, ১৯৭৩, পষ্ঠা ২৫।] প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর এই বিবৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার কড়া জবাব দেয়। প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী পাণ্টা ঘোষণা করেন, “পাকিস্তান যদি আবার ভারতকে আক্রমণ করে তাহলে সে তার নিজের দেশেরই ধ্বংস ডেকে আনবে তখনই সব হিসাব-নিকাশের নিষ্পত্তি করা হবে এবং সমুচিত শিক্ষা দিয়ে দেওয়া হবে ।”

[ 'নব ভারত টাইম্স' ( নয়াদিলী ), ৯ই জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৫, স্তস্ত ৪1]

১৪ | এভোয়াট ইজ হাপেনিং ইন পাকিস্তান”, কতকগুলি রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রচারিত এক যুক্ত ইন্তাহারের উদ্ধৃত অংশ, "মাক্সিস্ট রিভিউ” ( কলকাতা সপ্ধম খণ্ড, ২নং, অগস্ট, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৭০-৭২, ৭৬-৭৭| ্‌

১৫। পপ্যাট্রিয়ট' ( নয়াদিলী ), ৮ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১০, স্তস্ত ৩।

১৬। এ, ৪ঠা জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৪, স্তত্ত ৮1

১৭। টাইম্‌স অব. ইত্ডিয়া” ( নয়াদিল্লী ), ২৯শে মে, ১৯৭৩

১৮। ন্যাশনাল হেরান্ড? (নয়াদিলী ), ২০শে মে, ১১৭৩

১৯। এ, ১৯শে জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তত্ত ৬-৮।

২*। টাইম্‌স অব্‌ ইপ্ডিয়া” (নয়াদিল্লী ), ২৯শে মে, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৭, স্তত্ত

২১। “দি হিন্দুস্তান টাইম ( নয়াদিল্লী ), ২৫শে জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠ। ৭, স্তত্ত ৪।

২২। ভারতের বিরুদ্ধে মাকিন অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা তো বয়েছেই তাছাড়া পাকিস্তানী সৈম্তবাহিনী এই মুহূর্তে তা ব্যবহার করছে 'ৰালুচিজ্ঞানের জনগণকে নিশ্পেষণ করার কাজে বস্তুতঃ ভুট্টো! একই সজে নরম-গরম দু'রকমই চালিয়ে যাচ্ছেন.। বালুচিস্তান উত্তর- পশ্চিম সীমান্ত প্রাদেশে জনমতের চাপে তিনি যখন জনপ্রিয় সরকারকে ক্ষমতার আসনে প্রতিষিত করেন তখন তিনি প্রকৃতই একজন গণতন্ত্র আদর্শবাদীর মতই কাজ করেছিলেন কিন্তু অতি শীপ্রই তিনি সামরিক চক্রের চাপের শিকার হন এবং ইরান থেকে অস্ত্র পাচাব

২৩ |

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

করে আনার এক বাজে অজুহাতে জনপ্রিয় সরকারগুলিকে ক্ষমতাচ্যুত

করেন কিছুসংখ্যক চরমপন্থী ইরান থেকে অস্ত্র পাচার করে এনেছিল এবং তাতে মঙ্গল সরকারের কোন হাতই ছিল ন]1। বালুচিস্তান উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে পাক সৈম্তবাহিনীকে মুগ্রিমের কয়েকজন তাবেদার ছাড়া সমগ্র জনসাধারণেরই প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে একথা নিঃসন্দেহে জানার পরও মাকিন সরকার সঠিকভাবে এই সমস্যাটির মীমাংসায় কোন আগ্রহ দেখান নি। ইন্দোচীন কম্বোডিয়ায় অসংখ্য অপরাধ অনুষ্ঠানের পর (মাকিন . হস্তক্ষেপের ফলে সেখানে প্রতি চার জনে একজন উদ্বাস্তরতে পরিণত হয়েছে ) পাঁক প্রেসিডেন্ট তার.জেনারেলদের একথা বলার মত: মনোবল মাফিন সরকারের গড়ে ওঠেনি যে বালুচিস্তানে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রায়শ্চিত্ত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে জনগণের নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মিটমাট করা। তার পরিবর্তে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে * সমর-সম্ভারের সমাবেশ করে বালুচিস্তানে গণতন্ত্রকে তার জন্ম্লগ্নেই গল। টিপে মারার জন্য যাঁকিছু করার ত৷ সবই করেছে মার্রি ও.ষ্ঙ্গল এই ছুই উপজাতায়দের দমনের জন্য সেখানে চার ডিভিশন সৈন্য লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে | আরও বিবরণের জন্য দেখুন ইভনিং 'নিউজ' ( নয়াদিল্লী ), ৯ই জুন, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৪-৫ এবং “ইলাস্ট্রেটেড উইকৃলি” ১ল! সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ২২। ]

১৯৭৩ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা যূলক সাহায্যদান বিষয়ক সহকারী সচিব মিঃ কার্টিস টার সংবাদপত্রে যে বিবৃতি দেন তাতে দেখা যায় মাকিন অস্ত্রাদি ক্রয়ের ব্যাপারে ইরান প্রকৃতপক্ষে এতদিনকার সর্বাধিক ক্রেত| জার্মানীকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই বাস্তব' সত্য ইরানের শাহের চেয়ে বেশী কেউ জানেন না। কিছুদিন আণে আমেরিকার “নিউজ উইক" পত্রিকার একজন সম্পাদকের কাছে তিন মৃদু হেসে বলেন, “আপনার আমাদের সব-কিছু দিয়েই সাহায্য করছেন, কোন বাদ-বিচার নেই।” তার বিবৃতির শেষাংশ কিছুটা অতিরঞ্রিত বটে তবে এর

মধ্যে অনেকখানি সত্য নিহিত আছে আমেরিকার সামরিক-শিশ্প

জাতীয় নিরাপত্তা ৪৭

'সমাহারের প্রতুর। নিঃসন্দেহে সর্বদাই সেই সব উচ্চাভিলাষী ব্যক্তিদের সঙ্গে কারবার করা পছন্দ করেছে যাদের স্নাযুতম্্র গণতন্ত্রের কর্তব্য দায়িত্ব সম্পর্কে সদা সজাগ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তৃতীয় বিশ্বের নতুন নতুন উন্নয়নশীল দেশগ্তলিতে আমেরিকার কার্ষকলাপে তা স্বস্পষ্ট। তাছাড়া সিগম্যান রী, আমুব, ইয়াহিয়া, দিয়েম 'বা শ্যামের স্বৈরাচারী শাসকদের মত অবস্থা ইরানের শাহের নয়, তার অতিরিক্ত গুণ আছে-_ প্রয়োজনীয় অস্ত্রের জন্ত তার কোধাগার থেকে অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা তার আছে সি আই এর তত্বাবধানে যে শাসন-পরিচালন ব্যবস্থার স্চচনা হচ্ছে, হোয়াইট হাউস পেন্টাগন নোংরা কুটখেলার বিভাগের লোকদের দ্বারা গেপনে তাকে তার সহজাত শক্তি বা প্রকৃত প্রয়োজন অপেক্ষা অনে'ক বড় আকারের সামরিক শক্তিতে পরিণত করছে, এট! ভাবতেও অবাক লাগে। ইন্দার মালহোত্রা লিখেছেন, “একটি বিবরে যেন ভুল না হর--ইরানের তৈল-সম্পদ, তার উচ্চাকাজঙ্জা এবং শাসক হিসাবে শাহ.-এর নৈপুণ্য যতই থাক না কেন, ইরান আজ যে ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্রের অধিকারী হয়েছে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের অকু& সমথন না থাকলে তা সংগ্রহ করার আশাও সে কখনও করতে পারত না।, |

[ ইন্দার মালহোত্রা, ইরান আর্মস-_-এগেন্স্ট হুম”, ইলাস্ট্রেটেড উইকলি ( বন্ধে), ২২শে জুলাই, ১৯৭৩, ৯৪তম খণ্ড, ২৯নং পৃষ্ঠা ১৩, স্তস্ত ১-২। ]

২৪ শাহ-এর চক্রান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুন মাভিন জোভিসের “দি পলিটিক্যাল এলিট অব্‌ ইরান” (প্রিন্সটন যুনিভাপিটি প্রেস, ১৯৭১ ), পৃষ্ঠা ৩৯-৭৯ আরও বিবরণের জগ্ত দেখুন বাহ্‌মান নিরুম্যাণ্ডের “ইরানি নিউ ইম্পিরিয়ালইজ্ম ইন অ্যাকৃশন ( নিউইয়র্ক, মান্থ'লি রিভিউ প্রেস, ১৯৬৯ ), পৃষ্ঠা ৭৯-৮০ | আরও লক্ষণীয় যে সম্প্রতি শাহ্‌ পশ্চিম জার্ধানী সফরে গেলে সেখানে ইরানী ছাত্রের এবং স্থানীয় প্রগতিশীল ব্যক্তির! তার বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, যা অতিথি অতিথি- অভ্যর্থনাকারী ছু;,পক্ষকেই হতবুদ্ধি করে দেয়।

২৫। বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুন ইন্দার মালহোত্রার “ইরান আর্মুস

ক্ভ

ভারত-সোভির়েত চুক্তি

_এগেন্স্ট হুম, ইলাস্ট্রেটেড উইকৃলি (বন্ধে) ২২শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১০ স্তস্ত ১।

ধাহ্‌মান নিরুম্যাগ্ড নামে একজন তরুণ ইরানী অধ্যাপক ১৯৬৯. সালে ইরানের অবস্থা সম্পর্কে নির্ভীকতার সঙ্গে এক আকর্ষণীয় সমীক্ষা: চালান তাতে ইরান অম্পর্কে প্রকৃত সত্য অতি স্থস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তা করতে গিয়ে মাকিন একচেটিয়া পু'জিবাদ বলপ্রয়োগ প্রতারণ! দ্ুই-এর সাহায্যে তাদের এই খাতক দেশের ওপর কিভাবে প্রভূত্ব করছে এবং তাকে শোষণ করছে তার অনেকখানি তিনি প্রকাশ করে দিয়েছেন গ্রন্থকার লিখেছেন, সাহায্যদানের ছলে এদের শোষণের নীতি অতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিশেষ করে ইরানের ক্ষেত্রে। বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ( মাকিন নয়া উপনিবেশবাদীদের দ্বার! প্রভাবিত) ইরানের তেল থেকে প্রায় ২৫ কোটি ভলারের মত মুনাফা লুটছে, কিন্ত মাকিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তান্ত সংশ্লিষ্ট শিল্পোন্নত দেশ তার অতি সামান্য ভগ্মাংশ দান করছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রন্থকার তাই প্রশ্ন তুলেছেন, সামরিক প্রযুক্তি-বিদ্যার দিক থেকে উন্নততর দেশগুলি কুকি যে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ জাতীয় সার্বতৌমত্ব নিয়মিতভাবে লুষ্টিত হচ্ছে সে দেশ কিাবে উন্নত হয়ে উঠতে পারে ?

[ বাহ্মান নিরুম্যাণ্ড “ইরান; দি নিউ ইম্পিবিয়ালইজম ইন আযাকৃশন” ( নিউইয়র্ক, মান্থলি রিভিউ প্রেস, ১৯৬৯ ), পৃষ্ঠা ১৩। মাকিন নয়া উপনিবেশবাদের চরিত্র আরও উদঘাটনের জন্য তিনি বারষ্র্যা্ড রাসেলের এই উক্তিটি উদ্ধৃত করেছেন “পশ্চিমীর! “স্বাধীন বিশ্ব' বলতে কি বোঝে ত৷ অঙ্গধাবনের জন্য আমি ইরানের বিষয়টি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করতে বলছি......আমি আশ! করি পশ্চিমী দুনিয়ার নাগরিকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কেন তাদের প্রদত্ত করের অর্থ সৈহ্বাহিনী সার! বিশ্বে অত্যাচার দুর্নাতিকে সমর্থনের জন্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে-****-ঘখন জাতীয় অভ্যুত্থান ঘটবে তখন কি মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের 'শ্বাধীনতা' রক্ষা করবে যেমন করেছিল তার! ভিয়েতনামে বিভ্রোহ দমনের জন্ত অসংখ্য প্রাণহানি ঘটিয়ে ?, [ এ, পৃষ্ঠা ৯]

|

জাতীয় নিরাপত্তা ৪৪

এই গ্রন্থে ক্রমবর্ধমান জাতীয় সামাজিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ননপীড়ন অবিচারে যে বাইরে থেকে মদত যোগানে। হচ্ছে তাও নিখু'তভাবে বর্ণনা কর]। হয়েছে পনিবেশি- কতার জের যে কিবূপ চলছে তাঁর স্বরূপ উদঘাটন প্রসঙ্গে লেখক অন্ভান্ত অনেকের মতই অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে পরাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সম্পদ দোভন, রাজনৈতিক সংস্থাগুলি দখল সেগুলির. দুর্নীতি, কর-কাঠামোতে কারসাজি, স্থানীয় শাসক গোচীগুলির সম্মিলিত চক্রান্ত, অর্থনীতির বিরুতি, সামাজিক নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে মাফিন সৈম্বাহিনীকে ব্যবহার সন্ত্রাসস্থষ্টি, অর্বোপরি সামগ্রকভাবে মান্তষের মনোবলকে ধংস করা যা আজ ইরানের জাতীয় সামাজিক জীবনে অত্যন্ত প্রকট হয়ে উঠেছে-_ এই সব ঘটনার উল্লেখ করেছেন৷ [ এ, পৃষ্ঠ। ] ধনিকগোষ্ঠীর সম্পদ মুনাফা, মাকিন সামরিক সাহায্য, কূটনৈতিক সাভিসের অপব্যবহার সেণ্টণল ইনটেলিজেন্স এজেন্সী মোতায়েন করার দিকে লক্ষ্য রেখে মাকিন সংস্থাগুলিকে কিভাবে ব্যবহাৰর করা হয়, তাদের নীতিগুলি কিভাবে প্রয়োগ করা হয় তার প্রামাণ্য বিবরণ দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে। | এ, পৃষ্ঠা ৪-৫ ]

ইরান সম্পর্কে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যায়, সেখানে সম্পদ দারিদ্র্যের মধ্যে কি ভয়ানক ব্যবধান জনসাধারণকে সেখানে দমিত করে রাখা হয়েছে এট করা আরও সম্ভব হয়েছে এক বিরাট সৈম্থবাহিনী গঠন করে। নয়া উপনিবেশবাদীদের খাতকের। সমাজে সৃষ্টি করেছে বিশৃঙ্খল এবং সেই সমাজকে যুক্ত করে রাখার একমাত্র শক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে এই সেনাবাহিনী দেহিক ভীতি প্রদর্শন অন্তান্ত ধরনের বলপ্রয়োগে' সাধারণ মানুষ স্বৈরাচারী শাসনছত্রতলে চঞ্চল হয়ে উঠেছে ।' ফলে অন্য দিকে স্বৈরাচারী ডিক্টেটর, অত্যাচারী রাজা-মহারাজার স্থপতি হয়েছে যাদের অধিকাংশই ইতিহাসের পাতায় রেখে গেছে ব্যাপক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক কলহকজনক অধ্যায় এইসব স্বৈরাচারী শাসক, ধনিক সম্প্রদায়, মোল্লা গোষ্ঠী ও- পশ্চিমী নয়! উপনিবেশবাদীদের মধ্যে যোগসাজসের লক্ষ্যই হচ্ছে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং এই অবস্থার ফলেই ইরানে ধনী

ভারত-সোভিয়েত ঢুক্তি

দরিদ্রের যধ্যে ব্যবধান আরও অনেক বেড়ে গেছে। “রঙ্গালয়ের মত জাকালে। সরকারী ভবনগুলি, বিমান .বন্দর, জাতীয় সড়ক গর্ব করার মত অন্যান্য প্রকল্পগুলি, যেগুলি থেকে জাতির অগ্রগতি খ্যাতির পরিচয় পাওয়ার কথা, আসলে সহন্্রগুণ মিথ্যার পরিচয় বহন করে চলেছে” মন্তব্য করেছেন নিরুম্যাণ্ড ইরানের দৃঢ়যূল অর্থনীতির ছুটি বিপরীত চেহারার বর্ণন। প্রসঙ্গে একে প্রকট করে তুলেছে “অর্ধতৃক্ত ছিন্নবসন অসংখ্য ভিক্ষুকের দল-**""*সব বয়সেরই বিকলাঙ্গ অন্ধের দল, বিদেশী পথচারীদের কাছে ভিক্ষাই যাদের ভরসা | এই ছুঃখ-দৈম্য এখনও এই বিদেশীদের কাছে দৈনন্দিন জীবনের পশ্চাৎপট হয়ে ওঠেনি ক্যাডিলাক যেমন আছে, তেমনি আছে তার তুলনায় অনেক বেশী ভাঙ্গ৷ গাধার গাড়ি, ভিলাও আছে, তেমনি আছে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশী কু'ড়ে ঘর, হিলটন হোটেল নাইট ক্লাবগুলিতে বিছানো যে কার্পেটগুলি মানুষ মাড়িয়ে চলে সেগুলি বুনেছে দরিদ্র বালক-বালিকার। দৈনিক ১৪ ঘণ্টা করে পরিশ্রম করে 1” (বাহ্মান নিরুম্যাণ্-এর “ইরান- দি নিউ ইম্পিরিয়ালিজম ইন অ]াকৃশন', নং ২৬, পৃষ্টা ১৪১ ৮৯)

আজও ইরান তেল বিক্রি করে কোট কোটি ডলার আয় করছে,

সেই সঙ্গে বিদেশী স্বার্ধান্বেষীদের শোষণও চলছে জমানে।

সমাজে চেতনার এঁক্যই জনগণকে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে সক্রিয় পদক্ষেপের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, কিন্ত চেতনার এইরূপ এঁক্য গড়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে জলন্ত বৈষম্য এখনও সার। দেশে নিরক্ষরতার হার ৭৫ থেকে ৮* শতাংশ “শাহ্‌, আল্লা, পিতৃভূমি”_-এই ধ্যান-ধারণা এখনও সব ব্যারাকে, সব সরকারী দণ্চরে প্রকট সাধারণ সৈনিক অফিসারদের রক্তে মাংসে এই প্রতিক্রিয়াশীল 'নীতিজ্ঞান' 'কিভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তা উপলব্ধি করতে হুলে ইরানী সৈম্ত-

' বাহিনীতে যোগদান করতে হবে। বেকারের সংখ্যা ভয়ঙ্কর ভাবে

বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমস্তার সমাধান অসম্ভব হয়ে উঠেছে তেল থেকে যে আয় হচ্ছে তা৷ জাতীয় উন্নয়নে ব্যয় না করে শাহ. সৈম্ত- বাহিনীর জন্য তা উড়িয়ে দেওয়। হচ্ছে। বিদেশ থেকে মালপত্র ক্ঞামদানী হচ্ছে, কিন্তু তা শিল্প গড়ে তোলার সরগাম নয়, আমদানী

জাতায় নিরাপত্তা ৫১

হচ্ছে বিলাস দ্রব্য বা অর্থনীতিকে সাহাধ্য করে না, যা জনসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ করে শুধু মুষ্টিমেয় ক্বিধাভোগী গোষ্ঠীর আনন্দবর্ধন করে [ বিস্তারিত বিবরণের জন্ঠ গ্রন্থ দেখুন, পৃষ্টা ৯২ ১১০ ]. তাছাড়া, চাষযোগ্য জমির ৮৫ শতাংশ বৃহৎ খামার বেসরকারী এস্টেটের অধীন, ১৪ শতাংশ চাষ করে ক্ষুত্র চাষীরা এবং এক শতাংশ মিশ্র মালিকানাধীন কৃষির উপর নির্ভরশীল দেড় কোটি মানুষের ৬০ শতাংশের কোন জমিই নেই, ২৩ শতাংশের জমি আছে এক হেক্টুরেরও কম, ১০ শতাংশের জমির পরিমাণ এক থেকে 'তিন হেক্টরের মধ্যে, শতাংশের জমির পরিমাণ তিন থেকে কুড়ি হেক্টুরের মধ্যে এবং কুড়ি হেক্টরের বেশী জমি আছে মাত্র এক শতাংশের [| উলরিক প্প্যাঙ্ক--“শেয়ার ক্রপি২ং ইন ইরান” 27686501012 তা 20812180150179 6, প্রথম খণ্ড, ১নং, অক্টরবর, ১৯৬২১ পৃষ্ঠা ৫৭ ] প্রন পরিমাণ জমি রয়েছে শ।হ-এর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন শশা. প্রকৃতই একজন ধনী ব্যক্তি আফিম বাগিচার একচেটিয়া মালিকানা তারই এবং শুধু তা থেকেই বছর বছর লক্ষ লক্ষ ভলার আয় হয়। | মাইকেল প্যারিস, ইর।ন-_দি পোট্েট অব এস ত্যালাই” দি মাইনরিটি অব ওআন, ডিসেম্বর, ১৯৬২ ] ইরানের জনগণ এই জ্বলন্ত বৈষম্য মাথা পেতে মেনে নেয়নি উপযুক্ত স্যোগ যখনই এসেছে তখনই তারা রাজতন্ত্রের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেছে ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে ১২:জন মার্কসবাদী সাং- বাদিক, ক্যামেরাম্যান ফিল্ম-মেকারের একটি দল একটি সরকারী অনুষ্ঠানের ফিল্ম তুলতে গিয়ে শাহ্‌, সম্রাজ্ঞী ফারাহ্‌ যুবরাজ রাজাকে অপহরণ এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে তাদের গুলি করে বা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করার পরিকল্পন। করেছিল | বিশদ বিবরণের জন্য দেখুন “মাদারল্যাণ্ড' (নয়াদিস্তী), ওরা অক্টোবর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ] ২৮। ফ্রেভারিক এল- হ্ম্যান, এন. ৮, পৃঃ ৩৪৫ ২৯। আসঙ্কিক হিসাবের জন্য লগুনের ইণ্টারস্াশনাল ইনষ্িট্যুট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ কর্তৃক প্রতিবছর প্রকাশিত “মিলিটারী ব্যালান্স'-

তার ইউ

৫২

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

এর বাষিক রিপোর্টগুলি দেখুন নয়াদিল্লীর ইনষ্রিট্যুট ফর ডিফেন্দ" স্টাডিজ আ্যাণ্ড আযানালিসিস কর্তৃক পরিবেশিত আক্কিক তথ্যও দেখুন সর্বশেষ সংবাদে প্রকাশ, বছর ইরানের প্রতিরক্ষা সম্পকিত কর্মস্থচীর জন্য যে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার (২০০ কোটি নয়) ব্যয় কর] হবে তা এখন নীরবে স্বীকার করে নেওয় হয়েছে [. টাইম্‌স অব. ইগ্ডিয়া (নয়াদিল্লী ), ৩০শে জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৭, স্তস্ত ]। এতে বোঝা যায় যে ইরান প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করছে তার মোট- বাজেটের ১১ শতাংশ, যেখানে ভারত করছে ৩২ শতাংশ, চীন শতাংশ, পাকিস্তান ১০ শতাংশ এবং দারা বিশ্বে গড়পড়তা শতাংশ থেকে আরও জানা যায় যে কোটি ১০ লক্ষ লোকের দেশ ইরান ৫৫ কোটি মানষের দেশ ভারত অপেক্ষা প্রতিরক্ষা খাতে বেশী ব্যয় করছে।

৩০ | আন ছ্য বোর্চগ্রেভ, “কলোসাস অব দি অয়েল লেন্স” নিউজ উইক, ২১শে মে, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১৪, স্তত্ত ১।

৩১। আনর্ড ছা বোর্চগ্রেভ কর্তৃক উদ্ধত তথ্য, গ্রন্থ |

৩২ | এী।

৩৩। এ) সমস্ত ২।

৩৪। পারশ্য উপসাগরের পশ্চিমাংশে ইরানের বিমান নৌ আঘাত হানার কর্তা কমোডোর ফ্রেদোউন শাহানের বিবুতি দেখুন, নিউজ উইক, ১২ই মে, ১৯৭৩, পৃষ্ঠ ১৪, স্তত্ত ৩।

৩৫ | “নিউজ উইক", ২১শে মে, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১৬-১৭।

৩৬। বাটুক গাথানি, 'প্লেন্স ফর পাকিস্তান ফ্রম ইরান, সৌদী আরাবিয়া”, “দি হিন্দু ( মাদ্রাজ ), ২০শে মে, ১৯৭৩

৩৭ | “দি মিলিটারী ব্যালান্দঁ ১৯৭২-৭৩ (লগ্ন, দি ইণ্টারস্তাশন[ল- ইনষ্টিট্যুট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, ১৯৭২), পৃঃ ৩১, স্তত্ত ১। ইরানের সমগ্র সশস্ত্র বাহিনী নিম্োক্তভাবে বিভক্ত £ স্থলসৈম্ত-_ ১৬০১৯০০) ২টি সীজোয়! ডিভিশন, ৫টি পদাতিক ডিভিশন ( কয়েকটি যন্ত্র-পুষ্ট ), !১টি অন্যনিরপেক্ষ সীজোয়। ব্রিগেড, আই এস এম ব্যাটেলিয়ান যাদের হাতে আছে হক, হাক্কি প্রভৃতি 5 নৌ-বাহিনী--৯০০, বিমান-বাহিনী-_২০,০০০,এছাড়া আছে আধা- সামরিক বাহিনীতে ৪৯১০ যাদের হাতে রয়েছে ১৪ বি ২৬,

জাতীয় নিরাপত্ত। €ও

ঝানি হেলিকপটার [ এঁ। আরও দেখুন “ইলাস্ট্রেটেড উইকলি”, ১২ই অগস্ট, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১১ ]

ভারতের আছে ৮২৬,০০০ টসন্য, ৫৭০০ ট্যাঙ্ক এবং ৮৪২ খানি জঙ্গী বিমান, আর ইরানের আছে ১৯১,০০৭ সৈন্য, ৯২০ খানি ট্যাঙ্ক ১৪৫ খানি বিমান | তবে ইরান নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের ২৭৮,০০০ সৈন্য, ৮৫০ খানি ট্যাঙ্ক ২৪৮ খানি বিমানের উপর নির্ভর করতে পারবে যদি মিলিত হবার প্রয়োজন দেখাই দেয়

০৮ "প্যান্রিয়ট” (নয়াদিল্লী ), ২৩শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তম্ভ ২)

আরও দেখুন টাইম্‌স অব. ইত্ডিয়া (নয়াদিল্লী), ২৩শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৪-৫ ১৯৭৩ সালের ২১শে জুলাই নিউইয়র্ক টাইম্স-এ শাহ.-এর মাকিন যুক্তরাষ্ট সফর সম্পর্কে প্রকাশিত এক সংবাদে ভারত, ইরান পাকিস্তানের সামরিক শক্তির এক বিশ্লেষণে দলা হয় যে ভারত্তের সেনাবাহিনী অপর ছ্'দেশের বাহিনী অপেক্ষা বৃহত্তর তবে কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনীর সমরোপকরণ ইরানী বাহিনীর মত তত উন্তরত ধরনের নয়। এফ-৪ এফ-১৪ এই দু'ধরনের জঙ্গী বিমানই অপেক্ষাকৃত উন্নত ধরনের উক্ত সংবাদে অবশ্য নিজস্ব অস্ত্র নির্মাণ বিষান নির্মাণ শিল্প থাকায় ভারতের স্বিধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত সংবাদে আরও বলা হয়েছে থে ভারতের পরমাণু শক্তি বিভাগ হচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষার চতুর্থ শাখা এবং এর সমর্থনে ওয়েন উইলকক্স-এর মণ্তব্য উদ্ধৃত কর! হয়েছে। [টাইম্‌স অব্‌ ইত্ডিয়ায় ( নয়াদিস্ত্রী) উদ্ধৃত, ২৩শে জুলাই ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৫, স্তম্ভ ৫।

৩৯ | প্যান্রিয়ট ( নয়াদিল্লী ), ২৭শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা, ১, স্তম্ত ১-২।

| স্টেট্স্ম্যান ( নয়াদিল্লী ), ২৭শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তত্ত শাহএর বিবৃতির প্রতিবাদে অবশ্য কমিটি ফর ফ্রি ইরান আ্যাণ্ড দি রিপাব্রিক অব. ইরান”-এর সাক্ষরযুক্ত একটি বিজ্ঞাপন ২৫শে ন্ুলাই, ১৯৭৩ ওআশিংটন পোস্টের একপৃষ্ঠার এক-চতুর্থাংশ জুড়ে প্রকাশিত হয় বিজ্ঞাপনটিতে স্বাক্ষরতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে নিয়স্থান অধিকারীদের অন্যতম এই দেশটিতে শাহ্‌-এর “সিক্রেট পুলিস, তার

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ব্যাপক ধরপাকড়, প্রাণহরণ, আইন-অন্থমোদিত নির্যাতন, সেন্সর: ব্যবস্থা, বর্বর নিপীড়ন এবং সর্বপ্রকার মানবিক স্বাধীনতা হরণের" চিত্র তুলে ধরা হয়েছে

৪১। মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিরাপত্ত। বিপন্ন করার জন্য একটি নতুন: ইরান-পাকিস্তান চক্র গড়ে তোলার চেষ্টা করছে এই মর্মে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলিতে একটি বিপোর্ট ভ্রেকাশিত হয়। তাতে বিশ্বনব. প্রকাশ করে সহকারী পররাষ্ট্রসচিব কোনথ রাস ২০শে এপ্রল, ১৯৭৩ যে বিবৃতি দেন তার বক্তব্য এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বাসযোগ্য নয় ্‌

৪২ | লঙ্গণীয় যে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়েই ইরানকে অন্ত্র সরবরাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পক্ষকাল ধরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্রিটেন সফরান্তে ১৯৭৩ সালের ২২শে জুলাই ভারতে ফিরে এসে শ্রীজগজীবন রাম বলেন যে ইরান পাকিস্তানে অস্ত্রশস্ত্র সমরোপকরণ আমদানী হওয়ায় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন একই রূপ উদ্বেগ বোধ করছে। উপরোক্ত ছুটি দেশ সফরকালে প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী গবেষণ| উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার' বিষয়ে এবং শেষোক্ত দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা! উৎপাদনের কতকগুলি বিষয়ে সহযোগিতার প্রশ্ন সম্পর্কে আলোচনা করেন পালাষ বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সঙর্দে আলোচনা কালে শ্রীরাম সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী কোসিগিন প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী মার্শাল আদ্রেই গ্রেচকোর সঙ্গে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পকিত বিভিন্ন রাজনৈতিক সামরিক পরিস্থিতি এবং সাধারণভাৰে বিশ্বশান্তি” সম্পর্কে তার যে আলোচনা হয় তার উল্লেখ করেন। [ 'প্যাট্্রিয়ট' (নয়াদিলী ), ২৩শে জুলাই, -৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, সতত ২-৩]

৪৩ | এইরূপ বিরাট সামরিক সাহাষ্য দানের জন্য আমেরিকানরা যে কৈফিয়ত দিয়েছে তা মোটেই ধোপে টেকে না। আংশিকভাৰে এটা ভারতের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা, হবে। বস্তৃতঃ “ফস্টার' ডালেসের সময় থেকেই এই অঞ্চলে পেন্টাগনের নীতি হচ্ছে? ভারতের প্রতিপক্ষ স্য্টি করা। পাকিস্তান প্রশংসনীয় ভাবেই: আমেরিকার সে প্রয়োজন মিটিয়েছে।

৪৫

৪৬

৪৭

৪৮.

জাতীয় 1নরা পত্ত। ৫€

্যাশনাল হের্যান্ড' ( নয়াদিল্লী ), ২০শে জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, সতস্ত এবং স্টেটস্ম্যান ( নয়াদিলী ), ২০শে মে, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৩।

“টাইম্‌স অব ইত্ডিয়া” (নয়াদিলী ?, ২৯শে মে, ১৯৭৩, পঞ্ঠা ৭, স্তস্ত ১।

কে, পি' এস, মেনন, “ইও্ডিয়া আও দি নিউ আল্সিস,” পাণ্ডে স্ট্যাপ্ডার্ড ( নয়াদিল্লী ), ২রা সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৬, স্তভ্ত ৭-৮। দেখুন কিসিঙ্গারকে চৌ-এর উপদেশ “পাকিস্তানে আমাদের বন্ধুদের ভুলবেন না”, ১০ই নভেম্বর, ১৯৭৩ ইসলামবাদে এক ভোজসভায় কিসিঙ্গার একথা প্রকাশ করে দেন। | সানডে স্ট্যাার্ড ( নয়া- দিল্লী ), ১১ই নভেম্বর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠ। ]

টাইমূস অব. ইন্ডিয়া” ( নয়াদিল্লী ), ২৩শে জুন, ১৯৭৩১ পৃষ্ঠা ১, স্তম্ভ ৪। অস্ট্রেলিরায় দেশব্যাপী এক' জনমত সংগ্রহ অভিযানে “নিয়টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নয়জন নেতাকে বিচার কর।র জন্য ১৯০০ জনের ভোট গ্রহণ করা হয়” এবং তাতে মিঃ নিক্সন “সবচেয়ে ধূর্ত, নির্মম এবং অসৎ” বলে গণ্য হন | [ “স্ট্স্ম্যান” ( নয়াদিল্লী ), ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠ। ১০, স্তম্ভ ]

২৬শে জুলাই, ১৯৭৩ ওআশিংটনে সাংবাদিকদের কাছে এক বিবৃতিতে শাহ. পাকিস্তানের ওপর ভারত আক্রমণ চালিয়েছে বলে ইতিপূর্বে যে মন্তব্য করেছিলেন তারই পুনরুক্তি করেন! | “প্যান্রিয়ট” ( নয়াদিল্লী ), ২৭শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৯, স্তস্ভ ১]

দিনই ওআশিংটনে সাংবাদিকদের কাছে প্রদত্ত বিবৃতিতে তথা- কথিত আক্রমণের ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে অস্ত্র সাহায্য দানের আশ্বাস পরোক্ষভাবে আবার ঘোষণা করে শাহ্‌ আরও বলেন £ “পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করবে না পাকিস্তান পার্বত্য অঞ্চলে হঠে আসবে এবং সেখান থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকবে 1” | প্যাট্রিয়ট ( নয়াদিল্লী ), ২৭শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৯, স্ত্ত ১]

এই ধরনের বিবৃতির উদ্দেশ্য পাকিস্তানকে রিজক্রিগের জন্ত প্ররোচিত করা ছাড়া আর কিছুই নয়, একটি বিশেষ কোন মুহুর্তে সামরিক পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন।

৪৯ | ইন্দার মালহোত্রা, “২৫নং নোট দ্রষ্টব্য, পৃষ্ঠা ১৪, স্তম্ভ ৩। শ্রীমতী

১১৪,

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

গান্ধীর সঙ্গে ইলাস্ট্রেটেড উইকৃলি অব্‌ ইত্ডিয়ার ( বে ) সম্পাদক শ্রীধুসবস্ত সিং-এর সাক্ষাৎকারের বিবরণও দেখুন এঁ পত্রিকায়, ১২ই অগস্ট, ১৯৭৩ | এই সাক্ষাৎকারের বিবরণের একাংশ ১২ই অগস্ট, ১৯৭৩ স্টেট্স্ম্যানে ( নয়াদিল্লী ) প্রকাশিত হয়, পৃষ্ঠ। ৭, স্ত্ত ৮।

৫০ | ইরানের শহ্রগুলিতে গেরিলার তৎপর বলে গপ্রকাশ। পুলিস নির্মমভাবে তাদের দমন করছে। প্রকাশ্তে ফাসি দেওয়ার ঘটন! এখনও ঘটছে সংবাদপত্র কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত

৫১। পাক পত্রিকায় প্রকাশিত বিবৃতি উদ্ধত করে ইভনিং নিউজ £ হিন্স্থান টাইম্‌স ( নয়াদিল্লী ), ১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তম্ত ১-২।

€২1 এ।

€৩ | বিশদ বিবরণের জন্য দেখুন টাইম্‌স অব্‌ ইশ্ডয়া (নয়াদিল্লী ) ২০শে মে, ১৯৭৩ বালুচিস্তানে পাক অত্যাচার অব্যাহত ভাবে চলেছে। বালুচিন্তানের প্রাক্তন রাজ্যপাল ঘউস বক্‌স বিজেঞজো বলেছেন, চামান থেকে জেওয়ানি ( মাকরান উপকূল ) পর্যস্ত ৯৬৯ মাইল দীর্ঘ অঞ্চল ছুড়ে পাক সৈন্যবাহিনী ফেডারেল বাহিনীর ইউনিটগুলিকে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা কোয়েটায় সাংবাদিকদের কাছে বলেন যে এইসব ঘটনা থেকে মুখোমুখি সংঘর্ষের সষ্টি হতে পারে “যা আমর] এড়াবার চেষ্টা করছি”- পাকিস্তান প্রেস ইণ্টারন্যাশনাল- তার এই বক্তব্য উদ্ধত কর] হয়েছে এখন জানা গেছে যে পাক বিমান বাহিনীর চীফ এয়ার মার্শাল জাফর চৌধুরী প্রেসিডেন্ট তুটে স্থল বাহিনীর প্রধান জেনারেল টিক্কা গানের সাম্প্রতিক বালুচিস্তান সফরে সহ্যাত্রী হন। মিঃ বিজেঞ্জো বালুচিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে প্রদেশে সোভিয়েত অস্ত্র আমদানির ভুয়। প্রচার চালাবার অভিযোগ আনেন তিনি বলেন, ওরা একটি অস্ত্রও উদ্ধার করতে পারেনি--এমনকি তথাকথিত যেসব 'গেরিলণ অস্ত্র সহ সরকারের কাছে আত্ম- সমর্পণ করেছে তাদের কাছ থেকেও নয়। তিনি বলেন, এটা পরিতাপের বিষয় যে দেশব্যাপী মিথ্য! প্রচার- কার্ষের ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত এই প্রদেশটি ছুনিয়ার

জাতীয় নিরাপত। ৫৭

দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং রাজনৈতিক চক্রান্তের উত্তপ্ত ক্ষেতে পরিণত হয়েছে

তিনি বলেন যে প্রাদেশিক সরকার ফেডারেল সরকারের সমর্থনে এই প্রদেশে এক সংঘর্ষের পরিস্থিতি ক্ষষ্টি করছেন, সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে এমন একটা মিথ্যা! ধারণার সৃষ্টি করছেন*যে বালুচিস্তানের জনগণ বিচ্ছিন্রতাকামী |

মিঃ বিজেঞ্জো নলেন যে সর্বদাই নানাভাবে জনগণকে প্ররোচিত, করার চে করা তচ্ছে যাতে তার]! তাদের অজ্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে চরম পন্থা গ্রহণ করে। তিনি বলেন, ন্যাপ বালুচিস্তানে তাদের আইন-অমান্য আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত স্বগিত রাখলেও বর্তমান অবৈধ সংবিধানবিরুদ্ধ ভাবে গঠিত প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার বা অন্য যে-কোন ব্যবস্থা অবলম্বনের পূর্ণ আইন- সম্মত অধিকার এই প্রদেশের জনগণের আছে

ইসলামী জমিয়ৎ তুলবা নেতা আলি জাফার জামাল বালুচ সম্প্রতি বালুচিস্তান সফর করে এসে লাহোরের উর্ঘ সাঞ্চাহিক লায়াল-ও- নিহার-এ লিখেছেন যে 'প্রদেশটি এখন চারটি সামরিক ডিভিশনের দখলে রয়েছে এবং মারি উপজাতীয়দের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে

তিনি বলেছেন, মেঙ্গল উপজাতীয়দের ওপর টসন্যদের অত্যাচার দিন দিনই বুদ্ধি পাচ্ছে এবং মনে হয় এই উপজাতীয়দের অনাহারে মারার চক্রান্ত করা হয়েছে

সৈনারা কাউকে এক কিলোগ্রাম গমও উপজাতীয় অঞ্চলে নিয়ে যেতে দেয় না এবং মেঙ্গলদের কাছে কোন জিনিস বিক্রি না করার জন্য লাস বেলায় দোকানদারদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই উপজাতীয়েরা লাস বেলায় আসে তাদের ছাগল, ভেড়া পশম-দ্রব্য বিক্রি করার জন্য

দোকানদারের। তাদের জিনিসপন্ত্র কিনতে পারে কিন্তু তাদের কাছে কোন জিনিস বিক্রি করতে পারে না।

১৯৭৩ সালের ২৩শে মেজারি করা এক সামরিক ফরমানে বল। হয়েছে যে, কোন দোকানদার মেঙ্গলদদের কাছে একটি দেশলাই বিক্রি করলেও তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে

৫৮

ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

জামাল ৰালুচ আরও বলেছেন যে সৈন্যবাহিনী মারি উপজাতীয়- দের সমস্ত রেশনকার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে, অথচ তাদের খাছ সরবরাহ কর] হচ্ছে বলে মিথ্য। প্রচারকার্য চালাচ্ছে

সর্বোপরি ভুট্টোবিরোধী বিশিষ্ট নেতাদের জেলে পুরে রাখা

হয়েছে [ “ইভনিং নিউজ" ( নয়াদিল্লী ), ২০শে ছ্ুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৩-৫ ]

৫৪। টাইম্‌স অব. ইও্ডিয়া (নয়াদিল্লী ). ২০শে মে, ১৯৭৩ | উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ভুট্টে'শাহীর রেকর্ডও ভাল নয়। পর্যন্ত চারবার বাদশা খানের পুত্র এবং স্তাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা ওয়ালি খানকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা কর! হয়েছে সেই জন্ত তিনি ভুট্রোকে “হয় বুলেট, নয়তো! ব্যালট -এর মধ্যে যে-কোন একটা বেছে নেবার” আহ্বান জানিয়েছেন তাছাড়া ওয়ালি খানের পার্টি নিষিদ্ধ করার হুমকিও যখন-তখন দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ৮৫ বৎসর বয়স্ক বাদশা! খানকেও কোয়েটা যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হুয়। [ বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুন “মাদাব- ল্যা্ড ( নয়াদিল্লী ) ৬ই অক্টোবর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা এবং ন্যাশনাল হেরান্ড, ৬ই অক্টোবর, ১৯৭৩..পষ্টা ১, স্তস্ত ৫-৬ ]

* খুসবন্ত সিং-এব সঙ্গে ভুটোর সাক্ষাৎকারের বিবরণ দেখুন, 'ইলাস্ট্রেটেড উইকৃলি' ( বন্ধে ). ১২ই অগস্ট, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১০-১৪

€৫। দেখুন “টাইমস অব ইপ্ডিয়া” ( নয়াদিল্লী ), ২০শে মে, ১৯৭৩ এবং 'প্যাট্রিয়? ( নয়াদিল্লী ), ২০শে মে, ১৯৭৩।

€৬। “টাইম্‌স অব্‌ ইত্ডিয়া? ( নয়াদিল্লী ), ৭ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তত্ত ৪-৫ | »

৫৬ (ক)। হিন্দস্তান টাইম্‌স” ( নরাদিলী ), ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩১. পৃষ্ঠা ১, স্তত্ত ৩।

৫€৭। “টাইম্‌স অব. ইগ্ডিয়া”, ৫৬নং নোট-জুষ্টব্য।

৫৮। "প্যাট্রিয়ট” ( নয়াদিল্লী ), ৪ঠা জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তত্ত ৭।

৫৯ | লিঙ্ক” ( নয়াদিল্লী ), ১৫ই জুলাই, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ২, স্তস্ত ১-২।

৬« | “সানডে স্ট্যাপ্ডার্ড', নয়াদিলী, ৫ই অগস্ট, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্ত্ত ৬-৭।

৬১। £হিচ্ছু'র লগ্ুনস্থ সংবাদদাতা মিঃ বাটুক গাখানি ১৯৭৩ সালের:

জাতীয় নিরাপত্তা ৫৯

১৯শে মে তাঁর প্রেরিত সংবাদে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে লিখেছেন যে ইরান, সৌদী আরব, ফ্রান্স চীন থেকে পাকিস্তান বিভিন্ন ধরনের বিমান আমদানি করে তার বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করছে। পাকিস্তান সরকার এইসব দেশের সরকারগুলির সঙ্গে আমেরিকায় নিমিত এফ-৫ বিমান থেকে শুরু করে চীনে নিমিত টি ইউ ১৬ ধরনের বিমান পর্যস্ত সরবরাহের এক চুক্তি নীতিগতভাবে সম্পাদন করেছে। সংবাদদাতা আরও. লিখেছেন ঘে ইরান মাকিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০০ ফ্যাণ্টম বিমান সংগ্রহের পর পাকিস্তানকে ছুই স্কোয়াড্রন শ্যাবার এফ-৫ বিমান' সরবরাহ করতে অম্মত হয়েছে ভৃট্টোর সাম্প্রতিক ইরান সফরের সময় এই বিমান সরবরাহ সম্পর্কে আলোচনা হয়। প্রকাশ, সৌদী আরবও ফ্রান্সের কাছ থেকে মিরাজ বিমান জঅংগ্রহের পর পাকিস্তানকে অনুরূপ ধরনের বিমান (সংখ্যা জানা যায়নি ) ও. স্টারফাইটার দেবে বলে প্রতিক্রতি দিয়েছে আরও প্রকাশ, পাকিস্তান ফ্রান্সের সঙ্গে ১০০ খানি মিরাজ বিমান ক্রয় সম্পর্কে আলোচনা চালাচ্ছে

[ “দি হিন্দু, (মাদ্রাজ ), ২০শে মে, ১৯৭৩ আরও দেখুন “ইভনিং নিউজ ( নযাদিস্ভী ), ২র। জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা! ৭, স্তত্ত ২-৩ ]

৬২। াইম্স অব্‌ ইওডয়া, ( নয়াদিলী ), জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১২, স্তম্ভ ৩-৪ | বিস্তারিত বিবরণের জন্য “দি গাল্ফ পলিটিক্স আ্যাণ্ড' ইত্ডিয়া প্রবন্ধটি দেখুন, পদ হিন্দু” ( মাদ্রাজ ), ২২শে যে, ১৯৭৩

৬৩ | প্যাট্রিয়ট ( নয়াদিল্লী ), ৮ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১০, স্ত্ত ২।

৬৪ | “দি ইভনিং নিউজ £ হিন্দুক্জান টাইম্‌স” ( নয়াদিল্লী ), ১৬ই জুম, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৮, স্তম্ত ৩।

৬৫ | “দিহিন্দু' (মাদ্রাজ ), ২*শে মে, ১৯৭৩

৬৬। ন্যাশনাল হেরান্ড? (নয়াদিল্লী), ১৬ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ২।

৬৭| ইপ্ডিয়ান এক্সপ্রেস” ( নয়াদিলী ), ৩০শে এ্রপ্রিল, ১৯৭৩

৬৮ ১৯৭৩ সালের ১১ই জুন তেহরানে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা প্রসঙ্গে সেণ্টোর সেক্রেটারি জেনারেল ইরানের পররাইমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রমবর্ধমান নাশকতা- মুলক কার্যকলাপ সদস্য রাষ্টরগ্ুলির পক্ষে ভীষণ বিপদ হয়ে দেখা

৬৬

ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

দিচ্ছে। তারা তুরক্ক, ইরান বালুচিজ্ত/নে বামপন্থী গেরিলাদের তৎপরতার কথ উল্লেখ করছিলেন, & সব অঞ্চলে সোভিয়েত চীন অস্ত্রশস্ত্র মেপিনগান নাকি “খেলনার মত, বিক্রি হচ্ছে

| “হিন্দুস্তান টাইম্‌স (নয়া্দিলী ), ১২ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৭,

স্তম্ভ ৩। ]

৬৯১ 'এ।

৭০ | প্র স্তস্ ৮।

৭১। “ইপ্ডিয়ান এক্সপ্রেস” (নয়াদিল্লী ), ১২ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১, স্তস্ত ৫।

৭২। “ইভনিং নিউজ £ হিন্দুস্তান টাইম্স+ (নয়াদিল্লী ), ১৫ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্টা ৫, স্ত্ত ৪।

+৩। বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুন এন, এম. ঘাটাটে সম্পাদিত “ইন্ো- সোভিয়েত ট্রিটি £ রিআ্যাকৃশন্স আ্যাণ্ড রিফ্লেক্শন্স” ( নয়াদিল্লী,

দীন-দয়াল রিসার্চ ইনক্টিট্যুট, ১৯৭২ ), পৃষ্ঠা ২৮১-২৮৮।

জাতীয় নিরাপত্ত! (7) উত্তর দক্ষিণ থেকে বিপদ পাকিস্তান আমেরিকার সঙ্গে চীনের দহরম-মহরম

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক এক আতাত জোট পশ্চিম প্রান্ত থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত

বিছেষ বিচিত্র শয্যাসঙ্গীর জন্ম দেয়। হ্তরাং এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই যে, যে-কোন ধরনের ভারত-পাক দ্বন্দেই আমেরিকা চীন থাকে পাকিস্তানের পক্ষে। এটা ইতিহাসের এক তীব্র পরিহাস ) তবু এই অতি রোমাঞ্চকর নাটকের মধ্যে দিয়েও একটা নৈতিক সতা উদ্ঘাটিত হয়েছে। কারণ, এতে একদিকে যেমন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভড়ং-এর মুখোশ খুলে গেছে অন্তদিকে তেমনি মাও-এর চীনের নৈপ্রৰিক আস্ফালনের স্বরূপও ফাস হয়ে পড়েছে এট সত্যই ইতিহাসের এক বিচিন্তর পরিহাস যে, যে-দেশ নিজেকে দাবি করে মার্কস্বাদের খাটি কর্মকেন্দ্র বলে, যে-দেশ জাতীয় মুক্তিযুদ্ধগুলোকে মৌখিক সমর্থন জানানোর ব্যাপারে সবচেয়ে সরব, সেই দেশই কিছুকাল আগে ইয়াহিয়। খাঁর সামরিক চক্রের নির্লজ্জ প্রতিক্রিয়াশীল সমর্থক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল; আর আজ এখন সে সমর্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভুট্টোর শ্বৈরতগ্রের__যে ভুট্টো বালুচিস্তান আর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের জাতীয় স্বাতক্ত্রের আন্দোলনকে নিষ্ট্রভাবে দমন করছে আর ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিষাক্ত নখরে শান দিচ্ছে

চীনের এই ধরনের স্থবিধাবাদী কৌশল শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয় আরও অনেক জায়গাতেই চেনিক মতাদর্শের ধাগ্লার স্বরূপ উদ্ঘাটন করে দিয়েছে ।১ বিশ্বের অন্ততম বৃহৎ পরমাণুশক্তির পাপপক্কে নিমজ্জিত হয়ে চীন অদ্ভুতভাবে একদিকে সোভিয়েতকে "শোধনবাদী” বলে নিন্দা করে চলেছে আর অন্যদিকে চলেছে তার সাম্রাজ্যবাদী আর পু'জিবাদীদের মন জয় করার আপ্রাণ চেষ্টা। মাও-এর রাজত্বে চলছে এখন প্রেমের পিংপং খেলা | সম্ভবতঃ মাকিন-চীন অন্ত্রসাহায্যে বলীয়ান হয়েই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র কাশ্মীর সংক্রান্ত দণ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খান আবছুল কোয়াযুম খান ভারত-বিরোধী অপপ্রচারের নেতৃত্ব দিতে সম্প্রতি করাচীতে সংবাদপত্র প্রতিনিধিদের বলেছেন £

দু'বছর আগের চেয়ে পাকিস্তান আজ অনেক বেশী শক্তিধর | ভারতীয়র1

৬২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ঘদি ভাবে যে পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধে তারা পাকিস্তানকে পরাঙ্জিত করেছে এবং পশ্চিম পাকিস্তানকেও তারা৷ গিলে ফেলতে পারবে তাহলে তার! “ুঃখজনকভাবে ভ্রান্ত আমরা তৈরী এবং যদি সংঘর্ষ হয় তাহলে আমরা ভারতকে চিরকাল মনে রাখার মত আঘাত দিতে পারব এই কথাটা যেন সবাই ভাল করে যনে রাখেন ।২

চীনের ঘটনাবলীর গতিপ্রকৃতির ধার! নিয়মিত পর্যবেক্ষক তাদের কাছে অবশ্য ইতিমধ্যেই এটা পরিফার হয়ে যাওয়া উচিত বে, চীনের অন্প্রসারণবাদ, জাতীয়তাবাদী হঠকারিতা৷ এবং বৃহৎ শক্তিন্থলভ ডম্ফাইয়ের নীতিতমণ্ডিত হয়েছে অতিবিপ্রবী গালভ4] বুলি দিয়ে তার জাতীয় ডন্ফাই ব্যতিক্রমযূণক আচরণে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারসাম্য বানচাল হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনের রীতিনীতি বিদ্বিত করে চীন যখন বাংলাদেশের জাতিসংঘে প্রবেশের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দেয় এবং তার পরহ পাকিস্তানের জনগণের আশা-আকাজ্ষাকে দমন করার জন্য দিল অস্ত্রসাহায্য ৩শন সত্যিই এক আশ্চর্য দৃশ্যের সষ্টি হয়নি 'কি? চীনের কথা কাজের মধ্যে এই ফারাক-এর মধ্যে আবার প্রতিফলিত হয় তার স্ববিধোধিতাপ্ প্ররৃতিটি। চীন প্রকাশ্যে দাবি করে যে, সে কার্ল মাঝের প্ররুত শিক্ষাকে অন্গপরণ করছে কিন্তু কাজের বেলায় গে আন্তর্জাতিকতার বদলে জাতীয়তাবাদের কাছেই আজল্মসমর্পণ করছে। উনিশশো৷ চল্লিশের বৈপ্লবিক উৎসাহ পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্য শেষ পর্যন্ত পর্যবসিত হ*ল সীমাহীন কটংক্তিবর্ষণ আর প্রতিবিপ্রবী উপদলীর চক্রান্তে বৈপ্রধিক মৃতাদর্শে ভেদাভেদ এবং যুদ্ধোন্মাদন। এবং সম্প্রলারণবাদের প্রত্তি একান্তিক বিশ্বস্ততাই এই শ্ববিরোধিতার উৎস | ভারত সোভিয়েত ইউনিযন তারই শিকার হয়েছে এধরনের ঘটনাক্রোতে যে বাধা দেবার চেষ্টা করেছে তার শক্রর সাথে মৈত্রী করে তাকে চ্যালেঞ্চ জানানো হয়েছে অর্থাৎ সেই চাণক্যনীতি £ “শক্রর শক্র তোমার মিত্র 1 এই ধরনের ক্ষমতার রাজনীতির জুয়াখেলা যদ্দি শান্তি, সমাজতন্ত্র, জোটনিরপেক্ষতা এবং ভারতের অর্থনীতিকে প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক পথে পরিচালনা করার বীরত্বপূর্ণ কাজে ব্রতী প্রগতিশীলরা সন্দেহের চোখে দেখেন তাতেও চীনের কিছু যার আসে না। সোভিয়েত ভারতের প্রতি আমেরিকা শক্রভাবাপন্ন | চীনও তাই। ছু'পক্ষের এই মতের মিল থাকার ফলে চীন সর্বান্তঃকরণে :আমেরিকাপ পাশে গিয়ে ধ্াড়াল আর নিক্সন-প্রশাসনের -নয়।-শুপনিৰেশিক ব্যর্২-অভিযানের নীরৰ সহযোগী হ'তে সম্মত হল। পর্যন্ত

জাতীয় নিরাপত্তা ৬৩

পাওয়া প্রমাণ থেকে বোঝা গেছে চীনের এই নীতির আসল উদ্দেশ্য ভারত সোভিয়েতের পক্ষে উত্তপ্ত আবহাওয়ার স্ষি করা এই সঙ্কটের সন্ষিক্ষণে যদি ীন-সীমান্তের অপর পারে মাওয়ের মাক্জীয় মতাদর্শের সাথে ঘনিষ্ঠ শক্তিগুলি দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়ার আক্রমণে দুর্বলও হয়ে পড়ে তাতে চীনের কিছুই আসে যায় না। ইতিপূর্বে পকিস্তানকে সে পাহায্য করার ফলে ৰাংলাদেশে অত্যাচারের বন্যা বয়ে গিয়েছিল, আবার পাক-জনগণের আশা- আকাজ্ষাকে গুড়িয়ে দেওয়ার কাজে পাকিস্তানকে সে সাহায্য করছে 19 চীন ভারতের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে খর্ব করতে তো চাইছেই, সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যও উসকানি দিচ্ছে পাকিস্তান নিজেই ভুলে যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক ভুভাগ এবং অর্ধেকেরও বেশী লোক নিয়ে বাংলাদেশ স্যষ্ট হবার পর ভারতের সমকক্ষতা অর্জনের রঙিন স্বপ্ন দেখবার দিন তার শেষ হয়ে গেছে ভারতের বিরুদ্ধে হাজার বছরের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণ। ভুট্টো করেছিলেন তা আজ দ্ঃস্বপ্রে পরিণত হয়েছে এবং তার দেশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির দাবার ছকে একটি বোড়েতে পরিণত করেছে আর সেই ছকটি ঘিরে বসে আছে আমেরিকা, চীন ইরান সামান্য এক চীন-ভারত সংঘর্ষের ফলে পঞ্চশীল নীতির প্রবন্তা ভারত চীনের কাছে স্থবাসিত পুষ্প থেকে বিষাক্ত আগাছায় পরিণত হল। অন্থদিকে এই সেদিন পধন্ত যে পাকিস্তান মকিন নয়া উপনিবেশবাদের হাতিয়ার এবং আমেরিকাকে সামরিক ঘাটি স্রববাহকারী হিসেবে ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এবং নির্'লযোগ্য আগাছা ব'লে নিন্দিত হত, হঠাৎ পিকিংয়ের মানদারিনরা। তাকে স্থরভিত পুষ্প রূপে বুকে তুলে নিল, আর অবিরাম ভাবে তাকে তোধণ করতে লাগল ভারতকে প্রকৃত বা সম্ভাব্য শক্রর সারিতে নামিয়ে এনে চীন কে. পি. এস. মেননের ভাষায় ) “পাকিস্তানের সঙ্গে গলা-জড়াজড়ি শুরু করল আর তারপরই শুরু হল চীন পাকিস্তানের মধ্যে এক শক্রতার ( ভারতের বিরুদ্ধে) আতাত |” অন্ততঃ পক্ষে সাশ্রতিক চীন-মাকিন সখ্যতাও কিছুটা শত্রতার আতাত তাতে কোন সন্দেহ নেই ।€

এই নতুন বিদ্বেধপ্রন্থুত ভিগবাজির সঙ্গে সামপ্ধস্য রেখে চৈনিক পররাষ্ট্র স্ত্রী চি-ফেও-কেই ১৯৭৩ সালের ১৯শে জুন করাচীতে এক তোজসভায় বলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থা এখনও অশান্ত, এবং তিনি কিছু সম্প্রসারণ- ৰাদী শক্তিকে (ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন ) এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের

৬৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

যধ্যে বিরূপতা৷ সৃষ্টির চেঠ1 করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও" বলেন, দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের অস্থিতিশীল অবস্থাও কিছু সম্প্রসারণবাদী শক্তির কাজকর্মেরই ফল

»৯ তার অভিযোগ হ'ল, এইসব শক্তি এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরূপতা৷ স্থষ্টির চেষ্টা করে চলেছে আর অন্যকে যে-কোন ভাবে ভেতরে ঢুকে অন্তর্থাতমূলক কাজকর্ম বাড়িয়ে তুলছে ।৬ অঞ্চলের সমস্যাগুলি সম্পর্কে চীন যে “নীতিসম্মত দৃষ্টিভঙ্গীর” পরিচয় দিয়েছে তার জন্য ভোজনভার উদ্দুযোক্ত। ভুট্রো৷ চৈনিক অতিথিকে ধন্যবাদ জানান |

চীন একদিকে মাও সে তুঙয়ের ভাবমৃতিকে মহাবিপ্রবী রূপে বিদেশে রঞ্চানি করার চেষ্টা করে (যা স্ট্যালিনের ব্যক্তি-পৃজার পদ্ধতিকেও হার মানিয়ে দেয়) অপরদিকে পাকিস্তানবাসীৰ স্বাধীনতা অর্থনৈতিক বিকাশের আশা-আকাজ্ষা দমনের জন্য পাক সামরিক দস্থ্যদের (দেশকে দক্ষিণপন্থার দিকে ঠেলে নিয়ে যাবার জন্য যারা মূলতঃ: দায়ী) হাতে তুলে দেয় টি-ইউ বোমারু বিমান সহ সর্বপ্রকার সাহায্য

যুগপৎ মাফিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় আসার চেষ্টাও করা হয়। জাতায়তাবাদী হঠকারিতার “মিথ্যে আর ক্ষতিকব ধর্মের ( আনন্ড টয়েনবি ) বিধান অনুযায়ী চীন সর্বহারার আন্তর্জাতিকতার প্রতি আন্থগত্য বর্জন করে বিশাল জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করল ভারত সোভিয়েতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শক্রতাসাধন গুরুতর দ্বন্দ স্ষ্টির কাজে যারা সর্বহারার আন্তর্জাতিকতার জন্য লড়াই করেছেন মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের কাছে এই

ধরনের ডিগবাজি নিশ্চয়ই বেদনাদায়ক | চীন পাকিস্তানকে প্রশিক্ষণের রক্ষণাবেক্ষণের হুযোগ-হ্থবিধা সমেত যে টি-ইউ-১৩ জেট বোমারু বিমান দিয়েছে সেগুলি পাক-বিমান বহরের ক্ষমতা দারুণ বাড়িয়ে দেবে এই বিমান সরবরাহ ভারতের প্রতিরক্ষার পক্ষে অত্যন্ত ভয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এবং উপমহাদেশে উত্তেজনার হৃষ্টি করেছে ।”

এই অবস্থায় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে আগের চেয়ে আরও বেশী সুষ্ঠ, সহযোগিতা৷ ছাড়া অন্য উপায়. নেই। ভারতের নিরাপত্তা টিকে থাকার প্রশ্নই সর্বাগ্রে বিবেচ্য আর যা-কিছু সবই গৌণ! সাআজ্যবাদী জোটের বিরুদ্ধে ভারত সোভিয়েতের পালট! জবাব.

ভারতও এই সামরিক তৎপরতা। দেখে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারত- €সাভিয়েত যৌথ ব্যবস্থাই আগ্রাসনকারীদের যথোপযুক্ত জবাব দিতে সক্ষম।

জাতীয় নিরাপত্বা

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক মস্কো সফর তাই উদ্দেশ্টাবিহীন ছিল ন৷ | ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনার জন্য তিনি কি ধরনের সাক্গ-সরঞজাম চাইতে পারেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল। যাত্রার পূর্বমূহূর্তে তিনি বলেন যে সোভিয়েত নেতাদের সঙ্গে তিনি ভারতের নিরাপত্বার অন্ত প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জা অন্যান্য সমস্তা নিয়ে আলোচনা করবেন 'অর্থাৎ এই অঞ্চলে যে জোট গড়ে উঠছে তারহ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক আলোচনা *বে। আগামী দশকে যে-কোন ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার যথোপযুক্ত মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে সাজ-সরগ্রাম প্রয়োজন হতে পারেঃ সেগুলে। সম্বন্ধে তিনি খোজখবর নেবেন বলেই মনে হয়। ভাত্রত যাতে নিজেই তার সামরিক জঅরঞ্জাম বানিয়ে নিতে পারে, সেজন্য আলো- চনার একটা বড় অংশ ফুড়ে থাকবে কূংকৌশল বিদ্ভা। সংক্রান্ত বিষয় শ্রীজগজীবন রামের মস্কে! সফরকালে ১৯৭৩ সালের ১৬ই জুলাই এক যুক্ত ইন্তা- হার প্রকাশিত হয়। ইস্তাহারে বলা হয়- মৈত্রীএুক্তির আলোকে ভারত- সোভিয়েত সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়ে উভয় পক্ষ মত বিনিময় করেন শ্রীকোসিগিন এই মর্ষে মৃত প্রকাশ করেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশে এবং সামগ্রিকভাবে এশিয়ায় শান্তি সাদ করার প্রচেষ্টাকে ব্যাপকভাবে সমথন করে এসেছে উভয় পক্ষই এই আস্থা: প্রকাশ করেন যে, সময়ে? পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, শান্তি নিরাপত্রার পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাকে যত্বংকায়ে টিকিয়ে রাখা আরও শক্তিশালী কর] উচিত। শোন! গেছে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেন্টোকে আবার চাঙ্গা! করে তোপা এবং তাতে চীনের সমর্থনের বিষয়টিকে পর্যালোচনা করেছেন এইসব ঘটনা ষে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ের কারণ, সে সম্পর্কে ভারত তার মনোভাব জানিয়েছে (চিমল। বৈঠকে ভারত-পাক বোঝাপডার য়ে স্থর বেজেছিল, চীন মাকিন যুক্তরাষ্ট্র স্রেফ হামবড়াইয়ের মনোভাব নিয়ে তার বিরোধিতা করে।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইওরোপের দেশগুলি ভ্রমণকালে এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, যুদ্ধবন্দী, পাকস্তানে অবস্থানকারী বাঙালী এবং বাংলাদেশে ভবস্থানকারী বিহারী (ধারা নিজেদের প।ক্নাগরিক হিসাবে দাবি করেন) তাদের ত্রিপাক্ষিক বিনিময়ের যে প্রস্তাব ভারত-বাংলাদেশ যুক্তভাবে দিয়েছিল তা! যাতে পাকিস্তান মেনে না নেয়, তার জন্ত চীন মাকিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ওপর

৬৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

চাপ সৃষ্টি করছে। চীন-মাফিন ছুরভিসদ্ধিমূলক পরিকল্পনার এর চেয়ে ভাল সাক্ষ্য আর কিছু নেই। এইভাবে ছই বৃহৎ-শক্তি শান্তির সম্ভাবনাকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে বৃহৎ-খেলায় মেতে উঠল। সবরকম হুত্র থেকে বিরাট পরিমাণ অন্ত্রসাহায্য দেবার যে প্রতিশ্রুতি টিক্কা খানকে দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে বোঝাপড়ার ভিত্তিটি ছিল এই যে পাকিস্তান সবসময়ই একটা “যুদ্ধং দেহী” মনোভাব বজায় রাখবে ।৯

এর চেয়েও চমকপ্রদ ঘটন! হ'ল মাকিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়েই বৃহৎ- শক্তিক্থলভ দস্তে উন্মত্ত হয়ে গেছে এটা কি ইতিহাসের এক পরিহাস নয় যে এশিয়ায় বিভিন্ন শক্তিগোরঠীগুলির স্থান পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় “এতদিন মাকিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে বাদ দিয়েই এশিয়ার কথা ভাবছিল আর এখন লে এশিয়াকে বাদ দিয়ে চীনের কথা ভাবছে ।”৯০

মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সবণত্মক বিপদ

এটা উপলব্ধি কর! প্রয়োজন যে মাকিন প্রশাসনের সাম্রাজ্যবাদী কৌশলের উদ্দেশ্য শুধু ভারতের কণ্ঠদেশে ইরান-পাক-চীন জোটের ফীাগের বাধন আরও শক্ত করাই নয়, সম্ভব হ”লে তাঁর পেটে বা' পৃষ্ঠদেশে আকম্মিক গোপন কায়দার ছুরিকাঘাত করাও | নিয়মিত ভাবেই চলছে সেই চেষ্টা। ভারতে সাম্প্রতিক পাম্প্রনারিক সামাজিক গোলযোগ, দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ছাত্র-হাক্গামা ইত্যার্দির পিছনে যে সি. আই. এ- বিদেশী শক্তির হাত ছিল 'তা জানার জন্ত কাউকে রহশ্য উপন্তাসের ওপর নির্ভর করতে হবে না। তাদের পরিকল্পনা ছিল ভারতের দারিক্র্যকে হাতিয়ার করে নিজেদের উদ্দেশ্ঠ সিদ্ধ করা রাঁচিতে ১৯৭২ সালের ২রা অক্টোবর এক ভাষণ প্রণঙ্গে প্রধান- মন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ভারতে পি. আই. এ-র তৎপর হয়ে ওঠার 'সংবাদ তার কাছে আছে। তিনি কংগ্রেস কর্মীদের সতর্ক থাকতে এবং এইসব তৎপরতার মোকাবিলা করতে আহ্বান জানান। তিনি তার দলীয় কর্মীদের বলেন, “এই সংস্থা যে ভারতে সক্রিয় নয়, তা! প্রমাণ করার দায়িত্ব আমাদের নয্ব। সি. আই- একেই প্রমাণ করতে হবে যে সে ভারতে সক্রিয় নয়।” একই ভাবে সারাভারত শান্তি সংহতি সংস্থ(র গুজরাট শাখার একদিন- ব্যাপী সম্মেলনের উর্দবোধন করতে গিয়ে ১৯৭৩-এর ওরা জুন ভারতের প্রাক্তন প্রতিরক্ষ মন্ত্রী শ্রীকষ্ণ মেনন বলেন যে, এশিয়ার জাতিগুলির বিভিন্ন বিষয়ে সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অনুব্রত জাতিগুপির অগ্রগতিকে

জাতীয় নিরাপত্তা ৬৭

খ্যাহত করেছে, জনগণের উচিত এই বিপদ উপলব্ধি করে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই ধরনের প্রচেইাকে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেননা সংগঠিত হওয়া ।১৯১ এই একই অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে বিশ্বশান্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীরমেশচন্তদর আর একটি স্লোগান যোগ করেন (ইতিমধ্যে যেলপব শ্লোগান চলছে যেমন-_-“প্যালেস্টাইন থেকে হাত ওঠাও এবং ভিয়েতনাষ থেকে হাত ওঠাও” ইত্যাদির সঙ্গে )-_-“ভারত থেকে হাত ওঠ1ও ।” কারণ, তিনি মনে করেন যে সাম্প্রতিককালে এই উপমহাদেশে সি. আই. এর তংপরত৷ দারুণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে।

শ্রী্নমেশচন্দ্র বলেন যে উন্নরনশীল দেশগুলির অর্থনীতিতে নাক-গলানো এবং তা বানচাল করাই হ'ল মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব-রণনীতি। দশ্প্রতি- কালে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংল/দেশে সি. আই, এর কর্ম-তৎপরতা খুব বেশী ক'রে চোখে পড়ছে তিনি চান বে উন্নয়নশীল দেশগুলির বিভিন্ন বিষয়ে সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ সি. আই, এর তৎপরতার মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে তোলা হোক। এই প্রঞ্গে তিশি উত্তর প্রদেশের সশস্ত্র পুপিলবাহিনীর সাম্প্রতিক “বিদ্রোহের' পিছনে সি. আই. এ-র সমথিত 'শরতানী-শক্তি' হিল বলে উল্লেধ করেন ।১২

বিশ্বব্যাপী কোটি কেটি শান্তিকামী জনগণের স্বার্থে বিশ্বকে পাআ্রাজ্য- বাদী কবজা থেকে মুক্ত করার জন্য সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে একযোগে সংগ্রাম করতে হবে ভারতীয় জনসাধারণের শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস হ'ল সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন মৈত্রী। ভারতের প্রয়োজনের মুহূর্তে সোভিয়েত ইউনিয়ন একনিষ্ঠভাবে তার পাশে থেকেছে আর এক শক্তির উৎস হ'ল ভারতের জনগণের এঁতিহাময় এঁক্য যা কর্মহ্ছচীর বিভিন্রতা সত্বেও ভারতের সকল প্রগতিশীলদের সাধারণ মহৎ উদ্দেখ সাধনের জন্ত লড়াউ করার সামর্থ) যোগায়

ভারত মহাসাগরে ভ্রমবর্ধমান মািনী তৎপরত।

মাকিন প্রশাসন সর্বত্র তার বাহ্বিস্তারের সর্বাম্মক প্রচেষ্টায় ভারতের প! ছুটি বেঁধে ফেলার চেষ্টাও চাপিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের সঙ্গে যোগসাজস ক'রে যাকিন নয়া-উপনিবেশবাদীর1 ভারত মহাসাগরে বেশকিছু নৌ বিমান ঘাটি পেয়েছে তাদের এসব ঘণটিগুলে! রয়েছে গ্যান দ্বীপ, দিয়েগো গাপিয়া (চ্যাগে।স দ্বীপপুঞ্জে) আসমারা (এরিত্রিগ্নার রাজধানী, স্থদান লোহিত ষাগর ধিরে একেবারে উত্তরতম প্রদেশট ) এবং বাহ্‌ক্রীন দ্বীপনুক্জ, উত্তর-

৬৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

পশ্চিম অস্তরীপ এবং ককবার্ন সাউণ্ড, আর ফরাসী ঘাটিগুলোর কথ৷ নাহয় বাদই গেল। মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন ছুজনেরই দক্ষিণ আফ্রিকা ( বর্ণ- বিদ্বেষের মারাত্মক দুর্গ ), মরিশাস, ইথিওপিয়া, মালয়েশিয়। এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রয়েছে সামরিক চুক্তি। তাছাড়া, মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন প্রারই ভারত, মহাসাগরে তাদের নৌবহরের মহড়! দেয়।৯৩ অতি সাম্প্রতিক লক্ষণণ্ডলি থেকে দেখা যাচ্ছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ যতই কমে আসছে, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত টহল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরের বুকের মাঝখানে ব্রিটিশ দ্বীপ দিয়েগো গাপিয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করার জন্য মাকিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। ভারত মহাসাগবের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মাকিন নৌবহরের কয়েকটি ইউনিট ১৯৭১ সালের এপ্রিল সেপ্টেম্বর মাসে অঙ্গশীলনের মহড়া দিয়েছে। ইগডয়ান ইনষ্টিট্যুট অব. ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যাণ্ড আযানালিসিস১* তাদের বাৎসরিক পর্যালোচনা- - ইপ্ডিয় ইন ওআল্ড, স্ট্রাটেজিক এনভিরনমেণ্ট, ভল্যুম ২-এ এই তথ্য প্রকাশ করেছেন বাৎসরিক পর্যালোচনাতেই আরও বলা হয়েছে যে পশ্চিমাঞ্চলে ব্রিটেনের তত্বাবধানাধীন সেকিল্লেস দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত মাহে দ্বীপে আমেরিকা একটি যোগাযোগ রক্ষার ঘাঁটি স্থাপন করেছে ।১ অস্ট্রেলিয়াতে বেলুন উৎক্ষেপর্ণ ঘাটি থেকে আরম্ভ ক'রে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত চৌদ্দটি নানান ধরনের ঘাটি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ওগুলির মধ্যে প্রধান চারটি রয়েছে উমেরা, পাইন গ্যাপ, আযালিস স্পিংস উত্তর-পশ্চিম অন্তরীপে ।১৬

এট মনে রাখা দরকার যে, জাপান, ওকিনাওয়া, ফিলিপাইন্ল, ভিয়েত- নাম তাইল্যাণ্ডে ইতিমধ্যেই মাকিন যুক্তরা্র ঘাঁটি স্থাপনের স্থযোগ-হৃবিধ। পেয়েছে মালাগাঁসির ( মাদাগাস্কার ) দক্ষিণ-পূর্বে রিইউনিয়ন দ্বীপে একটি বেতার-নৌধণাটি ( রেডিও নেভিগেশন স্টেশন) স্থাপন করার প্রস্তাবও মাকিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। মাকিন যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরে একটি প্রতীকী ধরনের টাক্ক ফোর্স রেখেছে, যেটি মাঝে মাঝে লোহিত সাগরেও টহুল দিয়ে আসে ৯৭

অন্ভদিকে মাকিন যুক্তরাষ্ররে মিত্র ব্রিটেনের মরিশাস সেকিল্রেস দঘ্বীপ- পুগ্রে রয়েছে কয়েকটি “অগ্রবর্তী পর্যবেক্ষণ ঘাঁটি” ব্রিটেন ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্র আর দুরপ্রাচ্যের মাঝখানে মিনেট প্রজেক্ট উৎক্ষেপ করেছে। এটি আসলে হ'ল সামরিক উপগ্রহ্র সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা ( এটি বিশ্বের অন্ত- তম উন্নত ব্যবস্থা )। আনজ্ুক শক্তি নামে অরি-জাতীয় কমনওয়েল্থ শক্তির

জাতীয় নিরাপত্তা ৬৯

'আগ্কতম অংশীদার হিসাবে ব্রিটেন গ্যান মাসিরাতে “ব্রিটিশ যোগ শ্থত্র”১৮ রূপে কয়েকটি ঘটি রেখে দিয়েছে এই নয়া ব্রিটিশ কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে একটি বেতারপ্রেরক যন্ত্র সমেত মহাকাশযান যেট ১৯৬৯ সালের ২২শে নভেম্বর কেপ কেনেডি থেকে ছোড়া হয়। এটি এখন রয়েছে কেনিয়ার১৯ উপকূল ছাড়িয়েই ভারত মহাসাগরের উপরকার নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩৬,৮*০ কিষি. উপরে এক স্থির কক্ষপথে ।' সোভিয়েতের নামমান্র উপপ্ঠিতি আর সারি সারি মাকিন-ঘাটির মধ্যে বে তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে তার উল্লেখ ক'রে ডিফেন্স ইনষ্টিট্যুটের বাৎসরিক রিপোর্টে বল! হয় £ এসব ঘটনা থেকেই বোঝা যায় কেন ভারত রুশ নৌচলা- চলের থেকে মাকিন গতিবিধি সম্পর্কে বেশী শঙ্কিত ।২৪ সোভিয়েত নৌশক্তির বৃদ্ধি এবং মহাসাগর অঞ্চলে সোভিয়েত যুদ্ধজা হাজ- গুণিব আনাগোন। এশিয়ার দেশগুলির পক্ষে বিপত্্বক্ষপ বলে যে শোরগোল২, তোলা হয়েছে তার যূলে রয়েছে এঁ অঞ্চলে ইঙ্গ-মাফিন নৌশক্তির উপশ- স্থিতির যাথার্থ্য প্রতিপন্ন করা-_-ষে অঞ্চলকে উপকূলবর্তী দেশগুলির সরকারের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র এবং বৃহৎ শক্কিগুলিৰ নৌশক্তির প্রতিদ্বন্দিতা থেকে মুক্ত এক শার্তিপূর্ণ সমুদ্র হিসাবে রাখতে চায় ভারত মহাসাগরে যোগা- যোগ ব্যবস্থা, বিযান নৌধাটির জাল বিস্তার ক'রে এবং বড়সড় রকমের নৌশক্তির উপস্থিতি ঘটিয়ে পশ্চিমী শক্তিগুলি বোঝাতে চাইছে যে ভারত মহাসাগরকে পরমাণুশক্তিঘুক্ত এলাকা হিসাবে রাখার জন্য বিশেষ ক'রে ভারত অন্যান্য জোটনিরপেক্ষ দেশগুলির আবেদনের প্রতি কর্ণপাত করার প্রয়োজন তার! বোধ করছে না। শগ্ঠদিকে ভারত মহাসাগরকে পরমাণুভীতিযুক্ত এবং শান্তির সমুদ্রে পরিণত করার আফ্রো-এশীয় বাসনাকে স্বাগত জানিয়ে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পশর্টির ২৪তম কংগ্রেসে প্রধান সম্পাদক ব্রেজনেভ তার রিপোর্টে শান্তি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার সংগ্রামের অন্যতম নিদিষ্ট মৌলিক কর্তব্য হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পরমাণুশক্তিঘুক্ত এলাকা স্কাপনের প্রয়াসকে বাড়িয়ে তোলার কথা বলেছেন ১৯৭* সালের ১২ই জুন মস্কোর একটি নির্বাচনী সভায় ব্রেজনেভ বৃহৎ- 'শক্তিগুলির মধ্যে নৌশক্তির্ প্রতিদন্িতা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর 'বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এই প্রথম এক বৃহৎ-শক্তির সামনের সারি

ণণ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

নেও প্রকাশ্যে দূরবর্তী দরিয়া থেকে নৌশক্তি তুলে নেওয়ার জন্য তার দেশের, ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন। অবশ্থই, যদি অন্ত বৃহৎ-শক্তিগুলি সেই পথ: অনুসরণ করতে রাজী হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সোভিয়েত সফর শেষে ১৯৭১ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ইস্তাহারে ভারত মহা সাগরকে শান্তির এলাকায় পরিণত করার উদ্দেশ্তে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে একথাও বল! হয় যে অন্ান্ত বৃহৎ-শক্তিগুলিকেও বিষয়ে সমান দায়িত্ব নিতে হবে। ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি তৈরি করার কোন বাসনা যে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেই, সেই তথ্যটি সমর্থন করেছেন ভারতের বহিবিষয়ক মন্ত্রী। সার ভারত কংগ্রেস কমিটির বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে ১৯৭৩ সালের ৯-১* যে তারিখে “ভারত মহাসাগর'-এর উপরে দুদিনব্যাপী এক আলোচনা সভায় শ্রীন্বরণ সিং বলেন, ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌথণটির “কোন প্রমাণ” নেই ।২১ আলোচন! সভার উদ্বোধন ক'রে লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রীজি. এস* ধীলন বলেন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিকে পারমাণবিক অন্ত্রশন্ত্র থেকে মুক্ত রাখার বিষয়টি অনেকদূর অগ্রসর হতে পারে যদি বৃহৎ-শক্তিগুলির পক্ষ থেকে মেলে আন্তরিক প্রদ্তিশ্কাতি তিনি বলেন, পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে বৃহৎ-শক্তিগুলি যাতে ভারত মহাসাগরে নৌশক্তির মহড়! দেওয়া থেকে বিরত থাকে তার জন্য তাদের ওপর বন্ধুত্বপূর্ণ চাপ ৃষটির” মাধ্যমেই এট? করা যেতে পারে তিনি আরও বলেন, “এট! সত্যিই দুর্ভাগ্য- জনক যে বৃহৎ-শক্তিগুলির প্রতিদবন্দিতার ঘৃণাবর্তে ভারত মহাসাগরকে টেনে আনা হচ্ছে” মহাসাগর অঞ্চলে বৃহৎ-শক্তিগুলির জাহাজ চালানোর বিষয়ে সম্ভবতঃ কেউ আপত্তি করতে পারে না 3 কিন্তু এটাও দেখ। দরকার যে সমুদ্রে তাদের নৌচলাচল যেন কোন দেশের স্বার্থ বিপন্ন না করে ,২৩ কিছু আগে শ্রীশ্বরণ সিং এমন ইঙ্গিত দেন যে ভারত মহাসাগরে বৃহৎ-শক্তিবর্গের' যুদ্জাহাজগুলি বিনা প্রয়োজনেই ঘোরাফেরা করে। বিগত ১১৭৩ সালের যুদ্ধের সময় মাকিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর পাঠিয়ে ভারতকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। ভারত সাহসের সঙ্গে 2 শত্রতার সম্মুখীন হয়েছিল লক্ষ্যে পৌছবার জন্য ভারতের প্রচেষ্টা অব্যাহত গতিতে এগিয়ে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী শ্রএঞভওআর্ড জি, ছুইটলামের ভারতে চারদ্দিনব্যাপী' সউ্ঁভেচ্ছ1! সফর শেষে ১৯৭৩ সালের ৬ই জুন একটিযুক্ত ইস্তাহাৰ প্রকাশিভ

জাতীয় নিরাপত্তা থড

হয়। ভাতে ভারত অস্ট্রেলিয়া উভয়েই ভারত মহাসাগরে শাস্তির এলাকা স্থাপন করার সংকল্প পুনরায় দুঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে এঁ অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উত্তেজন! প্রশমনের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চালাতেও উভয় পক্ষ সম্মত হন ২৪

কানাডা রওন। হওয়ার আগে বেলগ্রেডে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত মহাসাগরকে শান্তির এলাকা ক'রে তোলার ভারতীয় আবেদনে আঞ্চলিক সমর্থনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হ'লে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেন যে হুইটলাম সম্প্রতি ভারত সফরে এসে এই প্রস্তাব সমর্থন করছেন এবং সেটা একট! উতসাহজনক ঘটনা |২€

তাছাড়া, ভারত মহাসাগর থেকে বৃহৎ-শক্রিগুলির ঘাটি সরিয়ে নেওয়া দাবি রয়েছে সর্বস্তরেই এটা বোঝা আদৌ কষ্টসাধ্য নয় যে ভিয়েতনাম থেকে তার সৈন্তাপসারণ করা সত্বেও ভারত মহসাগরেব্‌ উপকূলবর্তী দেশগুলিতে যে-কোন সংঘর্ষে স্রামবিক হস্তক্ষেপ করার মত স্থষোগ মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের আছে। প্রকৃতপক্ষে, যুদ্ধ-বিদীর্ণ কম্বোডিয়াতে ঠিক এই ঘটনাই ঘটছে ন্যাশনাল হ্রোল্ড-এর সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন কর! হয়েছে যে, “মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় যদি ঢোকে, ভারত মহাসাগরে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তাকে যুদ্ধ করতে হুবে তাহলে অঞ্চলে সে তার নৌবাহিনী পাঠাবে না! তার নিশ্চয়তা কোথায় ?” ছোট দেশগুলির ব্যাপারে বৃহৎ-শক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ আসলে হ'ল বৃহৎ-শক্তি- স্থলভ শ্দ্ধত্যেরই ফল 1৮২৬

১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসের শেধদিকে যখন আরব-ইসবায়েল যুদ্ধ লাগল তখন এতসব যুক্তিগ্রাহ বক্তব্যের তোয়াক্কা না ক'রে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র আবার ১৯৭৩-এ অক্টোবর মাসের শেষদিকে তার টাস্ক ফোর্স নৌবহর পাঠাল ভারত মহাসাগর পারশ্য উপসাগর অঞ্চলে সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সবকণরী মহলে প্রতি- ক্রিয়া! দেখা দ্িল। দিল্লী বিমান বন্দরে ১৯৭৩ সালের ১ল৷ নভেম্বর সাংবাদিক- দের সঙ্গে কথ প্রসঙ্গে পরবার্টমন্ত্রী শ্রীশ্বরণ সিং এই মর্ষে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ভারত মহাসাগরে মাকিন টাস্ক ফোর্স বৃহৎ-শক্তিগুলির মধ্যে প্রতিদন্থিত! স্ট্টি করতে পারে তাঁর মতে, এক বুহৎ্-শক্তির নৌবহরের প্বৃহদাকার দীর্ঘস্থায়ী” উপস্থিতি অগ্য বৃহৎ-শক্তিগুপির নৌবহ্রগুলিকে ডেকে আনবেই। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে টাস্ক ফোস-এর গতিবিধির যৌক্তিকতা প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারীভাবে যে বিবৃতিটি দিয়েছে

ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

সেটির খুঁটিনাটি সরকার পরীক্ষা ক'রে দেখছেন তিনি সঙ্গে একখাও যোগ করেন, “এটা বোঝা আমাদের পক্ষে সহজ নয়, মাকিনীদের সামনে কি ধরনের কাজ রয়েছে 'যাতে তথাকথিত টাস্ক ফোর্স গঠন করাকে তার! প্রয়োজন ব'লে মনে করেছে।” আমরা মোটেই বুঝতে পারছি না, আমেরিকানদের সামনে এমন কি টাঙ্ক (করণীয় কাজ) রয়েছে, যার জন্য সে টাম্ক ফোস”গঠনের প্রয়োজনীয়তা অঙ্থভব করছে

মাকিন সিদ্ধান্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে সংশ্টিষ্ট অঞ্চলে তার নৌবহরেন্ব ভূমিকার পুনর্মল্যায়ন করতে নৈতিকভাবেই বাধ্য করল। বিশ্বজোড়া অন্যান্ বিষয়ের কথ। নাদ দিলেও মস্কো দেখল ভারত মহানাগরে মাকিন রণতরীগুলি নিয়ে আসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তার নিরাপত্তার প্রশ্ন, কারণ এর ফলে মাকিন রণতবীগ্রলি সোভিয়েতের দক্ষিণাঞ্চলের আরও কাছাকাছি এসে পড়বে অন্যদিকে, কুটনৈতিক মহল মনে করলেন ঘে ১৯৭৩-এর নভেম্বর মাসের শেষা- শেষি সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পাটির নেতা লিওনিদ প্রেজনেভের ভারত সফরের সঙ্গে মাকিন তৎপর সময়টির রয়েছে কোন যোগস্থন্্র আশ্চর্যের বিষয় গুল, কমিউনিস্ট চানও ন।কি এই সষ্রকে তেমন ভাল চোখে দেখেনি কিছুদিন আগে মাফিন রাষ্ট্রসচিব ডঃ হেনরি কিসিংগার যখন চীন লকরে গিয়েহিলেন তখন কিজ্্ব ভারত কোনরকম আশঙ্কা প্রকাশ করেনি

পারন্য ভপসাগরীন হাজনী তি ভুত

১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর পক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারতের ভোৌগোলিক- রাজনৈতিক ভূমিকার প্রতি ছুডে দেওয়। হয়েছে এক নতুন চ্যালেঞ্ ভারত মহাসাগরের উপর মোড়লি লাভের জন্য বৃহৎ-শক্তিবর্গের প্রতিদ্বন্দ্িতা থেকে রণনীতিপ্ন দিক দিয়ে গুক্ত্বপূর্ণ এই 'এলাকার শান্তি তো বিপন্ন হচ্ছেই, তৰে শান্তি তার চেয়ে বেশ] বিপন্ন হচ্ছে উচ্চাহিলাষী শ্বত্র শক্তি ইরানের কাছ থেকে খে এখন পারস্য উপপাগর তার সংলগ্র সমুদ্রাঞ্চলে শান্তিরক্ষা গুরু দাঁয়ত্ব নিজের কাধে তুলে নেওয়াএ জন্য উদগ্রীব ।১৭ বিদেশ থেকে কেন! তিন বিলিয়ন ভলারের ননন্ত্রশস্ত্রের একটা অংশ এই তৈলসমৃদ্ধ দেশটি ব্যবহার করতে চলেছে এহ ছোট্ট দেশটির এই ধরনের হ্ঠকারী আযাভভেথ্চার সম্পর্কে ভারতকে সদাসতক থাকতে হনে। নিজে দেশের সাধারণ মান্ধধষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চেষ্টা করার বদলে শাহ্‌ ভারত মহাসাগরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অনিশ্চিত ছ্ুয়াখেলার় তেল বিক্রির মূল্যবান অর্থ ব্যয় করছেন শক্তিশালী

জাতীয় নিরাপত্তা ৰ্ও

পশ্চিম এশীয় শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার ম্বপ্পে মশগুল হয়ে ইরা হরমুজ প্রণালীর দুইপারে চাহ বহর বন্দর আব্বাস-এ ঘটি বিরাট সামরিক ঘাঁটিও তৈরি করছে। তার উদ্দে্ঠ হ'ল ভারত মহাসাগরগামী তেল চলা- চলের পথের ওপর করতৃত্ব করা এটা ঠিক যে ভারত ইরানের মধ্যে কোন প্রত্যক্ষ স্বার্থের সংঘাত নেই, কিন্তু তা সত্বেও পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভিন্ন মনোভাবের ফলেই ₹্টি দেশ নিয়েছে ভিন্ন গতিপথ

ভারত মহাসাগরে তার দেশের সামরিক ক্ষমতাকে ছোটখাট বৃহৎ-শক্তির পর্যায়ে উন্নীত করার যে আহ্বান শাহ জানিয়েছেন তা ইরানকে পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি নিযে এসেছে, যাতে করে ইরানের অস্ত্রশস্ত্র পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোন সংঘর্ষে বাবহার করতে পাবে 1 এই প্রচেষ্টায় মাকিন সামরিক-শিল্প জোটের পূর্ণ আশীর্বাদ তার সঙ্গে বয়েছে। এর থেকে স্পটই এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে অঞ্চলে ক্রযবর্ধমান বিপদাশঙ্কাপূর্ণ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবার ব্যাপারে ভারতের যে কোন ভূমিকা আছে এম ধারণা তাদের কাছে রুচিকর নয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে পর্যালোচন1 করলে দেখা যাবে, প্রেসিডেপ্ট নিঝৰ কংগ্রেসে তার মে দিবসের ভাষণে সম্প্রতি উপমহাদেশে শক্তিশালী ক্ষমতা হিসাবে ভারতের আত্মপ্রকাশ সম্পরকে যেসব তোষামোদী উক্তি করেছেন সেগুলি এশিয়ার সমণ্যাবলীর প্রতি তার বিভক্ত দষ্টিভঙ্গী গোপন করেনি। কেবলমাত্র ভারত-সাভিয়েত যৌথ প্রয়াসই মাকিন শ'সকচকের প্রতারণা- যূলক ভাবভক্গীর যোগ্য প্রত্যুত্তর হতে পানে

শারল্য উপসাগরে ভারতের “প। রাখার” “কান ইচ্ছা নেই

সাম্প্রতিক কালে ইরানের পচারে ভারতকে পারস্য উপসাগরের উপকূলবর্তী তৈলবাহী দেশগুলিতে সোভিয়েত অন্তপ্রবেশের ঘন্ত্ররূপে দেখানো হয়েছে। পার্য উপমাগরে ঘটি করার চেষ্টার যে অভিযোগ ভারতে ঘাড়ে চাপানো হয়, ভারত সে সম্পর্কে তার বক্তব্য ধার বার ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছে এই বিষয়ে মাকিন সংবাদপত্রগুলিতে ক্রমাগত যেসব রিপোর্ট প্রকাশিত হতে থাকে সেগুলিকে একাধিকবার ভিত্তিহীন, উদ্দেখযূলক অপপ্রচারযূলক বলে ঘোষণ! করা হয়েছে নিউইয়ক টাইম্স-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয় যে ভারত অঞ্চলে সামরিক তোড়জোড় বাড়িয়ে তোলার জন্য পাকিস্তানের সন্ত প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে নয়াদিল্লীর সরকারী মহল থেকে ১৯৭৩ সালের ৭ই জুলাই সম্পর্কে মন্তব্য কর! হয় যে, পারশ্য.উপসাগর বা!

৭৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

পশ্চিম এশিয়ায় ভারত খাটি করার চেষ্টা করছে-_এই পুরে! ধারণাটাই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মাকিন সংবাদপত্রগুলির রিপোর্টে এমন ইঙ্গিত করা হয়েছে, বিশ্বের অঞ্চলটিতে ভারতের কোন ধরনের অপ্রকাশিত সামরিক আতাত আছে। কিন্তু আসল তথ্য হ'ল, ইরাক ভারতের মধ্যে কোনকালেই কোন গোপন বোঝাপড়া ছিল ন। আর এখনও নেই, আর নেই কোন প্রতিদ্বন্দিতাও সরকারী মহল থেকে এই মর্মে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় ।২৮

বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ভারত বিভিন্ন সময়ে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে অস্ত্রভাগ্ডার গড়ে ওঠ! সম্পর্কে তার শঙ্কা প্রকাশ করেছে কিন্তু সেই সঙ্গে ভারত এই আশাও প্রকাশ করেছে যে অঞ্চলের দেশগুলিতে শাস্তি বিদ্রিত হবে না এবং পারস্য উপসাগর, আরব সাগর সমেত সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে শান্তির এলাক। রূপে থাকতে দেওয়া হবে-_যা ইতিমধ্যেই এই পরিচ্ছেদে আলোচন1 কর হয়েছে ভারত এই অঞ্চলে কোন রকমের শক্তি হিসেবে আসম্মপ্রকাশ করার উচ্চাশা পোষণ করে না।

ওমান ইরাকে ভারতের উপস্থিতির বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রক।শিত রিপোর্ট- গুলির “প্রমাণ” সম্পর্কে ভারত তার মতামত পরিফারভাবে ব্যাখ্যা করেছে। বাগ.বিতগ্ডার শুরু থেকেই সরকারী স্থত্রে বলণ হয়েছে যে বন্মভাবাপন্ন দেশগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া তাদের সঙ্গে ব্যবহারিক জ্ঞান বিনিময় সম্পর্কে ভারতের সহযোগিতার বিষয়টি গোপন করার কোন চেষ্টা কখনও করা ভয়নি। এটা হ'ল অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্তে অভিজ্ঞতা ব্যবহারিক জ্ঞান বিনিময় সংক্রান্ত ভারুতীর নীতির একটা অংশ।

ভারতীয় প্রশিক্ষকর1 ইরাকী বিমানচালকদের মিগ. যুদ্ধবিমান চালনা শেখাচ্ছেন বলে মাকিন সংবাদপত্রগুলিতে প্রকাশিত রিপোর্টের উল্লেখ ক'রে সরকারী সুত্রে বলা হয ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি ছোট দল বিগত ১৪ বছর ধরে ইরাকে রয়েছে এবৎ সেটির সেখানে থাকার বিষয়টি নতুন কিছু নয় এবং সে বিষয়ে কোন গোপনীয়তাও নেই। অধুন। এই দলটির শক্তি কমিয়ে আনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা দরকার যে কয়েকটি বন্ধুভাবাপন্ত্র দেশের ( যারা তাদের রক্ষী অফিসারদের এখানে শিক্ষা দিতে চায়) শিক্ষার্থীরাও ভারতে এসে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এই ধরনের সহষেগিতায় গোপনীয় ব্যাপার কিছু নেই! ব্রিটেন মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সমেত অন্যান্য দেশে ভারতীয় সামরিক কর্মচারীরাও শিক্ষা গ্রহণ করতে যায়।২৯ ওমানে ভারতের

জাতীয় নিরাপত্তা! খ্৫

*“উপস্থিতি”গ্র অভিযোগ সম্পর্কে সরকারী সুত্রে বলা হয়, এঁ দেশটির সঙ্গে ভারতের এতিহগত, বাণিজ্যিক সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে, এবং বেশ কিছুকাল ধরেই ভারতীয় ডাক্তার, এঞ্রিনিয়ার কলাকুশলীর। সেখানে কাজ করছেন সরকারী স্থত্র ব্যাখ্যা ক'রে বলেন, সেখানে যে স্বল্পসংখ্যক সামরিক কর্মচারী আছেন, যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদের কিছুই করবার নেই ।৩০

একই ভাবে, ইরাকের সাথে ভারতের অর্থ নৈতিক, বৈজ্ঞানিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে হুসম্পর্ক রয়েছে সম্প্রতি ইরাকের কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার এক চুক্তি হয়েছে এবং সবরকম অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ছে। বিগত ১৯৭৩ সালে দুটি দেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক সাংস্কৃতিক চুক্তি সম্পাদন করেছে তাহলে, ভারত ইরাকের মধ্যেকার ব্যাপক সহযোগিতার একটি অংশকে আলাদা করে ভুজু হিসাবে দেখানোর যুক্তি কোথায়?

১। চীনের পররাষ্ট্মন্ত্রী চি পেঙ্‌ ফি তার সাম্প্রতিক বিশ্বসফরে চীনের মধ্যপ্রাচ্যনীতির আমূল পরিবর্তনের যথেষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি শুধু সেণ্টোর পুনরুজ্জীবনকেই আশীর্বাদ জানাননি ইরানের নতুন রূণসজ্জাকেড প্রশংসা করেছেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন সমথিত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী ইয়েমেনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওমান আরব উপসাগরের পপুলার মুক্তি ফ্রুট এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্ান্ত বামপন্থীদের যে পিকিং অস্ত্রশস্ত্র সরবরাভ বন্ধ করেছে সে রকম সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে চীনের সম্প্রসারণবাদী উচ্চাশার জন্যই পিকিংয়ের মাকিন সামরিক-শিল্প সমাহারের লেঙ্জুড়বৃত্তি করা, আরব গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সেণ্টোর সঙ্গে একান্ত হয়ে যাঁওয়া ছিল অবশ্বাস্ত(বী। হ্ৃতপাং আরব গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক শক্তিগুলি কুর্দের মোল্লা বরজান্নির বদলে ইরানের শাহ্‌, কিছু খুদে শেখ আর ভুট্টোই হলেন চীনের নতুন রাজনৈতিক প্রতিরক্ষার রণনীতির ভরসা ভবিষ্যতে এরা চীনের পুরো মদত পাবেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে শত্রুতা যতদূর সম্ভব বিস্তৃত করার জন্যে চীনের কর্ণধারদের একনিষ্ঠ মাকিন সমর্থক এবং দোসরের ভূমিকা নিতে হবেই এবং এতদিন পর্যস্ত পশ্চিম এশিয়ায় মাকিন পাশবিকতা বলে যা-কিছুকে সে ভতপনা ক'রে এসেছে সে সবকিছুই তাকে গলাধঃকরণ করতে হবে। (বিস্তৃত,

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি বিবরণের জন্য নয়াদিল্লীর সানডে ্ট্যাপ্ডার্ড, পৃঃ ৭, কলম ১-২ দ্রষ্টব্য | ) এটা! কি বেদনাদায়ক নয় যে, পারশ্য উপসাগরীয় অস্তান্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির নৈপ্লবিক আন্দোলন রাতারাতি চীনের কাছে অস্পৃশ্য হয়ে গেল। আরব গেরিলার তাদের নাশকতাযূলক কাজকর্মের জন্য নিন্দিত হচ্ছে এবং পিকিং ভ্রমণের জন্য ভাদের যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে চীনের আকম্মিক মত-পরিবর্তনের সংবাদ লগ্ডন টাইম্‌স 'এবৎ ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর পিকিংস্থ সংবাদদাতাদের দ্বারা প্রেরিত এবং ২রা অগস্ট ১৯৭৩-এ প্রকাশিত রিপোর্টে এটা যতট। ভালভাৰে প্রতিফলিত হয়েছে মার কোথাও তা হয়নি লগ্ন টাইম্স-এর রিপোর্ট অন্রসারে, চীনারা যনে করেন যে ইরান সোভিয়েত পরিকল্পনাকে প্রতিভত করতে সাহায্য করছে এবং মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ইরানের শাহ্‌ যে মনোভাব ব্যক্ত করেছেন চীনারা তাতে খুশী হয়েছেন। ন্ন্যদিকে ডেইলি টেলিগ্রাফের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চীনে মতে এশিয়ায় বিশি শক্তি হিসেবে পাকিস্তানকে খতম করার চেষ্টায় ভারতীয়রা আপাত দৃষ্টিতে মস্কোকে সমর্থন করছে | যে-কোন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক অতি সহজেই লক্ষ্য করতে পারবেন যে, এটা ভারতের বিরুদ্ধে নিছক অপপ্রচার মাত্র * লগ্ন ইনস্টিট্রাট অব. স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর দেওয়া তথা অন্সারে, 'মস্কো এবং এশিয়ার অধিকাংশ জায়গায় পৌছবার মত" পারমাণবিক শক্তিচালিত রকেটে উন্নতি ঘটাতে চীন সক্ষম হয়েছে এই সংস্থার ১৯৭৩ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত *১৯৭৩-৭৪-এ শির ভারসাম্য” শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে নতুন চীনা রকেটের পাল্লা হ'ল ৫৬০* কিলোমিটার এই নতুন রকেটটি নাকি আরও বেশী দূরপাল্লার বন্ুস্তরবিশিষ্ট মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (বিস্তৃত বিবরণের জন্য নয়াদিল্লী থেকে প্রকাশিত ৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৩-এর টাইম্‌স অব. ইও্য়াঃ পৃঃ ১, কলম ২-৪ দ্রষ্টব্য |) .২। ব্রিজ (বোম্বাই), »ই জুন, ১৯৭৩, পৃঃ ১০, স্তত্ত ২। ৩। সম্বন্ধে আরো জানবার জন্য বিজয়টাদ জৈনের লেখা “চীনের বৃহৎ

জাতীয় নিরাপত্তা ৭৭

জাতিস্থলভ দস্ত' ( নয়াদিস্ী, এশিপ। স্টাভি সার্কেল, ১৯৭১ ), পৃঃ ৩-৩৬ দেখুন

উত্তর আমেরিকায় কিছু স্বাধীন মতাবলম্বী পাকিস্তানী “দি পাকিস্তান জান্নাল অব. নিউ ইয়র্ক নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করে থাকেন। এই পত্রিকা সম্প্রতি জানিয়েছে, “ভারতীয় শিবিরগুলিতে যত যুদ্ধধন্দী আছে পাক-জেলখানাগ্ুলিতে আছে তত রাজনৈতিক বন্দী ।” পত্রিকাটির সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সংখ্যার সম্পাদকীরতে মন্তব্য কৰা হয়েছে যে, ভুট্টোর সরকারের অতিশ্বল্প শাসনকালে দেশে রাজনৈতিক দমননীতির এক অপ্রতিহত শাসন চলছে 1” সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, “কুখ্যাত সামরিক শাসনকালের চেয়েও অনেক বেশা রাজনৈতিক বন্দী-_-কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, রাজনৈতিক প্রতিঘন্্বী পাক-জেলখানাগুলিতে পচছেন।” পত্রিকাটি নিজেই প্রশ্ন রেখেছেন, “এছ ব্রাজনৈতিক দমননীতির বহ্রটা কিরকম?” এবং পত্রিক।টি যে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান বহরের এবং পাক জাতীয় ব্যাঙ্কের পুরো পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল, সে জবাব দিচ্ছে “রাজনৈতিক ভীতি যেখানে ক্ুমশঃ বাড়ছে এবং পংবাদ প্রকাশের মাধ্যমগ্লি হয়" নিয়ন্ত্রিত অথবা ভয়ঙ্করভাবে খণ্ডিত সে পাজত্বে এই প্রশ্নের উত্তপ পাওয়া সহ্জ নয়।” পত্রিকাটির মতে “কার।গারে নিক্ষিপ্, ধৃত, বে-কে।নও ভাবে অভিযুক্ত অথবা কোন-না-কোন ভাবে নাকাল হওয়া লোকের সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌছে গেছে ।”

মাকিন "নিউজ উইক” পত্রিকা “ভুট্টোর পাজত্বে' শীর্ষক একটি সাক্ষাৎকার ধরনের রচনায় ভুট্টো! তার দেশের যে ছবি একেছেন তা মোটেই হন্দর নয়। “ভুট্টো পূর্ণ ক্ষমতার জন্ত আকুল, কোন রকম বিরোধিতা বা সমালোচনা সন্থ করতে তিনি নারাজ। সাংবাদিকদের গ্রেফতার ক'রে, সরকারের সমালোচনামুলক লেখা ছাপার জগ্ত সম্পাদকদের বিরুদ্ধে আদালতে সাজানো মামল! দায়ের ক'রে সংবাদপত্রগুলিকে সন্ত্রস্ত ক'রে তোলা হয়েছে কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সঙ্গে শ্রীভুট্টো! যে ব্যবহার করেছেন তার তুলনায় তো এসব ছেলেখেলা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যখনই প্রকাশ্য জনসভা করার চেষ্টা করেছে, বার বার সেগুন

৬।

|

|

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

রাজনৈতিক গুগ্ডার। বন্দুক, স্টীলের রড আর ভাগ্ডা হাতে ভেঙ্গে দিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত মার্শাল আসগর খানের বিরুদ্ধে সরকারী ক্ষমতা যেরকম অবিশ্রান্তভাবে ব্যবহার কর! হয়েছে আর কোন ক্ষেত্রে সেরকমটি ঘটেনি তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়! হয়েছে, তার জমি বাজেয়াপ্ত ক'রে পরিবার আত্মীয়-স্বজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ।”

কে. পি. এস. মেনন, “চীন-ভারত সম্পর্ক” £ একটি বিঙ্লেবখ, মাদার- ল্যাগ্ড (নয়াদ্দিললী ), জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ৫, কলম ৮।

দি স্টেটস্ম্যান ( নয়াদিভ্ী ), ২০ জুন ১৯৭৩, পৃঃ কলম ৭-৮।

এী।

আরও বিশদ বিবরণের জন্য “চায়না আসেস্মেন্ট»* নিউজ রিভিউ অন চায়না, মঙ্গে।লিয়া আযাণ্ড কোরিয়াস (নয়াদিল্লী, ইনস্টিট্যুট অৰ্‌. ডিফেন্স, স্টাডিঞ্জ আগ আযানালিসিসা, জুন ১৯৭৩, পৃঃ ২৬৮ দ্রষ্টব্য ডিফেন্স ইনষ্টিট্যুট তথ্য প্রকাশ করেছেন যে, কলহ শুরু হওয়ার জাগে সোভিয়েত ইউনিষন চীনকে যে দুটি বিমান দিয়েছিল সে দুইটির অন্থকরণে চীন টিইউ-১৬এর এক পরিবতিত সংস্করণ তৈরি, করছে। গড়ে মাসে পাঁচটি ক'রে এই বিমানের উৎপাদন সম্ভবতঃ সেনইয়াঙ রাজ্যবিমান কারখানায় ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি কোন এক সময় শুরু হয়। (এ, পৃঃ ২৬৯)

শোন।গেছে যে চীন প্রশান্ত ভারত মহাসাগরে সোভিয়েতের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাবার জন্য তার নৌশক্তিকে বিরাট ভাৰে বাড়াবাঞ্ণ পরিকল্পনা নিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বে চীনের এই পাল্লা দেওয়ার প্রচেষ্টাকে গোপন মদত যোগাচ্ছে মাকিন যুক্তরাষ্ট্ী। ইনক্রিট্যুট অব. ডিফেন্স স্টাডিজ আ্যাণ্ড আনালিসিস তাদের তৃতীয় বাষিক পর্যালোচনা 'ইনডিয়াইন ওআল্ল্ড স্ট্র্যাটেজিক এনভিরনমেপ্ট*- এই মুল্যায়ন করেছেন

এই মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ১৯৭*-এর মে মাসে চীনের জ্াহাজস্তলে। আন্দামানের কাছে প্রথম দেখা যাওয়ার পর থেকে মাঝে মাঝে ভারত মহাসাগরে চীনের নৌ-তংপরতার খবর পাওয়া ষাচ্ছে। ইনস্রিট্যুটের জনৈক বিশ্লেষকের মতে ভারত মহাসাগরে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করার মত যথেই পরিমাণে নৌশক্তি বর্তমানে চীনের

জাতীয় নিরাপত্তা খ৯

নেই। হৃতরাং কয়েক বছরের জলন্ত এর প্রভাব হবে নেহাতই : প্রতীকী ধরনের তবে চীনের ভাবগতিক দেখে মনে হল্প, জোট- নিরপেক্ষ আফ্রো-এশীয় দেশগুলির মধ্যে নিজের প্রভাব আরও বিস্তৃত করতে সে বদ্ধপরিকণ্ণ

রিপোর্টে বল হয়েছে, চীনানেতৃত্ব তাদের নৌশক্তির দুর্বলতার বিষয়টি উপলদ্ধি ক'রে সম্ভবতঃ নৌশক্তি গড়ে তোলা তার আধুনিকীকরণের কর্মস্থচী নিয়েছেন | স্পষ্টতঃই নৌশক্তি গড়ে তোলার কর্মক্চীর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে চীনার! গত কয়েক বছর ধরে তাদের জাহাজনির্যাণ-শিল্পের ভত্ত্ররনের ওপর জোর দিয়েছে। এভিয়েশন উইক পত্রিকায় ১৯৭* সালের ২৪শে অগস্ট প্রকাশিত একটি রিপোর্ট উদ্ধত ক'রে তারা বলেছেন, চীন সম্ভবতঃ একটি আনর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরীক্ষা চালাবে যা! ভারতের ওপর দিয়ে গিয়ে ভারত মহাসাগরের আফ্রিকার উপকূলবর্তী জাগ্রিবার দ্বীপের কাছে গিয়ে পড়বে

পরবতী এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীন ভারত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে তার প্রথম আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার উদ্দেশ্ঠে কয়েকটি নিরীক্ষণ ঘাটি বসাবার অন্থমতি চেয়েছে পূর্ব-আফ্রিকার দেশগুলির কাছে

রিপোর্টে বল। হয়েছে, চীন ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌশক্তিব্র উপস্থিতিকে নিন্দা করে চলেছে সে সোভিয়েত ইউনিয়নকে গানবোট কৃটনীতির মাধ্যমে “হ্থয়েজ থেকে ব্লাডিভন্টক পর্যন্ত সামুদ্রিক প্রাধান্য স্যঙি করে চীনকে ঘিরে ফেলার সাম্রাজ্যবাদী প্রচেষ্টাব্র অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে ।” তার আরও অভিযোগ হ'ল, ভারতের প্রতি সোভিয়েত সাহায্য “চীনকে ঘিরে ফেলে ভারত মহাসাগরে জারদের স্বপ্ন সার্থক ক'রে তোলার” ইচ্ছা-প্রণোদিত। চীন বলছে, চীন-সোভিয়েত প্রতিদ্বন্দিতা শত্রুতা তাদের উত্তেজনাপূর্ণ সংলগ্ন সীমান্ত থেকে বহুদূরে অনেক জায়গাতেই প্রধান বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে

দক্ষিণ ইয়েমেন, তানজানিয়। এবং পাকিস্তানে এই প্রতিদ্ন্দিতা অতি তীব্র এবং তা ক্রমশঃ সোমালিয়া সিংহলে ছড়িয়ে পড়ছে রিপোর্টে ৰ্লা হয়েছে, অধিকাংশ আরব দেশগুলিতে অবশ্য সোভিয়েত

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি ইউনিয়ন প্রঙাবশালী ; কিন্ত অগ্ভর্দিকে পাকিস্তান, তানজানিয়! এবং নেপালে চীনের প্রভাব কিছুটা বেশী রিপোর্টে আরও বল! হয়েছে, চীনারা ভারত মহাসাগরের আশপাশের দেশগুলিকে নিজের দিকে টানবার জন্য বহুমুখী প্রচেষ্টা শুরু করেছে। | ইনডিয়া৷ ইন ওআল্ড স্ট্রাটেজিক এনভিরনমেন্ট-_আ্যাুয়াল রিভিউ ( নয়াছিন্বী, ইনিট্যুট অব্‌ ডিফেন্ম স্টাডিজ আযাও আ্যানাঁলিসিন ), এপ্রিল ১৯৭৩, ভল্যুম ২, পৃঃ ৭২১-২৩। আরও বিশদ বিবরণের জন্ত দেবেন্দ্র কৌশিক-এর দি ইনডিয়ান ওশান-- টোআর্ডস পিস জোন ( নয়াদিল্লী, বিকাশ পাবলিকেশন্স্‌, ১৯৭৩ ), পৃঃ ৫৬-৭২ দেখুন | ] ৯। ব্রিজ (বোম্বাই ), ৯ই জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১০, পঞ্চম কলম। ১০। কানাডার ওটোয়ায় ১৯৭৩-এর ২৪শে জুন তারিখে এক টেলিভিশন শ্বোত্তর অনুষ্ঠানে শ্রীমতী গান্ধীর মন্তব্য (দি হিন্দুস্তান টাইম্‌স ( নয়াদিল্রী ), ২৫শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭,

কলম ।) ১১। পের্রিয়ট ( নগ্ািল্লী ), ৪ঠ1 জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৪, ৮ম কলম ১২। এ।

১৩। আরও বিশদ তথ্যের জন্য দেত্রেন্্র কৌশিক-এএ দি ইশডিয়াণ ওশ|ন-__টোআর্ডস্‌ পিস জোন ( বিকাশ পাবলিকেশন্স, ১৯৭২ ), পৃঃ ৩০-৪৫।

১৪। ইনাডয়! ইন ওআল্ড স্ট্রাটেজিক এনভিরনমেণ্ট-_আ্যাহুয়াল রিভিউ, (নয়াদিলী, ইনডিয়ান ইনষ্িট্যুট অব. ডিফেন্স স্টাডিজ আ্যাণ্ড আ্যানালিসিস ), এপ্রিল ১৯৭৩, ভল্যুম ২, পৃঃ ৬৭৩ |

১৫। এ, পৃঃ ৬৮৫, ১ম কলম

১৬। এ।

১৭। এ।

১৮1 এ, পৃঃ ৬৭৭, ১ম-২য় কলম।

১৯। এ, পৃঃ ৬৮১১ ২য় কলম।

২৯1 এ, পৃঃ ৬৯০-৯১

২১। আরও বিশদ তথ্যের জন্ত কে. হুত্রামনিয়মএর গদি ওশনিক ব্যালাক্ছ

আতীয় নিরাপত্া ৮৯

অব. পাওয়ার”, দি মাদাএল্যাণ্ড ( নয়াদিজ্া ), ২৯শৈ অগস্ট ১৯৭৩, পৃঃ ৫, ৩য়-৬ষ্ঠ কলম।

২২। দি হত।নং নিউজ £ 'হন্ুস্তান টাইম্স্‌ ( নয়াদিল্লী ), রা! ষে ১৯৭২, পৃ ৩, ১ম কলম।

২৩। এ, ১ম-ওয় কপম |

২৪| এ, ৬ই জুন ১৯৭০ পৃঃ ১, ১ম-ওয় কলম

২৫। পোট্রিয়ট ( নয়াপিল্লী ), ১৩ই গুন ১৯৭২, পৃঃ ১, ২য় কলঙ।

২১। ন্যাশনাল হেরান্ড ( নয়াদিল্লা ), ১৩ই মে ১৯৭৩ |

*্* ইভনিং ।নউজ : হিন্দুস্তান ট|ইম্স্‌ £ পয়াদিলী ), ১লা নতেম্বর

১৯৭ -5 পৃঃ ১১ ২য়-৪থ কলম

২;| শাহ্‌ দ্রাবি করেন তেশ উৎপাদন পশ্চিম গোপার্ধে তা পৌছে দেওয়ার জন্যহ বিপুল সামরিক ক্রিয়াকাণ্ডের প্রয়োজন কিন্তু একথা নিশ্চিতভাবেই বলা চলে দুবল অস্তুশস্থ্ে সঙ্িত মারব গেরিলাণা ছাড়। আর কারুর কাছ থেকেই বঙওমানে বা সুদুর ভবিষাতে ব্যাপাপে ভয় পান্য়ার কোন কারণ আছে এই তেল চলাচলে বাধার স্ঞ£ অথ হবে মার একটি বিশ্বযুদ্ধ

তাছাড়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেই বিপুল পরিমাণ প্রাকুতক গ্যাস সরবপাহ করার জন্য আমেখিকার সঙ্গে এক চৃক্তি করেছে এই অনন্ছায় ইরানের তেল সরবরাহ সম্পর্কে কোন রকম আশঙ্কার কথা নেহাতই হাগ্যকর |

২৮1 সানডে স্ট্যাগ্ডার্ড (নয়ারদিলী ) জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ এ, ১৭ কলমে উদ্ধৃত সপনকারী মন্তব্য :

২৯।

৬০ |

চতুর্থ পরিচ্ছেদ জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য

মস্ট্রেলিয়ান ব্রডকান্টিং কমিশন বেলগ্রেড টেলিভিশনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে শ্রীমতী গান্ধী সঠিকভাবেই বলেছেন যে ভারত-সোভিয্নেত চুক্তি *্পূর্ব বা পশ্চিমের কোন দেশের সঙ্গেই ভারতের বন্ধুত্বের পথে বাধ! নয়।”১ এট! অনস্বীকার্য যে এই চুক্তি ভারত সোভিয়েতের মধ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশী ্দুঢ বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে, সেইসঙ্গে এটাও মনে রাখা উচিত যে ছুটি দেশই তাদের পরস্পরের সার্বভৌমত্বের প্রতি আগের মতই শ্রদ্ধাশীল একের বন্ধু বা শত্রুর সঙ্গে অপরের ভিন্ন সম্পর্ক থাকতে কোন বাধা নেই।

গত ১৯৫৫ সালে দু'দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সফর বিনিময়ের পর থেকে, সোভিয়েত ইউনিয়নও ভারতের জোট-নিরপেক্ষতার নীতিকে প্রশংসার চোখেই দেখে আসছে বছর সোভিয়েত নেতাদেখ ভারত সফরের পরেই সোভিয়েত * প্রতিনিধিদলের প্রধান স্থপ্রিম সোভিয়েতকে জানান যে ভারত হ'ল এক জোট-নিরপেক্ষ দেশ এবং “আমাদের অন্যান্য দেশের কাছ থেকে সে বিশ্বাস সন্মান পাবার যোগ্য '” তিনি আরও বলেন £ “আমরা এবং আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা উভয়েই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এমনভাবে উন্নত শক্তিশালী করতে চাই যাতে অন্যান্য দেশের সাথে ভারত €সাভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কোন পরিবর্তন না হয় 1৮২

একই ভাবে, বনুসময় ব্রেজনেভ এবং কোসিগিন উভয়েই জোট-নিরূপেক্ষ নীতির প্রতি তাদের নীরৰ সমর্থন জানিয়েছেন মক্কোয় ১৯৬৯ সালের ১৭ই সেপ্টেগ্বর প্রচারিত এক যুক্ত ইস্তাহারে দুই সোভিয়েত নেতা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষ্বয়ে হস্তক্ষেপ ন1। করার নীতি মেনে নেন।৩ বাষ্ট্রপতি ভি, ভি. গিরির সম্মানে প্রদত্ত এক মধ্যাহ্কভাজে, ১৯৭ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সোভিয়েত রাষ্ট্রপতি শ্রীনিকোলাই পোদগনি ভারত সরকারের জোট-নিরপেক্ষ নীতির প্রশংসা করেন |?

এমনকি মৈত্রীচুক্তির ৪নং অন্থচ্ছেদে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশেষভাবে গারতের জোট-নিরপেক্ষতার নীতিকে সুস্পষ্টভাবে মেনে নিয়ে পুনরায় দৃঢ়তার

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৮৩

সঙ্গে একথ। বলে যে, বিশ্বশান্তি আন্তর্জাতিক নিরাপত্ত বজায় রাখ! বিশ্বে উত্ভেজন! গ্রশমনের পক্ষে এই নীতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।৫ চীনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্ট। ভারত-সোভিয়েত মৈত্রীচুক্তিটিকে চীনের সাথে (এমনকি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও )১ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে বাধাস্বৰপ বলে মনে করা তুল হবে। মৈত্রীচুক্তি সম্পর্কে চীনের মন্তব্য থেকে এমন ধারণাই জন্মায় যে চীনা নেতারাও মনে করেন, ভারতের স্বাধীন বৈদেশিকনীতি চুক্তিটির দারা চুর হয়নি চৌ-এন-লাই বিশিষ্ট মাকিন সংবাদদাতা জেম্ন বেস্টনের কাছে র্কে যা বলেছেন ত৷ ন্মরণযোগ্য চীন! প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ব'লে ববেন্টন য। উদ্ধৃত করেছেন তার মর্মার্থ হ'ল--চুক্তিটি চীনের বিরুদ্ধে করা হয়নি সময়ে চীন! প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে শ্রীমতী গান্ধীর মন্তব্যও ছিল অনুকূল ্বতস্ফুর্ত | ভিনি বলেন, “এটি হ'ল সামনের দিকে একটি ছোট পদক্ষেপ ।” ভিনি চৌ-এন-লাইকেও পত্র লিখেছিলেন তিনি যে তাঁকে তৎকালীন পাক-প্রেসিডেন্ট ইরাহিরা খান-এর পিছনে চীনের সমর্থনকে নিষ্ক্রিয় করার অতিপ্রায়েই চৌকে পত্র লিখেছিলেন এই তথ্যটি প্রশ্নাতীত ভাবেই প্রমাণ যে ভারত-সোভিয়েত চুক্তি সত্বেও চীনের সঙ্গে আচরণে ভারত তা স্বাতন্ত্য অক্ষুপ্নই রেখেছে তাছাড়া, সীমান্ত বিরোধ থাকা সত্বেও, পরম্পরের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন হওয়।র য়েকটি বাস্তব কারণও দু'দেশের রয়েছে সেগুলির মধ্যে প্রথম এবং প্রধান মুল, পশ্চিমী সাআাজ্যবাদীদের হাতে ভারত চীন সমানভাবেই নিপীডিত যছে। একমাক্জ পার্থক্য হ'ল, ভারত যখন একটি মাত্র শক্তির দ্বারা শোষিত হয়েছিল তখন চীনে চলেছিল পশ্চিমী শক্তিগোর্ঠীর নির্মম যৌথ শোষণ | নকে তারা পরিণত করেছিল সান-ইয়াৎ-সেন বণিত এক “জঘন্ততম উপনিবেশে”” | ভারত চীন উভয়েই পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদের নোংরামির বিরুদ্ধে নিন্দা করার ব্যাপারে একমত এটাও ন্মরণযোগ্য- পরবর্তী কালে ইন্্-জাপান ঘাতাতের সাহায্যে শক্তিশ্বালী হ'য়ে জাপান যখন সাম্রাজ্যবাদের পথে পা ধাড়িয়ে চীনের সার্বভোমত্ব আঞ্চলিক অখগুতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে শুরু রছিল, ভারত অতি দ্রুত তার প্রতিবাদ করেছিল 1 এটা এশিয়ার ইতিহাদের কান নিরপেক্ষ, পর্যবেক্ষকেরই দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে না যে, রবীন্দ্রনাথ [কুর, যিনি জাপানকে অতি ঘনিষ্ঠভাবে ভালবাসতেন, তিনিও অত্যন্ত কঠোর-

৮৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ভাবে জাপানকে নিন্দা করেছিলেন। জাপানের শোভন সংস্কৃতির প্রাটীনত্বেক প্রতি তার আবেগপূর্ণ হুর্বলতা সত্বেও তিনি মন্তব্য করেন £

জাপান দেখিয়ে দিচ্ছে রক্তপিপাস্থ শয়তান শুধু যে পশ্চিমেই কৃষ্টি করা যায় তা নয়, এশিয়াতেও মানুষের ছঃখছুর্দশার বিনিময়ে তাকে পালন-পোষণ করা যায়।

জওহরলাল নেহেরুও অত্যন্ত তৎপরতার সাথে অতি স্থনিদিঈভাবে চীনের ওপর জাপানী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন

অন্থদিকে ডঃ সান-ইয়াৎ-সেন থেকে শুরু করে মাও-ৎসে-তুঙ্‌ চৌ-এন- লাই প্রমুখ চীন! নেতার] যথেষ্ট সাহসের সাথে ব্রিটিশ বর্বরতার বিরুদ্ধে দুঢ- ভাবে ভারতের পক্ষ সমর্থন করেছিলেন ব্রিটিশ শাসকর1 যখনই ভারতের, জাতীয় মুক্তি-আন্দোলন দমন করার জন্য লৌহ্মুষ্টি দেখতেন তখনই চীনা নেতার। তার প্রতিবাদ করতেন ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামীদের উপর কঠোর এবং নির্মম দমননীতি প্রয়োগের অপকর্ম থেকে ব্রিটেনকে বিরত করবার জন্য তারা বিশ্বজনমত পশ্চিমের উদার গণতন্ত্রবাদীদের কাছে আবেদন জানাতেন ঘে তার! যেন ব্রিটেনের উপর প্রভাব খাটিয়ে সেই দমননীতি প্রতিহত করার চেষ্উ। করেন

চীনে কমিউনিস্ট বিজয়ের পর, জওহরলাল নেহেরু রাষ্্রসঙ্ঘে চীনের অস্্র- ভূক্তির জন্য অবিশ্রান্ত ভাবে চেষ্টা করে গেছেন সম্প্রতি ১৯৭৩ সালের ১১ জ্বন কানাডার 'আইনসভার উভয় কক্ষের যুক্ত অধিবেশনে ভাষণ প্রসক্ষে রাষ্ট্র সঙ্জে চীনের অন্তুভূক্তিকে স্বাগত জানিয়ে শ্রীমতী গান্ধী বলেন, “শেষ পর্যস্ত রাষ্র্সজ্ঘে চীনকে যে তার আইনসঙ্গত মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এতে ভারত অত্যন্ত আনন্দিত ।”৭

চীনের সঙ্গে আলাপ-আলোচন।ঃ পুনমিলনের মরশুম

এই পটভূমিকার কথ! মনে রেখে, ছুটি দেশেরউ উচিত সীমান্ত সমস্যা সম্পর্কে হদে-আসল উশ্তুল করার মনোভাব ত্যাগ করা। যে বিষয়টি এই সমস্যাকে সহজ ক'রে তুলতে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে তাহ'ল এই যে, ভারত কখনও চীনকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি ব'লে মনে করেনি, আর ক্ষমতার পাজ- নীতির পাশাখেলা ভারতের কাছে নিতাস্তই বর্জনীষ। চীনে কমিউনিস্টরা তাদের উগ্র মনোভাব কাটিয়ে উঠে ভারতের জোট-নিরপেক্ষ নীতিকে স্বাগত জানাক- এটাই কাম্য পাকিস্তানের শ্বৈরতন্ত্রীদের সাথে যে শক্ুর আতাত তারা গড়ে তুলেছেন তা৷ দীখস্থায়ী হতে পাগে না, যেহেতু আন্তর্জাতিক রাজ- নীতির ক্ষেত্রে শত্রুতা কোন চিরস্থায়ী বস্ত নয়। “হছিন্দী-চীনী ভাই-ভা্ট'-এক

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য

সেই দিনগুলি আবার ফিরে আক্গক। ভারত চীনের মধ্যে 'অমর বন্ধুত্ব ঃ- এর সাময়িক অবলোপ-_অন্ুস্থ এতিহাসিক বিকাশের মলিন অধ্যায় ইতিহাসের এক বিপজ্জনক মিথ্যা-উদ্ভাবন চিরকালের জন্য অন্তহিত হোক।

তাছাড়া, এই বাস্তব ঘটনাকে আমাদের মনে রাখতে হবে যে পশ্চিমে বিগত দিনের শক্ররা ভ্রাতৃপ্রতিম হয়ে উঠেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন মাকিন যুক্তরাষ্্ পারস্পরিক বন্ধুত্বের পথে বিরাট পদক্ষেপ ফেলেছে হেলসিঙ্কিতে ৩৫টি দেশের ইওরোপীয় নিবাপত্বা সম্মেলনে আশার সুর দ্বনিত হয়েছে এবং ইওরোপের দেশগুলিও তাদের এঁতিহাপিক খেষা7রযিদুর করতে সচেষ্ট হয়েছে সেখানে এক নতুন দূরদশিতার ভারসাম্য আত্মপ্রক্কাশ করছে। পশ্চিম আজ ফিনল্যাণ্ডের রাষ্টপতির এই কথাগুলির যূল্য উপলব্ধি করছে : ্পাচিল তুলে নিরাপত্তা লাভ কর! যায় না, তা পাওয়া যায় দ্বার উন্মুক্ত ক'রে দিয়ে ।”

এটা সত্য যে বিরোধ দূর করার প্রক্রিয়াটি খুব সহজ ন1। হতে পারে, ৩বু এটাই একমাত্র প্রক্রিয়া ধা কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আপস আলোচনার ক্রম- বিকাশমান কপাকৌশলের মাধ্যমে কঠিন পরিস্থিতিকে সহজ ক'রে তুলতে পারে। 'াশা করা যায় যে ছ্দেশের কুটনৈতিক প্রজ্ঞ। এই কাজে অগ্রণী হবে। স্যামুয়েল জনসন পপওয়েলকে বলেছিলেন, “মানুষের উচিত তার বন্ধুত্বকে ক্রমাগত সংস্কার কর1।” ভারত পু চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক ক'রে তোলার স্বযোগ যে এসেছে £» রকম ইঙ্গিতবাহী কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে

সম্প্রতি এই রকম একটি লক্ষণ দেখা গেল ঘখন জেনেভাস্থ হণ্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর চাইব্ড ওয়েলফেয়ারের সহ-সন্ভাপতি শ্রীমতী তারা আলি বেগকে অতি সহজেই চীন তার দেশে ভ্রমণের অনুমতি দিল স্মরণ করা যেতে পারে যে ১৯৬২ সালে চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে খুব কম ভারতায়ই চানে গেছেন সাধারণতঃ কূটনৈতিক মহলে যাবা বিচরণ করেন. তাদের চেয়ে অনেক বেশীকিছুই শ্রীমতী তারা আলি বেগ দেখেছেন। চীন তার জনগণ, চীনের নতুন আত্মবিশ্বাস, তার উগ্ঘমপূর্ণ উৎপাদনশীলতা, পরনির্ভরশীলতার বসান ইত্যাদি-_যেগুলি বিশ্ব, এশিয়া বিশেষতঃ ভারতের পক্ষে লক্ষণীয় বিষয় সেগ্তলি সম্পকে তার ব্যক্তিগত ধারণার উল্লেখ করে প্রশংসার স্বরে তিনি বলেন “উপযুক্ত সময়ে অত্যন্ত বাস্তব অভিপ্রায়েই বাশের পদ তুলে নেওয়! হচ্ছে।” নতুন দেশ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা ক'রে তিনি আরও বলেন :

৮৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

এট! হ'ল এক কর্মচঞ্চলতার যুগ- যেখানে দৈনন্দিন কাজের তালিকা থেকে জামা-কাপড় ইন্ত্রিকরার মতো সমস্ত অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এটা! আবার এক গোৌড়ামির যুগও বটে_ যেখানে চলেছে ক্রমাগত নৈতিক বক্তৃতা আর আলোচনা এবং সমস্ত ছাত্রদের কর্মস্থচীতে রয়েছে নিদিষ্ট কয়েক ঘণ্টার “নৈতিক পাঠ। সফরকালে অনেক সমর আমার কাধে একটি পাতা ঝরে পড়লেও--কোন কোমল হাত তা সরিয়ে দিয়েছে। সর্বত্র আশ্চর্যজনক উ'চ্যানের পরিচ্ছন্নতা এক আনন্দের বিষয়রূপে বিরাজমান কোথাও একট৷ মাছি পর্যন্ত চোখে পড়ে নি। যেভাবে সাধারণের বাড়গুলি, রাস্তাঘাট এনং সর্বসাধারণের জনা নিদিষ্ট জায়গা- গুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তাত্তে মনে হয়--এ সবের মধ্যে রয়েছে ধেন এক জাতীয় গর্ব। শিশুদের আরও (বেশী কাজ করতে-__যৌথ দাতিস্ব উপলদ্ধি করতে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে চীন আজ এক নদর্থক, গতিশীল সমাজ গড়ে তুলছে যেখানে কোনকিছুই পিতৃতান্ত্রিক স্তরের দয়া-দাক্ষিণোর বস্ত নয় ।৮

টাইমস অব্‌ ইত্তিয়ার একটি রিপোর্ট অনুসারে শ্রীমতী বেগ আরও দেখেছেন; “চীনে রুষকদের জীবন হয়ে উঠেছে অন্তু পকমের গান্ধীবাদী |” *জীবন সেখানে ভদ্র শাস্তিময়”*একটি শিশুও সেখানে ক্ষধার্ত বা দরশাগ্রস্ত নয়. তরুণের! অর্জন করেছে আত্মবিশ্বাস'*.তাদের চরিক্রে যা বৈশিষ্্যপূর্ণ তা হ'ল জীবনের ইতিবাচক দিকটির প্রতি ভালবাসা এবং তাদের অস্তিত্বকে আরও উন্নত ক'রে তোলার প্রচেষ্টা ।” একই রকম ভাবে চীন সফরাম্তে কলকাতার ভঃ বন্ধ দুঢতার সাথে এই মত ব্যক্ত করেছেন যে, আমাদের জনগণের উচিত চীনের অর্থনেতিক উন্নতি সম্পর্বে আরও বেশী ক'রে জ্ঞান অর্জন করা

পরীর দেশের নান। কাহিনী শুনে অন্প্রাণিত ভারতীয় সাংবাদিক প্রীহরিশ চানদোলা সম্প্রতি যখন চীনে যান, তখন তিনি শিশুর মত উত্তেজিত হুয়ে ওঠেন সে দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে যুদ্ধ হয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে চীনের প্ররুত ইতিহাস বিরাট বিরাট রাজবংশের উত্থান- পতনের ইতিহাস ততটা নয়, যতটা হ'ল দলে দলে হুপ্রাচীন কষিজীবী মানুষের প্রাচীন বাসভূমি পীতনদীর উপত্যকার মধ্যাঞ্চল থেকে সারা চীনে ছড়িয়ে পড়ে ক্রমান্বয়ে বসতি স্থাপনের ইতিহাস | চীনা ইতিহাসের নাটকে বড় বড় সম্ত্রাট বা] জেনারেলরা নায়ক নন, এমনকি রাজকীয় চীনের “সিক্ষের পদর্ণব

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৮৭

পিছনে ফুলের ছায়া নামে পরিচিত বিখ্যাত হন্দরীরাও নন। বরং যেসৰ নামহীন কৃষকেরা নিজেদের জন্মভূমি থেকে যাত্রা শুরু ক'রে বহুদূরে খণ্ড খণ্ড জমি নিজেদের মধ্যে ভাগ ক'রে নিয়ে সেখানে বাসস্থান তৈরি করেছিল, তারাই হ'ল প্ররুত মতিনেতৃবৃন্দ। তিনি আরও বলেন, চীনের সাম্প্রতিক ইতিহাস এই ধরনের ঘটনার শেষস্তর, যে স্তরে স্থদীর্ঘ শতাব্দী পরে রুষকের। অবশেষে চীনের ভূমিতে নিজেদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ক্নল এবং পুরাতন বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সত করল পরিবেশের সেই পুনর্মল্যায়ন, যা এক নতৃন প্রাহূর্যময় বিশ্ব ৃষ্টিব পথ প্রশস্ত ক'রে তুলবে ।৯ অবশ্য, এই প্রাহূর্য অপরকে লুঠনের মাধ্যমে অর্জন কর] হবে না,__সাধারণ চীনবাসীর মানসিকতা পর্যবেক্ষণ ক'রে লেখক মন্তব্য করেছেন তাদের প্রধান লক্ষ্য হ'ল সাধারণ ভদ্রমানের জীবন যাপন করা, যেখানে থাকবে না কোন ধনী এবং কোন উপবাসী চীন কিংবা বিশ্বসংসারের অন্য যে-কোন জায়গার মানুষকে শোষণ ক'রে প্রাচুর্য বা উন্নতি লাভ করা তাদের চিন্ত! বা পরিকল্পনায় ঠাই পায়নি ; মানবিক 'ইকাচেতন? চীনে এক শক্তিশালী চালিক৷ শক্তি 1৯০

কিন্তু হরিশ চ'নদেল তার স্বল্পকালীন চীন ভ্রমণে সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে তথ্যটি উল্লেখ করেন সেটি হ'ল যেসব অফিসারদের সাথে তাকে মিশতে হয় তারা সমেত সকল চীন!ই ছিল অত্ন্ত বন্ধভাবাপন্ন আমি এমন একটা দেশ থেকে গিয়েছিলাম যার সাথে সেই মূহ্র্তে চীনের সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক ছিল না, কিন্তু তাই বলে আমার বিরুদ্ধে কোন রকম বৈষম্যের কোন চিহ্ন সেখানে ছিল না।”৯৯

সম্পর্ক উন্নত করার আরেকটি সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা হ'ল কে. পি. এস. মেনৰ জনৈক উচ্চ-সম্মানিত বিশিষ্ট চৈনিক ভদ্রলোকের মধ্যে সংক্ষিপ্ত পত্রালাপ। সেই উচ্চপদস্থ চৈনিক সরকারী কর্মচারীর ম্মাস্তরিক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রত্যুত্তরে উৎসাহিত হ'য়ে কে. পি. এস. মেনন মন্তব্য করেন £

আশা কর। যাক যে এমন একদিন আসব যখন চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্ত আমর! গর্ব বোধ করতে পারন অবশ্য, এটা] মাশা করাই যথেষ্ট নয়। এর জন্ত আমাদের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গী, সাহস দুটতাএ অঙ্গে কাজ করতে হবে সবে'পরি, দলীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে জীবন-মরণ সমস্যাগুলিকে টেনে আনার লোভ আমাদের সংবরণ করতে হবে ।+২

এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় জনগণের রয়েছে এক বিশেষ দায়িত্ব। চিরস্থায়ী গ্বণ। কাকে বলে তা তারা জানে না; শক্রতাকে সব সময় চাঙ্গা অবস্থাক়্

৮৯৮ ভারভ-সোভিয়েত দৃক্তি

জিইয়ে রাখা যায় এমন বিশ্বাস তাদের নেই। খৃণা করার চেয়ে ভালবাসা তাদের পক্ষে সহজতর | এবং বাস্তৃবিক পক্ষে, তাদের সরকারী প্রতিনিধিরা চীন-ভারত সীমাস্তে বরফ গলাবার জঙ্ঠ উদ্যোগ নিয়েছেন জোট-নির- পেক্ষতার নীতিকে সামনে রেখে চীনের সাথে ন্তার সম্পর্ক স্বাভাবিক ক'রে তোলার চেষ্টা ভারত অতীতেও করেছে এবং এখনও করছে। অস্ট্রেলীয় ব্রড কাষ্টিং কমিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ১৯৭৩-এর ২রা জুন প্রীমতী গান্ধী এই মর্মে বিশেষ গুরুত্বের সাথে মন্তব্য করেন যে, কয়েকটি দেশ এতগুলি বছর ধরে চীনকে “অগ্রাহথ” করে ভুল করেছে তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আরও “বাস্তব মনোভাব নিলে অনেক সমস্যাই এত তীব্র হ'য়ে উঠত ন1। শ্রীমতী গান্ধী আরও বলেন যে এশিয়ার অধিকাংশ দেশই একই ধরনের সাধারণ লমশ্যাবলীর সম্মুখীন এবং “উসকানিযূলক, মনোভাব বা উত্তেজনা তৃষ্টির দ্বারা কোনকিছুরই সমাধান হয় না।” তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন যে চীনারাও এশিয়ার বাস্তবতার সম্মুখীন হবে একসাথে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে 1৯৩ তিনি একথাও বলেন, “ন্মামরা কখনওই চীনের সাথে কটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করিনি 1৮১৪

তার যুগোক্সাভিয়া সফরে প্রাক্কালে বেলগ্রেড টেনাভশনের ডঃ বরিভজিমির কোভিক প্রশ্থু করেন যে, তিনি না৷ নহিবিষয়ক মন্ত্রী যে আশ! প্রকাশ করেন সে সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে কোন সদর্থ€ প্রত্যুত্বর পাওয়া গিয়েছিল কিনা শ্রীমতী গান্ধী জবাবে বলেন : দেশা-সাক্ষাৎ এবং আলাপ-মালোচনা অনেক সহজ হয়েছে--*.আমরা আশা করি স্বাভাবিক ভাবেই অবস্থার আরও উন্নতি হবে 1৮১৫ অটোয়াতে ম্বার এক অনুষ্ঠানে তিনি পুনরায় বলেন, চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্ত আমরা যখনই নুযোগ পাচ্ছি, তখনই চেষ্টা করছি 1৯৬

ভারতের প্রতি চীনের সমঝোতার মনোজ্ভাল

ভারতের পক্ষ থেকে সমঝোতার আহ্বান বৃথা যায়নি চীনও ১৯৭৩ সালের ১৩ই ক্গুন ভারত বাংলাদশের প্রতি সমঝোতার মনোভাব নেয় এবং বল! হয়, দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের দেশগুলির মধোকার মতবিরোধের যুক্তিযুক্ত সমাধানের এখন সম্ভাবনা আছে। একথাও বলা হয়, শবিভিন্্র দেশের মধ্যেকার মতবিরোধগুলি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুক্তি- পূর্ণভাবে সমাধান কর] উচিত।” চীন সংবাদ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান সিনহুয়া তার প্রচারিত সংবাদের কোথাও ভারতের বা ভারতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৮৯

কোন ক্ষতিকর মন্তনা করেনি সেই প্রথম সে বাংলাদেশকে টদ্ধৃতি চিহ্কের মধ্যে অথবা “পূর্ব পাকিস্তান” বলেও উল্লেখ,কবেনি ইভাবে সে ইঙ্গিত দিল যে যুদ্ধবন্সীদের বিষয়টি মিটে গেলেই, চীন হয়ত পাকিস্তানের ভূতপূর্ব পূর্ব- অংশটিকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রপে স্বীরুতি দেবে চীনের ব্যক্তিগত পর্যারের আশ্বাস সম্পকে এমন সংনাদও পাওয়া গেছে যে, ভারত-পাক সমশ্যাগুলির আপস মীমাংস' হ'য়ে গেশেহ পিকিং চীন-ভারত সৌহাদেরি পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য তৈরী |১৭

কিছুদিন আগে স্টেট্স্ম্যানের আবাসিক সম্পাদক কুলদীপ নায়ার ার “বিট উইন দি পাইন্স” শীর্ষক প্রবদ্ধে চীনের পরোক্ষ হাবভাবের উল্লেখ ক'রে বলেন, সব থেকে এই ইঞ্কিত পাওয়। যায় যে £স ভারতের সাথে পুরাতন বন্ধুত্বের পুনঃ প্রতিষ্ঠা চায় ।৯৮ ভারত সরকারের উচিত এসব ইঙ্গিতের সদর্থক প্রত্যুত্তর দেওয়া এবং ভারতের স্বাথে গঠনমূলক উদ্যোগ নেওয়া দি বাজনৈতিক আঞ্চলিক প্রশ্নপ্তলি বর্তমামে আলোচনাসাধ্য না হয় তাহলে বাণিজ্যিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হোক না কেন? বোড়ের চতুর চাল হিসেবেই নাণিজ্যিক বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হোক নাঁ। কারণ, এতে কোন অপমান ঘটবে না এবং এটি অপর পক্ষকে স্ৃবিধা দেওয়া হচ্ছে প্রতিভাত হনে না। দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসাবে পিকিং-এ রাষ্ট্্রত পাঠানো যেতে পারে

চীনার। সম্প্রতি এক অভিযোগ করেছে !-পিকিংস্থ “দি লগ্ন টাইম্‌স” “দি ভ্েইলী টেলিগ্রাফ” পত্রিকার সংবাদদাতাদের ১৯৭৩ সালের ১লা অগস্ট) যে ভারতীয়র। এশিয়ায় গুরুত্পূর্ণ শক্তি হিসাবে পাকিস্তানকে খতম করার জন্থা মস্কোর প্রচেষ্টাকে আপাত সমথন দিচ্ছে; অভিযোগ ভিত্তিহীন

রাওয়ালপিগ্ডিতে অনঠিত ভারত-পাক আলোচনার ফলাফলে স্বঃক্ফর্তভাবে এসত্য প্রকাশ পেয়েছে আলোচনাধ পাকিস্তান নিজেই স্বীকার করেছে যে, ১৯৭১ সালেব সংঘর্ষ থেকে উদ্ভত মানবিক সমস্যাগুলির সমাধানের ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশ যুক্ত ঘোষণা একটা নির্ভুল এবং উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ভয় হয়, এই ধরনের ভিত্তিহীন অপপ্রচার নিয়ে চিনের মাতামাতি ভারত চীনের মধ্যেকার সম্পর্ককে স্বাভাবিক ক'রে তোলার সম্ভাবনাকে পিছিয়ে দেবে উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি, বিশেষ ক'রে পাকমুদ্ধবন্দীদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় পর এই সম্ভাবনা ক্রমবর্ধমান | অবশ্য, সম্প্রতি চীনের সহকারী বৈদেশিক মন্ত্রী নিউইয়র্কস্থ ভারতীয়

৯০ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

পররাষ্ট্মস্ত্রীর মধ্যে একটি বৈঠকের ফলে ছৃ*দেশের সম্পর্কের এক তাৎপর্ধপূর্ণ পরিবর্তনের স্চন। হয়েছে বলে মনে হয়।

ভারত-মাফ্িন অম্পর্কের উন্নতি সাধনের জন্য কাউলের চেষ্টা

সম্প্রতি ভারত-মাকিন সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবার জন্যও চেষ্টা করা হয়েছে। ৩আশিংটনে মাকিন রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত শ্রী টি. এন. কাউল ছ,দেশের সম্পর্কের বিষয়ে উল্লেখ ক'রে বলেন "এটা আমাদের আশা কামন। ঘে আমাদের পারস্পরিক মনোমালিন্য ক্রমশঃ হাস পাবে 1” তিনি বলেন, ছুটি দেশ যেসব মূল্যবোধ আদর্শ পোষণ করে এবং যেগুলি তাদের এঁক্বদ্ধ করেছিল সেগুপি “বর্তমানের সাময়িক মতবৈষম্যের” চেয়ে অনেক বেশী গ্ররুত্বপূর্ণ। তিনি মারও বলেন £ “উপমহাদেশের নতুন বাস্তব 'গ্বস্তা আপনাদের সরকার মেনে নিয়েছেন সিমলানীতির প্রতি আপনারা সমর্থন জানিয়েছেন_-এই ঘটনাকে আমর! স্বাগত জানাই ।”১৯

নিক্সনও নতুন জম্পর্ক চান

মাকিন রাষ্ট্রপতি নিক্সন সেদেশে ভারতের নতুন রাষ্রদূত টি. এন. কাউলকে (যিনি ১৯৭৩ সালের ১৪ই চুন পরিচয়পত্র পেশ করেন ) বলেন যে, তিনি নিশ্বাস করেন উপমহাদেশে প্রধান সমস্যাগুলিব সমাধানের দায়িত্ব বর্তায় ভারত, পাকিস্তান বাংলাদেশের উপর শ্রীনিক্মন বলেন যে, সম্পর্ক ক্গাভাবিক ক'রে তোলা সহজসাধ্য না হলেও, অতীতের দ্বন্বগুলিকে দুর কপে পারস্পরিক বোঝ:পড়ার পথ পরিষ্কার করার নতুন উদ্যোগ নেবার জন্ধ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্ত দেশগুলির দুঢতায় মাকিন যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত হয়েছিল আশীনিক্সন আরও বলেন, শকাউল হাটি দেশের মধ্যে বন্ধৃত্ব পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে যে ইচ্ছা! ব্যক্ত করেছেন তিনিও সেই ইচ্ছাই পোষণ করেন! তিনি আরও বলেন, “আমাদের দিক থেকে আমর। ছটি দেশ জনগণের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভারতের সঙ্গে ধাপে ধাপে এগিয়ে মান 1৮১৯৪ নিক্সন তার বিবৃতিতে আরও বলেন £ "রাজনৈতিক ক্ষেতে, আমি এটা দুটভাবে বিশ্বা করি মাকিন যুক্তরাষ্ ভারতেন মধ্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী স্বার্থ নেই অতীতে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল এনং নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতেও থাকবে কিন্ক আমি বিশ্বাস করি যে, স্বাধীন, প্রগতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ এক দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিষ্ঠায় ভারতের সাথে আমরাও একট সাধারণ শ্বার্থের অংশভাগী এবং এটাই

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৯১

ভবিষ্যতের পারম্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি হবে ।” তিনি বলেন যে ১৯৪৯ সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীজওহরলাল নেহেরু ঘোষণা করেছিলেন £ “বিশ্বঘটনাবলীতে ভারত অবধারিতরূপেই এক গুরুত্বপুর্ণ দেশ হতে চলেছে ।” ভারতের পঁচিশ বছরের স্বাধীনতা তার ধারণাগুলির স্যায্যতা প্রমাণ করেছে “আমার বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত রিপোর্টে আমি বলেছিলাম যে ভারতকে আমরা একটি প্রধান দেশ হিসেবে সম্মান করি এবং পারস্পরিক ভিত্তিতে ভারতের সাথে তার মরধাদ দায়িত্ব অন্নুসারে ব্যবহার করার জন্য আমর! তৈরী টি গণতান্ত্রিক দেশরূপে আমরা মহান মানবিক রাজনৈতিক এঁতিহোর অংশভাগী | আমর এটাও জানি যে আমাদের সম্পর্ক সংবেদনে নয় বাস্তবের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হতে পারে এবং তা! পারস্পরিক স্বার্থের প্রতি সম্মান দেখাবে,” শ্রীনিজ্সন এই উক্তি করেন

পরের দিন শ্রীকাউল পুনরায় আশা প্রকাশ করেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাস্তবতার ভিত্তিতে ভারত-মাঞ্চিন সম্পর্ক শক্তিশালী হয়ে উঠবে তিনি প্রশংসা ক'রে বলেন যে, পরিচয়পত্র পেশ করার অনুষ্ঠানে রিচার্ড নিজ্সনের মন্তব্যগুলি ছিল “বন্ধুত্বপূর্ণ, সদর্থক বাস্তব 1”২১

নিকসনের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পত্র

শীঘ্রই দু'দেশের সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনার আরও কিছু চিহ্ন দেবা গেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধী মণ্টিল থেকে ( কানাডা সরকারের আমন্ত্রণে যেখানে তিনি সরকারীভাবে সফররত ছিলেন) ১৯৭৩এর ২২শে জুন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্পনকে এক অভিনন্দন শুভেচ্ছাজ্ঞাপক পত্র পাঠান ভারতীয় রাষ্্র্ত টি, এন. কাউল মারফত ১৯৭৩এর ৯২শে জুনের চিঠিটি ছিল ২১শে জুন শ্রীমতী গান্ধীর প্লেসিড হ্রদ পরিদর্শন উপলক্ষ্যে শ্রীনিক্মন প্রেরিত অভিনন্দনের প্রত্যুত্তর

ত্রীকাউল ওআশিংটনে ২২শে জুন সাংবাদিকদের বলেন যে শ্রীনিক্সনের কাছে শ্রীমতী গান্ধীর একটি ব্যক্তিগত পত্র তিনি নিয়ে যাচ্ছেন | চিঠির বক্তব্যে নিক্সন-প্রেরিত পত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ স্থরই ধ্বনিত হুয়।

ইতিপূর্বে নায়েগ্রা জলপ্রপাত থেকে কানাডীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে উড়ে গিয়ে শ্রীমতী গান্ধী তার পুরাতন বন্ধু প্রীমতী কাইলের সাথে দেখা করতে যান। ভারতস্থ মাকিন রাষ্দৃত শ্রীময়নিহানও প্লোসড হদে শ্রীমতী গান্ধীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় মাকিন উভয় কূটনৈতিক পধবেক্ষকরাই বিশ্বাস করেছিলেন বে

৯২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

“মন-কাকধির” অবসানপর্ব শুরু হয়েছে এবং ছু*দেশের নেতৃরন্দই ভারত- মার্কিন সম্পর্ককে সেই পুরাতন নন্ধৃত্বের পদে প্রতিঠিত করার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন শ্রীকাউল শ্রীমতী গান্ধীর সাথে বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সেরে ১৯৭এর ২১শে জন ওআশিংটনে প্রত্যাবর্তন করেন মনে হয় ভারত-যাকিন সম্পর্কের ম্মতি সাম্প্রতিক গতিবিধি সম্পর্কে এবং ভারত-মাকিন সম্পর্ক গ্লাভাবিক কব তোলার পধ প্রশন্জ কা বিষয়ে নিররধ নেওয়ার জন্য তিনি মণ্টিলে যান 1২২

আশা করা যায় ষে শ্রীকাউল মাঞ্ছিন দেশে তার পূর্ব নুরী শী এল. কে, বা বেধরনের “কিছুটা ঝোডো” মভিচ্হতা লাভ করেন্ছলেন তান চেষে অনেক বেশী সহজ-_এবং কাশ্মীরের ডাল হৃদ শান্ত জলবাশির মতই --শান্ত পরিস্থিতি পেয়েছেন 1২৩

একটি নতুন লক্ষণের সংযোজন

পাকিস্তানকে মাফিন মন্ত্র সরবরাহ কবা সম্পর্কে ভাবতের সলোহকে প্রশমিত কবাব জনা নিক্সন-প্রশাপকনব মংগ্রচ্ছেপ মধা দিযে ভ'বভ-মাকিন সম্পর্ক টন্রয়ন-প্রচেষ্টার কয়েকটি লক্ষন “দশ! গল 1 সম্প্রতি যধন /প্রসিডেন্ট ভৃটো! ভারতের সমমর্যাদাসম্পন্র হওয়ার জন্য আমেরিকা কাছ থেকে আরও অস্ত্র দাবি করলেন, তখন সাধাবণতঃ “কোন মণ্তনা নয়”-_ এই ধরনের বিবৃতি দানত ওআশিংটনের পক্ষে ছিল শ্বাভাবিক গীতি কিস্তু এই সময় ভারত- মাকিন সম্পর্ক যাতে মরও গারাপ না হয় সেজন্য নিক্সন শতান্ক সতর্কতার সাথে অগ্রসর হলেন। পরবাষ্ট দপ্তর সাধারণছাবে এটা বুঝাতে পেরেছিলেন যে “ই ধরনের গত্ান্থগতিক বিবৃতি শ্রধুযাত্র ভারতের সন্দেহই জাগিয়ে তৃূলবে এবং যেটা ছিল মস্ভবতঃ ভুট্টোর মনোনাঞ্থ। তাই পররাষ্ট দগপ্ঠরের মুখপান্ পল চেয়ার নীতিগত অবস্থাণের পুনারাবৃত্তি ক'রে নলেন যে মামেরিকা ভারত বা পাকিস্তান কাউকেই মারাম্মক অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করবে না, এবং শুধুমাজ কম মারাম্নক আগে সরবরাহ কর! সরঞ্চমের মন্ত্রাংশঈ পিক্ষি করা হবে ।২* ভুট্টোর গআশিংটন সফর গ্বশিত হতয়া৪ পাকিল্তানের প্রতি মাকিন প্রেসিডেন্টের স্বগ্ততার অন্ভাবই স্চনা করেছিল প্রকুতপঙ্গে, প্রেসিডেন্ট নিক্পনের অক্ম্থতার জন্য নয়, রাজনৈতিক কারণেই সফল স্থগিত রাখা হয়েছিল মনে হয়েছিল “ঘ মামেরিকার নীতি ছিল পাকিল্ত।নকে বর্জন ক'রে ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়া. কারণ ইরানের রয়েছে হৈলসম্পদ আর অস্ত কেনার জন্ত বৈদেশিক মুদ্রা 1২

জোট-নিরপেক্ষতার সাফলা ৯৩

অতএব আশা কর। যায় নিক্সন প্রশাসন শক্ত দড়ির ওপর দিয়ে হাটার খেলা চালিয়ে যাবেন আর ওস্তাদ রাজনৈতিক বাজিকর পাক-প্রেসিডেণ্ট ভারতের সন্দেহ বাড়িয়ে তোলার জগ্ক যে-কোন ব্যবস্থা পথ ব্যবহার করবেন নিক্সন-প্রশাসন স্বীকার করেন যে শ্রীভুট্টোর নতুন অস্ত্রশস্ত্র চাওয়ার যথার্থ ক্ষমতা ছিল কিন্ত তারা এই মৌলিক পার্থক্য তথ্যটিও লক্ষ্য করেন যে ঘটনা- চক্রে পাকস্তানের অবস্থিতি একেবারে ভারতের দোরগোড়ায় এনং জনৈক ভারতীয় সাংবাদিকের ভাষ্য অন্থসারে কোন এক যাকিন মহল থেকে বলা হয়-_তার। (অর্থাৎ মাকিন সরকার ) জানেন, “আমরা যদি পাকিস্তানকে অস্ত্র- সাহায্য করতে শুর করি ভারতও তখন তারস্বরে চিৎকার করতে শুরু করবে এবং পাকিস্তান পছন্দ করুক চাই না করুক আমর জান ] উপমহাদেশে ভারত প্রভাবশালী শক্ত 1৮২৬

কয়েকদিন পরে, নর়াদিস্তীতে ক্রিশ্চিয়ান ওআন্ড সেমিনারের সদস্যদের কাছে কথাপ্রসঙ্গে শ্রীমতী গান্ধী পুনরায় এই প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন যে ভারত আমেরিকা তাদের সন্দেহগুলি অপসারণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্ট। চাপিয়ে, যচ্ছে। তিনি আমোরকানদের ভারতের অবস্থা যা তাদের নিজেদের থেকে একেবারেই ভিন্ন তার পাথে পরিচিত হওয়ার আহ্বান জানান 1২৭

একই ভাবে কে. পি, এস. মেনন আমেরিকানদের ভারতের প্রাতি জন ফন্টার ডালেসের অন্তসরণ করা! এবং উত্তরস্্রীদের চালিয়ে যাওয়া নীতির ব্যর্থত। উপলব্ধি করার আহ্বাম জানান তিনি বলেন £ বিপর্যয়কর ব'লে প্রতিভাত হয়েছে এমন নীতি অন্সসরণ করার জন্য কোন সরকাণই প্রায়শ্চিত্ত করবে এটা আশা করা৷ যায় না। ভারত মাঞ্চিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়কেই ভবিস্যতের দিকে তাকাতে হবে এবং ভুলে যেতে হবে অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীতকে ।২৮ তিনি আরও বলেন যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিঘেষ চিরস্থায়ী হতে পারে না। মাকিন জনগণ বিষয়ে সচেতন হোন যে “বিশ্বে ছটি সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের” মধ্যে সমনবয়পূর্ণ পারস্পরিক সাহায্যের উন্নতির দ্বারা বিশ্বশান্তি মাকিন স্বার্থের লাভ করার মত রয়েছে সবকিছু এবং হারাবার মত কিছুই নেই ।২৯

এবং দেখা যাচ্ছে যে মাকিনীরা ভারতীয়দের এই ধরনের উক্তির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন শোন! গেছে যে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রসচিব ডঃ হেনরি কিসিংগার রাষ্ট্রসংঘের বাৎসরিক অধিবেশনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান ঞ্ী্বরণ সিংকে ওআ[শিংটন সফরের জন্ত অন্থরোধ জানান যখন ১৯৭৩এর ৫ই অক্ট্রোবর ছুই উচ্চপদস্থ ব্যক্তির প্রস্তাবিত বৈঠক বসল, কূটনৈতিক মহলে

৯৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

তা যথেষ্ট গুরুত্ব পেল। শুধুমাত্র যে নিষ্সনের সাথে ভুট্টোর বৈঠকের একসঘ্াহ পরেই এটা ঘটল বলেই নয়, ভারত-পাক নসাষরিক সমকক্ষতার বিষয়টি ওআশিংটন পছন্দ করেনি বলেও বৈঠক এক বিশেষ তাৎপর্য পেল।

তাছাড়া, নতুন পদে মনোনীত হওয়ার পরেই ডঃ কিসিংগার ভ।রতীয় উপমহাদেশে মাকিন বৈদেশিক নীতির ভারসাম্যহীনতার উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা এবং সম্ভব হলে ক্রটিমুক্ত করার বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখান | তাছাড়া, নতুন পদে স্থায়িভাবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সামনে হাজির হ'য়ে ডঃ কিসিংগার ৰলেন যে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতীয় উপমহাদেশে প্রধান অস্ত্র সরবরাহ- কারী থাকবে না। তিনি পেনেট কমিটিকে আশ্বাসও দেন যে ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ক্রমশই উন্নত হচ্ছে 1৩০

অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেঞ্ট।

মাকিন রাষ্পতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে কূটনৈতিক যতবিনিময় প্রসঙ্গে শ্রীকাউল ভাবত মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযে!গিতার ক্ষেত্রগুলি নিয়ে কথা বলেন

তিনি ব্যবসা, বাণিজ্য সংস্কতি, গবেষেণা, প্রযুক্তিবিদ্ভা, শিল্প কাঁধর উন্তির বিষয়ে সহযে'গিতাকে শক্তিশালী করা যায় বলে উল্লেখ করেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে শ্রীনিক্সনও ভারত মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থ নৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে উল্লেখ করেন। তিনি ৰলেন, ছটি দেশই ভারতের স্ব-নির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলে মাকিন উন্নয়ন সাহায্য, ব্যবসা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং বৈজ্ঞানিক প্রধুক্তিগত সহযোগিতার প্রশ্নে মাকিন গুমিকার রয়েছে এক “বিস্তৃত বিষয়স্চী” তিনি এবিষয়ে হ্ুনিশ্চিত যে অথনৈতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি কর! বাবেই

মাকিন রাষ্ট্রপতি আরও বলেন : “অর্থনৈতিক দিকে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্ত এক নতুন ভিত্তি স্থির কর! অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।” রাষ্ট্রদূত মহাশয়, আমি আশ্বাস দিতে চাই যে ছুই মহান দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব সহযোগিতার যে ইচ্ছ৷ আপনি ব্যক্ত করেছেন আমি আমার সরকার সেই একই হচ্ছা পোষণ করি ।*৩,

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৯৫

এই ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় থেকে দেখ! যায় যেমাকিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বাণিজ্যিক প্রয়োজন সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ইচ্ছুক সেদেশের কিছু রক্ষণশীল লোকের নঞ্র্থক মনোভাব সব্েও, ওয়াকিবহাল মহলের মতে সাহায্য, বাণিজ্য খণ মকুবের বিষয়ে সাধারণ যাকিন মনোভাব বন্ধুত্বপূর্ণ অনুকূল ।* এট! লক্ষণীয় যে ১৯৭৩ সালের ২৩শে অক্টোবর ইউ এস ওভারপিজ ডেভেলপমেন্ট কাউনসিল পরিচালিত এক জাতীয় সমীক্ষা অনুসারে ভারত বাংলাদেশ উভয়ই মাফিন উন্নয়ন সাহায্য পাওরার বিষয়ে প্রভৃত আন্তকুল্য লাভ করেছে। বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে যে শতকরা ৩৮ জন মাকিন উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রতি সহান্ভৃতিসম্পন্ন, অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হ'তে রাজী না হলেও, আন্র্জতিক বিষয়গ্রণি সম্পর্কে তাদের মনোভাব নঞ্র্থক নয়।

বিগত বছর গুলিতে এড ইও্ডিয়া কনপরটিয়াম-এর বৈঠকঞগ্জলি মাকিন মনোভাবের জন্য ছিল অনিশ্চপ্নতার মেঘে আবৃত এই বছর, অবশ্ট, ওমাশিংটন ইতিমধ্যেই তার সাহায্যের পরিমাণ ৭৫ মিলিয়ন ডলার হবে ব'লে ইঙ্গিত দিয়েছে গত বছরের শেষদিকে মাকিন সরকাগ উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে খণ মকুবে রাজী হয়েছেন।£২ ওআশিংটন আরও ঘোষণা করেছে যে সার, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাচামাল, লৌহেতর ধাতু অন্যান্ত, জিনিসের আমদানির জন্য ৮৭*৬ মিলিয়ন ডলার সাহাযা কাজে লাগাবার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হ'ল।

পি. এল. ৪৮ ফাণ্ডের একটি বড় অংশ খারিজ করা হবে

গতছু'দশক ধ'রে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে খাদ্য কেনা বাবদ পি. এল, ৪৮* খণের খাতে ১৮০* কোটি টাকা ব্যবহারের জটিল সমস্যাটির সমাধানের বিষয়ে ভারত মাফিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই এগিয়ে চলেছে। মাকিন যুক্তরা্ট খাদ্ভখণের একট। বড় অংশ মকুব ক'রে দেওয়ার কথা ভাবছেন। ভারতে মাকিন রাষ্দৃত ড্যানিয়েল পি. ময়নিহান সম্প্রতি এই সমস্যার অঙ্গকূল সমাধান করার জগ্য ওজআ্সাশিংটনে ষান।৩৩ কিছুদিন আগে মাকিন পররাষ্ট্র দণ্তরের নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ দলের পর্যালোচনায় এই মর্ধে স্থপারিশ কর! হয় যে (পি. এল, ৪৮* ) জম! টাকা বাতিল করার পথ হল টাকার কিছুটা অংশ খারিজ কর! মাকিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও টাকা৷ খরচ করার অনুমতি দেওয়া কলঘ্িয়া বিশ্ব-বিগ্ালয়ের অধ্যাপক রেমণ্ড সোলনিয়ের এই হ্থপারিশ করেন ।৩৪

৯৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

মাকিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে শ্রীময়নিহান ১৯৭৩এর ১৭ই জুলাই যখন শ্রীমতী গান্ধীর সাথে দেখা করেন, সেই সময় তিনি বিষয়টি সম্পর্কে মাকিন ৃষ্টিভঙ্গী ভারত সরক্কারের কাছে উপস্থিত করেন। ভাএতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সামাজিক-অর্থ নৈতিক লক্ষ্যের আস্ত প্রয়োজন গতিপ্রকৃতির ওপর মাকিন প্রস্তাবগুলির প্রভাবের ভিত্তিতেই সম্ভবতঃ ভারত সরকার সেগুলি বিচার- বিবেচনা করবেন

শ্রীময়নিহান ভারত-মাকিন সম্পর্কের চারটি দিক সম্পূরক ওআশিংটনে মতামত জানাতে চান £

(১) পি. এল. ৪৮০ খাতে জম] টাকার হস্তান্তর,

(২) ভারতে ২১ বছরের পুরাতন মাকিন সাহায্যের কার্যপ্রণালী বদ্ধ করা;

(৩) এত কনসএাটয়ামের মাধ্যমে ভারতের প্রাপ্তিযোগ্য মোট খণে মাকিন গ্সঙ্গদানের সম্ভাবনা;

(৪। ছুটি দেশের বাণাজ্যক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কূপ ।৩৫

ঞ্রময়নিান ভারতের পরিকল্পন1-মন্ত্রী শ্রী ডি. পি. ধরের সাথেও পি, এল. ৪৮* খাতে জন। টাক্াঝ ধিষয়ে অনেকগুলি বৈঠক করেন

মাকিন দূতাবাসের স্থত্রে বলা হয় শ্রীমতী গান্ধীর সাথে শ্রীময়নিহানের আলোচনার সময় “ভারতকে শন্ত সরবরাহ করার বিষয়টিও উল্লেখ করা তয় /৩৩

শ্রীময়নিহান শ্রীমতী গান্ধীর সাথে তার আলোচনাগুলিকে অত্যপ্ত বন্ধুত্ব পূর্ণ এবং সম্পূর্ণভাবে গঠনমূলক বলে বর্ণনা করেন ।৩?

শোনা যায় ঘে ছ'দেশের প্রতিশিধিদের মধ্যে সরকারী স্তরে প্রযুক্তিগত অর্থনৈতিক সাহায্যগত যে আলোচন। হয় তার উদ্দেশ্য ছিপ উভয়ের পক্ষেই উপকারী হয় এমন সব পারস্পরিক সংযোগিতার ক্ষেত& নিধারণ কর] 1৩৮

কয়েকটি নতুন অগ্রগতি অবস্থাকে সইজ ক'রে তুলতে আরও দাগাষ্য করেছে ১৯৭৩এএ ১৪ই জুলাই ওআশিংটনে ভাগতীয় রাষ্ট্রদুত উচ্চ- পদস্থ মাকিন সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে সাম্প্রতিক প্রশ্নগুলি সম্পর্কে ব্যাপক আলোচন। খয়। আলোচনার বিষয়স্থচীর মধ্যে ছিপ--উপমহাদেশ, পি. এল, ৪৮* ফাণ্ডের জম! টাকার হস্তান্তর, খণের নতুন পরিকল্পনা এবং ভারতকে দ্বিপাক্ষিক বন্ুপাক্ষিক অথনৈতিক সাহায্য

শ্রীকাউলও ডঃ কিসিংগারের সাথে দেখ! করেন তাদের মধ্যে একছণ্টী-

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৯৭

ব্যাপী আলোচনায় ভারত-মাকিন সম্পর্কের কথাও ওঠে ।৩৯ দিনেই কাউল বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকনামারার সাথেও দেখা করেন 19,

পি. এল. ৪৮০ ফাণ্ড সম্পর্কে সাময়িক চুক্তি

বিষয়ে যেসব সাম্প্রতিকতম তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে জানা যাক যে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র তার ৩০০৭ মিলিয়ন ডলার খণের বিষয়টি নগদ ১০* মিলিয়ন ডলার নিয়ে এবং ভারতে মাকিন সংস্থাগুলির ব্যবহারের জন্য পার্খবর্তা দেশগুলিতে সাহায্যের খান্তে ৯০* মিলিয়ন ডলার নিয়ে মিটিয়ে নিতে সাময়িকভাবে রাজী হয়েছে এই প্রস্তাবটি ভারত সরকারই করেছেন। প্রস্তাবের শরান্থপারে অবশিষ্ট ২০০* মিলিয়ন ডলার কৃষি উন্নয়ন, গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাই, বাসস্থান তৈরি অন্থান্ত ভারতীয় পরিকল্পনায় সাহায্যের জন্য বাবহার করা হবে। প্রস্তাবের আরও একটি শর্ত হল নগদ ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়া আর সবটুকুই থাকবে টাকার অস্কে ।8১

সেনেটের বিপথে পদক্ষেপ

ভারত-মাকিন সম্পর্কের উন্নতি বিধানের জন্য যে চেষ্টা চলছিল ত1 কিছুটা পিছিয়ে পড়ে যদিও খুব ধাণ গতিতে নীরবে এদিকে কিছুটা অগ্রগতি ঘটছে, তবে ভারত-মাকিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যতম তিক্ততার বিষয় সেই পি. এল, ৪৮০ ফাণ্ডের*২ প্রশ্নটির সমাধানের মধ্য দিয়ে এদিকে একটা বড় রকমের অগ্রগতি ঘটবে বলে আশা করা গিয়েছিল |

কিন্তু মান পি. এল. ৪৮০ বাবদ অজিত অর্থের (আমেরিকার গম ভারতে বিক্রয়ল অর্থ) লেন-দেন বিষয়ক চূড়ান্ত মীমাংসা সংক্রান্ত ভারত-মাকিন খসড়া চুক্তি মাকিন সেনেটে বাতিল হওয়ার কলে সেই আশায় কিছুটা ছাই পড়েছে।

চিলির রাষ্ট্রপতি সালভাদর আযালেন্দদের হত্যার জন্য মাকিন সি. আই. এ. দায়ী বলে শ্রীমতী গান্ধীর পরোক্ষ উল্লেখ সেনেটের উপরোক্ত সিদ্ধান্তের কারণ বলে ওআশিংটন থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। চিলির বিষয়ে ভারতের মনোভাব দেখে সেনেট ক্রুদ্ধ হন। এবং সেনেটে পি এল, ৪৮* ফাণ্ডের বিষয়টি নিষ্পন্ন করার বিরুদ্ধে ৬৭_-১৮ ভোট পড়ে ।*৩ রিপাবলিকান দলের রক্ষণশীল সেনেটর ভারতের প্রত বদ্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের বিরোধিতা ক'রে বলেন, "সাম্প্রতিক কালে ভারত মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব দেখায় নি। আমার মনে হচ্ছে যে এটা বোধহয় বন্ধুত্ব ক্রয় করার একট! প্রচেষ্টা ?

জামার অভিজ্ঞত! হ'ল আমরা বন্ধুত্ব কিনতে পারি না।৯৩৫ক)

৯৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

কাণ্ডের সমন্যার মধ্যে বাইরের বিষয়গুলি ঢুকিয়ে দেওয়! সুস্থ ছিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে বিপর্যর়কর। এই নঞর্থক ভাবভঙ্গীর প্রবক্তাদের উদ্দেশ্ট এখন পরিষ্কার মাকিন বুর্জোয়া একচেটিয়া পু*জিপতিদের দ্বালালেব৷ সমাজতান্ত্রিক ভারতের সমস্থ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে তেমন আগ্রহী নয় বলেই মনে হয়।৪৩খে) বস্তুত পক্ষে, ইতিহাসের চাকাকে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক গতিপথের বিপরীত দিকে চালাবার কোন অপচেষ্টা থেকেই তারা বিরত হবে না। তাদের জঘন্য ক্ষতিকারক পরিকল্পনার স্বতঃ- প্রকাশ ঘটেছে চিলিতে ফ্যাসিন্ট ভুণ্টাদে দ্বারা সালভাদর আযালেন্দের নেতৃত্বে পরিচালিত সমাজতান্ত্রিক সরকারের উৎখাত সাধনের মধ্য দিয়ে। সেখানকার সামরিক ডিক্টেটরদের তার] বিরাট অঙ্কের খণ দিতে রাজী হয়েছে সহজেই এবং এর উদ্দেশ্ট হ'ল সেখানে ফ্যাসিস্ট ঝাজত্ব কায়েম ক'রে সেখানকার তামার খনিগুলি থেকে ক্রমে ক্রমে আবার নয়া উপনিবেশবাদী অর্থ নৈতিক স্থবিধাগু:ল আদায় কর। সব খনিগুলি থেকে ভূতপৃন সমাজতান্ত্রিক সরকার মাকিন পু'জিপতিদের তর্লি-তল্ল! সমেত দূর ক'রে দিয়েছিলেন

তাছাড়া, মাকিন রাষ্পতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে--"& মহিলাটি”, “এর পরিতাপজনক মহাশয়।” ইত্যাদি যেসব কথ' ক্লছেন তা থেকে বিষয়ে সন্দেহ জাগে যে অদূর ভবিষ্যতে ভারঙ-মাকিন সম্পর্ক আরও ভাল হবে কিনা।

জোট-নরপেক্ষতা ভাব সুফল

জোট-নিরপেক্ষতা আঞ্ড়ে থাকার সুফপ ফলেছে। এড ইনভিয়া কন- সরটিয়াম সম্প্রতি ১৯৭৩-৭৪ সালের জন্য মোট ১২০০ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সাহায্য দিতে রাজী হয়েছেন। কনসরটিরাদের সিদ্ধান্ত আসলে বিশ্বব্যাঙ্কের স্থপাপ্রিশেরই অন্মোদন | ম্থপারিশের মর্শ ছিল__পরিকল্পনা-বহিভূতি ৭** মিশিরন ডলার পরিকল্পনা খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দান। পরিকল্পনা-বহিভূতি সাহায্যের মধ্যে খণ পরিশোধ ছাড়াও কিছুটা স্থবিধা দানের ব্যবস্থাও থাকবে নীট সাহায্যের পপিমাণ দাড়াবে প্রায় ৩০* মিলিয়ন ডলার সাহায্যের বাকী অংশ দিয়ে পুরোনে| খণ পরিশোধ কর! হবে। কনসরটিয়ামের দুদিনব্যাপী বৈঠকে অধিকাংশ সদশ্থরা এমন ইঙ্গিত দেন যে প্রয়েজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে খপ পরিশোধে স্থবিধা দান সমেত এইসব সাহাযোর লক্ষ্য পুরণের দিকে এগিয়ে যেতে তারা সমর্থ হবেন। অন্যান্ত সদশ্যর! বছরের

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ৯৯

শেষের দিকে এট করতে সমর্থ হবেন ব'লে আশা! প্রকাশ করেন এবং সমগ্র কর্মন্থচীটির প্রতি তাদের সমর্থন জানান

জানা গেছে. কয়েকটি সদস্ত বাষ্্ট আরও বেশী অর্থ মঞ্জুরির প্রতিশ্রুতি দেবেন এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম জার্মানি ফ্রান্স; বেলজিক্লামও কিছু দেবে। জাপানের খণ হবে বড়লড় রকমের

আলোচনাকালে কনসরটিয়ামের সদশ্তরা ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টার, বিশেষতঃ পঞ্চবািকী পরিকল্পনাগুলির সামাজিক লক্ষ্যের প্রশংসা করেন

বিশ্বব্যাস্ক তাব স্থবিধাজনক শতে খণদান সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরিষদ [10 &) ভারতকে বাইরের সাহায্য পাওয়ার ব্যাপান্ে অনুসন্ধান চালাতে সাহাযা করছে। জানা গেছে বিশ্বব্যাঙ্ক নাকি তার সাহায্য নিয়ে নির্মীয়মাপ গঠনমূলক প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক টেগ্ডার ডাকার জন্য জেদ করছেন কিন্ত এট মন-কষাকষি সন্বে ব্যাঙ্ক সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গী বজায় রাখবেন কলে আশ] করা যায়।

ইতিমধ্যে, ১৯৭৩ স!লের ৮ই জুন ব্যাঙ্ক হুটি খণ বাবদ মোট ১৭০ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের কথা ষোষণ। করেছেন এদেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য এই খণ দেওয়া হবে।

৭০ মিপিয়ন ডলার অঙ্কের একটি খণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট আযণ্ড ইন- ভেষ্টমেণ্ট করপোরেশন অব ইত্ডিয়া (]0101)-এর বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পথিমাণ বৃদ্ধি করবে এই সংস্থ। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন শিল্পগুলিকে মাঝারি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে খণ দেয়

ক্ুদ্রশিল্পে আই-ডি-এ-এর খণ

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরিষদ (106210180100591] [0০৬০1001961 4359০181918 ) ভারতের ক্ষুদ্রশিল্পগুলির উন্নয়নের জন্য ২৫ মিপিষন ডলার খণ ষঞ্জুর করেছেন | নয়াদিলীতে ১৯৭৩-এর ২২শে জুন ভারতের ক্ষুদ্রশিল্প পরিষদগুলির ফেডাবেশনে ভাষণদান প্রসঙ্গে আমদানি-রপ্তানির প্রধান নির্বাহক এস. জি. বহ্‌-মল্লিক বলেন, ক্ষুত্রশিল্পগুলির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানির উদ্দেশ্যে এই খণ দেওয়া হবে। শোনা গেছে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহযোগী ভারতের শিল্লোন্নয়ন ব্যাঙ্কের মারফত এই খণ দেওয়া হবে ।৪৪

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরিষদ ১৯৭৩-এর ২২শে জুন আরও ঘোষণ। করেন যেভারতে একটি টেশিকমিউনিকেশন প্রকল্পে অর্থসাহায্য করার উদ্দেশ্ঠে তার!

১৩০ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

কানাভিয়ান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সি আই ডি এ) হাঙ্গেরির সাথে যোগ- দেবেন। আই ডিএ বলেন, এই প্রকল্পের জন্য তার। ৮* মিলিয়ন ডলার খণ- অন্থমোদন কবেন। ভারতীয় অর্থনীতির এই শাখায় বিশ্বব্যাঙ্কগোঠীর অবিচ্ছিন্ন সমর্থনের এটি পঞ্চমতম খণদীন অনুষ্ঠান আই ডি কতৃপক্ষের মতে প্রকৃল্লের জন্য খরচ পড়বে মোট ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারতীয় পোস্ট আগ টেলিগ্রাফের পঞ্চবাষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রথম দুবছরের ( এপ্রিল ১৯৭৪ থেকে মার্চ ১৯৭৫ পর্বন্ত ) খরচ যোগাবে ।৭৫

মনট্রিলে কুইবেক টলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে ১৯৭৩-এর ২৩শে জুন শ্রীমতী গান্ধী কানাডার সাহায্যের “ধরন শতাদির” প্রশংসা করেন ১৯৭৩-এর ২৯শে জুন কানাডার সংসদের উভয়সভার সদস্যদের কাছে ভাষণদান কালে শ্রীমতী গান্ধী কানাডার রাজনৈতিক স্থবিধালাভের প্রত্যাশা-বিহীন সুনির্দিষ্ট পৰ্রিকলিত সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক'রে বলেন, সবদেশ এতটা বৌদ্ধ! নয়।৪৬ তিনি আরও বলেন, ভারত উভয় দেশের সুবিধার্থে বাণিজ্যক অথনৈতিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ক'রে তুলতে চায় 1৯৭ এর কয়েকদিন আগে ১৯৭৩-এর ১৯শে জুন এক ভারতীয় মুখপাত্র শ্রী ট[ুডো শ্রামতী গান্ধীর মধে' প্রথম পর্যায়ের বৈঠকের পর বলেন যে, ভারত স্কানাডার মধ্যে শুধু আন্তজাতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক স্থাপন করাই নয়, উভয়ের মধ্যেদ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিত: বৃদ্ধির বিরাট সম্ভাবনাও তিনি দেখতে পান ।৯৮

পারস্পরিক সহযোগিতার এই পটভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতেই আলো চন। হয় ; এবং ট. [ভোর ব্যক্তিগত সহকারী,আইভান হেড সংবাদিকদের কাছে আলোচনার

ক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে বলেন যে, কানাডার স্বার্থে ভারতের মতো গুরুত্বপৃণ

দেশগুলির অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব ক্থমিশ্চিত করা দরকার, যাতে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের ভিত্তিতে তারা৷ আরও বেশী অথনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে ।৪১

ছুই প্রধানমন্ত্রী যখন তাদের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন সেই সময ছুই সরকারের অন্ঠান্ পদস্থ কর্মচারীর] পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিত সংক্রান্ত নির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলি অন্যান্য বিষয়গুলি বিশদভাবে পরীক্ষা ক'রে দেখছিলেন

পদস্থ কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনায় দুদদেশের মধ্যে নিয়মিত পরামর্শে জন্য ভারত অন্থান্থ বহু বন্ধুভাবাপর দেশের সাথে যেসব যুক্ত-কমিশনগুি স্থাপন করেছে সেইরকম যৌথ-ব্যবস্থা। স্থাপনের সম্ভাবনার বিষয়টিও স্থা' পায়।৫০

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ১০১

এইসব ক্বস্থ অগ্রগতিগুলি জোট-নিরপেক্ষতার নীতির বিজয়ের ইঙ্গিতবাহী |

জ্রাপানের সাহায্য |

যুক্ত ইন্দো-জাপান অর্থনৈতিক কমিশন সম্প্রতি ১৯৭৩ সালের মধ্যভাগে টোকিওতে তাদের স্থচিন্তিত কার্যপ্রণালী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় প্রতিনিধিদল জাপ-প্রতিনিধিদলের কাছে ভারতীয় অর্থনীতির সমন্যাবলী ব্যাখ্যা করেন। জাপানীরাও ভারতকে পাচটি সার প্রকল্প স্থাপনের বিষয়ে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখান। যদিও এই প্রকর্পগুলির জন্য প্রয়োজনীয় বিদেশী মূদ্রা টোকিও হয়ত দেবে না, তবে এটা আশা করা যায় যে জাপান এবছর অতীতের চেয়ে অনেক বেশী ইয়েন খণ দেওয়ার প্রস্তাব দেবে

সম্প্রতি যে জাপ-অনুসন্ধানী দল ভারত সফর করলেন তার! দৃদেশের মধ্যে শিল্প বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে ব'লে আশ! প্রকাশ করেন তাছাড়া, প্রচুর বাণিজ্যিক উদ্‌বৃত্তের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে জাপান সমুদ্রপারের বিক্রি কমিয়ে আনবার জন্ত স্ব-ইচ্ছায় রপ্রানি-নিয়ন্ত্রণ প্রঞ্নোগ করছে আশা করা যায়, জাপান দেইসব সমুদ্রসারের বাজার, বিশেবত; দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার

বাজার, ( যেখানে নে প্রভাবশালী )-গুলিতে ভারতকে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।

ভারতের জোট-নিরপেক্ষতা নীতির আলোকে এটি আরও বেশ তাৎপর্য- পূর্ণ যে শ্রীমতী গান্ী তার পিতার মতই সমগ্র চিরাচরিত প্রভাবের ক্ষেত্র ক্ষমতার ভারসাম্য-এর নীতিগুলিকে সমালোচনা করতে কখনও দ্বিধা! করেন নি। তিনি মনে করেন, এই মনোভাব বিশ্বে উত্তেক্সনা হত করে | তিনি স্থস্পষ্টভাবে বলেন যে, ভারত সবসময়ই এইসব ক্ষমতার প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থেকেছে এবং তার দেশে কখনও কোন বিদেশী শক্তিকে ঘাঁটি গড়তে দেয়নি এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন সমেত কাউকেই তা করতে দেওয়ার কোন ইচ্ছাই তারু নেই 1৫১

প্রধানমন্ত্রী জোট-নিরপেক্ষতার নীতি তুলে ধরলেন

প্রধানমন্ত্রী প্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৩-এর ১৭ই জুন বেলগ্রেডে এক সাংবাদিক সন্মেলনে জোট-নিরপেক্ষতাকে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বোঝাপড়ার উন্নতি ঘটাবাঁর জগ্ এক আন্দোলন রূপে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, ঘটনাবলী আমাদের প্রচেষ্টাগুলিকে জয়যুক্ত করেছে জনৈক সংবাদদাতা! তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে এখন যেখানে বৃহৎ শক্তিগোর্ঠীগুলির মধ্যে মন-কষাকধির অবসান 'ঘটবার চিহ্ন দেখ! যাচ্ছে তখন গ্োট-নিরপেক্ষ দেশগুলির পালন করার মত্ত

১০২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

কোন নতুন ভূমিকা আছে কিনা প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, জোট-নিরপেক্ষতা নেতিবাচক ধ্যানধারণা নয়। তিনি আরও বলেন, ষদ্দিও বৃহৎ শক্তিগুলির | মধ্যে মন-কষাকষির অবসান ঘটেছে তবু ছন্দের ক্ষেত্রগুলি এখনও রয়ে গেছে নতুন নতুন ছন্দণ্ুলি থেকে উদ্ভূত অচলাবস্থার সমাধানের বিষয়ে জোট-নিরপেক্ষ দেশগুলি এখনও গঠনযূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। শ্রীমতী গান্ধী চতুর্থ জোট-নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনের (যেটি ১৯৭৩-এর সেপ্টেম্ছরে আল- জেবিয়ায় অন্ষ্ঠিত হয় )-- তোড়জোড় সম্পর্কে আলোচনাতেও বশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন ।৫২

সর্বোপরি, ভারত জোট-নিরপেক্ষতার পক্ষে দাড়িয়েছে, কারণ সে দুভাবে বিশ্বাস করে যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমেই শান্তি অর্জন করতে হবে এবং শুধুমাত্র শাস্তির মাধ্যমেই বিশ্বসমস্তাবলীর সমাধান করণ যায়।

ভারত সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বেই বিশ্বীস করে, তা সে তাদের নীতি সরকারের ব্যবস্থা যাই হোক ন1 কেন। দ্রতপরিবর্তনশীল বিশ্বে শান্তি সমৃদ্ধির পক্ষে এট। সবচেয়ে বেশী জরুরী

তাছাড়।, জোট-নিরপেক্ষতা হ'ল একটি গতিনীল নীতি, কারণ কোন নির্দিষ্ট এতিহাসিক অবস্থায়/তা কঠিনের চেয়ে নমনীয় বেশী স্বাধীন সিদ্ধান্ত- গ্রহণ এই নীতির এক মৌলিক শর্ত। সর্বোপরি, জোট-নিরপেক্ষতা অলজ্ঘনীয় নয় এবং ধদি তা মৌলিক জাতীয়স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে খ্াড়ায় তাহুলে তা

ংশোধন ক'রে নেওয়া যেতে পারে জোট-নিরপেক্ষতার অন্ধ-অন্সরণ এই

প্রাণবন্ত নীতিটির মৃত্যুর কারণ হয়ে ধাড়।তে পারে

১। সানডে স্ট্যাগ্ডার্ড (নয়াদিলী ), ওরা জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৭ম কলম) দি স্টেটজ্ম্যান ( নয়াদিলী ), ১৫ই জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭, ৮ম কলম।

২। প্রাভদ1 ইজভেম্তিয়। ( মন্কে। ), ৩০শে ডিসেম্বর ১৯৫৫

৩। ন্কাশনাল হেরান্ড ( নয়াদিল্লী ), ১৮ই সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত

৪। হিন্দুস্তান টাইম্‌স ( নয়াদিল্পী ), ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭*।

| এ. পি" জৈন সম্পাদিত শ্টাডে! অব দিবিয়ার (নয়াদিল্লী ), পৃঃ ৯৬৭-৭১এ অন্ততুক্তি চুক্তির বিবরণ দ্রষ্টব্য

৬| ভারতে রাইদূতরূপে কার্ষভার এহণের প্রাক্কালে ১৯৭২-এর ২০শে ডিসেম্বর মিঃ ময়নিহান ক্রিশ্চান সায়েন্স মনিটর পঞ্জিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভাবত- সোভিয়েত চুক্তিকে ভীতিপ্রদ মনে করেন নি

৯৭ |

১১

১২. |

১৫। ১1৮ |

১৭ |

জোট-নিরপেক্ষতার সাফন্য ১০৩

তিনি বলেন, “এইসব সরকার ( ভারত, রাশিয়া, চীন) পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে বাধ্য | কারণ তারা ( ভৌগোলিক দিক থেকে ) খুবই ঘনিষ্ঠ

স্টেট্স্ম্যান ( নয়াদিল্লী ), ২*শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭, ১ম কলম।

তারা আলি বেগ, “হোয়াই চায়না ইজ লিফটিং দি ব্যান্ু কার্টেন”, সানডে স্ট্যাপ্ডার্ড ( নয়াদিল্লী ), ২২শে জুন ১৯৭৩, সাময়িকী বিভাগ, পৃঃ ১, কলম ১, ৪, ৫-৬। এর আরও একটি রচনা, “বেড গার্ডস আযাগ্ড পিংক অলিএগারস”, ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইত্ডিয়া (বন্বে) ১৬ই দেপ্টেম্বনন ১৯৭০, তল্যুম 2007) নং ৩৭) পৃঃ ৩৭-৪১ দেখুন আরও দেখুন “চান £ আজ ইগ্ডয়ান উইমেন সি ইট”, টাইম্‌স অব ইগ্ডিয়া উইকৃলি (নয়াদিল্লী), ১২ই অগস্ট ১৯৭৩, পৃঃ এবং ৩। এই অংশে তার রচনাষ শ্রীমতী তারা আলি বেগ পুনরায় মন্তব্য করেন £ বাইবেন সাহাষ্া ছাড়া ৫দশের মানবিক অর্থনৈতিক সম্পদকে গ.দ তোলার চেষ্টা চীনকে শুধুমাত্র বিশ্ব-মর্যাদাই দেয়নি, তার জনগণের গব '৪ মর্যাদ। বাড়িয়ে তুলতেও বিরাটভাবে সাহায্য করেছে তার! গরীব হতে পারে ..কিস্তু তারা অনেক বেশী তৃপ্ত গবিত বলে আমাদের অনে হয় | [ এ, পৃঃ ৩, ৫ম কলম। ] হরিশ চানদোলা, “অনওয়ে টু চায়ন।”, গ্তাশনাল হেরাল্ড (নয়াদিস্বী), ২৪৯শে অগস্ট ১৯৭৩, পৃঃ ৫১২ ১০ কলম।

প্র, ৩০ অগস্ট ১৯৭৩, পৃঃ ৫. এম ৬ষ্ঠ কলম

এ, ৬ষ্ঠ কলম।

কে. পি এস. “মনন, “সাইনো-ইত্ডিয়ান রিলেশনস : আ্যান্‌ আনালিসিশ”, দ্দ মাদারল্যান্ড ( নয়াদেললী ), ৭ই জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ৬, ৮ম কলম। | সানডে স্ট্যাপ্ডার্ড (নয়।দিল্লী), ৩র] জুত ১৯৭৩, পৃঃ ১৯ ৭ম পম কলম।

হিন্দুস্তান টাইম্‌স; নয়াচিল্লী ), ৩রা জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১ম কলম।

দি স্টেটস্ম্যান ( নয়াদিল্রী ), ১৫ই জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭, ৭ম কলম |

অটোয়ায় টেলিভিশন থেকে প্রচারিত “প্রশ্নোত্ত” অনুষ্ঠানে মন্তব্য, হিন্দুস্তান টাইম্‌স ( নিউদিলী ), ২৫শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭, কলম ৭1 দি সানডে স্ট্যাগ্ডার্ড ( নয়দিলী ), ১৯ অগস্ট ১৯৭৩, পৃঃ ৫, ৪র্ঘ-৫ম কলম এখন ভাএত-পাক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং পিকিংও

_ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

আজিজ আহমেদের সম্মানার্থে প্রদত্ত এক ভোজসভায় ১৯৭৩-এর ৩০শে অগস্ট তার বৈদেশিক মন্ত্রীর এক বিবৃতি মারফত এই মতৈক্যে স্বাগত জানিয়েছে অতএব এটা আশা করা যায় যে ভারত চীনের মধ্যে সৌহার্দ্যের পুনঃ প্রতিষ্ঠায় কোন বাধা থাকা উচিত নয়। আর একটি উল্লেখযোগ্য উৎসাহব্যঞ্ক বিষয় হ'ল রাষ্ট্রপতি, যিনি সরকারীভাবে রোমানিয়া সফরে গিয়েছিলেন, রোমানিয়ার রাষ্ট্রপতি নিকোলাই চুসেস্কু তাকে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে চীনের আগের থেকে অনেক বেশী সহজ স্বাভাবিক মনোভাবের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ধারণার কথা জানান তিনি আরও বলেন তার মূল্যায়ন হ'ল, অদূর ভবিষ্যতে চীন-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক ক'রে তোলা সম্ভব হবে | হ্যাশনাল হেরান্ড, ৬ই অক্টোবর ১৯৭৩, ৬্-৭ম কলম 11 রোমানিয়া চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ঢুসেস্কুর ধারণার প্রতি খুবই গ্ররুত্ব আরোপ করা চলে

১৮। এই দুশ্বপটের পিছনে যেখানে ভারতের চারপাশের দেশগুলি পিকিং-এর প্রতাক্ষ মদতে শান্তি বন্ধুত্বের সঙ্গে বাস করতে শ্তরু করেছে, সেখানে এমন একটা বিশ্বাস রয়েছে যে ভারতকে দূরে সরিয়ে রেখেই এট অঞ্চলে চীনেস বৈদেশিক নীতির উদ্দেশা আরগু ভালভাবে সাধিত হচ্ছে যদি পিকিং নিজেই এখন মন-কষাকষির অবসান ঘটাতে এগিয়ে আসে, তবে পরবর্তা কালে এই অঞ্চল থেকে পশ্চিমী নয়া-উপনিবেশবাদীদের প্রভাব খর্ব করতে সফল হবে। [ কুলদীপ নায়ারের “ইনিয়া, চায়না! আগু দি সোভিয়েট উউনিয়ন”, স্টেটস্ম্যান, ২২শে নভেম্বর, ১৯৭৩ | ]

১১। ন্যাশনাল হেরান্ড ( নয়াদিল্লী ), ১৬ই স্লন ১৯৭৩, পৃঃ ৮, ৫ম কলম। একইভাবে ভারতস্ক মাকিন রাষ্ট্রদূত শ্রীময়নিহানও :টি দেশের মধ্যে সম্প্ক স্বাভাবিক করে তোলার ওপর জোর দেন ১৯৭২-এর ২০শে ডিসেম্বর ক্রিশ্চিয়ান সায়েহ্গ মনিটর-এ তার এই উক্তি উদ্ধৃত কর! হয়-_“মাঞ্চিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের মধ্যেকার স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাওয়ার অর্থ হল ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের প্রতি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলনীতিকে অনুসরণ করে যাওয়া সেই নীতির ভিত্তি সামরিক বা অর্থনৈতিক নয়। তা হ'ল মাফিন

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ১০৫

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এক প্রবল ইচ্ছা--যেন গণতন্ত্রষপে সে নিঃসঙ্গ না হয়।»

২৭ ন্যাশনাল হেরাল্ড ( নয়াদিল্লী ), ১৬ই.জুন ১৯৭৩, পৃঃ এবং ৭ম-৮ম ৫ম কলম। নিক্সনের মনোভাবের এই আকম্মিক পরিবর্তনের এক বিশেষ কারণ আছে ব'লে মনে হয়। তিনি তথ্য হৃদয়ঙগম করেছেন যে ভারতে উৎকোচ দিয়ে গণ-বিশঙ্খলা ঘটাবার জন্য সি. আই.এ.র সাম্প্রতিক নাশকতাযূলক কাজকর্ম তেমন ফলপ্রন্থ হয়নি, যতট| ১৯৫৩ সালে ইরানে মোসাদেগকে ক্ষমতাচ্যুত্ত করার সময় হয়েছিল |

২১! ইভনিং নিউজ £ হিন্দুস্তান ট|ইম্ম ( নযাদিলী ), ১৬ই জুন ১৯৭৩, পূঃ ৮, ২য়-৩য় কলম বেলগ্রেড টেলিভিশনেব ডঃ বোরিভোজ মিরকোভিক-এর সাথে শ্রীমতী গান্ধীর ভারত যাঞ্চিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বার্থের দন্দের ওপর আলোকপাতকারী সাক্ষ'ংকারটি দ্রষ্টব্য [ দি স্টেট্স্ম্যান, (নয়াদিল্লী ), ১৫ই জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭. ৮ম কলম ]। দিল্লীর বহিবিষয়ক মন্ত্রক প্রচারিত ১৯৭৩-এর ৮ই নভেম্বর মিসৌরির সেপ্ট লুইসে ওআর্লড আযাফেয়ার্স কাউন্দিস্-এ কাউল্‌-এর বক্তৃতাটি দ্রষ্টবা | রর

২২1 এ, ২৩শে জুন ১৯৭৩, পুঃ ১, ৫ম কলম।

২০। শ্রীনগরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ১৯৭৩-এর ২রা জুন ওআশিংটনস্থ ভারতের ভূতপুব রাষদূত শ্রী এল. কে. ঝার বিবৃতি জ্টব্য | ইগ্ডিরান এক্সপ্রেস ( নয়াদিল্লী ), ওরা ছুলাই ১৯৭ +, পুঃ ৭.৭ কলম ]।

২৪ | হিন্দুস্তান টাইমস ( নয়াদিক্লী ), ৭ই জুলাই ১৯৭৩

২৫। শ্রীহৃটোর প্রস্তাবিত মাকিন ব্রিটেন সফর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া তার খণ্ডিত পাকিস্তানের জন্য রাজনৈণতক সমর্থন লাভের উদ্দেশ্প্রণোদিত ব'লে সাক ভাবেই ১৯৭৩ সাংলর ১২ই জুলাই বন-এর ওয়াকিবহাল মহল বর্ণনা করেছেন

শ্ীভুট্রে। মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সফপ্পের আগে পাক জাতীয় সভার কাছ থেকে

ংলাদেশকে হ্বীরুতি দেওয়ার জন্য তথাকথিত যে অধিকার চেয়েছিলেন তা আসলে বিশ্বজনমতকে ধেশাকা দেওয়ার জন্য এবং এট বিশ্বাস করাবার জন্য যে তিনি স্বীরুতি দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন

কয়েকমাস পরে শ্রীতুটোর মাকিন সফর পাকিস্তানের পক্ষে তেমন ফলপ্রন্

১০৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

হয়নি। অন্যদিকে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ভুট্টোর অস্ত্রের সমকক্ষতার থিসিস বাতিল ক'রে দেন। ওআশিংটনে শর এস. স্বরণ সিং ডঃ হেনরি কিসিংগারের মধ্যে আলোচনায় মাকিনপক্ষ স্বীকার করেন যে, পাকিস্তান ভারতের মধ্যে সামরিক সমকক্ষতার কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না। [ আরও বিশদ বিবরণের জন্য দি স্টেট্স্ম্যান (নয়াদিল্তী), ৫ই অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৭-৮ম কলম |] পশ্চিমী পাক-বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভুট্টোর সফরের পিছনে ছিল যুগ্ম-উদ্দেশ্ট সাধনের বাপনা- আন্তর্জাতিক অস্থবিধাগুলিকে কাটিয়ে ওঠা এবং পশ্চিমীদেশগুলির রাজনৈতিক সামরিক সমথন যোগাড় করা পশ্চিমী দেশগুলির রাঁজমৈতিক পর্যবেক্ষক উপমহাদেশের পরিবতিত বাস্তব অবস্থাকে স্বীকার ক'রে নেওয়] সম্পর্কে শ্রীভুট্টোর আন্তরিকতার বিষয়ে ছিলেন নিতান্তই সন্দিহান তারা অবশ্য ভেবেছিলেন, এটা হয়ত শ্রভুট্োকে সামরিক অর্থ নৈতিক আদান-প্রদানের বিষয়ে বোঝাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অবলম্বন যোগাবে ২৬। ইনডিয়ান এক্সপ্রেস ( নয়াদিল্লী ), ৯ই জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ১,৮ম কলম। ২৭। মাদারল্যাণ্ড (নয়াদিন্তী ), ৩১শে জুলাহু ১৯৭৩, পৃঃ ১, ১-২য় কলম। ২৮। কে. পি. এস্‌* মেনন, “ইত্ডিয়া আযাণ্ড দি নিউ আাকসিস”, সানডে স্ট্যাপ্ডার্ড ( নয়াদিলী ), ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৭৩, পৃঃ ৬, ৮ম কলম। ২৯। * বিশদ বিবরণের জঙন্ দি হিন্দুস্তান টাইম্‌স ( নয়াদিলী ), ৫ই অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ১, ১-৩য় কলম ৩০। টাইম্‌স অব ইপ্ডিয়া (নয়াদিল্পী ), ১৬ই সেপ্েম্বর ১৯৭৩, পৃঃ ৫, কলম ১। ৩১। ন্যাশনাল হেরান্ড ( নয়াদদিলী ), ১৬ই জুন ১৭৭৩, পৃঃ ৮, কলম | * রয়াল সেপ্টণল এশিয়ান সোসাইটি (লগ্ুন)-এ ১৯৭২ সালের «ই অক্টোবর 'এক সম্মেলনে কলদ্দিয়! বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন উইলকক্সের “আমেরিকান পলিসি ট্রওআর্ডদ সাউথ এশিয়া” শীর্ষক বক্তৃতাটি দ্রষ্টব্য ৩২। ভারতের পক্ষে খণ ব্যয় করার বিষয়টির নতুন বিন্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তার উন্নয়নের জন্য যে প্ররূত ধণ সে পাৰে তা দাতার এই ধরনের সাহায্য ছাড়া ক্ষয় পেয়ে যাবে

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ১*৭

৩৩। জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সাথে তীর আলোচনা-শেষে শ্রীময়নিহান ভারত মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেটি প্রধান বিতকিত বিষয়-_পি. এল. ৪৮০ খাতে জম। টাকার বিষয়টির সমাধানের একটি পথ খুঁজে পাওয়। সম্পর্কে আশান্ধিত হয়েছেন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে থাক। কালে মাকিন রাষ্দূত মে দেশের ভারতী রাষ্ট্রদূতের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন তারা৷ শুধুমাত্র পি. এল. ৪৮০-এর সমশ্যা নিয়েই নয়, ভারত-মাকিন সম্পর্কের স্যগ্র বিষয় নিয়েই আলোচনা করেন। | ইণ্ডিয়ান একপ্রেস ( নযাদিল্লী ), ৩রা! জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ৭, ১ম কলম। ]

৩৪ | টাইম্‌স অব ইগ্ডিয়া (নয়াদিল্লী ', ২৯শে মে ১৯৭৩, পৃঃ ১, কলম।

৩৫ | পেটয়ট ( নয়াদিলী ), ১৮ই জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৬-৭ম কলম পররাষ্ট্রদপ্তরের মুখপাজ্র পল হেয়ারের সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া ১৯৭৩-এর ১৬ই ন্গুলাইয়ের বিবৃতি জষ্টব্য। | দি স্টেট্স্ম্যান ( নয়াঁদিল্লী ), ১৭ই জুলাই ১৯৭৩, পঃ ১, ৮ম কলম | ]

৩৬ | তী, ডন্ঠ কলম

৩৭1 এ, ৪র্থ কলম।

৩৮ অবশ্য, আমেরিকায় এই চির বিরোধী দেখা দিয়েছে ওআশিংটনে ভারত-বিদ্বেষীরা এই খণ দানকে দেখছেৰ বোনাস দান হিসেবে আর তাই তাঁদের মেজাজও উঠেছে সপ্তষে এইসব ফাগুগুলি সম্পর্কে ভারতের বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে মাকিন সরকারের ইচ্ছুক মনোভাব সম্পর্কে সংবাদপত্রের খবরগুলি দেখে এরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন। কংগ্রেসের সস্থম্প্ট অনুমোদন” ভিন্ত্র মাকিন প্রশাসনের এই ধরনের চুক্তি করার অধিকার তাঁর! চ্যালেঞ্জ করেছেন সম্ভবতঃ হাউস অপারেশন কমিটি-_বার চেয়ারম্যান শ্রী অটো পাশম্যান একজন পুরানো! ভারত-বিরোধী-_ তাদের ইতিযধ্যেই-স্কৃচিত সাংবিধানিক ক্ষেত্রে নিক্সন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ঠেকাবার জন্তই এই ধরনের কৌশল গ্রহণ করা দরকার ব'লে মনে করেছিলেন বিষয়টি নিষ্পন্ন করার জন্য শ্রীপাশম্যানের পরামর্শ হ'ল, এখন থেকে ২*দশক ধরে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের পি. এল-

৮* ফাগ্ডের ৭ম শতাংশ ভারতীয় মুদ্রা! নিজের কাছে রেখে দেয়!

১৯৮ ভারত-মোভিয়েত চুক্তি

উচিত, যখন বর্তমানের কয়েকটি ইওরোপীয় মুদ্রার মত ভারতীয় ুদ্রাও ডলারের মত শক্তিশালী হুয়ে উঠবে। স্পষ্টতই তিনি জানেন যে বারংবার সংকটের আঘাতে জর্জরিত ডলারের আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরানো অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। তরু টাকার সঙ্গে সমকক্ষতার সম্ভাবনার কথা তুলে তিনি জনমানসে এক অযুলক আতঙ্কের কৃষ্টি ক'রে বর্তমান আলোচনার ক্ষতি করতে চাইছেন। [ আরও বিশদ বিবরণের জন্য পেট্রিয়ট ( নয়াদিলী ), ৩০শে জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ২, ৮ম কলম দেখুন ]

৩৯। দি হিন্দুস্তান টাইমস (নয়াদিল্ী ), ১৬ই জুলাই ১৯৭৩

8০। এ। ্‌ পি. এল. ৪৮* ফাণ্ড সম্পর্কে সাময়িক চুক্তি

৪১ আরও বিশদ বিবরণের জন্য দি মাদারল্যাণ্ড ( নয়াদিল্লী ), ২*শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৩, পু: ১১ ৭-৮ম কলম এবং দি পোট্রিয় ( নয়াদিস্তী ),

২০ নভেগগর ১৯৭৩, পৃঃ ১১৭-৮ম কলম ব্রষ্টব্য |

৪২। বিশদ বিবরণের জন দেখুন ইত্ডিয়ান এক্সপ্রেস (নয়াদিলী ), ওরা জুলাই, ১৯৭৩, পৃঃ ৭, কলম ১, টাইম্‌স অব ইত্ডিয়া ( নয়াদিল্লী ), ২১শে" মে ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৭ম কলম, পোট্রিয়ি ( নয়াদিত্তী ) ১৮ই জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৬-৭ম কলম, দি স্টেট্স্ম্যান (নয়াদিজী), ১৭ই গুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ১, কলম ৮, পেটরিয়ট (নয়াদিল্লী ), ৩*শে জুলাই ১৯৭৩, পুঃ ২৪ ৮ম কলম, দি হিন্দুস্তান টাইম্‌স / নয়াদিলী ), ১৬ই দুলাই ১৯৭৩ এবং দি মাদারল্যাণ্ ( নয়াদিস্তী ), ২*শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৩) পৃঃ ১১ ৭-৮ম কলম

৪৩ | নব ভ।রত টাইম্‌স ( নয়াদিল্লী ), ৩০শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৩) পৃঃ ১, ৩-৫ম কলম 1 আরও দেখুন দি স্েট্স্ম্যান (নয়াদিস্লী), ১লা অক্টোবর ১৯৭৩, পঃ ১, ১-২য় কলম এবং দি ইনডিয়ান এক্সপ্রেস ( নয়াদিজ্সী ), ওর! অক্টোবর ১৯৭৩, পুঃ ৫, ৫-৮ম কলম

৪৩ (ক)। ইনডিয়ান এক্সপ্রেস, ৩গা অক্টোবর ১৯৭ পৃ ৫? ৮ম কলম আরও দেখুন ন্যাশনাল হেরান্ড, ওরা অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৮ম কলম।

৪৩ (খ)। এস. বিশ্বম, “কনসিকোয়েনসেস অব দি ইউ. এস, সেনেট ভোট”, দি সেট স্ম্যান ( নয়াদিল্লী )। ওরা অক্টোবর ১৯৭৩।

জোট-নিরপেক্ষতার সাফল্য ১০৯,

৪৪ | পোর্রয়ট ( নয়াদিস্লী ), ২৩শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ €, ২য় কলম |

৪৫ | এ, ৩য়-৪র্থ কলম।

৪৬ | স্টেটস্ম্যান ( নয়াদিল্লী ), ২০শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ৭, ১ম কলম।

৪৭। ইভনিং নিউজ £ হিন্দুস্তান টাইম্স ( নয়াদিল্লী ।, ২৩শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১৯ কলম ৩। আরও দেখুন_দি হিন্দুস্তান টাইম্‌স ( নয়াদিজ্ী ), ২৪শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১? কলম ৭-৮।

৪৮। স্যাশনাল হেরান্ড (নয়াদিল্লী], ২০শে গুন ১৯৭৩, পৃঃ ১১ ৪র্থ কলম।

৪৯। এ।

৫০ | গ্র) পৃঃ ৪১ কলম যথাক্রমে ৩।

৫১। নয়াদিলীতে ১১৭৩-এর ২র!| জুন অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাষ্ঠিং কমিশনের

সাথে তার সাক্ষাৎকার দেখুন | [সানডে স্ট্যাগ্ডার্ড ( নয়াদিজী ),

৩রা জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১, ৭ম কলম |

পেট্রিয়ট ( নয়্াদিস্পী ), ১৮ই জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১, কলম ১-২ !

পঞ্চম অধ্যায়

ক্রমবর্ধমান অর্থ নৈতিক সম্পর্ক

ভারত-সোভিয়েত চৃক্তি সামরিক চুক্তি তো৷ নয়ই, বরং এট! প্রকুতপক্ষে সামাজিক-অর্থ নৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বন্ধুত্ব সহযোগিতার চুক্তি। ছয় নং ধরা, যেটি অর্থ নৈতিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ওপর বিরাট গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং বাণিজ্য, পরিবহণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতার প্রস্তাব করেছে, তা -টি দেশের মধ্যে অর্থ নৈতিক সম্পর্কের বিকাশকে আরও চাঙ্গা ক'রে তুলতে সাহায্য করেছে বিশেষতঃ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এর ফলাফল বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে তাই ১৯৭২ সালের ১৫ই জুলাই তৎকালীন বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী এল. এন. মিশ্র সোভিয়েত সাংবাদিক বরিস ব্লাসভ- এর সাপে এক সাক্ষাৎকাগে ভাবুত-সোভিয়েত বাণিঞ্জোর বৃদ্ধিকে “চমত্কার, সঘট শঞ্টোব্জনক এবং উভযেব পক্ষেই উপকারী” ৭*ণে ধরন করেন।২

উভয়পক্ষের দিক থেকে পরস্পরকে সর্বাধক স্ুুবিধাধন্য দেশরূপে গণ্য করার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে স্থবিধাজনক শর্ত মঞ্জুর করার সাধারণ নৌভিয়েত নীতি এবং ১৯৭১-এর ছুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ভারত আজ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে সোভিয়েতের সবচেয়ে বড় বাণিঙ্গিক অংশীদার হৃতরাং এটা আদৌ আশ্চর্জনক নয় যে ১৯৫*-৫১ সালে দু'দেশের মধ্যে বাণজ্যের পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৭০-৭১ সালে ৩০০ কোটি টাকায় পৌছেছে ১৯৭৩ সালের জন্ত সাম্প্রতিক বাণিক্যহৃক্তির খসড়ায় ৪১* কোটি টাকার বাণিজ্যিক লেনদেনের কথা বলা! হয়েছে ।৩ এর মধ্যে এক বড় অংশের লেনদেন হবে নতুন ধরনের পণ্যের। পারস্পরিক স্থবিধার্থে বাণিজোর ধরনও পরিবতিত হচ্ছে

জনৈক মাকিন অর্থনীতি-বিশেষজ্ঞ ডঃ রোনান্ড চিফন “ভারত-মাকিন বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক বক্কৃতা! প্রসঙ্গে সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে সোভিয়েত পূর্ব-ইওরোপীয় দেশগুণিতে ভারতের বধানি ১৬ শতাংশ থেকে বেড়ে শতাংশ হয়েছে কিন্ত মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ত| ১৯ শতাংশ থেক নেমে গিয়ে ১৬ শতাংশে দাড়িয়েছে তিনি বলেন যে, মাকিন সরকার

ক্রমবর্ধমান অর্থ নৈতিক সম্পর্ক ১১১

ভারতের সাথে বাণিজ্যিক ভারসাম্ের বিপরীতমুখিতা সম্পর্কে সতর্ক হয়েছেন ।৪

অন্যদিকে, এট। খুবই উৎসাহব্যঞ্জক যে, অধুনা বাণিজ্যিক কর্মস্থচীর ভিত্তিতে, সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রপ্তানি ১৯৭৫ সালে ৩৮* কোটি টাকার অঙ্কে পৌছবে কলে আশ। করা যায়। এর মধ্যে ২** কোটি টাকা ভারতের উ্ৃবৃত্ত হবে ।€

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পরে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি থেকে আরও অনেক বেশী আশ! করা যায়।

তুলা সংক্রান্ত চুক্তি

১৯৭১-এর ১৬ই সেপ্টেম্বর ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন কাপড়ের কলে কাচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য তুলা আমদানির উদ্দেশ্টে এক বিরাট চুক্তি করেন বছরে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টন তুলা আমদানির এই চুক্তি ভারতের মিলগুলিকে বহু প্রয়োজনীয় কাচামাল যোগাবে এবং সাধাব্রণভাবে বন্ত্রশিলপে নতুন গতি দেবে ঝঃলে মনে হয়।৬ ১৯৭১-এর এপ্রিল মাসে যখন ৫3090191)- এর ডেপুটি চেয়ারম্যান নিকোলাই !মবরোভভরতসেভের নেতৃত্বে একটি উচ্চ- ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল এদেশে আসেন এবং ছু*দেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়িয়ে তোলার সম্ভাবনা পরীক্ষা করেন,সেই সময় সোভিয়েত তুলা আমদানির বিষয়াট আলোচিত হয়।

সোভিয়েত যুক্তরাষ্ী থেকে পশম রোন্ড মেটাল আমদানি করাৰ প্রস্তাব- শুপিও কম বেশী একই ধরনে আলোচিত হয়। শুধুমাত্র তুলা-চুক্তিটিই ভারত- সোভিয়েত বাণিজ্যের আয়তনকে দশ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে ।৭

বাণিজ্যিক রীতিনীতি

ভারত-সোভিয়েত বাণিজ্যিক রীতিনীতি যেটি মস্কৌতে ১৯৭২-এর ৫ই মে স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ফলে ভারতের সার, লৌহেতর ধাতু এবং নিউজপ্রিণ্টের বাড়তি সরবরাহের প্রয়োজন মিটেছে। এতদিন পর্যন্ত ভারত মাকিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পৌহেতর ধাতু কিনত, “কিস্ত ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের শুরুতে তার৷ সাহায্যের কর্মস্থচী বাতিল করলে এটি বন্ধ হয়েযায়। স্থতরাং অন্য স্থত্র খেশাজা ছাড়া ভারতের গত্যন্তর ছিল না। সেই সঙ্কটের মুহূর্তে ভারতকে সাহায্য করতে এগিয়ে আমে সোভিয়েত ইউনিয়ন “প্রয়োজনের সময়ে যে বন্ধু হয় সেই প্ররুত বন্ধু ।”

১১২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে দস্তা, তামা এবং সীসার মত লৌহেতর ধাতৃ- গুলির বাড়তি আমদানি ভারতের শিল্পায়নকে চাঙ্গা ক'রে তোলার জন্ত বিশেষ- ভাবে সাহায্য করেছে।

তাছাড়া, নতুন চুক্তি অনুসারে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ২০৯০০* টন সার সরবরাহ জরুরী প্রয়োজন মেটাবে এবং ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম মেটানো যাবে। অন্যদিকে চিরাচরিত স্ুত্রগুপি থেকে সরবরাহ পাওয়। ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠছে।

চুক্তির রীতিনীতির মধ্যে বিষয়েও দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে যে, ভারতে ট্রাক্টর তৈরির সাম্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ছুই দেশের সহযোগিতার ভূমিকা স্বরূপ & কোটি টাকার সোভিয়েত ট্রাক্টর ভারতে বিক্রি কর] হবে।

উভয়পক্ষই ১৯৭৫ সালের মধ্যে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটিয়ে ৫** কোটি টাকায় তোলবার উদ্দেশ্টে দুই বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী এবং কর্মচারীদের নিয়ে কয্েকটি কমিটি গড়ে তুলতে রাজা হয়েছেন ।৮

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী এল. এন. মিশ্র (যিনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন) মক্ষোর সাংবাদিকদের কাছে বলেন যে, পোভিয়েতের মনোভাব অত্যন্ত সহযোগিতামূলক এবং এদেশের সামনে যেসব সমস্যাবলী রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে তার1 গভীর আগ্রহ দেখান ।৯

চুক্তির আরেকটি বিষয় হ'ল কেরোসিন সংক্রান্ত ভারতীয় চাছিদা পুরণ করা, যার মধ্যে প্রতিবছর সোভিয়েত ইউনিয়ন লক্ষ টন সরবরাহ করবে। যেসব জিনিসপত্র চিরাচরিত সোভিয়েত রপ্তানি ঝলে মনে করা হয় সেগুলি হ'ল বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, খনি তৈল সন্ধানের সরঞ্জাম, খননকারক যন্ত্র, লিকট ট্রাক, ক্রেন, পরিবহণ যন্ত্র, বিমান পরিবহণের সরপঞ্রাম ইস্পাতজাত দ্রব্যাদি পরিবর্তে সোভিয়েতে ভারত তৈরা জামাকাপড়, গেঞ্জী, মোজা এবং কসমেটিকের রপ্তানি খাড়াৰে। শ্তুধুমাত্র কমমেটিকের স্ৃল্যই হবে কোটি টাকার বেশী ভারতের শিল্পদ্রব্যের মধ্যে থাকবে গ্যারাজ সরঞ্রাম, বির্যংশক্তি সঞ্চয় ক'রে রাখার যন্ত্র ( আযাকুমুলেটর ), বিদ্যৎশক্কির কেবল্স্‌, তাদের দড়ি, রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং রং ৯৪

ুক্তিত্বাক্ষর অ্ষ্ঠান উপলগে গ্রীমিশ্র বলেন, এটি এক এীতিহা পিক চুক্তি। এতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াবার ঘে শর্তাদি রয়েছে শুধু তার জন্যই নয়, এর পিছনে রয়েছে শুভেচ্ছা এবং ভারতের অর্থনৈ'তক উন্নয়নে সোভিয়েতের সাহাধ্য করার ইচ্ছার প্রতিফলন ।১৯

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১১৩

কফি রপ্তানি সম্পকে-“চুক্তি স্বাক্ষরিত

১৯৭২-এর জুলাই মাসের মধ্যভাগে নয়াদিল্লীতে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুসারে ভারত ১৯৭২-৭৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে ৪,০** টন কফি রপ্তানি করে। এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে তার ক্রমবর্ধমান কফি- উদ্বৃত্ত থেকে মুক্তি দিয়েছে এই কফি-উদ্বৃত্ত বাগিচা শিল্পে সৃষ্টি করেছিল এক গভীর সঙ্কট ।১২

দৃঢ়তর মৈত্রীবন্ধনের জগ্ঠ ভারত-সোভিয়েত কমিশন

অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক কারিগরি ক্ষেত্রে দ্র'দেশের মধ্যে টমত্রীবন্ধন দুটতর করার উদ্দেশ্যে ভারত-সোহিয়েতযুক্ত কমিশন স্থাপন করার প্রস্তাবটি ১৯৭২ সালের ১৭ই অগস্ট বিশরভাবে উচ্চপর্ধাযে আলোটিত হয় এবং সে সম্পর্কে পিদ্ধাপ্ত নেওয়া হয়। কমিশনে ভারতের পক্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিকল্পনামন্ত্রী শ্রী ডি. পি. ধন্ন। ১৯৭১-এর সেপ্টেম্বরে মস্কোয় সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী কোপিগিন-এর সঙ্গে আঙ্গোচনায় যুক্ত কমিশন স্থাপন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়] হয়। সই সময় আলোচনা-প্রপঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৈত্রীবন্ধন স্থদূঢ করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার কর। হয়।

একই উদ্দেশ্যে মঙ্গোষ্ব ১৯৭২-এর ১৯শে সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ টুক্কি স্বাক্ষরিত হয় ।৯৩

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতায় ব্যাটারি কিনল

১৯৭২ সালের ২র] সেপ্টেম্বর, ভারতের স্টেট ট্রেডিং করপোরেশন পরবতী এক বছরের মধ্যে ১৮ লক্ষ টাকার “ডাই ব্যাটারি” সোভিয়েত ইউনিয়নে সরবরাহ করার এক চুক্তি করে।১৪ সাধারণতঃ যে ধরনের জিনিসপত্র সেখানে সরবরাহ কর! হয়ে থাকে এটি সেই ধরনের নয় তাই এই চূক্রিটিকে এক বিরাট অগ্রগতি ব'লে মনে করা হয় এবং ১৯৭২:৭৩ সালে এই চুক্তির মাধ্যমে আটগুণ বেশী অর্ডার পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে ভারত-সোভিয়েত বাণিজ্যে এই ধরনের অন্তান্ত জিনিসের মধ্যে রয়েছে (লিনোলিয়াম। বিগত ১৯৭২ সালের অগস্ট মাসের শেষদিকে ৪৫ লক্ষ টাকার লিনোলিয়াম বপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ।৯€

“এ্রশিয়। ৭২”-এ (সোভিয়েত ইউনিয়নের পঞ্চাশ বছরের চমকপ্রদ অগ্রগতির প্রতিফলন

১৯৭২-এ ভারতের স্বাধীনতার ২৫তম বাষিকী এবং সংযুক্ত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ৫*তম প্রতিষ্ঠা বাধিকী উদযাপিত হ'ল তাই এটি

১১৪ ভারত-সোভিয়েত ঢুক্তি

ছ'দেশের পক্ষেই স্মরণীয় বছর। ৩র৷ নভেম্বর বিশাল এশীয় আস্তর্জাতিক বাণিজা মেলা-_-“এশিয়া ৭২,-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধী। এই মেলায় ছটি দেশই তার্দের সাফল্যের পূর্ণচিত্র উপস্থাপন করার সুযোগ পায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্যাভেলিয়নটি ছিল সবচেয়ে ঝড়। এখানে মনোমুগ্ধকর বৈচিত্র্যময় প্রদর্শনীতে সেদেশের বিন্ময়কর অগ্রগতি সবচেয়ে বেশীনংখ্যক মানুষকে আকৃষ্ট করে। বিগত অর্ধশতাব্ধীতে প্রথম উন্নত সমাজতান্ত্রিক দেশটি কি পরিমাণ অগ্রগতি করেছে তা তার] দেখতে আসেন

প্যাভেলিয়নে বাণিজ্যিক লেনদেন

প্যাভেলিয়নে বাণিজ্যিক লেনদেন ঘটেছিল বেশ তাড়াতাড়ি এবং ভাল পরিমাণেই মেলার প্রথম দিনেই সোভিয়েত সাথে ভারতীয় বাণিজ্যিক

ংস্থাগুলির পাচটি চুক্তি হয়। সোভিয়েত সংস্থা “৮10 29011936280”

উইংগস্‌, লিবার্টি, মিলটন এবং একসেল প্রভৃতি সংস্কার তৈরী শার্ট আমদানির দ্ার়িত্বনেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পলিগ্রাফিক মন্ত্র খনক (০৪.৮৪.69:3) খনির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি আমদানি করার চুক্তিও হয়। ১৯৭২ সালের ১৩ই নভেম্বর এক চুক্তি অন্থসারে লোভিয়েত সংস্থা “10 6৩০10)9366590:৮” ইত্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভণ্টা-ধরনের একটি পোটারি যন্ত্র সরবরাহ করবে সোভিয়েত প্যাভেলিয়নের ডিরেক্টুৰ জানান যে ১৯৭২ সালের ২২শে নভেম্বরের মধ্যে কোটি টাকার চুক্তি হয়। তান বলেন, “ভারতীয় শিল্পপতিরা আমাদের যন্ত্াদি, বৈখ্যতিক সরঞ্জাম, কৃষি যঞ্্রণাতি সম্পর্কে আগ্রধী। আমি আশা করি আগামী দিনে আরও অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হবে ।৮১৬

৪১০ কোটি টাকার ভারত-সোভিয়েত বাণিজ্য

১৯৭৩ সালে দু'দেশের মধ্যে ৪১০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে এই মর্মে আর একটি ভারত-মোভিয়েত চুক্তি ১৯৭২ সালের ২৫শে নভেম্বর স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তি থেকে দেখা যায় ১৯৭২ সালে অনুমিত বাণিজ্যের মাত্রা থেকে ১৫ শতাংশ বাণিজ্যবৃদ্ধির সম্ভাবন1 রয়েছে লোভিয়েত ইউনিয়ন এখন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। যি এই ধরনের প্রবণতা স্থায়ী হয়, তাহলে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারের স্থান সে গ্রহণ করবে। নর

এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সোভিয়েতের বৈদেশিক বাণিজ্য দণ্তরের উপমন্ত্রী আই. টি. গ্রিসিন এবং ভারতায় বৈদেশিক বাণিজা দপ্তরের সহকারী সচিব ওয়াই* টি. শাহ।

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১১৫

সাধারণতঃ যে ধরনের জিনিসপত্র সচরাচর রপ্তানী হয় না যেমন, তৈরী : পাশাক, বৈদ্যুতিক কেবল্স্‌, স্টোরেজ ব্যাটারি এবং তারের ছড়ি ইত্যাদির রপ্তানি ভারত বাড়াবে বলে আশ। কর। যায়।

সাধারণ রপ্তানি যথা-_ খোল, খোসাহ্ুদ্ব কাজুবাদাম, চা, কফি, মসলা, তামাক, তুল! পাটজাত শিল্পপ্রব্য বপ্তানির প্রসঙ্গ এই চুক্তিতে আছে

সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ভারত প্রধানতঃ যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম, পেট্রো- লিয়ামজাত দ্রব্য, তামা, নিকেল প্রভৃতি কাচামাল, সার) নিউজপ্রিণ্ট এবং শোধনযন্ত্র আমদানি করবে ।১৭

চুক্তিম্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষে শ্রীশাহ বলেন যে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ঘে হারে বাড়ছে তা ছু'দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার যথার্থই যোগ্য হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা আনন্দিত যে এখন অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সোভিয়েত ভারত বড় অংশীদার হুয়ে উঠেছে ৯৮ |

নতুন অগ্রগতির প্রশংসা ক'রে তংকালীন বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী. এল. এন. মিশ্র ১৯৭২ সালের ১লা থেকে ২রা ডিসেম্বর নয়াদিল্লীতে পূর্ব ইওরোপের দেশগুলির সাথে বাণিজা সম্পর্কে জাতীয় আলোচনার উদ্বোধন ক'রে বলেন, “আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের যে অংশটি সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে তা চলছে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির সাথে 1৮৯৯ এন. মি. লিং এফ. সোভিয়েত সমবায়গুলিতে পণ্য রপ্তানি করবে

ভারত সংযুক্ত সোভিয়েত সমাজতা্রিক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সমবায় ক্ষেত্রে রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য এক যুক্ত-ইস্তাহার স্বাক্ষরিত হয় নয়াদিল্লীতে ১৯৭২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর জাতীয় ক্রেতা সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি শ্রীঅমরসিং হরিকা ইস্তাহীরে স্বাক্ষর করেন। যুক্ত-ইস্তাহারে রপ্তানি বাণিজ্য ছাড়া প্রযুক্তিগত জ্ঞান, নির্বাচিত ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে সাহায্য, দু'দেশের ক্রেতা সমবায়গুলির কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিক্ষার কর্মম্থচী এবং কর্মী-বিনিময়ের কথাও রয়েছে ।২০

অর্থ নৈতিক সহযে।গিতা৷ জম্পকে ভারত-সোভিয়েত আলো চন৷

১৯৭২ সালের অগস্ট মাসে যে ভারত-সোভিয়েত যুক্ত-কমিশন স্থাপিত হয়, নয়াদিল্লীতে ১৯৭৩ সালের ৯ই ফেব্রমারি তার তার প্রথম বৈঠক শুরু করেন। বৈঠকের শুরুতে দু'পক্ষের নেতারাই পারস্পরিক স্ববিধার তিত্তিতে

১১৬ ডারত-সোভিয়েত চুক্তি

অর্থনৈত্তিক সহযোগিতা বিকাশের প্রভূত সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেন, ভারত বাণিজ্য বিকাশের ওপর জোর দিলেও, সোভিয়েত দলের নেতা৷ এম, এ, স্ক্যাচকভ প্রধান প্রধান শিল্প উন্নয়নে সাহায্য করার বিষয়ে সোভিয়েত সামর্থ্যের. কথ উল্লেখ করেন ।২১

ভারতীয় দলের নেতা, পরিকল্পনা-মন্ত্রী শ্রী ডি. পি. ধর, তার উদ্াবোধনী ভাষণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিরাট স্থযোগের কথা উল্লেখ করেন: এটিকে তিনি “এক নতুন উৎসাহব্যঞ্তক ক্ষেত্র” ব'লে বর্ণনা! করেন। শ্রীধর বলেন, “সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে দীর্ঘমেয়াদী বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে আমর প্রস্তত।” তিনি আরও বলেন যে, দু'পক্ষের মধ্যে সাম্প্রতিক বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনাগুলি সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মে। চিত করেছে |২২

সোভিয়েত দলনেতা এই মর্মে সন্তোষ প্রকাশ করেন যে, বিগত বারে বছরে ছুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য ছ'গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ।২৩ তিনি এই জন্যও গবিত যে ৯০টি সোভিয়েত সাহাধ্য-প্রকল্পের মধ্যে ৫০টিতেই সহযোগিত: চলছে 1২৪

১৯৭৩ সালের জন্য বাণিজ্যচুক্তি

১৯৪৩ সালের ১৭ই ফেব্রুমারি ভারত সোিয়েত ইউনিয়ন অর্থ নৈতি বাণিজ্যিক সহযোগিত। সম্পর্কে এক চুক্তি স্বাক্ষর করে। সোভিয়েত প্রতি নিধিরা বলেন যে চুক্তি ভারত-সোভিয়েত মৈত্রীঠুক্তির এক প্রঘারিত ঝপ জান] গেছে, চুক্তি অনুসারে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের বিশেষজ্ঞর যুক্তভাবে একটি তাপিকা প্রস্তুত করনেন--যেসব প্রকল্পে সোভিয়েতের বিপুল পরিমাণ সাহায্য দেওয়ার সম্ভাবনা আছে সেগুলির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাটি তৈরি কর] হবে।

জানা গেছে, মৌলিক শিল্পগুলির সাথে সোভিয়েত পাহাথ্য প্রযুক্ষিগত জ্ঞান পেট্রোলিয়াম, তৈল সমৃদ্ধি, জাহাজ পরিকল্পনা, সার, কমপিউটার, চামড়া, কলকাতার পাতাল রেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, মহাকাশ পরিকল্পনা! এবং ইপেন- উরনিকসের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে ।২৫

আই. ভি. পি. এল.-এর সম্প্রসারণের জন্য সোভিয়েত সাহায্য

ভারতও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ইপ্ডিয়ান ড্রাগস অ্যাও ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিমিটেডের আরও সম্প্রমার« ঘটাবার জন্ক মক্ষোয় ১৯৭৩-এর ৩১শে জুন চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। আই.

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পক ১১৭

ডি, পি. এল.-এর চেয়ারম্যান শ্রীজগজিং সিং ভারতের পক্ষে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ওষধশিল্পের সহকারী মন্ত্রী শ্রীডভোরিয়াকভক্ষি চুক্তিটিতে থ্বাক্ষর করেন | ঢুক্তি স্বাক্ষরের সময় শ্রীজগজিং সিং বলেন, ণ্খধিকেশ প্রকল্পের ক্ষেত্রে, আমাদের পরিকল্পনা হ'ল সোভিয়েত ইউনিয়ন যে প্রয়োজনীয় পাহায্য আমাদের দিতে ব্রাজী হয়েছে তাই নিয়ে স্টেপটোমাইসিন টেরাঁসাইক্লিনের উৎপাদন সম্প্রসারণ কর ।”২৬ হাগক্নদ্রাবাদ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, টেকনোএক্সপোর্টকে সরঞ্জামের অভার আমরা ইতিমধ্যেই দিয়েছি এনং সরবরাহের সময় সম্পর্কে মস্কোয় আলোচনাও হয়েছে 1২৭

শোধনাগার জম্পর্কে চুক্তি স্বাক্ষরিত

১৯৭৩ সালের ২১শে জুলাই মন্্োতে ভারতীয় তৈল রসায়ন দপ্তরের মন্ত্রী শী: ডি. কে: বড়ুয়া সোভিয়েত সরকারের সঙ্গে এক চুক্তি ন্বাক্ষর কবেন। উর প্রদেশের মথুরায় একটি “আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্ঠায় অগ্রসর শোধনাগার” স্থাপন করার জন্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জ'ম সরবরাহেন জন্যই এই চুক্তি। ভারতীয় মর নামমাত্র ৬১ লক্ষ টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন শোধনাগারটির স্বাপনাকে “জরুরী” বলে বর্ণনা ক'রে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা সিদ্ধান্তের জন্য মন্ষো যান নয়াদিল্লীতে কিরে সাংবার্দিকদের কাছে তিনি বলেন, শোধনা- গ1রটি স্থাপন করা জরুরী যেহেতু উন্ূুর বিরাট অঞ্চলসমৃহকে দূর*দৃরান্তর কে পেট্রনজতি দ্রব্য আনতে হয়। তাছাড়া অঞ্চলের উপকারার্ধে সার- চারথান] স্থাপনের জন্যও এই প্রচ্প স্থাপন করা জরুরী বিষয় ।২৮

সোভিয়েত সাহায্যের গুরুত্ব বোঝ। যাবে এই তথ্য থেকে যে, ভাতিন্দা, ক্ণাল অথবা পাণিপথ এবং মথুরায় সার-কারখানা খোল! শির্ভর করবে মখুবা শধনাগারের ক্ষমতা প্রাপ্তির উপর যেহেতু এই শোধনাগার থেকেই এইসব সার প্রকল্পের জালানী তেল পাওয়ার আশা রয়েছে

এই শোধনাগাবকে মৌভিয়েত ইউনিয়ন ভারতীয় মুদ্রার অঙ্কে ঝণ দেবে এবং বেসব সরগ্তাম ভারতে প্রস্তুত করা যায় সেগুলি ছাড়া ৩৫ কোটি টাকা মুল্যে মার সবরকম সরঞ্জামই তারা সরবরাহ করবে এই তথ্য সোভিয়েত ঝণ ব্যবস্থার উদ্বারতাই প্রমাণ করে। তাছাড়া ভারতেই যাতে কয়েকটি সণঞ্াম গ'ড়ে তোলা যাক্ন তার জন্য ২২,০০* টন ইস্পাত সরবরাহের যে ঢুক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন করেছে তা সোভিয্নেত সাহায্যের সমাজতান্ত্রিক চরিত্রকে 'পশ্বাসযোগ্য ক'রে তুলেছে

শ্বড়ুয়া ধিনি মথুরা শোধনাগার সম্পকে ভারতসোভিয়েত টুক্তিতে

১১৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

স্বাক্ষর করেছেন, জনৈক সোভিয়েত সংবাদদীতার কাছে বলেন যে ইম্পাতের মূল্য আন্তর্জাতিক যূল্যের ভিত্তিতেই স্থির কর! হবে কিন্তু দাম শোধ করা হবে [কার অঙ্কে তিনি বলেন, স্বল্প বিনিয়োগ ক'রে শোধনাগারের ক্ষমতা সাভ মিলিয়ন টন পর্যস্ত বাড়ানে। সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, সোভিয়েত সরঞ্জামের অধিকাংশই ১৪৯৭৭ সালের আগেই সরবরাহ করা হবে ব'লে আশা! করা যায় এবং সেই সময়েই শৌধনাগারটিও চালু হবে ব'লে আশা করা যাচ্ছে ২৯

শ্রীমতী গ্রীন্ধী কর্তৃক সোভিয়েত সাহায্যের প্রশংসা

১৯৭৩ সালের ২রা অক্টোবর মথুরায় ভারতের সবচেয়ে বড় তৈল-শোধনা- গারের ভিত্তি স্থাপন ক'রে শ্রীমতী গান্ধী বলেন যে ভারতের প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়নের লাহায্য হল “বন্ধত্ের নিদর্শন” সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরাক যারা মথুরা শোধনাগারকে সম্ভব ক'রে তুলেছে, শ্রীমতী গান্ধী আবেগের সাথে তাদের কথা উল্লেখ করেন।

শ্রীমতী গান্ধী বলেন যে ভারত সবদেশের সাথেই সৌহার্দ্য চায়, কিন্ত যদি কেউ ভারতের সাথে বন্ধুত্ব না চায় তবে ভারত নাচার, তবে তাঁরা সাহাফ্য করতে অনিচ্ছুক হলেও ভারত এগিয়ে যাবে

ভারতের তৈল রসায়ন দপ্তরের মন্ত্রী শী ডি. কে. বড়ুয়া তার উদবোধনী ভাষণে বলেন, তৈল-শোধনাগারটি যে শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশেরই প্রভূত উপকারে লাগবে তাই নয়, হরিয়ানা পাগ্াবের৪ উপকাৰে লাগবে এবং তা লাগবে বিশেষতঃ কৃষিক্ষেত্রে। তিনি বলেন, তৈলজাত দ্রব্যের আন্তর্জাতিক মূলা- বুদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তৈলক্ষেত্রে স্বয়ন্তরতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাঁর মতে, মথুরা শোধনাগার এই পথে এক বিরাট পদক্ষেপ, এটি বছরে ষাট থেকে সন্তু লক্ষ টন তেল শোধন করবে।

তিনি বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে শোধনাগারটির পরিকল্পনা এবং কিছু সরঞ্াম মাল সরবরাহে সাহায্য করে। তিনি আশা করেন গে এর ফলে প্রাচীন মথুর। শহব্রের জনগণের বিপুল জাগতিক উন্নতি ঘটবে |

উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীআাকবর আলি খান ভারতকে এক শক্তিশালী শিল্পরাষ্্রূপে গড়ে তোলার জন্য জওহরলাল নেহেরুর স্বপ্নের কথা স্মরণ ক'রে বলেন যে মথুরা শোধনাগার প্রাটীন মথুরায় এক “আধুনিক মন্দির” তিনি মনে করেন যে মথুরা শোধনাগারের ভিন্তিস্থাপন গান্ধী জয়ন্তী স্মরণে গঠন- মূলক কাজ করার এক যথার্থ ভাববাহিক]।

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১১৯

মথ্রা শোধনাগার -৯৭5-এর ২*শে জুলাঈ-এর আস্তঃসরকারী চুক্তি অনুসারে সোভিয়েতের প্রযুক্তিগত অর্থনৈতিক সাহাযা পাবে। চুক্তির শর্তান্যায়ী সোভিয়েত ইউনিয়ন শোধনাগারটির প্রকল্পের পরিকল্পনা তৈরি করবে, কিছু সরঞ্জাম মাল সরবরাহ করবে এবং শোধনাগারটি গ'ড়ে তুলতে সাহাযা করবে

শোধনাগারটির পবিক্ল্পন' আংশিকভাবে করবেন সোভিয়েত পরিকল্পনা সংস্থা! ধারা ইতিপূর্বে বারৌণি কয়াতি শোধনাগারের পরিকল্পনা করেছিলেন তৈল-শোধনাগারের সঙ্গে যখন পার-কারখান1! এবং পেট্রো-কেমিক্যাল সমাহার যুক্ত হবে তখন মথুর] হয়ে ঈীড়াবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বৃহত্তম শিল্পকেন্তর। তৈল-শোধনাগারকে কেন্দ্র ক'রে এলাকায় অনেক সহায়ক শিল্প গড়ে উঠবে বলে আশা করা যায় তার মধো কৃত্রিম রবার, টেরিন এবং প্লাম্টিকের নাম উল্লেখযোগ্য |

ভূতান্ত্িক সমীক্ষা

মন্কোয় শোধনাগার বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর ছাডা'ও ভারতীয় মন্ত্রী শ্রীবড়য়া সেখানকার বিখ্যাত ভূতত্বধিদ্‌ এবং ভূপদার্থবিদের সঙ্গে ভারতে ব্যাপকভাবে ভূতাত্বিক এবং ভূপদার্থ বিষক সমীক্ষা চালাবার প্রশ্ন আলোচনা করেন। শ্রীবড়,য়া নলেন যে রাশিয়া এইসব সমীক্ষায় বরাবরই সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এখন আরও গভীরভাবে এই সমীক্ষা চালিষে তৈলের খনিগুলো খুজে বার করতে হবে। কারণ ঘে তৈলকৃপগ্রলো। শুকিয়ে আসছে, তাদের জায়গায় নতুন নতুন কুপ খনন করা দরকার 1১৪

সোভিয়েত ইউনিয়নে কুবির অগ্রগতি 2 ফোটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন

১৯৭৩ সালের ১৯শে জুলাই রুষিদ্বষয়ক রাষ্্ীয় মস্তবী এ, পি. সিদ্ধে দিল্লীর হাউস অব সোভিয়েত কালচারে সোভিযেত ইউনিয়নের কৃষিবিষয়ক একটি ফোটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, “এই প্রদর্শনী ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক হযোগ-স্থবিধার এক বিরাট চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে ।”

মৌভিয়েত যৌথ খামারের কর্মীরা যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তার চিত্র এই প্রদর্শনীতে প্রতিফলিত হয়। সোভিয়েত গ্রামাঞ্চলে বৈজ্ঞানিক কারিগরী অগ্রগতি কিভাবে গ্রামের চেহার1 বদলে দিয়েছে, প্রদর্শশীতে তা দেখবার স্থযোগ প্রত্যেক দর্শকই পেয়েছেন।

১২০ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

সিঞ্ধে বলেন যে, ভারতে যখন কৃষির বিকাশের দিকে সকলের নজর পড়েছে এবং ফসল উৎপাদনে প্রকৃতির বিরূপতা নিবারণের উপায় নিয়ে সবাই মাথা ঘামাচ্ছেন, তখন সোভিয়েত প্রদর্শনী খুবই সময়োপযোগী হয়েছে প্রদর্শনী দেখে সোভিয়েত রুষির বহুমুখিতা এবং প্রাকৃতিক বিরূপত। নিবারণে তাদের বিরাট অগ্রগতি সম্পর্কে ভারতবাসী অবহিত হয়েছে তিনি বলেন,

“যে সমস্ত এলাক। বছরের মধ্যে ছ'মাস বরফের তলায় থাকে, এবং যেখানে তুষারপাত শিলাবৃষ্টির ফলে দারুণ ক্ষতি হতে পারে, সেখানেও যে উপায়ে চমৎকার শস্ত তোল] হয়েছে, আমরা তার ভূয়সী প্রশংসা করছি আব- হাওয়। পরিবর্তন তৃষার দূরীকরণের ক্ষেত্রে রুণীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রশংসা করছি এবং এথেকে আমরাও বিশেখভাঁবে লাভবান হতে পারি ।”

কৃষি গবেষণ| উম্নয়নের কাজে ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা গত কয়েক বছরে যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে সম্পর্কে শ্রীসিন্ধে বলেন £ “সোভিয়েত যন্ত্রপাতির সাহাযো পরিচালিত অনেকগুলি রাষ্ীর খামার এখন আমাদের রয়েছে রুশীয় *মেরিনোর” ওপর ভিত্তি ক'রে আমরা এখন মেষ উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপক কর্মহুচী গ্রহণ করেছি ।” তিনি বলেন, বিখ্যাত কারা-কুল মেষ ব্যবহার ক'রে ভারতের রাজস্থান 9 গুজরাটের মক অঞ্চলে মেষ উন্নয়ন কর্মসুচী জোরদার করার সম্ভাবনা সষটি হয়ায় তিনি রুহজ্ঞ।৩৯

সমাবেশে ভাষণ দিয়ে ভারতম্থ সোভিয়েত দূতাবাসের কাউন সিলর শ্রী এল. ভি. এমেলিয়ানভ বলেন, প্রাক্‌ বিপনন যুগে এক আদিম অবস্থায় সর্বদাই শস্ত নষ্ট হওয়ার ভীতির মধ্যে বাস কর্ণলে সোভিয়েত ইউনিয়ন এখন একটি শিল্পে- উন্নত আধুনিক কৃষিব্যবস্থা-সম্পন্ন দেশ

সর্বশেবে শ্রীএঞমেপিয়ানভ আশ! প্রকাশ করেন যে, কুবিক্ষেত্রে সহযোগিতা ছুই দেশের জনগণের ঠত্রী আরও অনেক শক্তশালী হবে ।৩২

সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে নিশলক্ষ উন খাভ্যশস্ত

সোভিয়েত ইউনিঃন ভ।রতকে খণ হিসাবে বিশলক্ষ ঢন খাদ্ভশস্থা সএববাহের প্রস্তাব করেছে এই খাগ্যশস্তের মধ্যে থাকবে শিছু পরিমাণ চাপ এবং অধিকাংশই গম। সোভিয়েতের এই সাহাধ্য ভারতের সঙ্গে তার অকৃত্রিম বন্ধুত্বের আরেকটি নিদর্শন |

১৯৭৩ নলের ২শে সেপ্টেম্বর সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক গ্রীলিগওনিদ ব্রেজ্নেভ ব্যক্তিগতভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে এক বিশেব বার্তা পাঠিয়ে প্রস্তাবের কথা জানান

ক্রমবর্ধধান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১২১

শ্রীমতী গান্ধীর কাছে এই পত্রে শ্রীব্রেজনেভ বলেন : প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে উদ্ভুত ভারতের বর্তমান খাগ্ভসংকটের কথ! চিন্তা ক'রে এবং ভারত্ত- সোভিয়েত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটানোর বাসনার দ্বারা পরিচালিত হয়ে সোভিয়েত সরকার খণ হিসাবে ভারতকে কিছু পরিমাণ চাঁল সমেত বিশ লক্ষ টন খাছ্যশস্ সরবরাহের ইচ্ছা প্রকাশ করুছে।” প্রীমতী গান্ধীকে জীবেজনেভ আরও জানান, ”এই সরবরাহ অবিলদ্বেই শুরু কর? যেতে পারে... 1৮৩৩

ভারত এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করে এবং সোভিয়েত সরকারের বন্ধুত্বের এই পরিচয়ে গভীর কুতজ্ঞতা প্রকাশ করে শ্রীমতী গান্ধী সোভিয়েত নেতার কাছে তার জবাব পাঠিয়ে দেন

১৯৭৩ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের খাছ্ধ- সচিব প্রীজি, সি. এল* জোনেজ সোভিয়েত-গ্রস্তাৰ গ্রহণের খবর ঘোষণা ক'রে বলেন £ “এখানে সবচেষে উল্লেখযোগ্য বিষয় হ'ল আমাদের বন্ধ মোভিযেত ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নিজে থেকে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে 1”৩৪

মোভিয়েত সাহায্যের এই আশ্বাস এবং খরিফ শল্য উৎপাদন ভাল হওয়ার ফলে ভারত তার চরম খাগ্যপংকট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে

সোভিয়েত গম-থাণ প্রীস্ত।ব জ্ঞভ্িমলন্দি রঃ

সংকটের সময়ে এই বিপুল পরিমাণ খাগ্িশল্য খণ দেবার প্রস্তাব ক'রে সোভিমেত ইউনিয়ন বন্ধুত্বের যে নির্শন রেখেছে কলকাতার কংগ্রেস কমিউনিস্ট উভর মহল থেকেই তাতে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করা হযু। কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দ বলেন, এই মোভিয়েত বন্ধুত্ব মাধিন ব্যাকমেইলত পরাস্ত . করার কাজে ভারতকে সাহাষ্য করবে। পশ্চিম বাঙলার খাগ্য দ্ঘরের রাষ্মতর গী পি. কে. ঘোষ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক'রে বলেন, সোভিরেত প্রস্তাবের এট খবর এখানকার বাজারে দ্রুত প্রভাব স্থষ্টি করেছে চালের মূল্য হাস পেয়েছে কিলোপ্রতি পঞ্চাশ পয়সা তিনি আরও বলেন, সরকারের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ খান্তশস্ত মজুত রয়েছে একথা বুঝতে পারলেই যজুতদাররা নরম হতে বাধা হবে|? অন্্রূপভাবে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শ্রীনিত্যানন্দ দে বলেন, সোভিপ্নেত ইউনিয়নের এই বন্ধুত্বে দেশের সমস্ত মানুষের রুতজ্রতা বোধ করা উচিত ।৩৬ কমিউনিস্টদের প্রতিনিধি হিসাবে পি পি আই-র পশ্চিম বাঙলার সম্পাদক শ্রীগোপাল ব্যানার্জী বলেন, এক সংকটজনক সময়ে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সাহায্য এসেছে। স্বাভাবিক

১২২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ভাবেই এই সাহায্য বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশকে শক্তি যোগাবে সি পি আই নেতা আরও বলেন, এই খণের পেছনে শর্ত আরোপ কর! হয় নি এবং এই মাল পরিবহণের জন্য বিরাট মাশুলের বোঝ! দেশকে বহন করতে হবে না।৩৭ এই মনোভাব প্রকাশ ক'রেই সি পি আই ( এম) পলিট বারোর সদশ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক শ্রীপ্রমোদ দাসগুপ্ত বলেন, মাকিনী ব্র্যাকমেইল পরাস্ত করতে এই সোভিয়েত খণ ভারতের সাহায্যে লাগা উচিত। তিনি বলেন, বন্ধুত্ব হলভ মনোভাব নিয়ে এই সাহায্য দেওয়া! হচ্ছে এবং এই জাতীয় কার্ষের ছার! ভারত সোভিয়েত মৈত্রীকে আরও অনেক শক্তিশালী করা সম্ভব ৩৮

ভারতের উত্তরাঞ্চলেও একই রকম প্রতিক্রিয়৷ লক্ষ্য করা গিয়েছে পাঞজাৰ এবং হরিয়ানায় সরকারী বাণিজ্যিক মহলের স্যত্রে প্রকাশ, সোভিয়েত খণ- প্রস্তাব এবং ভারত কর্তৃক তা গ্রহণের ফলে শস্বের বাজারে ভাল প্রভাব স্থষট হচ্ছে এবং দেশে গম এসে পৌঁছলে অর্থনৈতিক অবস্থার৪ উন্নতি ঘটতে পারে।*৯

১৯৭৩-এর ৩০শে সেপ্টেম্বর কংগ্রেপ সভ।পতিত ডঃ শংকর দয়!ল শর্জা বলেন, বিশলক্ষ টন সোভিয়েত গম খণের দরুন ভারতকে £ শন মূল্য না-ও দিতে হতে পারে | নয়া্দিলীর কাছে ফতেপুর বেরিতে “সমাবাদী লোক মঞ্চ” আয়োজিত এক সভায় ভাষণদান কালে ডঃ শর্মা এই গম-খণকে সোভিয়েত মৈত্রীর উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হিসাবে অভিনন্দিত করেন 199

১২ই অক্টোবর মন্কোতে এই সোভিয়েত খণ সম্পকিত হৃক্তিপত্রে নিজ নিজ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সচিব শ্র৷ পি. এন* ধর এবং সোভিয়েত বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম প্রতিমন্ত্রী পরী এম. আর. কুণ্সেন। চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে সোভিয়েত খণ পরিশোধ করতে হবে সাত বছর ধরে।

দিল্লীর কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতের জনজীবনের এক সংকটপূর্ণ সময়ে এই সোভিয়েত সাহায্য 'আবার প্রমাণ করছে যে মস্কো ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেগে চলতে চায়। নিজের যথেষ্ট অস্থবিধার সময়েও সোভিয়েত উউনিয়ন যে ভারতের জন্ত খাগ্যশশ্য পাঠাতে প্রন্থৃত, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের 'প্রতি তার] ঘে কতটা গুকত্ব আরোপ করে এটাই তার বড় প্রমাণ

অন্যদিকে, মথুরা শোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থ'পন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবার সময় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধী সোভিয়েত

ক্রমবর্ধমান অর্থ নৈতিক সম্পর্ক ১২৩

ইউনিয়নের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং নাম না ক'রে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সমালোচন। করেন। শেষোক্ত রাষ্্রটির উদ্দেশ্যে তিনি পরিষ্কার কে বলেন £ আমাদের সঙ্গে যপ্দ বোঝাপড়া ক'রে চলতে পারেন তবেই আপনার৷ আমাদের মিত্র অন্যথায় আমাদের নিজেদের চালিয়ে নেবার পক্ষে আমর] যথেষ্ট সক্ষম 1৪১

সোভিয়েত ইউনিয়ন আযালুমিন। প্রকল্পের কার্কারিতার সমীক্ষ। তৈরি করবেন

নিম্নমানের আকরিক সহ মধ্যপ্রদেশে মুত বক্সাইট থেকে আ্যালুমিনা উত্পাদনের জন্য একটি প্রকল্প স্থাপনের ব্যাপারে সোভিয়েত ইউনিয়ন কার্ধ- কাবিতা রিপোর্ট তৈরি ক'রে দিতে সম্মত হয়েছে এই বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে গ্রকল্পটিকে সম্ভবতঃ সরকারী ক্ষেত্রাধীন সংস্থা ভারত আযলুমিনিয়াম কোম্পানী লিষিটেড (8/১7.00)-র আওতায় রাখ! হবে এখানে উল্লেখের বিষয়, কোরবা এবং' রত্রগিরিতে টি আযালুমিনিয়াম প্রকল্প স্থাপনের দায়িত্ব 8/].00-র ওপর অপণ করা হয়েছে। ১৯৭৩ সালের ১১ই অক্টোবর নয়াদিল্ীতে ইস্পাত খনি মন্ত্রকের অংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির এক বৈঠকে শ্রী টি. এ. পাই ( ইস্পাতমন্ত্রী ) জানান, মধ্যপ্রদেশের মালাজকু'দে মজুত তাত আকরিকের যথোপযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকল্পের সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য একটি সোন্ডিয়েত সংস্থার সঙ্গে ঢৃক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আশা করা হচ্ছে, অঞ্চলে মভুত তাঁতের পরিমাণ যথেষ্ট এক বছরের মধ্যে সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ হবে ।৯২

১৯৭3 সালে সোভিফেত ইউনিয়ন থেকে ১৫,০০০ টন িস্তক ১৮০০ টন' তামা আমদানির ব্যাপারে ২০ কোটি টাকার একটি টুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৯৭৮-এর ৯ই নভেম্বর দিল্লীতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এম এম টি সি-র জেনারেল ম্যানেজার আীভাটনগর এবং সোভিয়েত রপ্চ।নি সংস্থা রাজনো- ইমপো্ট'-এর প্রতিনিধি আীসেমেনভ |

ুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শ্রীভাটনগর বলেন, ভারত সোভিফ্চেতে ইউনিয়ন থেকে নিয়মিতভাবে তামা দস্তা আমদানি করলেও, এই চুক্তি খুবই সময়োযোগী এবং দ্রুত সরবরাহের সহায়ক তিনি বেশ জোরের সঙ্গে বলেন, তাম! দস্তার বিশ্ববাজারের বর্তমান পরিস্থিতির পর্রিপ্রেক্ষিতেই এই চুক্তি উন্লেখযোগ্য। শ্রীভাটনগর বলেন, এম এম টি মি বৈদেশিক মুদ্রার

১২৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

সাহায্যে জাশাবিয়া পেরু থেকে তাষা কিনে থাকে সোভিয়েত রাশিয়া থেকে এম এম টি সি দস্তা তামা! ছাড়াও সহজ শর্তে প্রাটিনাম, প্যালাভিয়াম সার আমদানি করছে শ্রীভাটনগর আরও বলেন, এষ এম টিসি €সাভিয়েত ইউনিয়নকে বিপুল পরিমাণে অভ্র সরবরাহের প্রস্তাব করবে। ৰদলে ক্রয় করা হবে সার, আাজ নেস্টস প্রতিরোধক দ্রব্যাদি

সোভিয়েত ইউনিয়নের সে ইলেকট্রনিক সরগাম লাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে

লোভিযেত ইউনিয়ন পৃধ ইওরোগীয় দেশগুলির সঙ্গে পোরম্পরিক ক্লবিধাদায়ক' ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক সরগ্ামের বাণিজ্যিক লেনদেন বপ্ানি বুদ্ধির জন্য ভারত শ্রমমুখীন উৎপাদন সহযোগিতা" শুরু করার পরিকল্পন। নিয়েছে। ১৯৭২-এ ইলেকট্রনিক দপ্তর থেকে পূর্ব ইওরোপীর দেশগুলিতে যে ছুটি প্রতিনিধিদল পাঠানে। হয়েছিল, পরিকল্পনা তারই ফল ৪৩

এই দগ্তরের ১৯৭২ ৭৩ সালের বাৎসরিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের ইলেকট্রনিক শিল্প বর্তমানে আমদানির জন্য যে অর্থ বায় করে, তার মধ্যে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার পণ্য ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেনের ভিত্তিতে আমদানি করা যায়। এছাড়া, কমপোনেণ্ট এনঢারটেইনমেণ্ট শিল্পেও তিন কোটি টাক! পরিমাণ বাণিজ্যের আওতায় আনা যেতে পারে।

কমেকন ভারতকে গ্রহণে রাজী

স্মাজতান্ছিক শিবিরের অর্থনৈতিক সংস্থা “পারম্পবিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিষদ" ( কমেকন ) তার পূর্ণ সদস্য বা পর্যবেক্ষকরূপে ভারতকে গ্রহণ করতে রাজী আছে ১৯১২-এর ১০ই অক্টোবর মঙ্কোয় কমিউনিসট সুজ থেকে এই খবর জানানো হয়। তারা বলেন, এই গোঠীর সঙ্গে ভারত যেভাবে নিজেকে যুক্ত করতে চাইবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতেই সমর্থন জানাবে। ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে মোভিয়েত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভারতের যোজনামন্তী ভি. পি. ধরের 'আলোচনার সময়ে এই ব্যাপারে ভারতের আগ্রহের আভাস পাওয়া যায় ।** এখানে উদ্লখের বিষয়, গত ১০ বছরে পূর্ব ইওরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বুদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৮৬ হারে, সেখানে অবশিষ্ট বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির হার শতকরা] ১১ ।৪€

সহযোগিতার চুক্তি

১১৭২ সালের ১ই এপ্রিল ভারত এবং সোডিয়েত ইউনিয়ন ক্লষিক্ষেত্রে বঙ্জান কারিগরি সহযোগিতার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১২৫

অনুযায়ী কৃষি উন্নপ্নন সমীক্ষার কাজে দুই দেশের মধ্যে খামার-বিশেষজ্ঞ বিনিময় হবে। চুক্তিতে সই করেন সোভিয়েত কৃষি-প্রতিমন্ত্রী আর. এন. দেদাক এবং ভারতের কৃষি-মন্ত্রকের সচিব টি. পিং সিং 1৪৬ প্রীসেদাক বলেন, নতুন ধরনের ধান গম বীজ বাছাইয়ের কাজে গত বছর ভারতীয় বিজ্ঞানীর] যা করেছেন, তাতে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ মন্ধো যাত্রার প্রাক্কলে এক সোভিয়েত সাংবাদিককে তিনি বলেন, ভারতীয়র] নতুন এমন এক ধরনের গম উৎপন্ন করেছে, ঠিকমত সেচ পেলে ভারতের আবহাওয়াতেই তার কলন হবে হেক্ুর- প্রতি সাত থেকে আট টন। ১৪৭১ থেকে ১৯৭৩-এর মধ্যে ভারতে শশ্ব উৎপাদনেরও তিনি প্রশংসা করেন 15৭

কলকাতার পাতাল রেলে সোভিয়েত সহযোগিতা

১৯৭২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর কলক।ত!র ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে দিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী পাতাল রেলপথের ভিত্তিগ্রস্তর স্থাপন করেন ১৯৭৯ সালে ১৪০ কোটি টাকার এই বিরাট প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে কলকাতা হবে ভারতের প্রথম এবং এশিয়ার ভূগর্ভস্থ দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা বিশিষ্ট মুষ্টিমেয় কয়েকটি শহরের অন্যতম

ইতিমধ্যেই দমদমে এই ভৃগর্ভ রেলপথের কাজ শ্বরু হয়েছে এখান থেকে শুরু হয়ে এই রেলপথ যাবে (সাড়ে ষোলো কিলোমিটার দূর ) টালিগঞ্ পর্যন্ত। কাজের এখন সবে শুরু, এখনও অনেক গতি পেতে হবে।

এই প্রকল্পটি ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতার একটি চমত্কার উদাহরণ ! ১৯৭২-৭৩ সালেই প্রকল্পটির জন্য তিন কোটি টাক ব্যয় প্রস্তাবিত হয়। গোট" প্রকল্পটিতে মোট ২৪ কোটি টাকার ঠবদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন হবে ।৯৬

সোভিয়েত সাহায্য প্রশংসিত

প্রকল্পটির প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরির কাজের বিভিন্ন স্তরে সোভিয়েত সহযেগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার শী এস. এম. মুখার্জী এবং চীফ এঞ্জিনিয়ার শ্রী জে. এন. রায়। শ্রীমুখাজী বলেন, ভারতে এই কাজ এক নতুন কারিগরী অভিযান ব'লে ভারত সরকার দুটি সোভিয়েত পরামর্শ দাতা দলকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান - ১৯৭ সালের শেষে আসেন কাভেবিন দল এবং ৭১-এর শেষে রুমিন দল ।১৯

এই প্রকল্পের ব্যাপারে সোভিয়েত পরামর্শদাতাদের প্রথম যে দলটি কলকাতায় আসেন, তারাই দমদয় থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ দ্রুত পরিবহণ

১২৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ব্যবস্থা তৈরির স্থপারিশ করেন উপক থেকে শহরের কেন্দ্রস্থল পর্যন্ত লাইন টেনে নিয়ে সাকু্লার রেলপথ তৈরির যে প্রস্তাব আগে কর! হয়েছিল, তাদের মতে তা উপকণ্ঠে যাত্রীদের প্রয়োজন সামান্যই মেটাতে পারবে এবং শহরের ভিতরকার যানবাহনের জট ছাড়ানোর সমস্যার মাত্র আংশিক সমাধান করতে সক্ষম হবে। তীর্দের বিবেচনায় সড়কপথের উপর বা নীচ দিয়ে দ্রুত যান- চলাচল ব্যবস্থাই শহরের পরিবহণ সমস্তার একমাত্র সমাধান। ১৯৭১ সালের অক্টোবরে এই স্থুপারিশের ভিত্তিতে প্রকল্প রিপোর্টট তৈরী হলে দ্িতীয় সোভিয়েত পরামর্শদাতা দলট'ও তার সঙ্গে একমত হ"ন।

শ্রীমুখাজী বলেন, প্রকল্পের সার্থক বূপায়ণের জন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে কারিগরি অন্যান্য বিষয়ে কি কি সাহাধ্য লাগবে, ভূগর্ভ রেলপথ গঠনে সরকারের সম্মতি পাওয়ার পর এঞ্জিনিয়াএর] বিস্তারিত ভাবে তার তালিকা প্রস্তুত ক'রে ফেলেছেন |৫"

সামুদ্রিক বাণিজ্যে ভারতের অগ্রগতি এবং সোভিয়েত সহযোগিতা

কৃষ্ণসাগর জাহার্জী প্রশাসনের পঞ্ষ থেকে সম্প্রতি বল! হয়, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে সোভিয়েত রাশিয়ার জাহাজী পরিবহণ ১* লক্ষ টন ছাড়িয়ে রেকর্ডকৃষটি করবে। এই ঘটন। শুধু সোভিয়েতের সঙ্গে ভারতের লক্ষণীয় বাণিজ্যবৃদ্ধিই নম, দ্রতবর্ধমান সামু্রিক-বাণিজ্য-নৌবহরের গুরুত্বেদও পরিচায়ক

ক্ঞস'গরের সোভিয়েত বন্দরলযূহ থে£ক ভারতের সঙ্গে যোগাযোগকারী সমু্ূপথ বরাবর সো1ভয়েত ভারতী জাহাজগুলি ৭৩ সালের গোড়া থেকে ব্রিশবারেরও বেশ] পারাপার করেছে। গত বৎসর একই সময়ে যে পরিমাণ সামগ্রী পরিবহণ হয়েছিল, এবার হয়েছে তার চেয়ে শতকরা ১৫ ভাগ বেশী

এখানে ন্মণ করা! যেতে পারে যে ভারত মোভিয়েত জাহাজী-পরিবহণ ব্যবস্থার উদ্বোধন হয় আজ থেকে ১৭ বছর আগে (১৯৫৬ সালে)। ছুই দেশের অর্থনৈতিক যোগাযোগের উন্নঘ্নে এই ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম এই সময়ের মধ্যে জাহাজী পরিবহণের পরিমাণ আটগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উদ্াহরণ- স্বরূপ বল! যায়, +৬২ সালের ৩৭,৯৪,৪৯০ লক্ষ টন থেকে "৬৯ সালে এঁ পরিমাণ দাড়ায় ৯৫,৪৮,১২০ লক্ষ টনে। সোভিয়েত জাহাজগুপি ( এই পথে এখন ১৫টি চলাচল করছে ) এখন প্রায় কুড়িটি ভারতীয় বন্দরে খামারের যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি, সড়ক-নিগ্নাণের যন, সার ইত্যাদি সরবরাহ ক'রে যাচ্ছে। এই বছর

ক্রমবর্ধমান অথনৈতিক সম্পর্ক ১২৭

ভারতের জন্ত ফসল কাটার যন্ত্র এবং বিভিন্ন শিল্পে প্রয়োজনীয় খুটিনাটি ষন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয়েছে।

বিরাট বিরাট যন্ত্রপাতি বিভিন্ন সরঞ্জাম নিরমিতভাবে সরবরাহ ক'রে ভারত-মোভিয়েত জাহাজী-পরিবহণ ব্যবস্থা ভারতের উন্নয়নে যে গুরুত্বপুণ ভূমিকা পালন করছে, সেকথা ছেড়ে দিলেও টাকায় খন-পরিশোধ ব্যবস্থা ভারতের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ঘটাচ্ছে। আবার গত দশ বছরে বিশ্বে মাল পরিবহণের ম।শুল যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই তুলনায় ভারত-সোভিয়েত জাহাজী-পরিবহণের মাশুল মোটামুটি একই রয়েছে

ইতিমধ্যে, ভাঙ্গতে সমুদ্র-বাণিজ্য নৌবহরের উন্নয়নে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রধান সাহায্যদ!তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে শুধু তৈলবাহী মালবাহী জাহাঞ্জই সরবধাহ করেছে না, বড় বড় জাহাজ তৈরির জন্য জাহাজ নির্মাণ কারখানাগুলিৰ সম্প্রসারণের আধুনিকীকরণের জন্যও সাহায্য ক'রে চলেছে। |

বর্তমানে ভারত তা4 নিজম্ব বাণিঞ্য জাহাজে বৈদেশিক বাণিজ্য সামগ্রীর মাত্র শতকর। বিশ ভাগের আনা-নেওয়া কত্তে পারে মাঁল পরিবহণ বাবদ তাকে ১৭০-১৮* কোটি টাকার টঠ্ধদেশিক মুদ্রা গুনতে হচ্ছে--এই পরিপ্রেক্ষিতেই সমস্ত ঘটনা বিবেচনা করতে হবে

বৈদেশিক বুদ্রার এই বিরাট খরচের ফলেই ভারত সরকার তার পঞ্চম যোজনায় এক কোটি জি মার টি-র লক্ষ্যে পৌছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধুন! ২৬ লক্ষ টন জি আর টি এবং ১৫ লক্ষ টন জি আর টি-্র যে ক্ষমতা রয়েছে, এটি তার প্রতি একটি বিরাট সংযোজন

এই লক্ষ্যে পোহনোর জগ্ত তিনটি অতিরিক্ত জাহাজ-নিমাণ কারখানা স্থাপন আরও কিছু জাহাজ ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে ।, এই ব্যাপারে অধি- কাংশ চুক্তিই হয়েছে মোভিয়েত ইউনিয়ন, জি ডি আর, পোল্যাওড যুগো্সা- ভিয়। রুমানিয়! গ্রভৃতি সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে ৫৯

ভারত-সো.ভয়েত নতুন জাহাজী চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে

দুই দেশের সমস্ত বন্দর ব্যবহারের স্থযোগ হুষ্টির জন্য জাহাজী চুক্তি সংশোধনের ব্যাপারে দুই দেশই একমত। গত ১৯৭২ সালের ২৫শে সেপ্টে! মন্কোয় সফররত ভারতীয় জাহাজ, পরিবহণ সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী এবং সোভিয়েত নৌ.বাণিজ্ামন্ত্রীর মধ্যে পরিকর্ননা নিয়ে আলোচন! হয়। .এখানে উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালে স্বাক্ষরিত বর্তমান জাহাী চুক্তি অন্ধযায়ী শুধুমাত্র

১২৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

কৃষ্ণসাগরীয়্ বন্দরগুলি থেকে ভারতে জাহাজ পরিবহণ চলছে এখন উভয়েই অন্থভব করছে যে, দুই দেশের মধ্যে নতুন বহুমুখী বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বাণ্টিক আরও পূর্বের সোভিয়েত বন্দরগুলিকে আওতায় এনে চুক্তির সম্প্রসারণ ঘটানে। দরকার ।৫২

সম্প্রতি ঘোষণ! কর! হয়েছে, সোভিয়েত ইউনিয়নে যে তিনটি তৈলবাহী জাহাজের অডণর দেয় হয়েছিল, তার প্রথমটি লেনিনগ্রাদ জাহাজ-নির্মাণ কারখানা থেকে ভারতকে সরবরাহ কর] হয়েছিশ। ভারতের জাহাজ করপোরেশনের জন্য এটিই সোভিয়েতে প্রস্তুত দ্বিতীয় জাহাজ |

প্রথম জাহাজটি, ১৩৬০০ ])৬/7-র এম ভি বিশ্ব উমাং সম্প্রতি খেরসন-এ সোভিয়েত জাহাজ-নিঞ্নাণ কারখানা থেকে রওনা হয়ে পথে রুমানিয়ায় সার বোঝাই ক'রে মাদ্রাজে এসে তার প্রথম সমুদ্রযাত্রা শেষ করেছে আরও তিনটি মালবাহী জাহাজ এখন সোভিয়েত জাহাজ-নির্মাণ কারখানায় প্রস্তত হচ্ছে এবং শীঘ্রই একে একে সেগুলি ভারতকে সরবরাহ কর] হবে।

একটি ভাল চুঁক্ত

“বিশ্ব উমাংএর ক্যাপটেন এম শেঠি জাহাজটি পেরে খুব খুশী। তিনি বলেন, “আমাদের জন্য মালবাহী জাখাজ নির্মাণ করতে প্রস্তত এমন জা হাজ- কারখান। বিশ্বে বেশ নেই। আর, মাত্র চার মাসের মধ্যে বিশ্ব উমাং-এর মত বিরাট জাহাজ তৈরি ক'রে দেবে এমন কারখান| খু'জে পাওয়াই হুশ কিল। সেই জন্তই আমি মনে করি, রাশিয়ায় চারটি মালবাহী তিনটি তৈলবাহী জাহাজের অডণর দিয়ে আমর খুব ভাল ক্তাজ করেছি ।”

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের মোট জাহাজী শুক্কের মাত্র একভাগ ভারতের ভাগে পড়ে এবং সে তার সামৃদ্রিক বাণিজ্যসম্তারের মাত্র শতকরা ২০ ভাগ নিজে বহন করে অবশিষ্ট অংশ বহন করে বিদেশী জাহাজ

এই অস্থবিধা দুর করার জন্যই ভারত তার মালবাহী নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টার নেমেছে ফলে, দেশের জাহাজ-নির্মাণ কারখানাগুলিতে অগ্রগতি ঘটছে দারুণভাবে কিন্তু তা সত্বেও পঞ্চম পঞ্চবাধিকী পরিকল্পনার শেষে ভারতের জাহাজ-নির্মাণ কারখানাগুপির মেট ক্ষমতা মাত্র ২,১০১০০* জি আর টি-তে দাড়াবে বলে আশ! কর] হুচ্ছে।

বিশ্বেদ পুঁজিবাদী বাজার থেকে জাহাজ ক্রয়ের চেষ্টায় নেমে ভারতকে অনেক অন্নবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা সীমিত

ক্রমবর্ধ"ন অর্থ নৈতিক সম্পর্ক ১২৯

এবং বড় বড় পু*জিবাদী জাহাজ-নিম্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতের বাণিজ্যিক নৌবহরের উন্নয়নে সাহায্য করতে আদৌ আগ্রহী নয়। ফলে তারা বনু অসম্ভব শত আরোপ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে সংঘাতিক দাবি হ'ল, ভারতকে সম্পূর্ণ অভারতীয় ব্যাঙ্কের কাছ থেকে আথিক গ্যারান্টি দাখিল করতে হবে।

গত ২৫ বছরে ভারতের জাহাজ পরিবহণ ক্ষমতা ২০০১০০* জিআরটি থেকে ৪,০০০,০০০ ( উপকূলবর্তী জাহাজ পরিবহণ সহ) লি আর টি-রও বেশীতে পরিণত হয়েছে, অর্থাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে বিশগুণ। এব কৃতিত্ব প্রধানতঃ ভারতের এখং সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির জাহাজ-নির্মাণ কারখানাগুলির | ভারতের জাহাজী করপোরেশনের অধীন ১৮ লক্ষ ৪* হাজার 7৬1: শতকর! ৪* ভাগই এসেছে জিডি আর, পোল্যাণ্ড, রুমানিয়া যুগোল্সাভিয়া থেকে এখন সোভিয়েত রাশিয়। ভারতের প্রধান জাহাজ সরবরাহকারীতে

পরিণত হয়েছে। বিশ্ব উমাংই ভারত-সোভিয়েত বাণিজ্যের এই নতুন ধারার প্রথম ফল।

পারস্পরিক বোঝাপড়।

ভারতের জাহাজী করপোরেশনের আঞ্চলিক ডাইরেক্টর জে. ডি. মেহতা বিশ্ব উমাং-এ এক অনুষ্ঠানে ভাষ- দেবার সমর লেন £ “এই জাহাজটি ভারত-সোভিয়েত নৌ-চপাচল ব্যবস্থার পরিণতি এই নৌ-চলাশ্চিপ ব্যবস্থা? এখন বিরাট বিস্তৃতি লাভ করেছে যুক্ত জাহাজ-চলাচণ ব্যবস্থার মাধ্যমে এর শুরু হয়েছিল এবং এখন আমরা সোভিয়েত কারখানায় প্রপ্তত জাহাজ গ্রহণের জন্য আরেকটি পদক্ষেপ নিয়েছি ।” তিনি বলেন, “চমৎকার পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আমাদের সহযোগিতা বেড়ে যাচ্ছে ১৯৫৬ সালে খুব ছোট্টভাবে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম তখন মাত্র ৮* হাজার টন মাল পরিবহণ করা হ'ত। এখন তা ্রাড়িয়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশী। স্থতরাং প্রথম জাহাজী চুক্তির পর থেকে দারুণ অগ্রগতি হয়েছে এই অগ্রগতি হই অংশীদারের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া সহযোগিতারই ফলস্বরূপ |”

তিনটি প্রধান নীতির ওপর ভারত-সোভিয়েত চুক্তি দাড়িয়ে রয়েছে জাহাজ নিয়োগে তুল্যতা, পরে একে সমু্রে চলাচলে তুল্যতায় পরিণত কর! হয়; জাহাজে বাহিত মালের বন্টনে তুল্যতা; এবং ভারতীয় মুদ্রায় মাশুল আদান-প্রদান |

এই চুক্তি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুপির কাছে অন্ুকরণীর | কারণ এটিই

১৩০ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

সত্যিকারের সমতা পারম্পরিক স্থবিধার ভিত্তিতে একটি উন্নত একটি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে প্রথম জাহাজী চুক্তি উঠতি দেশগুলির বাণিজ্যিক নৌশক্তির উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে পুরানো অভিজ্ঞতা হচ্ছে এই যেজাহাজী সম্মেলনগুলিতে বড় বড় পুজিপতি দেশগুলি নিজেদের দাপট প্রাতিপত্তির জোরে ইচ্ছামত শর্ত আরোপ করে এইসব শর্তই “তৃতীয় বিশ্বের” দেশগুলির বৈদেশিক বানিজ্য প্রসারে বাধা স্থষ্টি করে এবং ক্রমবর্ধমান মাশুলের মুখে তার্দের অসহায় ক'রে তোলে

কোন উন্নয়নশীল দেশ যাতে তার রপ্তানির শতকর। ১৫ ভাগের বেশী নিজের জাহাজে বহন করে, সম্মেলন গুলি থেকে তার জন্য চাপ স্টি কর! হয়। এমনকি, সমস্ত মাল ক্রেতা-দেশগুলির জাহাজে পাঠাতে হবে, এমন শত গ্রহণ করার জন্তও তারা “তৃতীয় বিশ্বকে” বাধ্য করে

উতুকৃষ্ঠ উদাহরণ

সোভিয়েত ইউনিয়ন শুধু সামুদ্রিক-বাণিজ্যকাপী দেশগুলির সঙ্গে সত্যিকারের সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাঁপনেই উৎকই উদাহরণ সৃষ্টি করেনি, উন্নয়নশীল দেশগুলির ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সাহায্যের জন্য সে তার সমস্ত প্রভাব প্রয়োগ করেছে জাহাজী সম্মেলনের “আচরণ বিধি” প্রণয়নের জন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ইঞগরোপের সমস্ত সমাজতন্রী রাষ্ট্র 00741) [া] তে উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে একযোগে ভোটদান করে। এর ফলে ভারত "তৃতীয় বিশ্বের” অন্যান্য রাষ্ট্র যথেষ্ট সাহায্য লাভ করেছে

সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্ঠান্ত সমাজতন্ত্রী দেশগুলি এখন ভারতের নৌশক্তির সাবিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে এবং এই কারণেই সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতান্ত্রিক দেশগুলি ভারতে জাহাজ- নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন, বন্দরের স্থযোগ-স্থবিধা বৃদ্ধি, মাছ ধরার জাহাজ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারিত করেছে

পারস্পরিক স্থবিধার ভিত্তিতে এইসব ক্ষেত্রের সহযোগিত৷ দ্রুত বুদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের জাহাজী করপোরেশনের প্রতিনিধিগণ তাই বলেছেন, ছুই দেশের মধ্যে “কোন মতবিরোধই নেই” এবং সমস্ত সমস্যাই “অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধান করা হয় ।”

সহযোগিতার এই নতুন দিকের প্রসন্ধে শ্রী জে, ডি, মেহত! “জাহাজ- বাহিত মালের আধারের ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা”র কথা উল্লেখ করেন। সোভিয়েন্ত ইউনিয়ন ভারতের জন্য যে জাহাজ নির্মাণ শুরু করেছে, তিনি

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পক ১৩১

বশেষভাবে তাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বান করি, এই কাজের অগ্রগতি ঘটবে, বিশেষতঃ তৈলবাহী জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারতের জাহাজী করপোরেশনের পক্ষে এটি অত্যন্ত শুভারস্ত 1”

সোভিয়েত বিশেবজ্ঞগণ মালাঞ্চখীর্দে বিরাট তাজ ভাগারের সম্ভাবন। দেখেছেন

সোভিয়েত বিশেষজ্ঞগণ হিসাব ক'রে দেখেছেন যে, মালাঞ্চ্থাদ তাম্রথনি থেকে বছরে ২০ হাজার টন তায্্র উৎপাদন সম্ভব। ক্ষেত্রী কপার কম্প্নেক্সের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী এম. ভি. এন. আর. শেষগিরি রাও জানান, সোভিয়েত খনি-বিশেষজ্ঞগণ মালাঞ্চখার্দ প্রকল্পের কার্যকারিতা সম্পর্কে যে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেছেন, তাতে ম।লাঞ্চখাদ খনিকে দেশের অন্ততম বৃহত্তম তাত্র-উৎপাদক অঞ্চলে পরিণত করার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সোভিয়েত বিশেষজ্ঞরা শীদ্রই বিষয়ে বিস্তৃত রিপোর্ট তৈরি করবেন। অঞ্চলে “অগভীর খনির” (07990 ০৪3৫ 1917711)6 ) কাজে সোভিয়েত ইউনিয়ন রাষ্রীয়ত্ত হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডের সঙ্গে সহযোগিতা করবে ক্ষেত্রী এবং কোলিবানের থেকে মালাঞ্চখাদের আকরিকে তাম্রের পরিমাণ বেশী এবং এই আকরিক থেকে ক্ষেত্রীতে আম উৎপাদন করা হবে।

সোভিয়েত রাশিয়া! তৈল সম্ধানের কার্ষে প্রয়োজনীর' যন্ত্রপাতি দিতে চেয়েছে

সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের দেশে তৈলের সন্ধানে গভীর খননকার্ষে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ভূপ্রাকৃতিক সরঞ্জাম দেবার প্রস্তাব করেছে। ১৯৭৩- এর ৩০শে জুন এ" পি. এন*এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তৈল প্রারৃতিক গ্যাস কমিশনের পি. কে. লাহিড়ী পি. টি. ভেন্বুগোপাল খবর জানান ধসব সরগ্রাম ক্রয়ের জন্য আলোচনা করতে তারা ,মস্কোয় গিয়েছিলেন। মক্কোয়থাকাকালীন তারা সোভিয়েত সংস্থা টেকনোএক্সপোর্ট এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেন তৈল খননকার্ষের গতি বৃদ্ধির জন্যই উপরিউল্লিখিত এসব সরঞ্জামের প্রয়োজন সোভিয়েত ইউনিয়ন ২৫০০ €থেকে ৪,*০* মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননকার্ধের জন্য যন্ত্রপাতি দিতে চেয়েছে এছাড়া ৫,০০০ মিটার পর্যন্ত খননকার্ষের উপযোগী সোভিয়েত যন্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনাও এখন রয়েছে। সফরকারী ছই সদণ্ত তাই জানান, “আমাদের আলোচন। খুবই ফলপ্রস্থ ।”৫5

১৩২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

ভারত সোভিয়েত অর্থ নৈতিক সহযোগিতার পর্যালোচন।

ব্রেজনেভের ভারত সফরের প্রাঙ্কালে ১৯৭৩*এর ২০শে নভেম্বর ছুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে ভারত-সোভিয়েত অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভবিষ্যৎ কর্ষহ্চীর পধালোচন! কর] হয়। সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান লিওনিদ ব্রেজনেভ প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দসির৷ গান্ধীর মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের ভিত্তি তৈরি করার জন্ত এই আলোচনাই ছিল ছুই দেশের «প্রথম প্রধান অধিবেশন?

এই অধিবেশনে নয় সদশ্যের সোভিয়েত প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করেন সহকারী প্রধানমন্ত্রী এবং সোভিয়েত যোজন সংস্থার প্রধান শ্রী নিকোলাই বাইবাকভ এবং ভারতীয় দলের যোজনা-মন্তরী শ্রী ভি. পি. ধর।

এই বৈঠককে প্পরদ্ততিপব" হ্াবে বর্ণনা ক'রে সরকারী সুত্র থেকে বল! হয়, ছুই দেশ এই আলোচনায় ভারত-সোভিয়েত অর্থনৈতিক সহযোগিতার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন এবং বর্তমান পঞ্চবাষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলির বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ লক্ষ্যের দুই প্রতিনিধি দল নিজেদের করেকটি যুক্ত গ্রৎপে বিভক্ত করেন এবং এক একটি গ্রপ এক একটি বিশেষ ক্ষেত্র নিয়ে আলোচন1 চালীন' শ্রী ব্রেজনেভ শ্রীমতী গান্ধীর বিবেচনার জন্তা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতার নমুনা তাঁরা তৈরি করেন এই ছুই নেতার সহযোগিতা সম্পকে নিদিষ্ট পরিকল্পনা তাদের পেশ করতে হয়।

যুক্ত গ্রপগগুলি যেসব প্রস্তাব তৈরি করেন, ২৬শে নভেম্বর সোভিয়েত পাটি প্রধানের আগমনের আগেই দই প্রতিনিধিদলের এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তাতে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়।

“তাস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শ্রী ডি. পি. ধর বলেন, উভয় দেশের অর্থনৈতিক স্থবিধার ভিত্তিতে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের উৎপাদনশীল

স্থাগুলিতে সহযোগিতার “দারুণ সম্ভাবন] রয়েছে।”

তিনি বলেন, অন্ঠান্ত দেশে দ্রুত উন্নয়নের কাজে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির সম্ভাবনাও থেকে সৃষ্টি হচ্ছে।

ব্রেজনেতের সফরে যে সমস্ত অর্থনৈতিক টুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে বিনিময়, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তৈল সন্ধান, পেট্রো-কেমিক্যাল্স, সার, জাহাজ এবং খনি। ভারত-সোভিয়েত যুক্ত অর্থ নৈতিক কমিখন সম্প্রতি এক চুক্তি স্বাক্ষর ক'রে ভিলাই ইম্পাত

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১৩৩

গারখানার উৎপাদন ৭০ লক্ষ টনে এসং বোকারোর উৎপাদন এক কোটি টনে [দ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছেন

রাশিয়া ভারত থেকে যেসব পণা আমদানি করতে পারে-_-বিশেষ ক'রে টচ্চ শ্রমযূল্যে উৎপন্ন এগ্রিনিয়ারিং সামগ্রী--এবং ভারত য] যা রাশিয়া থেকে মামদানি করতে পারে সেসব ইতিমধ্যেই বাছাই কর হযেছে এবং নয়াদিল্লীতে মর্থনৈতিক সহযোগিতার যে চুক্তি সই হবার কথা, তাতেই এসব পাকাপাকি ভাবে স্থির হবে

১৫ বছর মেয়াদী অর্থনৈতিক চুক্তি

এখানে পৌছবার একদিন বাদেই প্রীবরেজনেভ শ্রীমতী গান্ধীর সঙ্গে তার প্রথম দকার ১নঠকে মিলিত হন এই ট্বঠকে তীর! অর্থনীতি) বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে ভারত-সোভিয়েত *৫ বছর মেয়াদী সহযোগিতা-চুক্তিতে বপদান করেন। ২৭শে নভেম্বর, ১৯৭৩-এর সন্ধ্যায় ভারতীয় মন্ত্রিদভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে চুক্তির খসড়া আলোচিত হয় এব্সপরই -সাভিয়েত যোজন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত, সহকারী প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই বাইবাকভ শাবতীঘ যোজনা-মন্ত্রী শ্রী ডি. পি. ধর এক বৈঠকে মিলিত হয়ে সম্ভবতঃ খসড়ায় চূড়ান্ত রূপ দেন।

এক দশক আমের আলোচনার যত এই শীর্ষ বৈঠক ছুই' দেশের পর্থনৈতিক সহংযোগিত,র বিরাট অগ্রগতির প্রতিক্রতিতে পূর্ণ এই আলোচনা থেকে পরিষ্কার যে ছুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাজনৈতিক নোঝাপড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আরও ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা স্থাপনের চেষ্টা চলছে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের মধ্যে তারপর যেসব চুক্তি ভয়ে চলেছে, তা স্থুনিশ্চিতভাবে ছুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুণগতভাবে মতন ইতিবাচক অগ্রগতির” লক্ষণ। ২৮শে নভেম্বর, ১৯৭৩, নয়াদিল্লীতে সোভিয়েত মুখপাত্র এল. এম. জামিয়াতিন 'ব্ী কথাই বলেন। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে সমভাবে উৎসাহজনক ঘটন! হচ্ছে সোভিয়েত নেতা] কর্তৃক রাশিয়া সম্পর্কে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠির উল্লেখ সোভিয়েত জনগণ সম্পর্কে ভারতীয় কবি লিখেছিলেন, নতুন পৃথিবী গড়ার কাজে তার। 'সব্যসাচীর ভূমিকায়” অবভীর্ণ। কথার উল্লেখ ক'রে সোভিয়েত নেতা! বলেন, “জনগণের আন্তরিকতা, নিঃস্বার্থপরতা এবং মহান উদ্দেশ্ের জন্য অপীম আত্মত্যাগ কবির মনে গভীর রেখাপাত করেছিল। এরপরও বনু দশক পেরিয়ে গিরেছে। আমরা তৈরি করেছি নতুন পৃথিবী কিন্ত আমরা এখনও

১৩৪ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

সব্যসাচীর মত ছুই হাতে সমানে কাজ ক'রে চলেছি, কারণ আমর আরও অনেক অগ্রগতি ঘটাতে চাই ।” ভারতের উন্নয়ন প্রচেষ্টার দিকে সোভিয়েত নেতৃবৃন্দ জনগণ কি গভীর আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে রয়েছেন, আলোচনার সময় শ্রীব্রেজনেভ তার উল্লেখ করেন। ংখ্য জটিলতা সত্বেও এই জাতি তার প্রচেষ্টায যেসব সাফল্য লাভ করছে সোভিয়েত রাশিয়! তার যথেষ্ট মূল্য দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন ভ্রীব্রেজনেভ বলেন, সামাজিক অর্থ নৈতিক অগ্রগতির বিরাট সাফল্যে উত্মাহিত ভারতীয় জনগণের গঠনমূলক শক্তির প্রাত মোভিয়েত জনগণের আস্থা রয়েছে ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা এই লক্ষ্য সাধনের কাজ আরও অনেক সহজ ক'রে তুলবে ব'লে তিনি আশা! প্রকাশ করেন 'ইসকাফে'র এক সভায় শ্রীমতী গান্ধী বেশ জোরের সঙ্গে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে মৈত্রী কোনভাবেই আমাদের স্বাধীনতাকে ক্ষপ্ন করেনি। বরং বিপরীতে এই মেত্রী আমাদের স্বাধীনতাকে আরও শক্তিশালী করেছে কারণ, অর্থনৈতিক হ্বয়স্তরত৷ ছাড়া কোন স্বাধীনতা সম্ভব নয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের লক্ষ্যে পৌছতে সাহায্য করছে। এই সোভিয়েত সহযোগিতার একটি উদাহরণ ভারতের অনুরোধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ক্র,ড তেল কেরোসিন সরবরাহে সম্মত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে রাশিয়া ভারতকে ৩* লক্ষ টন ক্রড তেল ২৫ লক্ষ টন কেরোসিন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দির়েছে। পেট্রোলিয়াম রসায়ন-মন্ত্রী শ্রী ডি. কে. বড়ুয়ার সঙ্গে তিনঘণ্টা-ব্যাপী আলোচনার সময় সোভিয়েত সহকারী প্রধানমন্ত্রী শ্রীনিকোঁলাই বাইবাকভ প্রতিক্রতি দেন ভারতে তৈল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন ২৯টি গভীর খনন - যন্ত্র সরবরাহ্রও প্রতিশ্ঞতি দিয়েছে এখন দেশের যে ভবিষ্যৎ জালানী নীতি নির্ধারিত হতে চলেছে, বড়ুয়া- বাইবাকভ আলোচনার ভিত্তিতে তারও কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে

১। কে, নীলকান্ত-এর পা্টনারস ইন পিস, স্টাডি ইন ইন্দো-সোভিয়েত রিলেশনস (নয়াদিল্লী), বিকাশ পাবলিকেশনস, ১৯৭২, পৃঃ ১৫০-৫৭ বইটিতে চুক্তির বক্তব্য £27'60ণ1 [ হিসাবে অস্ততূক্ত হয়েছে

হ।

১৬

| ৮।

|

১১। ১২। ১৩ ১৪ ১৫

১৬।

১৭

১৮।

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১৩৫

এল. এন. মিশ্র “ইন্দো-সোভিয়েত ট্রেডগ্রোথ স্পেকটাকুলার”__ অস্বতবাজার পত্রিকা (কলিকাতা ), ১৬ই জুলাই ১৯৭২। ভারত সরকারের যোগাযোগ-মন্ত্রী শ্রী এইচ. এন, বন্ুগুণার উদ্ধৃত পরিসংখ্যংন “এক্সপ্যাণ্ডিং ইন্দো-সোভিয়েত কো-অপারেশন” (নয়া- দিলী ), ২৯শে অক্টোবর ১৯৭২, আরও দেখুন, কে. নীলকান্ত, পার্টনারস ইন পিস, নং ১, পৃঃ ৬২।

মাদারল্যাণ্ড ( নয়াদিল্লী ), ১৩ই মে, এই উপলক্ষ্যে ভারত সরকারের তথ্যদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, ১৯৭৩, পূঃ ৩, কলম ৪-€৫।

কে. নীলাকান্ত, নং ১, পৃঃ ৬২, বিশদ বিবরণের জন্য দেখুন ভারতস্থ সোভিয়েত ছাত্রানাস প্রচারিত ১৯৭৩-এর ১*ই জান্আণরর বুলেটিন (নয়াদিললী ), পৃঃ ১-৩।

এই উপলক্ষে ভারত সরকারের তথ্যদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত বুলেটিন দেখুন |

নীলকান্ত, নং ১, পূঃ ৬৬ |

সোভিয়েত ল্যাণ্ড, নং গতি ১১ নয়াদিল্লীস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের

তথ্যদপ্ধর কর্তৃক প্রকাশিত

তর পু

এই উপলক্ষে ভারত সরকারের তথ্যদপ্তর কর্তক প্রকাশিত ইস্তাহার দেখুন

পী।

হিন্দুস্থান টাইমস ( নয়াদিল্লী ), ১৯শে জুলাই ১৯৭২।

স্টেটুস্ম্যান ( নয়াঁদিল্লী ), ২শে সেপ্ম্বর ১৯৭২

টাইম্‌স অব ইত্ডিয়া ( নয়দিল্লী ), ৪ঠ1 সেপ্টেম্বর ১৯৭২।

ভারত সরকারের তথ্যদপ্তর প্রচারিত “প্রেস রিলিজ” দ্রষ্টব্য নয়াদিল্লীস্থ সোভিয়েত দূতাবাস প্রচারিত, সোভিয়েত ল্যাণ্ড, সংখ্যা! ২২-২৩, পৃঃ

নয়াদিল্লীস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্যদগ্তর থেকে ১৯৭৩ সালের ১০ই জান্ুআরি প্রচারিত ইন্তাহারের পৃঃ দ্রষ্টব্য

টাইম্‌স অব ইত্ডিয়া (নয়াদিল্লী ), ২৬শে নভেম্বর ১৯৭২। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে ভারতের রপ্তানির অংশ ১৯৬*-৬১তে ৭*৩

১৩৬

১৯ |

২০। ২১। ২২ | ২3। ২৫ | ২৬।

২৭। ২৮।

গড

চি

৩২। ৩৩ | ৩৪ | ৩৫। ৩৬ |

ভারত-সোভিগ্নেত চুক্তি

শতাংশ থেকে ১৯৭১-৭২ সালে ২৩ শতাংশে আসে পূর্ব-ইওরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলি থেকে।

[ নয়াদিন্্ীন্ছ সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্যদপ্তর থেকে ১৯৭৩ সালের ২৯শে জান্থআরি প্রচারিত ইন্তাহারের পৃঃ ২-৩ দেখুন ] নয়াদিস্তীস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্য দপ্তর থেকে ১৯৭৩ সালের ১০ই জানুআরি প্রচারিত ইস্তাহারের পৃঃ দেখুন

টাইম্‌স অব ইত্ডিয়৷ ( নয়াদিল্লী ), ২৭শে ভিসেম্বর ১৯৭২

এ, ১০ই ফেব্রআরি ১৯৬৩। এ।

এী।

পয়েপ্ট অব ভিউ ( নয়াপিল্লী ), ওত! মাচ”১৯৭৩, পৃঃ ৯।

টাইম্‌স অন ইত্ডিয়া ( নয়াদিলী ), ২৩শে জুন ১৯৭৩, পৃঃ ১৯, ৪থ কলম।

তরী

দি স্টেট্ন্ম্যান ( নয়াদিল্লী ), ২২৮৭ ছুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ৯, ২য় কলম

পেস্ট, ২৫শে জুলাই ১৯৭৩) পৃঃ১, কলন ১। সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণের জন্য সোভিয়েত ল্যাণ্ড ( নয়াদিল্লী )-এ, অক্টোবর ১৯৭৩-এ প্রকাশিত আইভ্যান নেস্তেরেক্কোর, মিুত্রা জায়েন্ট' রষ্টব্য। পৃঃ ১২-১৩।

স্টেটস্ম্যান ( নয়াদিল্লী ) ২২শে জুলাই, ১৯৭৩, পৃঃ৯» কলম বর্টব্য।

১৯৭৩-এর ২৯শে জুলাই নয়াদিল্লীস্থ পোভিয়েত দূতাবামের তথ্য- দণ্তর প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির “নিউজ অ্যাণ্ড ভিউজ ফ্রম সোভিয়েত ইউনিয়ন”-এর ৬০1. এঠেঠো, ০,168, 6. 4-5.

এঁ, পৃঃ ৫।

পেট্রি্ট ( নয়াদিল্লী ), ২৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৩, পুঃ ১, কলম ১।

পেপ্্রিয়ট ( নয়ািলী ), ১৩ই অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ৪, কলম ৭-৮।

এ, কলম ৭।

ক্রমবর্ধমান অর্থ নৈতিক সম্পর্ক ১৩৭ এঁ।

হ্যাশনাল হেরাল্ড ( নয়াদিল্লী ), ১*ই অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ১,

কলম

দি টাইমস অব. ইস্তিয়া, ১০ই অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ১, কলম ৮।

মাদাবল্যাণ্ড ( নয়াদিলী), ৩০শে অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ৮,

কলম ৭-৮।

স্টেটনযঘ্যান ( নয়াদিল্লী ?, ১২ই অক্টোবর ১৯৭৩, পৃঃ ৭১ কলম ২।

টাইম্‌স অব ইত্ডিয়া ( নয়াদিল্লী ), ২২শে এপ্রিল ১৯৭৩ |

আরে! জানবার ক্ষন্য দেখুন -টাইম্স অব. ইত্ডিয়া ( নয়াদিল্রী ),

১১ই অক্টোবর ১৯৭২।

নরাদিল্লীগ্ক সোভিয়েত দূতানাসের তথ্য বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত

বুলেটিন, ১৩ই জান্ুআরি :৯৭৩, প্রঃ '৬৩।

ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আরও জানার জন্ত দেখন--নীলকান্ত, নং ১১ পৃঃ ৭৩-৭৭ |

নয়াদিল্লীস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্য বিভাগ কর্তৃক ১৯৭৩ সালের

৩ই জান্ি সাবি প্রচারিত বলেটিন দ্রষ্টব্য

&, পৃঃ ২। পৃঃ

|

12/

১৯৭৩ সালের ১৭ই জান্ুমারি ভারতস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্য- দপ্ধণ প্রচারিত বুলেটিন-এর পৃঃ ১-২ দেখন। হিন্দুশ্ান টাইম্প ( নয়াদিলী ), ৯৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭২, ১৯৭৩-এর ৬ই ডিসেম্বর রাজাসভায় শ্রীরাজবাহাছ্াংরর ভাষণও দেখুন |

পোটয়ট ( নয়াদিলী ), ২৬শে এপ্রিল ১৯৭৩

দি সানডে স্ট্যাগ্ডাড( নয়াদিলী ), :লা জুলাই ১৯৭৩, পৃঃ ৪, কলম তাছাড়া ১ল] হ্বল!ই ১৯৭৩-এর পেট্রিয়ট, পৃঃ ৫? কঃ দেখুন

ষষ্ট অধ্যার বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতা

ভারত-সোভিয়েত চুক্তি বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে ছুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন দুয়ার উন্মোচিত করেছে এই বিষয়ে অচলায়তন ভাঙার জন্য অনেকগুলি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ধাপে ধাপে মস্কোর সঙ্গে বন্ধন শক্তিশালী করার নীতি ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা মৈত্রীর বিরাট সম্ভাবনা এবং ভারতে বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ব্যাপক কর্মকাণ্ড দ্রুততর করারই সন্ষেত

প্রোটোকল এবং চুক্তি

ভারতীয় শিশ্ববিগ্ভালয়গুলির জন্য সোভিয়েত কারিগরি বিষয়ক পুস্তক অন্গবাদের কাজ দ্রুততর করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১-এর ১৪ই সেপ্টেম্বর মস্কোয় ভারত সোভিয়েতের মধ্যে একটি প্রোটৌকল স্বাক্ষরিত হয়। এইসব পুস্তকের উৎপ্রাদনে ভারত তার অতিরিক্ত মুদ্রণ ক্ষমতা ব্যয় করতে সম্মত হয়েছে অন্যান্য উন্নয়নশীপ দেশের ধিশ্ববিদ্ভালয়েও এই পুস্তকগুলির ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে |”

১৯৭১-এর ১৭ই সেপ্টেম্বর মঞ্ষোর স্বাক্ষরিত সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্পকিত চুক্তিতে কলিত বিজ্ঞানের বিষয় উল্লেখ কর হর়েছিল এর মধ্যে ছিল তিনজন ইলেক্ট্রনিক বিশেষজ্ঞের সফরের কথা, ধারা এই ক্ষেন্রে যুক্ত কাজের কর্মন্চী তরি করবেন ।২

আবার ১৯৭২-এর ১৩ই মার্চ একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে ছুই দেশের সহযোগিতার কথা বলা হয়। বৈজ্ঞানিক আদান-প্রদানের কথাও এতে উদ্লেখিত আছে। *৯৭২-এর মার্চের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লীতে ভারত-সোভিয়েত যুক্ত কমিটির আলোচনার পরই এই চুক্তি-ন্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জল-হাওয়া বিদ্যার ক্ষেত্রে যুক্ত গবেষণা সহযোগিতা এবং চিকিৎসা পারমাণবিক প্রকল্প স্থাপনের বিষয় কর্মন্চীর আওতায় আনা] হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয় ।৩

ংর] অক্টোবর, ১৯৭২, মস্কোয় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন ফলিত

বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ১৩৯৮,

বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতা! সম্পর্কে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এই চুক্তিতে ভারতের পক্ষে সই দেন শিল্লোন্নয়ন, বিজ্ঞান কারিগরি বিষয়ক মন্ত্রী সি. স্থত্রক্ষনিয়ম এবং সোভিয়েত তরফে সহকারী প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের বিজ্ঞান-কারিগরি বিষয়ক কমিটির প্রধান ভাদিমির কিরিলিন।

চুক্তিতে কারিগরি ক্ষেত্রে কাজকর্মের প্রসার, যুক্ত গবেষণা এবং তথ্য, বিশেষজ্ঞ, পেটেন্ট সরঞ্জামের পারস্পরিক আদান-প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আশা প্রকাশ কর হয়েছে যে, এই চুক্তির যথাযথ প্রয়োগ স্থনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সহযোগিতা-কর্মস্চী তৈরির জন্য নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করবা হবে।

এই চুক্তির একটি অতি উল্লেখযোগ্য বিষয় হ'ল, চুক্তির ফলে যেসব তথ্যাদি পাওয়া যাবে, তা কেউ অপরের পবিষ্কার অনুমতি ব্যতীত তৃতীয় পক্ষকে মরবরাহ করতে পারবে নাঃ থেকেই বিজ্ঞান কাঞ্গিগরি ক্ষেত্তে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিস্তৃতি গভীরতাব্ পরিচয় পাওয়া যায়।

শ্রহ্থব্রহ্মনিয়ম পরে সাংবাদিকদের বলেন, অবিলদ্বে যেসব ক্ষেত্রে সহ- যোগিতা কর1 হবে, সার মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত সাহায্যে ভারতে একটি বৈজ্ঞানিক তথ্য নথিকরণ ব্যবস্থা গঠন। তার তালিকায় ছাড় রয়েছে লেসার, কেলা'সন বৃদ্ধি, সাইবারনেটিক্স্‌, ম্যাগনেটো-হাইডড়ো ডিনামিকৃস্‌, পেট্রোরসায়ন, যন্ত্রাংশ নির্ধাণ, লৌহ ধাতুবিগ্যা, সমুদ্র বিজ্ঞান, পবিমাপক যন্ত্র সংরক্ষণ মাননির্ণয়ের ক্ষেত্রে যুক্ত গবেষণা এবং খনিজ তৈল উদ্ধারে যৌথ উদ্যোগ 1৪

ভারতকে চাদের মাটির নহন! দিতে রাশির! রাজী

১৯৭২-এর ১০ই অক্টোবর সোভিয়েত রাশিয়ার বিজ্ঞান আকাদেমী লুনা ১৬ ২* দ্বারা স্বয়ংক্রিয় উপায়ে প্রাপ্ত চাদের মাটির নমুনা ভারতকে দিতে সম্মত হয়।

জনৈক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক নমুনা গ্রহণ করেন এবং বোগ্বাইয়ের টাটা ইনষ্টিটিউট অব্‌ ফাগ্ডামেপ্টাল রিসার্চে ডঃ লাল-এর নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিকদের একটি দল এর নমুন। বিশ্লেষণ পরীক্ষা করবেন ।৫

২৪শে নভেম্বর, ১৯৭২, ভারতের স্বরাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তি দণ্তরের রাষ্মত্রী শ্রী কে, সি. পস্থ সোভিয়েত বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা দভি | ও. ইলেকট্রোনর্গটেকনিকা” আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে

১৪০ ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের পারমাণবিক শক্তি দপ্তরের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন তার বৃহত্বম কমপিউটর বিক্রয়ের প্রস্তাব করেছে তিনি জানান, ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের ইলেকট্রনিক কমপিউটার ব্যবস্থার জন্য কিছু কিছু জিনিস (5০£6-%2:০ ) রঞ্চানি করতে পারে ।৬

মহাকাশ গবেষণায় ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা ছুই দেশের ক্রমবর্ধমান মৈত্রী সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল নিদর্শন এই সহযোগিতা এক নতুন যুগের হুচনার প্রতীক।

১৯৭৩-এর ১৭ই মার্চ মহাকাশ কমিশন ১৯৭৪-এর মাঝামাঁঝি সোভিয়েতের কোন অঞ্চল থেকে সোভিয়েত উৎক্ষেপকের সাহায্যে ভারতে পরিকল্পিত নিমিত একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উতক্ষেপণের জন্য ভারতীয় বৈজ্ঞানিক উপগ্রহ প্রকল্পকে অনুমতি দিয়েছে

১১৭৩ সালের ১৭ই মার্চ লোকসভায় মহাকাশ দর্ধরের জন্য যে ব্যয়বরাদ্দ মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করা হয়, তাতে বল! হয়, কৃত্রিম উপগ্রহের পরিকল্পনা অন্যান্ত কাজ চলছে বিক্রম সারা ভাই মহাকাশ কেন্দ্রে উপগ্রহ সংক্রান্ত বিভাগে ক্ুত্রিম উপগ্রহটি নিমিত হবে বাঙ্গালোরে

বিক্রম সারাভাই মহাকাশ সংস্থার মহাকাশ বিজ্ঞান কারিগরি কেন্দ্রের হাতে যেসব প্রধান প্রকল্পগথলি রয়েছে তার মধ্যেই আছে এস এল ভি-৩, ভারত- সোভিযেত ক্রত্রিম উপগ্রহ প্রকল্প এবং বধিত শক্তিসম্পন্ত্র প্লাসটিক কেন্দ্র প্রকল্প ।?

১৯৭২-এব্র ১৬৪ অগন্ট ভারত-সোভিয়েত সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি শ্রীকে, পি. এস. মেনন মহাকাশবিদ্ধায় সোভিরেতের অগ্রগতি সম্পক্ি তামিল ভাষার যোভন চন্দ্ররাজন রচিত একটি পুস্তক প্রকাশ করেন

ত্রেজনেভ ভারভীয় স্পুটনিকের প্রতিশ্র্তি দিলেন

২৭শে নভেম্বর, ১৯২৩, দিল্লীর লালকেল্লার প্রাঙ্গণে শ্রীঃরজনেভকে বিপুল সম্ব্বনা জানানো হয়। জনসমাবেশে তিনি বলেন, সাভিয়েত ইউনিয়ন বিজ্ঞান কারিগরি বিষয়ে তার ভিজ্ঞত] ভারতের সঙ্গে ব্টন ক'রে নিতে আগ্রহী মহাকাশ অভিযানে দুই দেশ হাত ধিলিয়ে চলতে পারে। শতৃমগ্ডলীর বিপুল হ্ধধ্বনির মধ্যে তিনি বলেন, “সেদিন আর বেশী দেরি

বিজ্ঞান কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতা . ১৪১

নেই, যখন ভারত-সোভিয়েত মৈত্রীর আন্কুল্যে মহাকাশে স্পুটনিক উৎক্ষিপ্ত হবে।

১। পেট্রিয়ট ( নয়াদিল্লী ), ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১!

২। এ, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১।

৩। টাইম্‌স অব্‌ ইপ্ডিয় ( নয়াদিকী ), ১৪ই মার্চ, ১৯৭২।

৪। ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর বুলেটিন দেখুন | টাইমস্‌ অব. ইত্ডিয়া ( নয়াদিল্লী ), ১১ই অক্টোবর, ১৯৭২! ৬1 সোভিয়েত দেশ, ২৩-২৪ সংখ্যা

৭। পে্রিয়ট ( নয়াদিলী ), ১৮ই মা, ১৯৭৩।

অগুম অধ্যায় সাংস্কৃতিক সংহতি

পঁচিশ বছরেরও বেশী আগে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কুটনৈতিক অম্পর্ক স্থাপনের পর উভয় দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের পরস্পরের দেশ সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংহতিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও তা ১৯৭১ সালের বিখ্যাত চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর। সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বিকাশ উন্নয়নে তখন সম্পূর্ণ এক নতুন যুগের হুচন] হয়। মেত্রীচুক্তি যে বন্ধুত্বকে ঘনিষ্ঠ বন্ধনে সদ ক'রে তোলে একথা বললে অত্যুক্তি হবে না। গত ছু'বছরের মধ্যে দিনের পর দিন নতুন নতুন ঘটন] ঘটেছে এবং ত] মান্গষেন্ন অগ্রগতির পতল আনোলনকে আরও সংহত আরও স্থদৃঢ় ক'রে তুলেছে

১৯৭১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর মস্কোয় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ১৯৭১-৭২ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মস্থচী সম্পর্কে একটি ঢুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৪ দা এই কর্মন্থচীটি ছিল পূর্বেকার বাধিক কর্মস্থচীগুলি অপেক্ষা বৃহত্বর ব্যাপকতর। সোভিয়েতের পক্ষে ঢুক্তিটিতে স্বাক্ষরদান করেন উপ-পররাষ্ট্রমন্্রী নকোলাই ফিরুবিন এবং ভারতের পক্ষে শিক্ষা দণ্রের সচিব টি. পি, সিং ।২

স্বাক্ষরদ্দীন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রসঙ্গে শ্রীফিরুবিন বলেন যে ১৯৭২ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি সম্পর্কে আলোচন। শুরু হয় “এইতিহাসিক চুক্তিটির অল্পক্ষণ পরই এই চুক্তি আমাদের সকল সম্পর্ক এক উচ্চতর স্তরে উন্নীত করেছে ।”৩ তিনি আশ্বাস দেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন চুক্তিটি পুরোপুরি- ভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে রূপায়িত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে ।*

শা টি. পি. সিংও বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে ভারত-সোভিয়েত চুক্তির প্রেক্ষাপটে প্রণীত সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিটি পূর্ববর্তী চুক্তিগুলি অপেক্ষা ব্যাপকতর অধিক অর্থবহ ।৫

সোভিয়েত পাঠ্যপুস্তক ইংরেজী অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় অন্গবাদ করার প্রশ্নও আলোচিত হয়। সে পর্বন্ত ১১* খান! সোভিয়েত পাঠ্যপুস্তক ভারতীয়

সাংস্কৃতিক নংহুতি ১৪৩

ছাত্রদের হাতে এসেছে চাহিদা যে আরও অনেক বেশী তা তখন উপলব্ধি করা হয়।

১৯৭২-৭৩ সালের জন্য আর একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মম্থচী সংক্রান্ত ুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৭২ সালের ১৩ই মার্চ নয়াদিললীতে। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সোভিয়েতের উপ-পররাষ্ট্র্ত্রী এ. এ. স্মিরনভ এবং ভারত সরকারের সংস্কৃতি বিভাগের সচিব টি. পি সিং। এই চুক্তিতে শিক্ষা, সংস্কৃতি, কলা, সিনেমা) স্বাস্থ্য ক্রীড়া, কৃষি পুরাতত্ব বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সহ- যোগিতার কথা বল! হয়েছে

এতে শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, ক্রিড়াবিদৃ, নৃত্য সঙ্গীত- শিলিদল, পুস্তক, বেতার টেলিভিশন প্রচার চলঙ্গি্্র বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। পূর্ববর্তী সাংস্কৃতিক 'বনিময় চুক্তিগুলি ছিল একবছর মেয়াদী কিন্ত এটির মেয়া? ছিল দু'বছর

এই কর্মস্চীর আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১৩০টির বেশী

বিনিময়ের বিষয় ছিল এর অন্তভুক্ত এতে শিক্ষক ছাত্রদের দীর্ঘমেয়াদী সকর ছাড় প্রতি দেশের সাড়ে তিনশোর বেশী ব্যক্তির সফর বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। এক সম্প্রসারিত কর্মস্থচীর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা চলবে এই কর্মস্থচীতে সম্মিলিতভাবে পাঠ্য- পুস্তক রচনায় সহযোগিতার জন্য বিশেষজ্ঞ বানময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। গ্রন্থ প্রকাশনা সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবহিত হবার জন্য প্রকাশকেরাও একে অপরের দেশ সফর করবে 1৬

সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আদরে ম্মিরনভ উভয় দেশের পক্ষে এই চুক্তির তাৎপর্য গুরুত্বের স.+ উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন যে এতে ভারত সোভিয়েতের জনগণেন প্রকৃত আশা-আকাজ্ষা প্রতিফলিত হয়েছে এবং এটি ভারত-সোভিয়েত চুক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি দৃঢ়তার মঙ্গে এই আশা ব্যক্ত করেন যে ভারত-সোভিয়েত সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ইতিহাসে পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যাপক এই নতুন চুক্তির বিভিন্ন কর্মস্থচী সাফল্যের সঙ্গে রূপাষণে উভয় দেশই কার্ধকর ব্যবস্থা অবলম্বন করবে।

১৯৭২ সালের ৩০শে নভেম্বর মস্কোয় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনের এই চুক্তির মেয়াদ আরও দশ বছর বৃদ্ধি ক'রে একটি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয় মস্কো মৈত্রীভবনে এক অনুষ্ঠানে এই প্রটোকলটি

১8৪ ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

স্বাক্ষরিত হয়। প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় সংসদ সান্য শ্রী ভি. কে. কুষ্ণমেনন এবং শ্রীনিকোলাই গোলডিন |?

সে।ভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বন্কন প্রসারিত হবে

ছু'দেশের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান তথ্যাদি বিনিময় আবুও ধারাবাহিক ব্যাপক হবে। এই উদ্দেশ্যে ইত্ডিয়ান কাউন্সিল অব সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ-এর পক্ষ থেকে ভারতীয় সংসদের একজন সদশ্য মক্কোয় এক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন

উক্ত সংসদ সদশ্য মস্কো থেকে ফিরে এসে বলেন যে উক্ত পরিকল্পনায় সোভিয়েত কতৃপক্ষের কাছ থেকে সদর্থক সাড়া পাওয়৷ গেছে এবং ১৯৭৪ সালের গোড়ার দিকে এটিকে একটি হক্তির আকারে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর কর। হবে।

পরিকল্পনাটি ছয় দফা এতে একটি যুক্ত কমিশন গঠন, ছাত্র, দলিলপত্র সমাজবিজ্ঞ/ন সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, দ্বি-বাষিক আলোচনাচক্র, যুক্ত গবেষণা, এবং উভয় দেশের বিজ্ঞানীদের জন্য গ্রন্ত রচনার অনুবাদ প্রকাশের কণা ব্লা হয়েছে ।”

ভারত সোভিয়েত সাংস্কৃতিক ধিনিময় চাক্ত অনুযায়ী এর কতকপগুশি কর্মন্চী যে ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে তা আগেই বপা হয়েছে, হবে প্রস্তাবিত পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে এইসব বিনিময়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং সেগুলিকে বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন সামথ্য অন্গযায়ী চালিত করা।

সমাজবিজ্ঞানের অনেক শাখার ভারত যে অনেক উন্নত তা সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকার করে। তাই এই ব্যাপাবে পরিকল্পিত বিনিময় ছু'দেশের পক্ষেই লাভজনক হবে

তাই ভারত-সোভিয়েত সাংস্কৃতিক সম্পর্কের এই স্থবিস্কৃত আকর্ষণীয় প্রেক্ষাপট রয়েছে ভারত-সোভিয়েত কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চবিংশবর্ষপৃ্তি উপলক্ষে পরবাই্রমন্ত্রী ম্মরণ সিং তার বাণীতে বলেছেন, “আমাদের যোগাযোগ হয়েছে আবেগ-উফ্ণ, নিয়মিত ঘনিষ্ঠ এবং তা উভয় দেশের মানুষকে পরস্পরের কাছে টেনে এনেছে ।”

ভারত-সোভিয়েত সম্পর্কের স্চন। হয় ১৯৪৭ সাতলর ১৪ই এপ্রিল। তার রজতজয়ন্তী পালন উপলক্ষে ভারত-দোভিয়েত সম্পর্ক সংক্রান্ত দলিলপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সাংস্কৃতিক সংহতি

সোভিয়েত-ভারত মৈত্রী সমাবেশ ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার চুক্তির প্রথম বাষিকী এবং ভারতের স্বাধীনতার পঞ্চবিংশতি বাধিকা উপলক্ষে সোভিয়েত-ভারত মেৈত্রীমাস অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে অক্ধ্প্রদেশ বিধানসভার স্পীকার এবং ভবত- সোভিয়েত সাংস্কৃতিক সমিতির রাজ্যশাখার সভাপতি শ্রী পি. আর. রে নেতৃত্বে ভারত সোভিয়েত সাংস্কৃতিক সমিতির একটি প্রতিনিধিদল অন্িথ হিসেবে এই উৎসবে যোগদান করেন উক্ত প্রতিনিধিদল মস্কো, কিট ও, লেনিনগ্রাদ, মিন্ফ, চসান্বে.-তাসখন্দ অন্যান্ত শহর পরিদর্শন করেন | প্রতিনিধিদলের নেতা! শ্রী রেড্ডি তার সোভিয়েত ইউনিয়ন সফুরু সম্পর্কে নৃক্কো নিউজ*-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎব্ার-প্রসঙ্গে বলেন £ সোভিয়েত ইউনিয়নের সবন্রহই আমাদের গভীর আবেগভরা স্র্ধন' জানানো হয়েছে শুধু মৈত্রী সমিতির, সদশ্যদের কাছেই নয়, কারখানা, রাষ্ট্রীয় খামার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানেই আমর] গিয়েছি লেখানেই পেয়েছি এই সম্বর্ধনা আগ একটা শিক্ষায়তনে হিন্দী 'শিক্ষ দেওয়া হচ্ছে দেখে আমরা যে কত খুশী হয়েছি তা আর কি বলব এই শিক্ষায়তনের ছাত্রের শুধু হিন্দীই ।শখছে না, শিখছে ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি প্রভৃতি তারা ঠিক একজন ভারতীয় মেয়ে ব! ছেলের মত চমতকার নাচছে দেখে আমরা সত্যই বিস্ময়ে অভিভূত হয়েছি। মৈত্রীভবন সফরের সময় আবরা ভারতে “ইস্কাস”-এর কার্যকলাপ এবং এখানে সোভিয়েত-ভারত সাংস্কৃতিক সম্পক সমিতির কাধকলাপ কমন্থচা সম্পর্কে মত বিনিময় করি ভারতের স্বাধীনতা-দ্িবসের উৎসব এই বিরাট দেশের সর্বত্র ব্যাপকভাবে পালিত হয়েছে এবং এখনও তা পা।লত হচ্ছে জানতে পেরে আমর! খুশী হয়েছি ।৯ “ইসকাস”-এর সহ-সভাপন্ডি এবং ন্তায়তন্ত্র পত্রিকার সম্পাদক শ্রী প্রতৃও তার মন্তব্যে বলেন 2 সোঁভিয়েতের বাস্তব অবস্থা এবং সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আপনাদের দেশে যে বিম্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে তা নিজের চোখে দেখে আমি খুশী হয়েছি। সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মিত্র। তার সাফল্য আমাদের নিজেদের সমাজে রূপাস্তর ঘটাবার প্রেরণ! যোগায় ৫৫ বছর ধরে সোভিয়েতের ১৩

১৪

১৪৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

জয়যাত্রা সকল দেশকেই প্রভাবিত করেছে******আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলছ যে আমাদের দু'দেশের মধ্যে মৈত্রী দু'দেশের পক্ষ থেকেই সাফল্যের অঙ্গে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্বন্ধে গুরুত সত্য ভুলে ধরার কাজে আম আত্মনিয়োগ করেছি। এজন্য আমি আনন্দিত এবং 'এই কাজ আমি সর্বাস্তঃকরণে ক'রে চলেছি 1৯০

ভারতের শান্তি কামন। সোভিয়েত প্রতিনিধিদের মুগ্ধ করেছে

ভারতের জনগণ বর্তমান সমন্তাবলীর সমাধান সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য এই উপমহাদেশে এবং এশিয়ার অন্যান্য অংশেও শান্তি চায়, চায় উত্তেজনার প্রশমন |

সোভিয়েত শান্তি কমিট এবং সোভিয়েত আফো-এশীয় সংহতি কমিটির চার সদশ্যক প্রতিনিধিদল পক্ষকাল ধরে দেশ সফর এবং কয়েকশ” লোকের সন্ধে আলাপ-আলোচন1 ক'রে এই ধারণাই লাভ করেন।

তাদের সফরান্তে ১৯৭৩ সালের ১১ই জুন নয়াদিল্লীতে এক সাংবাদিক সচ্মেলনে বন্তৃতা-প্রসঙ্গে প্রতিনিধিদলের নেত৷ বাহাগ্র আবছুর রাজাকভ বলেন যে দেশের সকল অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ক'রে তার প্রতিনিধিদলের অন্তান্য সদস্যের এই বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়েছে যে ভারত একাগ্রভাবে "শান্তি কামনা করে তারা জানে যে বতওমান সমস্যাগুলির লমাধান এবং সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে পৌছবার উদ্দেশ্তে উন্নয়নের গতি সঞ্চারে শান্তি একান্ত প্রয়োজন

প্রতিনিধিদলের অপর সদশ্য মিঃ রাজাকভ বলেন, ভাবতের জনগণ সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণের প্রতি প্রগাঢ় প্রীতি মৈত্রীও প্রকাশ করেন “এই মৈত্রীকে স্থদুঢ ক'রে তুলতে হবে।” প্রতিনিধিদল প্রায় ২৫টি শহর সফর করেন এবং ৬৫টির৪ বেশী সভায় বক্তৃতা করেন। বহু নেতা এবং সংসদ বিধানসভাগুলির অনেক সদন্যের সঙ্গেও তারা আলোচন। করেন উপমহাদেশের দেশগুলির অমীমাংসিত সমশ্তাঝলী সম্পর্কে আলোচন! হয় এবং ভারত-বাংলাদেশ ঘোষণায় অসামরিক অন্তরীণ যুদ্ধবন্দীদের প্রশ্ন আনৰিক দিক থেকে মীমাংসার যে প্রন্তাব কর! হয তাতে তার। অভিননান আনান

প্রতিনিধিদলের সশ্তরা বলেন যে সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ এবং শান্তি সংহতি কমিটি সর্বদাই এই প্রজ্ঞাবে পূর্ণ সমর্থন জানাবেন |

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৪৭

শান্তর্জাতিক উত্তেজনা! প্রশমনের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন যেলব ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে ভারতীয় নেতার! তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

উভয় পক্ষই বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে বিশ্বব্যাপী শাস্তি আন্দোলন শক্তিশালী করা এবং এই সংগ্রামের মঞ্চে যত বেশীসংখ্যক সম্ভব সামাজিক শক্তিগুলিকে এঁক্যবন্ধ করা পূর্বাপেক্ষ! এখন অনেক বেশী প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে।

নিখিল ভারত শান্তি সংহতি সংস্থ। এবং প্রতিনিধিদল কর্তৃক প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, তাদের দুঢ় বিশ্বাস যে শান্তির জগ্ঘ সংগ্রাম আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির আরও উন্নত্িবিধানে অনেকখানি সাহাধ্য করতে পারে।

লোকপভার সদশ্ত এবং সারা ভারত শান্তি সংহতি সংস্থার কার্ষনির্বাহক পরিষদের সভাপতি শ্রী কে. ডি. মালব্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ক'রে বলেন, ন্থ্িপরিস্থিতি এখন শান্তির পথে' নতুন বিপদ হয়ে দেখ! দিয়েছে, তাই এই সময় প্রতিনিধিদের এই সফর অভিণন্দনযোগ্য তিনি শান্তির শত্রুদের বিরুদ্ধে শান্তিকামী শক্তিগুলির ঘনিষ্ঠত। সংহতির আহ্বান জানান ।৯১

ব্রেজনেভের সফর

সোভিয়েত কম্যুনিস্ট পার্টির নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ ১৯৭৩ সালের ২৬শে নভেম্বর ভারত সফরে আসেন। এতে বিশ্বশার্তি এবং ভারত-মোভিয়েত মৈত্রী আরও হ্থদুট হয়। তার সফরকালে ছ'দেশের মধ্যে ন্দূরপ্রপপী গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

ব্রেজনেতের ভারত সফর অনেকদিন ধরেই প্রত্যাশিত ছিল। ভারত দপকার অনেকদিন আগেই তাকে এদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বছরের গোড়ার দিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মস্কো সফরে গিয়ে তাকে নতুন ক'বে আবার এই আমন্ত্রণ জানান

মিঃ ব্রেজনেভ পাঁচদিনের জন্ত সরকারী সফরে নয়াদিল্লী এসে পৌ'ছলে তাকে বিপুল সম্বর্ধন! জ্ঞাপন করা হয়। তিনি এবং শ্রীমতী গান্ধী দু'জনেই আশ! করেছিলেন যে, এই সফরে ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতার প্রপার ঘটবে।

বিমান বন্দরে সাড়ঘ্বর স্বর্ধনায় এবং সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবার গথেও দিলীর জনগণ ভারতের প্রকৃত বন্ধুদের অন্যতম হিসেবে মিঃ ব্রেজনে ভকে হর্ষধবনি ক'রে অভিনন্বন জানান। সেই মোটর বাছিনী দেখবার জন্ত লক্ষ

১৪৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

লক্ষ ম'ছুষ জড়ো হয়েছিলেন রাজপথের উভয় পার্খে। মিঃ ব্রেজনেভ ভারতীয়- দের মন যে কতথানি দখল ক'রে আছেন এতে তার পরিচয় পাওয়া যায়

বিমান বন্দরে বন্তৃতা-প্রসঙ্ে মিঃ ব্রেজনেভ এই আবেগভব্া অভিনন্দনে. সাড়। দিয়ে বলেন যে, ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মৈত্রী আরও স্থদু- এবং সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করাই হচ্ছে তার 'এই সফরের উদ্দেশ্য

তার মন্তব্যে শ্রীমতী গান্ধীর সঙ্গে তার আলোচনার বিষয়বস্তুর কিছুট। আভাপ পাওয়া যায়! তিনি বলেনঃ “ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান জনগণের মধ্যে মৈত্রী এশিয়া, বস্তুতঃ সার; বিশ্বেই শান্ত নিরাপত্তার পক্ষে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

ভারত সফরে আগত কোন রাষ্ট্প্রধানকে ২১বার তোপববনি সহ সাধারণতঃ যেসব অনুষ্ঠান করে অভ্যর্থনা করা হয়, মিঃ ব্রেজনেভকেও ঠিক: সেইভাবে অভ্যথনা করা হয়েছিল। মিঃ ব্রেজনেড তাসখন্দ থেকে সাদা- নীল ইলিউসিন ৬২ বিমানে দিষ্পীতে আসেন! বিমান থেকে অদতওণ করা. মাত্র তাকে অভ্যর্থনা করার জঙ্থা বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রধ'নমন্ত্রী, দিশ্পীর মেয়র, মন্ত্রিসভার মদস্যরুদদ এবং এক ধ্বনি-ুখর বিরাট জনতা

বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা অন্ষ্ঠান চলে আধ ঘণ্ট1 ধরে এবং সার+ক্ষণ ধরেই ধ্বনি উঠতে থাকে “কমরেড ব্রেজনেভ, ভ্রঝবা” ( কমরেড ব্রেজনেভ, বন্ধু )। তারপর অতিথিকে নিয়ে মে'টর বাহিনী যখন চলাছল শহরের কে তখনও পথিপাশ্বস্থ জনতার তেতর থেকে এই ধ্বনি উঠতে থাকে মিঃ ব্রেজনেত মস্কোর রাজপথে প্রায়ই এহ ধরনের জনতা দেখেছেন, তবে এখানে পাজপথে এই জন-সম[বেশ দেখে নিশ্চয়ই মুগ্ধ হয়েছেন

শ্রমতী গান্ধী সোভিয়েত কম্যুনিষ্ট পার্টির প্রধানকে “এক মহান মক্র- দেশের বিশিষ্ট নেতা” বলে বর্ণনা] করেন এবং বলেন যে গত ১২ বছরে ভারতে তথ সারা বিশ্বে অনেক পরিবর্তন ঘটে গেলেও ভারত-সোভিয্নেত মৈত্রী অঙ্গন রয়েছে এবং তা আরও স্ব হয়েছে তিনি বলেন, এটা লক্ষণীঘ্ যে উভয় দেশ সাত্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একই মত পোষণ করে এবং বিশ্বসংস্থাসমূহে শান্তিকে অভিন্ন লক্ষ্য হিসেবে তুংল ধরেছে

বিশ্বে উত্তেজনা গমনে মিঃ ভ্রেজনেভের “বিশেষ অবদঃন'-এর ভূসী প্রশংসা করেন শ্রমত। গান্ধী। তিনি বলেন, মিঃ ব্রেজনেভের এই সফর

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৪১

ফণপ্রন্থ এবং পরস্পরের পক্ষে লাভজনক হবে এই আশায় ভারতের জনগণ তাকে স্র্ধন। জানিয়েছে

১৯৭৩ সালের ২৭শে নভেম্বর লিওনিদ ব্রেজনেত ₹দেশের মধ্যে “চিরন্তন মৈত্রীর” কামন। প্রকাশ করেন |

লাল কেল্লার মাঠে নাগরিক সন্বর্নালভায় বক্তৃতা-প্রসঙ্গে তিনি ঘোষ্ণ' করেন, “অকুত্রিম বন্ধু হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন আপনাদের উত্থান-পতন, আপনাদের স্খ-ছুঃখের শরিক হতে চায়। ভারত-সোভিয়েত ঠমত্রী কালের পরাক্ষায় উত্তীর্ণ এবং আমাদের এই মৈত্রীর বন্ধনকে আরও স্থদৃঢ় করার যথেষ্ট

স্যোগ রয়েছে ।” মিঃ ব্রেঞ্নেভ বলেন যে সোভিয়েত ইউ নয়নের পররাষ্জ্নীতি প্রণরনে

ভারত এক বিশি স্থান দখল ক'রে রয়েছে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন যে তার এইদেশ সফরের ফলে ভারত--সাভিয়েত মৈত্রীর মহান ইতিহাসে এক নতুন "গৌরবোজ্জল অধ্যায় সংযোপিত হবে তিনি বলেন, “সোভিয়েতের জনগণ দু'দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ইমত্রীর বন্ধনকে মূল্যবান ব'পে মনে করে এবং মনে যনে তা কামনা করে 1) পোভিয়েত নেতা বলেন যে তিনি তার সহকমীর! ভারতে প্রমোদ সফরে আপেন নি, এসেছেন ভারত-সোভিয়েত সম্পর্ক কি ক'রে সবচেয়ে ভালভাবে স্বণুডু করা যায সে সম্পর্কে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অ|লোচন। করার জন্ত তিনি বলেন যে বাণিজ্য সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের বছুখী প্রপার ঘটিয়ে এই সম্পর্ককে স্থৃদট করার যথেষ্ট স্থযোগ রয়েছে লিখিত এই বক্তৃতার উপমা অলঙ্কার ছিল প্রঠুর। ভারত-সোগিয়েত মৈত্রী “ক্পাস' খা দিগ দর্শন যন্ত্রের মত যা সব সময়ই «দেশকে পথনির্দেশ করে। শ্তিনি বলেন, “আমাদের বন্ধুত্ব ভিলাই ইম্পাত কারখানার ইস্পাতের মতই কঠিন মজত্ুত।” এই মৈত্রী বৈবী আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঝিড়' কাটিয়ে উঠেছে এবং এখন 'মনোরম আবহাওয়ায়” সম্মুখ অভিমুখে আনন্দ- যাত্রার জন্য প্রস্তুত হযেছে ভারত-সোভিয়েত মৈত্রীর ফল “হ্থমিই' হয়েছে এবং তা আরও হমি& হবে বালে ছু'দেশের মানষ আশ। করতে পাবে। 'ভানতের জনগণ এবং তাদের স্থখ-আনন্দের কথা সব সময়ই আমাদের চিন্তায় বযেছে।” তিনি আরও বঙ্পেন, “ভারতের জনগ:ণৰ আশা-আকাকজ্ষ। পূর্ণ করাই হচ্ছে আমাদের নীতির মূল লক্ষ্য ।” মিঃ ব্রেজনেভ বলেন মে ভারত সোভিয়েত বৈরী শান্তিপূর্ন পহ-অবস্থানের

১৫০ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

নীতির ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। এই মৈত্রীর যূল এখন গভীরে প্রবেশ করেছে, কারণ, ছ'দেশের জনগণের মধ্যে একটা পারস্পরিক ৰোবাপড়া সাহচর্যবোধের হ্ঙি হয়েছে “নিরাপত্তার” প্রশ্নের দিক থেকেও এই মৈত্রী শ্ধু বাঞ্ছনীয়ই নয়, একান্ত প্রয়োজন এর লক্ষ্য হচ্ছে বৃহৎ শক্তিবর্গের মধ্যে উত্তেজনার প্রশমন এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার পথ রচন!।

সোভিয়েত নেতা ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বহু বিষয়ে মিল লক্ষ্য করেন। উভয় দেশই সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদের বিরোধী এবং শাস্তি ন্যায়ের প্রবক্তা ছুঃদেশেরই সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের অভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে।

মিঃ ব্রেজনেভ বলেন যে ইতিপূর্বেও একবার তাঁর ভারত ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। সে১২ বছর আগের কথা। তখন বম্বে, কলকাতা, মান্রাজ, নেয়েভেলি, জয়পুর আগ্রায় তিনি যে বিপুল সম্বর্ধনা লাভ করেছিলেন তার স্থমধুর স্থৃতি এখনও তার মনের কোঠায় জেগে রয়েছে

১২ বছর পরে এখন ভারত সফরে এসে তিনি লক্ষ্য করেছেন যে ভারত এখন এগিয়ে চলেছে

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তীর আলোচনার উল্লেখ ক'রে মিঃ ব্রেজনেভ বলেন যে এই আলোচন। যে বুদ্দিক থেকে বিশেষ ক'রে অর্থনৈতিক প্রযুক্তিবিদ্ভার ক্ষেত্রে ফলগ্রহ্ছথ হবে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। ভারতের প্রতি বৈরী- তাবাপন্ন কোন কোন শক্তি যে ভারতকে আত্মনির্ভর হতে দিতে চায় না তা তিনি জানেন তিনি বলেন, “তবে সোভিয়েত জনগণ অর্থ নৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি লক্ষ্য ক'রে আনন্দ বোধ করে ।”

ভারত-সোভিয়েত বাণিজ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা অনেকগুণ বেড়ে গেছে বটে তবে এখনও এই সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত শক্তিশালী করার প্রচুর সম্ভাবন! রয়ে গেছে ।* বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিদ্ভার স্ৃবিশাল ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিশেষ ফলপ্রস্থ হতে পারে

বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যেসব জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম চলছে মিঃ ব্রেজনেভ তারও উদ্লেখ করেন। সংগ্রামী জনগণ চায় এক নতুন সামাজিক অর্থ- নৈতিক ব্যবস্থা এবং তাদের এইসব সংগ্রাম বিশ্বরাজনীতিতে এখন প্রবল গ্রভাব বিস্তার করেছে তবে এখনও এমন সব শক্তি আছে যারা চায় এই সংগ্রামকে ব্যর্থ ক'রে দিতে

১৯৭৩ সালের ২৭শে নভেম্বর মিঃ ব্রেজনেভ তিন ঘণ্টা ধরে সোভিয়েত

সাংস্কৃতিক সংহতি 5৫5

ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ অবস্থা এবং কয়েক দশক ধরে ভারত-সোভিয়েত মৈত্রীর যে বিকাশ ঘটেছে তার “চমৎকার+ বিশ্লেষণ-প্রসঙ্ে শ্রীমতী গান্ধীকে বলেন যে তার ভারত সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুণগত আধেয়গত উন্নতি হয়েছে। |

পাচদিনব্যাপী স্থভেচ্ছা সফরে রাজধানীতে এসে পৌঁছবার ছয়ঘণ্টা পরই সোভিয়েত নেতা তার প্রতিনিধিদল শ্রীমতী গান্ধী তার সহকর্মী উপদেষ্টাদের সঙ্গে সরকারীভাবে প্রথম দফায় আলোচন। করেন

মিঃ ব্রেনেভ বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মৈত্রী সহযোগিতা “ক্রমবর্ধমান বিষয়বস্ততে' পরিপূর্ণ হয়েছে এবং এটা এমন একটা স্তরে এসে পৌছেছে য! ভিন্ন ভিন্ন সমাজব্যবস্থা- সম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে সম্পর্কের আদর্শ হতে পারে ভারত-সোতিয়েত সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে--অতীতে “কিছুই এই সম্পর্ককে মান করেনি আগে কখনও এই সম্পর্ক এত দু ছিল না।

শ্রীমতী গান্ধী মিঃ ব্রেঙ্গনেভ গ্রমে প্রধানমন্ত্রীর দগ্গুরে এক বৈঠকে ৩৫ মিনিট ধরে প্রাথমিকভাবে মত বিনিময় করেন। তারপর বিস্তারিত আলোচনার জন্য পাউথ র্রকের কন্ফারেন্স হলে তারা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হন

পূর্বেকার সফরের ১২ বহ্পর পরে মিঃ ব্রেজেনেভ যে সময় ক'রে আবার ভারত সফরে এসেছেন সেজন্য শ্রীমতী গান্ধী নাকি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভারত-মোভিয়েত মৈত্রী সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার বিপুল সস্তাবনা হয়েছে বলে মন্তধা করেন

তারপর মিঃ ব্রেজনেভ ভারতীর সোভিয়েত প্রতিনিধিদের সামনে যে বক্তব্য রাখেন তাকে “মত্যন্ত চমৎকার, আকর্ষণীয় সতেজ” বিবৃতি বলে বর্ণন। করা হয়। এতে প্রধানত: ৮টি বিষয়ে আলোচনা কস! হয। প্রথমটি হচ্ছে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শাস্তির জন্য যে নীতি আদর্শ অনুমরণ করে এবং সোভিয়েত জনগণ এই নীতিগুলিকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য যে “হুজনযৃণক প্রচেষ্টা” চালান তার বর্ণন! | দ্বিতীয়টি ভারত-সোভিয়েত সম্পর্কের বিষয়ে

সোভিয়েতের অভ্যন্তরীণ চিত্রের বর্ণনায় মিঃ ব্রেজনেভ যে উদ্দেশ্যাবলীর দ্বার! সোভিয়েতের নীতিগুলি অনুপ্রাণিত হয়েছে শুধু সেগুলিরই উল্লেখ করেন না, ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের পর থেকে পর্যন্ত যে রুশ মহাকাব্য

১৫২ ভারত-সোভিয়েত ঢুক্তি

রচিত হয়েছে তারও এঁতিহামিক বিবরণ দেন। প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী মিঃ ব্রেজনেতের বিবৃতিতে অত্যন্ত মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিশেষ ক'রে আন্তজাতিক বোঝাপড়ার হৃষ্থিতে তার মহান ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানান

সোভিয়েত নেতাও বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে তিনি বলেন, সোভিয়েত নেতার শ্রীমতী গান্ধী অন্যান্য ভারতীয় রাজনীতিকদের প্রতি গাভীর শ্রদ্ধী” পোষণ করেন উভয় দেশের মান্ঘই এই সফর থেকে অনেক- কিছু লাভ হবে ঝলে আশা করেন। এই প্রত্যাশার মূল কারণ হচ্ছে, উভয় দেশই "শান্তির অন্য” কাজ ক'রে চলেছে এইসব আলোচনায় মিঃ ব্রেজনেভের মন্তব্যের সারমর্ম মংবাদপনে প্রকাশের জন্য দেওয়া হয় ২৬শে নভেম্বঃ, ১৯৭৩ এবং ০টি দেন 'তাল” সংবাদ প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর জেনারেল সোভিয়েত প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদ্য মি: এল. এম. জামিয়াতিন এবং ভারুতির পররা? দপ্তরের মন্ত্রী মিঃ কেবল লিং

মিঃ জামিয়াতিন লেন যে আজকের সরকারী আলোচনা সম্পর্কে সংবাদপত্রের প্রতিনিধিদের কি বলা হবে ভা তিনি মিঃ ব্রেজনেভের কাছে বিশেষভাবে জানতে চেয়েছিলেন | তিনি জবাব দেশঃ দেশের মধ্যে বঙমান সহুযোগগতার পথ অন্লরণ ক'রে চলার সন্কর্ এই টৈঠকে ভ্রপক্ষই পুনবার ঘোষণ। করেছেন

পরে ২৬শে নভেম্বর, ১৯৭৩, রাষ্টপততিভবনে তার সম্মানে আয়োজিত এক ভোঁজসভায প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন-ভাষণের জবাবদান-গ্রসঙ্গে তিনি এই বিষয় বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন

তিনি বলেন, “আমপ্জা সানন্দে 'আামন্্। (ভারত সফবের) গ্রহণ করেছিলাম |”

ইলকালের সন্কর্দন।

ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বন্ধুত জীবনকে ক'রে তোলে পুর্ণতর কিন্তু দু'দেশের জনগণের মধ্যে ন্ধুত্ের ভ।ঘ্পর্য আর 9 বেশী, কারণ ত| গভীরভাবে প্রভাবিত করে ভবিঘৎকে--২৮শে নভেম্বর, ১৯৭৩, নয়াদিল্লীতে বিজ্ঞানভবনে তার সম্মানে ভারত-সোভিশেত মৈত্র সমিতি কর্তৃক '্থাঘ্লোজিত সম্বর্ধনাসভায় বক্তৃতা গ্রসঙ্গে মিঃ ব্রেজনেভ এই মন্তব্য করেন

এই উপলক্ষে বিজ্ঞানভবনের প্রধান কক্ষটি সারি সারি রক্তপতাক। ত্রিবর্ণ পতাকা দিয়ে স্থুসঙ্জিত কর] হয়েছিল।

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৫৩

সভায় মিঃ ব্রেজনেভ আবার ঘোষণা করেন, “আমাদের মৈত্রী অমর, অক্ষয়, অব্যয় ।” মিঃ ব্রেজনেভ বলেন, “এই মৈত্রীর এক বিশেষ ভাৎপর্য রয়েছে, বয়েছে দু'দেশের মহান জনগণের এক বিশেষ ভূমিকা তারাই গণ্ড়ে তুলেছেন এই মৈত্রী, তারাই রয়েছেন এই বন্ধুত্বের যূলে।”

গত তিনদিন ধরে নয়াদিল্লীতে সর্বত্র তিনি যে আবেগ-উষ্ণ গ্রীতিপৃর্ণ সনব্ধনা লাভ করেছেন তার উল্লেখ ক'রে তিনি বগেন, “প্রকৃত বন্ধু এক মহান সম্পদ এবং জ'বনকে তিনি ক'রে তোলেন পূর্ণনতর” তবে বিভিন্ন দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত আরও বেশী তাৎপর্যপূর্ণ ভন্ষ্যংকালেব ওপর তা বিপুল প্রভাব স্স্তির করে। তিনি আরও বলেন, “বিশেষভাবে অনুকুল আনন্দদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে আমরা এই নন্ধত্ব আর ঘনিষ্ঠ এবং আরও স্থদুঢ ক'রে তুলছি।”

মিঃ ব্রেজনেভ এই সভায় উপস্থিত হন শ্রীমতী গান্ধীর সঙ্গে। তিনি একটি লাল গোলাপ কুড়ি দর্শকদের দিকে তুলে ধ'রে তাদের মহর্য অভিনন্দন গ্রহণ করেন বক্ততামঞ্চের সামনে পাশে থরে থরে সাজানো ছিল 'ইসকাস'- এর বিভিন্ন রাজ্যশাখার প্রতিনিধিদের অসংখ্য উপহার উপহারগুলি গ্রহণ করে মিঃ ব্রেজনেত 'ইসকাপ*কে উপহার দেন একখানি তৈলচিত্র। তাতে অঙ্কিত ছিল গড ক্কোয়াবের চিত্র, পটভূমিতে তাত ক্রেমলিমের উত্ত্ চূডা।

সোভিয়েত ইউনিয়ন কিভাবে ভারতের জনগণের অগ্রগতি লক্ষ্য করছিল [তিনি লেনিনকে উদ্ধৃত ক'রে তার উল্লেখ করেন। তি'ন উপকথার এক যুব- রাজের কাহিনীও বর্ণনা করেন যিনি তার যাংধলে শেষ পধন্ত সব বাধা- (বিপত্তি অতিত্রম করেছিলেন এবং “লেন যে আজ জনগণই হচ্ছে সেই উপ- কথার খুবরাজ এবং সমাজতন্ত্র হচ্ছে দেই থাছুবল।

প্রমতী গান্ধী সোভিয়েত নারীদেব বিশেষ প্রশংসা করেন! তিনি বলেন যে সোভিয়েত ইউনিয়নে নতুন বিশ্বগঠনে তাব। ঘে মহান ভূমিক। পালন করে চলেছেন তার জন্ত তিনি “তাদের বিশেষ শুভচ্ছা” জানাতে চান। তাদের আদর্শ জাতিগঠনে আমাদের অগ্গপ্রাণত করবে খলে তিনি মন্তব্য করেন।

এই মভার সমগ্র ধারাবিবরণী সোভিয়েত ইউনিয়নে টেলিভিশনে এখং দিল্লীর টেলিভিশন কেন্দ্র কর্তৃক প্রচারিত হয়।

পি টি আই-এর সংবার্দে আরও বলা হয়,.মিঃ ব্রেজন্ভে ঘোষণা করেন

5৫8 ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমগ্র জনসাধারণ “আপনাদের ( ভারতের ) বঙ্ছু__ এক বিশ্বস্ত, নিঃস্বার্থ নির্ভরযোগ্য বন্ধু 1৮

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোভিয়েত রাজনীতিক সভাস্থলে এসে পৌঁছলে সমবেত শ্রোতৃমগ্ডলী উঠে দাড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনার উল্লেখ ক'রে মিঃ ত্রেজনেভ বলেন যে "ভারতে আমাদের এই সফর এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধীর সঙ্গে আলোচন] অত্যন্ত ফলপ্রস্থ হয়েছে”, একথ| বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না। ইসকাস'-এর সভাপতি শ্রী কে. পি. এস. মেনন তার স্বাগত ভাষণে মিঃ ব্রেজনেভকে ভারতের একজন মহান বন্ধু একজন নায়ক ব'লে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে ভারতে তার'এই সক্বে “ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ক্রমবর্ধমান, ক্রমপ্রসাবমাণ মৈত্রীর গ্রস্থিতে সর্বশেষ যোগন্ত্র, একটি স্বর্ণ যোগস্ত্র গ্রথিত হল ।”

মিঃ ব্রেজনেভকে প্রদত্ত টউপহারগুলির মধ্যে ছিল একটি মোগলী হুক এবং একটি পারসিক ধরনের পিতলে: স্থবরাপান্র !

২৯শে নভেম্বর, ১৯৭৩, 'প্রাভদায়” মিঃ ব্রেজনেভের এই ভারত সফরকে সোভিয়েত-ভারত সম্পকের ক্ষেত্রে এক তাৎপধপূর্ণ ঘটনা এবং আস্থর্জাতিক ব্যাপারে “এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা! কলে মন্তব্য করা হয়। চীন এবং পশ্চিমী দেশগুলিতে এই সফরের গে প্রতিক্রিরা দেখা দেয় লে সম্পর্কে উক্ত পত্রিকায় বলা হয় যে মোভিয়েত-ভা রত *মত্রী সদ হয়ে উঠায় বোন কোন্‌ মহল ষে অখুশী হবে তা বোঝ] মোটেই কষ্টকর নয়। প্রাভদায় পশ্চিমী দেশগুলির কোন কোন সংবাদপন্রে অনত্য বিবৃতি প্রকাশের অক্যোগ করা হয়

স্মরণ কর যেতে পারে যে মিঃ ব্রেজনেভের সঙ্গে এসেছিলেন একাট উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সোভিঠেত নেতা ভারতের প্রপানমন্ত্রীর মধ্যে ভারত-সে।ভিযেত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় এবং আস্র্জাতিক পরি'স্তৃতি সম্পর্কেও আলোচদ। ওয়েছিল '

মোভিয়েতেহ নগর প্রশাসন ব্যবস্থা দেখে সাহজী মুগ্ধ

দিল্লী পৌরসভার সদশ্যদের নিয়ে গঠিত একটি গুতিনিধিদলের নেতা ভিসেবে দিল্পশীর মেয়র শ্রী কে. এন. সাহনী সম্প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়নের কতকগুলি বড় বড় শহর পফব্র করেন যস্কে গন একজন সংবাদদাতার কাছে সোভিয়েতের নগর প্রশাসন ব্যবস্থা দেখে সভার যে ধারণ! হয়েছে সে সম্পর্কে শ্রীসাহ নী

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৫৫

বলেন যে সোভিয়েতের নগর প্রশাসন ব্যবস্থা বিশেষ ক'রে সোভিযেত ইউনিয়নের দুই বৃহত্বম শহর-_মক্কো লেনিনগ্রাদের প্রশাসন ব্যবস্থা দেখে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছেন তিনি যুদ্ধ হয়েছেন এই শহরগুলির পরিক্ষাব-পরিচ্ছন্নতা9

তাদের পরিবহণ ব্যবস্থ| এবং তারা যেভাবে গৃহনমন্যার মমাধান করেছে তা' দেখে।

শ্রীসাহনী বলেন, “আমীর দুঢ বিশ্বাস জন্মেছে যে পারস্পরিক প্রতিনিধিদল বিনিময় অত্যন্ত ফলপ্রস্থ হবে ।” তিনি বলেন যে সার! দুনিয়ার শহরগুলি একই ধরনের সমস্যাবলীর সম্মুখীন হয় এবং প্রত্যেক শহরেরই অন্যান্য শহরকে শিক্ষা দেবার কিছু আছে। তিনি বলেন, সেদিক থেকে এবং দিলীর সমস্যা- বলীর দিক থেকে তর সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর অত্যন্ত হিতকর হয়েছে তিনি বলেন যে তিনি মক্ষো লেনিনগ্রাদের ম্েপ্নরদের দিলী সফরের জদ্ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন |

শ্রীসাহনী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, “একথা বলতেই হবে যে মস্কো 'ও লেনিনগ্রাদ অত্যন্ত হৃশাসিত ছুটি শহর এবং শহর ছটির উন্নয়নে ভারপ্রাপ্ত রয়েছেন নিষ্ঠাবান ব্যক্তিরা সমশ্যাগ্ুলি সম্পর্কে অন্তসন্ধানের জন্য তীবা কঠোর পরিশ্রম করছেন শহরগুলির পঞ্চবাধিক পরিকল্পনা রয়েছে এবং আমি দেখেছি সেগুলি ফলপ্রদভাবে বাস্তবে রূপায়িত করা হচ্ছে "৯২

ভারতীয় প্রতিনিধিদল কতকগুলি আবাসগৃহ অঞ্চল (হাউজিং সাইট ) পরিদর্শন করেন এবং সেগুলিতে বাসিন্দাদের স্ৃখ-স্ুবিধার ব্যবস্থা্দি জেনে অত্যন্ত মুগ্ধ হন। প্রতিনিধিদল মস্কো শহরের বিরাট প্রশাসন ব্যবস্থা বিশেষ ক'রে তার পরিবহণ সংস্থা দেখেও অত্যন্ত মুগ্ধ হন

মস্কোর ভূগর্ভ বেলপথ হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেষে শস্তা পরিবহণ, নিউইয়র্কের চেয়ে সম্ত। সাত গুণ ভূগর্ভ রেলপথ ব্যবস্থা, তার সজ্জা, পরিচ্ছন্নতা এবং সবেণপরি তার নিপুণতা দেখে শ্রীসাহ নী অত্যন্ত মুগ্ধ হন।

মক্কো নগর সোভিয়েতের কার্ষনিরবাহক কমিটির চেয়ারম্যান ভশদিমির প্রোমিমলভ ভারতীয় প্রতিনিধিদ্কে অভ্র্থন করেন এবং ভারত

সোভিয়েতের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠায় আনন্দ প্রকাশ' করেন ।১৩

শ্রীসাহ্‌নী মস্কোর মেয়রকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে বাংলাত্দশের জনগণের মুক্তিসংগ্রামের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন যে অবিচলভাবে ভারতের: পাশে এসে দরীড়িয়েছিল সেকথা ভারতের জনগণ কোনদিনই ভুলবে না

১৫৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

শ্রীসাহনী সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণের প্রশংস1 ক'রে বলেন, “মনে হচ্ছে, রাশিয়ার জনগণ অত্যন্ত পরিশ্রমী, অতিথিপরায়ণ, সামাজিক এবং গভীর দেশপ্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এইসব গুণই একটি দেশকে মহান ক'রে 'ভোলে হ্বভাবতই তাহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে বনু দেশেরই অনেক-কিছুই শেখার আছে ।”১৯

সোভিয়েত ইউনিয়নে এস, ডি. শর্নার সফর শানন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীশঙ্কর দয়াল শর্ম'

সৌভিয়েত ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন দেশ সফর ক'রে ফিরে এসে ২৪শে জুলাই, ১৯৭৩, নয়াদিল্লীতে 'তাম'এর সংবাদদাতার কাছে বলেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরকালে সোভিয়েত নেতাদের সঙ্গে তার ফলপ্রস্থ বৈঠক আঅলোচন। হয়। এইসব বৈঠকে বর্তমান আন্তর্জীতিক পরিস্থিতি, শান্তিপূর্ণ সহ- অবস্থনি এবং বিশ্বে শান্তি সুমংহত করার বৃহত্তর প্রশ্নগুলি সম্পর্কে আলোচনা হয়। ডঃ শর্ম। সো িম্েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিগওনিদ ব্রেজনেভের সঙ্গে তীত্র যে সৌঁহার্দ্যপৃর্ণ আলোচনা হয়ঃ তবু সবিশেষ উল্লেখ করেন এই ঠবঠকে বহু জর প্রশ্ন সম্পর্কে মতৈকা প্রকাশ পায় :

ডঃ এস ডি, শর্সা বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, “সোডিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সোভিয়েত-ভাবত শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার চুক্তির হুদ ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং এই চুক্কি ছ'দেশের মধ্যে :*দেশের পক্ষেই কলাণকর যোগ্হ্ত্রগ্তুলিত সম্প্রসারণ হ্দুটকরণে এক গুরুত্বপূর্ণ সদর্থক ভমিক। গ্রহণ ক'রে চলেছে সোভিযেত ইউনিয়নে এই সফর এই যোগ- হ্যত্রগ্তলিকে আরও চদুঢ কর।র পক্ষে সহায়ক হনে 1১১৫

ডঃ শর্মা সদলে তিজভেপ্তিযা'র সম্পাদকীয় দপ্তুরও সফর করতে যান এবং মেথাংন "ই সভেম্তিয়া”র সংবাদরাতার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেম মভাপতি বলেন যে অনেকদিন ধরেই সোভিয়েত জীবনধারার সঙ্গে তার পরিচিত হবার বাসন] ছিল এবং এই সফর ভাকে সেহ স্থযোগ এনে দিযষেছে তিনি বলেন যে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রত্যাশিত আবেগ-উ্ণ সৌহার্্যপূর্ণ সন্বর্বন। পেয়েছেন এসং ভারত ভারতের জনগণের প্রতি তাদের সন্ৃদয় মনোভাব লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের জনগণ সোভিয়েতের জনগণকে তাদের শ্রেষ্ঠ পরাক্ষিত বন্ধু ব'লে মনে করেন এবং তাদের প্রতি গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন ।৯৬

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৫৭

সোভিয়েত নেতাদের প্রত ইন্দির। গান্ধীর অভিনন্দন

ভারত সোভিয়েত ইউন্দিয়নের মধ্যে শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতা চুক্তির দ্বিতীয় বাধিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গাঙ্গী ভারত, সরকার এবং ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জনগণের কাছে অভিনন্দন বাণী পাঠান

“তাস'-এর সংবাদদাতার সরপ্গে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীমতী ইন্দির] গান্ধ" বলেন, গত ছু'বছরের মধ্যে এশিয়া এবং খিশ্বের অন্যান্য গ্থানে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী ঘটে গেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিয়েছে এক নন স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ “আমাদের প্রতিবেশীদের সক্ষে স্থাধিত্, মৈত্রী সহযোগিতা সদর করার জন্ত ভারতে আমরা অনেকগুলি ব্যবস্থা অবলখন করেছি সোভিয়েত ইউনিরনও আন্তর্জাতিক শাপ্ত শুস্ংহত করার জন গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভাবত-স্যাভযেত ভুক্ষি শান্তি পারস্পরিক সমঝোতার এক আবহাওয়া সট্টির ভূমিক! পালন কারে চলেছে।

শ্রীমতী গান্ধী বলেন, চক্তিটি ছুটি মিত্র দেশের মধ অুসম্পর্ধ সহ- যো'গতার ভিত্তি আর সদর করেছে আমর) অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক বিনিময় ব্যাপকতর করার প্রয়াস চালিয়ে যাংচ্ছ এবং আমের এই প্রয়াস উভয় দেশের পক্ষেই কল্যাণকর হবে। শাততি প্রতিষ্ঠার জন্যও আমরা আমাদের প্রয়াস চাঁলর়ে যাব ।*?

ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক তনুষ্ঠানে সোভিয়েত নগরিকেনা বিমুগ্ধ

দু পক্ষের মধ্যে সাংস্ক্তিক বিনিময় চলেছে অব্যাহতভাবে! সম্প্রাতি ১৬ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতানধিদল সোভিখেত ইউনিয়নের বড় বড় শহগগু'ল সফর করেন। এই দলে পেন বরছু মহারাজ, বেগম আখতার, দীপালি নাগ প্রমুখ তার; তাদের নৃত্য-গাত পরিবেশন ক'রে সোভিয়েত দ্শকমণ্ডলীকে বিশেষভাবে নৃঙ্ধ করেন৷ তাদেনু প্রথম নৃত্য-গীতানষ্ঠান হয় মস্কোয়। অনুষ্ঠানকালে গভীর নিস্তূতা বিরাজ করছিল সার! কক্ষে কি গভীর আগ্রহ নিয়ে যে দর্শকণা৷ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছিনেন তা পারক্ফুট হয়ে উঠেছিল তাদের চোখে-মুখে ভারতীয় শিল্পী! পরে সোভিয়েত নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং উভয় দেশের শিল্পকলা-রীতির মধ্যে পার্থক্যের বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারতীয় নৃত্যের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার ভাবাবেগ আত্মিক সম্পদ এবং ভারতীর

১৫৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

নৃত্যশিল্পা এতে সম্পূর্ণরূপে বিভোর হয়ে থাকেন একথ। সোভিয়েত নৃত্যশিল্পীরা গভীর আগ্রহের সঙ্গে শ্রবণ করেন। আর ভারতীয় শিল্পীরা সোভিয়েত নৃত্যের অতি সুক্ষ কলা-কৌশল দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হন ।১৮

লোভির়েত মঞ্চে রামায়ণের বিরাট জাফল্য

বেশ কিছুকাল ধরে ছৃ*দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন হুদুঢ় করার কাজে এক নতুন উপাদান সংযোজন করা হয়েছে। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মস্কোর সেন্ট্ণাল চিলড্রেন্স থিয়েটারে এক নতুন “সিজন” খোলা হয়েছে। সোভিয়েত, রুশ পশ্চিমী নাটকাভিনয় এর অনুষ্ঠানস্চীর 'অন্তভূক্ত কর] হয়েছে।

১৪৬০ নাল থেকে সোভিয়েত ভারততত্ববিদু এন. গুসেভা1 লিখিত রামায়ণ নাটক মক্কোয় মঞস্থ কর! হচ্ছে এবং নাটকখানি দারুণ জনপ্রিয়ত। অর্জন করেছে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই রুদ্ধনিংশ্বাণে মহাকাব্যখানির প্রধান প্রধান ঘটনাপ্রবাহ দর্শন করেন, রামের মহত্ব বীরত্ব, সীতার পতি- ভক্তি লক্ষণের ভ্রাতৃন্থলভ আনুগত্যের উচ্চ প্রশংসা করেন, ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন রাবণের শঠতায় এবং শেষপধন্ত রামের জয়পাভে উল্তসিত হয়ে ওঠেন। শিশু যুবকদেএ মধ্যে এই নাটকখানি দারুণ প্রভাব বিস্তার করেছে।

রামায়ণ” নাটিকের জন্য এন. গুসেভাকে জওহগলাল নেহরু পুরস্কারে ভূষিত কর] হয়েছে *

রামের ভূমিকায় জেন্নাি পেত্চনিকভ বহুবার অভিনয় করেছেন এখং তাতে আনন্দও পেয়েছেন। সোনার হরিণের ঘটনার পর বনের মধ্যে পর্ণকুটীরে রামের প্রত্যাবতন-_-এই বলিষ্ঠ দৃশ্টির অভিনয় করতে তার খুবই ভাল লাগে।

ইউনেস্কো সারা বশ্থে মধ্যযুগীয় হিন্দীভাষায় রামায়ণ র৮গ্রিতা মহান ভারতীয় কবি তুপসীদাপের ৮০০তম জন্মোৎসব পালনের সিদ্ধ।ত্ত নেওয়ার বছর '“বামারণ'-এর অভিনয় বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে সোভিয়েত অভিনেত1 পরি»লক গ্রেন্নাদি পেত্ডনিকভ মক্কোয় তুলসীদাসের 'রামচরিত- মানন'-এর ৪০* বছর পৃতি উৎসবের আয়োগ্নে সাহায্য নেবার জন্য সং্প্রতি ভারত সরকারের অতিথি হিসেবে দিল্লী এসেছিলেন

“মানবিক আদর্শে অনুপ্রাণিত, ভাবধারায়ি আধুনিক --অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শউঁভ শক্তির বিজয়; এর চেয়ে আধুনিক ভাবধারার কি আর কিছুই আছে-- এই নাটক তাই অনিবার্ষভাবেই বিপুল সংখ্যক দর্শককে আকর্ষণ করেছে।” ১৯৯

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৫৯

ভারত-সোভিয়েত সংস্কৃতি সমিতির সভাপতি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নস্থ প্রাঙ্গন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তাই যথার্থই বলেছেন, “আমাদের দু'দেশের মধ্যে শিরত বর্ধমান বন্ধুত্বের বন্ধনে এক স্থবর্ণ যোগস্থত্র” রচনা করেছে এই নাটকখানি।২০ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এই নাটকখানির অভিপয়কে “ছুই মহান দেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রী হুদুট করার কাজে সোভিয়েত সাংস্কৃতিক বৈজ্ঞানিক কর্মীদের এক অসামান্য অবদান” ঝলে বর্ণনা করেছেন ।২১

আজ রামায়ণ, তার আনুগত্য মৈত্রীর মহান আদর্শ, স্তায়ের জয় সম্পর্কে তার আস্থা এশিয়া, আফ্রিকা, ইওরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানীতে আগত অসংখ্য অতিথির উচ্চ প্রশংস। লাভ করছে মস্কোয় মঞ্চস্থ এই নাট কখানি লাভ করেছে আন্তর্জাতিক মর্যাদা

সো1ভয়মেভ ইউনিরন কর্তৃক পাঁচখানি ভারতীয় চল চ্চত্র ক্রয়

অন্তান্ত ধরনের সাংস্কৃতিক কার্কলাপও চলতে থাকে সোভ-এক্সপো্ট ফিল্ম ১৯৭২ সালের ১৭ই মে বন্বেতে ভারতীর চলচ্চিত্র রপ্তানি কর্পেরেশন লিমিটেডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অন্ুযা্ণী গড়ে ২০ লক্ষ ৬* হাজার টাকা মূল্যে পাঁচখানি চলচ্চিত্র ক্রয় করেছে খাজকাপুরের মে] নাম জোকার*ই যূল্য পেয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা কর্পোরেশনের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী মিঃ তারিক বলেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার ভ।বতীর চলচ্চিত্র ক্রয় করতে সম্মত হরেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রগুলি সোভিয়েত ইউানয়নের প্রায় ৩০টি আঞ্চলিক ভাষায় আখ্যান সংপাপ দিয়ে সার। দেশে দেখানো হয়|

ভারত-৫সাভিয়েত যৌথ উদ্যোগে চলচ্চিএ নিশ্নাণ টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পরিকল্পুন।

১৯৭৩সালের ১৮ই জুলাই তথ্য বেতার-মন্ত্রী গ্রী আই. কে" গুজপাল মক্ষোয় পি এন-এর সংবাদদাতার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে মস্কোয় অন্ত আগ্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব “বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবের ক্ষেত্রে এক অনন্ত ঘটনা এবং সোভিয়েত চলচ্চিত্র টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার আলোচনার কলে দেশের মধ্যে যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ টেলিভিশন অনুষ্ঠান বিনিময় হবে। এই সম্পর্কে একটি চুক্তি শ্বাক্ষরিত হবে এবং "যৌথভাবে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজন| সম্পর্কে পরে আলোচনা হবে।

মস্কোয় অষ্টম আন্তর্জাতিক চনচ্চিত্র উৎসবে ভা্তীয় প্রতিনিধিদলের

১৬৩ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

নেতৃত্ব করেন শ্রীপুজরাল। অত্যন্ত ব্যাপক ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত এই উৎসবের চম২্কার আয়োজনের তিনি প্রশংসা করেন ।২২

সাহিত্য

১৯৭০-৭২ এই দু'বছরে এশীগ় আফ্রিচান সাহিতাগ্রন্বত্র ৩০ লক্ষাধিক কপি সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রকাশিত হয়েছে আফ্রো-এশায় লেখক সংঘেএ ভারতীয় জাতীয় কমিটির প্রাক্তন সেক্রেটারি-জেনাবেল সাজ্জাদ জহার.লিখেছেন, “এটা আমাদের পক্ষে খুবই আনন্দের সংবাণ যে এগুপর মধ্যে লক্ষণ ২, হাজার কপিই ভারতায় মািত্যের 1৮২৩

পি এন পি টি আই-এর মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কে চক্তি

1১৯৭৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মক্কোম্ব নোভোন্তি প্রেস এজেন্সী প্রেস টাস্ট

অব ইগ্ডিয়ার মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কে একট 7 স্বাক্ষরিত হয়। এই ঠক্তি:ত পি এন-এর পক্ষে পি এন-এর বোডেঞ ভাহস-চেয়ারম্যান কে. খাচ।- তুরভ এবং প্রেস ই্রাস্ট অৰ ইণ্ডয়ার পক্ষে তাত প্রধান সম্পাদক সি. রাখবন স্বাক্ষর দেন

এহ ছুক্তি অন্যায়া পি এন পি টি আই-কে পি টি আই-এর জন্য বিশেষ- ভাব প্রস্তুত পি এন-এর সংবার্দাদ ভাগত* গ্রহণ প্রকাশার্থ প্রচারের অধিকার দেয় এবং তার পরিবর্তে পি এন তার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত :প টি আই-এর সংবাদাদি সোভিয়েত ইউনিয়নে গ্রহণ প্রকাশের জন্ঠ প্রচারের অধিকার পায়। দুপক্ষই এই তথ্যে তার উৎস নিদেশশি ক'রে এবং তার বিখ- বস্ত অর্থ বিকৃত ন। ক'রে ব্যবহার করাবু প্রতিভ্রতি দেয়। সোভিবেত ইউনিয়নের ঘটনাবলী সম্পর্কে পি এন অন্তান্য সংবাদ-প্রতিষ্ঠানের একই ধরনের সংবাদাদি পাওয়। গেলে পি এন-এর বিবপ্ণী যদি যথাসমরে পৌছয় তাহলেও পি টি আই সেটিকেই অগ্রাধিকার দেবে আবার ভারতে ঘটনাবলী সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ-প্রতিষ্ঠঠানের একই ধরনের সংবাদ পাওয়া গেলে পিটি আই-এর বিবরণী যদ যথাসমরে পৌছর তাহলে পি এন সেটিকেই অগ্রাধকার দেবে

১। ইতিপূর্বের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ সম্পর্কে দেখুন জগনীশ বিভাকর- এর “25 ইরা প“প্মব ইন্দোসোভিয়েত ডিপ্লোমেটিক,টাইজ' (নযা।দল্লী, ১৯৭২), পৃঃ ৫) এবং কে. নীলকান্ত-এর “পার্টনার্প ইন পিস ( নয়াদিল্লী, বিকাশ পাবলিকেশনস, ১৯৭২ ), পৃঃ ৭৮-৮৪ |

|

৩। |

৬।

|

৯! ১৬ | ১৯১

১২ |

১৩ |

১৪ ১৫

১১

সাংস্কৃতিক সংহতি ১৬১

পোষ্রিয়ট নয়াদিলী ), ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ আর দেখুন হিন্ডু €( মাদ্রাজ ) ১৮ই সেন্টেম্বর, ১৯৭১ এঁ। স্তাশানাল হেবান্ড ( নয়াদিল্লী ), ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ পেট্রিয়ট, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১. ভারত সরকারে প্রদ ইনফরমেশন ব্যুরে। ( নয়াদিল্সা ) কতৃক প্রচারিত বুলেটিন দেখুন আর অন্তশীলনের অন্য দেখুন নীলকান্ন- এর পৃরোক্ত গ্রন্থ, পৃঃ ৮৫-৮৭ 1 প্রিয় নয়াদিলী "১ ১লা ডিসেম্বর, ১৯৭৩ হিন্দুস্থান টাইম্‌স ( নয়াদিলী 1882 জুলাই, ১৯৭৩, পৃঃ ৫, স্তত্ত £। ১১৭২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর ভারতস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের ( নয়াদিল্লী ) তথা বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত বুলেটিন, পৃষ্ঠা ১।

|

পে্রিয়ট « নগ্লাদিল্গা ১২ই জুন, ১৯৭৩, পৃষ্ঠ! ১০, ত্তস্ত ১-২ দি ইভনিং নিউজ ! নক্লা্িলী ). ৭ই ক্ুলাই, :৯৭৩, পূ: ৭, শ্তস্ত

৪-৫ |

ভারতস্থ সোভিয়েত দ্তাবাসের ( নর়াদিলী ) তথ্য বিভাগ কতৃক প্রচারিত “প্রেস রিলিজ “নিউজ আযাণ্ড ভিউজ ফ্রম দি সোভিয়েত ইউনিয়ন”, ২৫শে জুলাই, ১৯৭৩, ভল্যু্ন ৩২, নং ১৭২, পৃঃ ৭!

ইভনিং নিউজ £ হিন্দুস্থান টাইমস ( নয়াদিলী ), ১৭ই জুলাই, ১৯৭৩, পৃঃ ৪, স্তত্ত ২-৩।

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ডঃ শর্মা নয়াদিল্লীতে ওল্ড সেক্রেটারিয়েটে কংগ্রেস কর্মীদের এক সভায় বক্তৃতা করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ ইওরোপ মকফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনাপ্রসঙ্ষে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের তার সমাজতন্ত্র পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রশংসা করেন | (স্টটজ্ম্যান্‌ ( নাদিভী )। ১৫ই অগস্ট, পৃঃ ১, স্তস্ত-৪ | ]

ভারতস্ক সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্য বিভাগ ক্তৃকি প্রকাশিত সংবাদ সাপ্তাহিক “ইম্বুখ রিভিউ” ( নয়াদিল্লী *, ১৮ই আগস্ট, ১৯৭৩, ভলুযুম

৯, নং ৩৩, পৃঃ ১।

১৬২

১৮৮

১৬ |

২০। ২১। ২২।

২১।

ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

ইভনিং নিউজ £ হিন্দস্থান টাইম (নয়াদিজী ), ৩১শে অগস্ট, ১৯৭৩, পৃ ৭, শ্তত ১-৩।

আই, সেরেব্রায়াকভ £ “রামায়ণ ইজ হিট অব সোভিয়েত স্টেজ”, ইভনিং নিউজ ( নয়াদিল্লী ), ১৯শে সেপ্েম্বর, ১৯৭৩, পৃঃ *, স্ত্ত ১-২।

আই. সেরেব্রায়াকভ কর্তৃক উদ্ধৃত মন্তব্য, এ, স্তস্ত ২-৩।

এ, স্তত্ত ২-৩।

ভাওতস্থ সোভিয়েত দুতাবাসের তখ/ বিভাগ কতৃক প্রচারিত প্রেস রিলিজ, 'নিউজ আযাণ্ড ভিউজ ফ্রম দি সোভিয়েত হউনিয়ন:, নয়াদিজী, ১৯শে জুলাই, ১৯৭৩, ভলু'ম ৩১, নং ১৬৭, পৃঃ ৬।

সাজ্জাদ জহীর-এর ইপ্ডিঘ। ইউ এস এস আর, ক্লোজার টুডে গ্ভান এভার”-_ভাবতস্থ সোভিয়েত দূতাবাদের তথ্য বিভাগ কতৃক ২৯শে জুন, ১৯৭২, প্রচারিত বুলেটিন, পৃঃ ১। বিস্তারিত বিবরণের জন্ত দেখুন নীলকাস্ত-এর পূর্বোক্ত গ্রন্থ, পৃঃ ৭৯-৮২। ভাএতস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের ( নয়াদিল্লী। তথ্য বিভাগ কতৃক ৪ঠা অগস্ট, ১৯৭২, প্রচারিত বুলেটি 'ও দেখুন, পুঃ ১-৩

উসসংহার

ভারতের স্বাধীনত'£ংগ্রামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখে খ্বাক্ষরিত ভারত-দোভিযেত শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার কুক্তিটি যে সাখীত্তে হুদুঢ বন্ধন রচনায় সাফল্যের নিদর্শন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই চুক্তিটি দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব সম্পর্কের এক নতুন যুগের স্থচন] করেছে ্‌

এহ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর থেকে সর্বক্ষেত্রেই ভারত-সোভিয়েত দহযে।গিতা৷ উচ্চ পধায়ে উন্নীত হয়েছে তা এত বেশী হয়েছে ভারতীয়- দের কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্ঠান্ত যে-কোন দেশ অপেক্ষা অনেক বেশী জনপ্রিয্ন ভাবমৃতি তৈরী হয়েছে এবং এই জনপ্রিয়তার দিক থেকে তার দ্বিতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশের মধ্যে ব্যবধান অনেকখানি ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে “ইগ্ডিযান ইনষ্টিট্যুট অব পাবলিক ওপিনিয়ন” কর্তৃক গৃহীত জনমতে এই তথ্য প্রকাশ পায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের এই জনপ্রিয়তা অর্জনের কারণ ইচ্ছে যে সে ভারতে প্রাত সহানুভূতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছে এবং বিশেষ ক'রে তার যৌল শিল্পের বিকাশে সাহায্য দিয়েছে সর্বোপরি প্রঞ্কত অপ্তরঙ্গ সাথ মত সে ভারতেব সবচেয়ে বড় সংকটের দিনে তার পাশে এসে দাড়িয়েছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় মাকিন সপ্তম নৌবহরের প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য সোভিয়েত নৌবহর ভাপত মহাসাগবে প্রবেশ করেছিল। ঢুক্তিটি এইভাবে ভারতের প্রতি আক্রমণাত্মক নোভা বা- পন যে-্গান দেশের প্রতি হুশিয়ারি হিসেবে কাজ করেছিল তাছাড়া, গত সেপ্টেম্বর মাসে খণ হিশেবে গম দেওয়াটাও কম উল্লেখযোগ্য নয় এতে ভাবুতের জনসাধারণ এত খুশী হয়েছিল বে তাদের সোহিয়েত ইউনিয়নের প্রশস্তি স্বাভাবিক মাত্র! ছাড়িয়ে গিয়েছিল ছ্য কস্টার সংগৃহীত জনমতে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে এতে এই মূল সতাও ম্স্পষ্ট হয়ে উঠেছে থে 'ভাবতের জনসাধারণ এসাভিয়েত ইউনিয়নকে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা 'অনেক বেশা বন্ধুভাবাপন্ন বলে মনে কগে। তাই দুর্দিনে সোভিয়েতের বন্ধুত্বে পালট! পরিচয় দান ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটন! হিসেবে সংযোজিত হয়েছে: এন জনই এই উপমহাদেশে শাপ্তি ওস্থিরতা বিধানের পক্ষে এক বিরাট নিশ্চয়তা মিপেছে। শুধু ভারতই নয়, এই মহাদেশের প্রতিটি শুডবু্ধিসম্পন

১৬৪ ভারত-সোতিয়েত চুক্তি

মানুষই থেকে বিরাট প্রেরণ! পেয়েছে, তা ঘে-ফোন অর্থেই বিচার কর হোক না কেন।

নিরপেক্ষভাবে বিচার করলে দেখ যায়, অর্থ নৈতিক, সাংস্কৃতিক, কারিগবী বৈজ্ঞানিক-_বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতার পরিধি উচ্চতর পর্যায় পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে। চুক্তিটি সরবচৈয়ে বেশী গুরুত্ব লাভ করেছে এইজন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এটি হয়েছে সবচেয়ে বেশী সন্্রিয়। শুধু একটি আন্তঃসরকার ভারত-সোভিয়েত অর্থ নৈতিক, বৈজ্ঞানিক কারিগরী সহযোগিতা কমিশনই গঠিত হয়নি, এটি গঠনের ফলে অনেকগুলি বাণিজ অর্থ নৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই ঢুক্তিগুলি ভারতের কাছে, বিশেষ- ভাবে তার মত একটি নতৃন উন্নয়নশীল দেশের কাছে খুবই ফলপ্রদ হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারত অন্যান্ত উন্নয়নশীল দেশকে কেন সাহাধ্য দিতে এগিয়ে এসেছে তা সে কোনদিনেই গোপন করেনি সোিয়েত পররাষ্ট নীতির এক অবিচ্ছেগ্য অঙ্গ হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করা যাতে তার! বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের নয়! ধ্ীপনিবেশিক চাপ প্রতি" হত করতে পারে সোভিষেত ইউনিয়ন সাম্রাজ্যবাৰকে সমাজতন্ত্র জাতীয় সার্বভৌমত্বের শক্র বলে মনে করে হাই সোভিবেত ইউনিয়ন নিজেব স্বাথেই উন্নয়নশীল দেশগুলিকে শক্তিশালী ক'রে সাধারণ শক্রুকে ভুর্বল ক'রে দিতে চায় আসল কথা, অর্থনৈতিক সামাজিক প্রচেষ্টার অন্যান্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারে মস্কোর উন্নয়নশীল দেশগুলির শ্বাথের মিল বয়েছে। এর ফলে ভারত তার রান্ত্রীয় শিল্পক্ষেত্রকে শক্তিশালী ক'রে এবং দারিদ্র্য মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই ক'রে অনেকখ!নি বয়স্তরত! অর্জনের হুযোগ পেয়েছে

মাঝে মাঝে প্রকাশিত তথ্যাদদিতে ভারত-সোভিয়েত সহযোগিতা ব্যাপকতা প্রকাশ পায়। গৃত বছরগুলিতে বাণিজ্যের পরিমাণ বুদ্ধিতে ভা স্বয- কারের গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ১৯৫৩ সালে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বাণিজ্যিক লেনদেন হয়ে” ছিল, আর গত বছর তার পরিমাণ গিয়ে দীড়ায় প্রায় ৩৭০ কোটি টাকায় আগামী ছু'ব্ছরে এই বাণিজ্যিক লেনদেন ৬** কোটি টাকায় গিয়ে দাড়াবে বলে অনুমান করা হুচ্ছ। বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণই শুধু বাড়েনি, অর্থনৈতিক ভাস্তকারের] লক্ষ্য করেছেন যে বাণিজ্য-পণ্যের ক্ষেত্রও প্রসারিত হচ্ছে। আশ। কর! যায়, ব্রেজনেভের সফরের ফলে পূর্ব-ইউরোপের দেশ” গুলির সঙ্গেও ভারতের বাণিজ্য যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।

উপসংহার ১৬৫

ভারত-সোভিগ়েত সহযোগিত! সাংস্কৃতিক বন্ধন প্রসারের ক্ষেত্রেও কফলগ্রস্থ হয়েছে। একথা আজ অনস্বীকার্য যে ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অন্তান্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারে একটি শীর্ষস্থান দখল করেছে। উভয় দেশের জনগণের মধ্যে লেখাপড়া এবং পারম্পরিক স্থবিধার্থ অর্থপূর্ণ সহযোগিতাই চুক্তিটিকে প্রকৃত স্থায়ী রূপ দিয়েছে। এই সহযোগিতা সবচেয়ে জোরদার হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতি, বিচ্ছান খেলাধুলার ক্ষেত্রে

"দেশের জনগণ পরম্পরের স্থখ-ছুঃখের ভাগী হয়ে উঠছেন, মান্ষের জীবনে গুণগত পরিবর্তন আনয়ন এবং প্রয়াসের দ্বারা মানুষের মুক্তির এক উজ্জ্বল দুর্গ-নির্মাণের সাধরিপ সংগ্রামে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। দৃষ্টিভন্বীর এই অভিন্নতাই ছঃদেশের জনগণের মধ্যে এক চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের যুক্তিগত ভিত্তি রচনা করেছে বিগত বন বছর ধরে বিধজ্ঞন, জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা ক্রীড়াবিদূরা৷ এই উদ্দেশ্যে পরস্পরের কাছাকাছি এসেছেন

এটাও উৎসাহোদ্দীপক ঘটনা যে উভয় পক্ষই পরস্পরের পররাষ্ট্রনীতির প্রতি যথোচিত মর্যাদা প্রদর্শন করেছেন ভারত সোভিয়েতের শান্তি মৈত্রীর নীতির প্রশংসা করেছে, আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের জোট- নিরপেক্ষ নীতির প্রশংসা করেছে তাকে মর্ধাদা দিয়েছে ভারতের মতে জোট-নিরপেক্ষতা বলতে সমদূরত্ব বোঝায় না। এতে বাঝায় পারম্পরিকতা £ এর অর্থ হচ্ছে, রুশরা যদি ভারতের প্রতি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশী বন্ধু- ভাবাপন্ন হয় তাহলে ভারত মাফিন যুক্তরাষ্টেরে চেয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি বেশী বন্ধুভাবাপন্ন হবে।

এইসব ঘটনাবলী থেকে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বার্থের অভিন্গতার এক বিশদ চিত্র পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে রয়েছে দৃষ্টি তঙ্গীর মিল 1 তাই এট তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় দিকৃচিহ্ন

ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্থদুঢ় মৈত্রী বোঝাপড়ার সম্পক গড়ে ওঠায় লেনিনের স্বপ্র বাস্তবায়িত হয়েছে তারতের জনগণের স্বাধীনতা অগ্রগতিতে পেনিনের ছিল গভীর আগ্রহ। বিশ্বে শান্তি প্রগতির

সাধারণ সংগ্রামে দু'দেশের মধ্যে মৈরী সহযোগিতার স্বপ্নও দেখেছিলেন

লেনিন | আশা করা যায় ব্রেজনেভের সকরে শান্তি, নিরাপত্ত। ন্যায়ের স্বাথে

দু'দেশের মধ্যে স্তভেক্ছা! সহযে!গিতার সম্পর্ক আরও স্দুঢ় হবে এবং রাষ্ট- সঙ্ঘ অগ্ঠান্ঠ আন্তর্জাতিক মঞ্চে যার জন্ত ভারত পোভিয়েত ইউনিরনন

১৬৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

একযোগে আওয়াজ তুলেছে সেই আস্তর্জাতিক উত্তেজনা! এতে প্রশমিত হবে। বস্ততঃ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারত কর্তৃক অনুস্থত শাস্তিনীতির মধ্যে বিরাট মিল হয়েছে। মৈত্রীচুক্তির এতিহাপিক দলিলটি আন্তর্জাতিক আইনের দিক থেকে ভারত-সোভিয়েত সম্পর্ককে এক স্ুদুঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্িত করেছে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতির জন্য দু'দেশের সরকার জনগণের একযোগে কাজ করার অভিপ্রায়ই ব্যক্ত হয়েছে আরও উৎসাহোদ্ধীপক টন! হচ্ছে, দু'দেশই নিয়মিতভাবে যে মঞ্চ পেয়েছে সেখানেই বনহ্রূপে প্রকাশিত উপনিবেশবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ, সাত্রাজ্যবাদ বর্ণবিদ্বেষকে নিল করার চেষ্টী করেছে। সারা বিশ্ব ছুড়ে যে জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম চলেছে তাতেও তার] সর্বান্তঃকরণে সমথন জানিয়েছে

সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রি $ শক্তিগ্ুলির সংহ্তিসাধনে সাহায্য করা তো দূরের কথ। দুর্ভাগ্যবশতঃ চীন দক্ষিণ এশিয়া ভারত মহাসাগরে তার তথাকথিত প্রভাবক্ষেত্র সম্প্রসারিত করার জন্ত আবার সোভিয়েত ইউনিয়নের কুৎসা রটনায় প্রবৃত্ত হয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিবেশীদের ওপর সম্প্রসারণবাদী আব্াজ্ফা চরিতাথ করার জন্ত সোভিয়েহের "সংশোধনপাদী নতুন জাবদের” নহযে(গিতা »রছে বলে তারা যে অভিযোগ করেছে যে-কোন লোকই নিশ্চয় তা হেপে উড়িয়ে দেবে ; পপুরনো কাপের জাবের য] পারেনি পেই বিশ্বসাস্রজা গড়ে তোলা স্বপ্ন এখন খোভিয়েও ইউনিয়ন বাস্তবায়িত করবার চেষ্টা কৰছে ব'লে চীণ ঘে অভিযোগ করছেত তাদের নিজেদের সম্প্রসারণবাদী জাতিদস্তগত অভিসঙ্দিগ পপ্রক্ষ।প্টে হাস্যকর আজগুবি বলে মনে হয় 1 ভাবত সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তাদের এই ধরনের অসময়োচিত বিষোদগার শুপু সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পক্ষে গভীর উদ্বেগের বিষয়ই নয়ঃ এটা পশ্চিমী নয়া উপনিবেশবাদীদের হতে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের এই বিরোধ নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাবার আর একটি স্যোগও এনে দেবে। মাত্র ক'দিন আগেও চীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে তার সম্পক স্বাভাবিক ক'লে তোলার বাসন। প্রকাশ করে, কিন্তু তার এই ধরনের নোংরা, জঘন্য কৃটনীতিবিবজিত আচরণ সেই মনোতাবেরই সম্পূর্ণ পরিপন্থী যুগপৎ ভাবে বা মধ্যে মধ্যে বিরতি দিয়ে নরম গরম ছ'রকমই বুলি ছেড়ে কোন দেশ আন্তর্জাতিক শান্তি নিরাপত্ত। প্রতিষ্ঠা কালে বেশীদুর অগ্রসর হতে পারে না। তাছাড়া, ব্রে্নেভেপ ভারত সফরের প্রাকৃকালে চীন যে জধন্ত প্রচার চালায় তাতে চীন-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া

উপসংহার দয

ক্ষতিগ্রস্ত বা মন্দগতি হয়ে পড়বে এবং নিউইয়র্কে ভারতের পরবাষ্ট্রপচীব চীনের ডেপুটি পররাষ্টর্ত্রীর মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকে তার পরিচয়ও পাওয়া গেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন অতীতে বার বার বলেছে যে চীনের প্রতি সে শরুতাযূলক মনোভাব পোষণ করে না, চীনের মত «কটি বিশাল সমাজতা ্ত্রি দেশকে পে ঘিরে ফেলতে চাঁয় না, চীনের সঙ্গে শাস্তিতে সহযোগিতা ক'রে সে বাচতে চায়। কিন্ধ ব্রেঞনোতভিব ভাত সফরের এ্তিহাসিক সদ্ধিক্ষণে ট।ন বৈরীঙ্ছলভ যনোভাব অবলম্কন করায় তার প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়নের মনোভাবও কঠোর হয়ে উঠবে

পাকিস্তানী নেতার] স্পইই বলেছেন যে বাণিজ্য সাংস্কৃতিঞ বিনিময়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পক স্বাভা,বক করার কোন আগ্রহই তাদের নেই তার। না চাইলেও পাকিস্ত।নেণ জনগণ ভারতের ঘনিষ্ঠ হতে চাইবে? এটা পাকিস্তানের শাসকহগোঠা ভাদের বিদেশী ধর্মপিতাদের ধারা ভারতকে দু'ভাগ করেছিলেন--পছনন নগ্ন

আমর! পাকিস্তানের মোকাপিলা করতে পারি, পাবি পাকিস্তান ইরান একজোট হলেও, কিন্ত 2 7৮ দেসুশ আমেরিঙা! চীনের আগ্রহ এতে ফলে এক নতুন অশ্তভ সংঘ/তের সগ্থান্না দেখা দিয়েছে 1 এই ধরনের এই আকারের সংঘাত জামাদেশ ম্বাথতন্থ সম্পদের ওপর চাপ পড়বে এবং শকরভাবাপন্ন 'টি শিবির যখন পরস্পরের সুখোমুশি হয় তখন সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেও মার না একে মাগামী দিলি ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বেধে যাবে

আঞ্চলিক ভারপাম্য বঞ্গার নামে আমেরিকা ইরান অন্যান্য আরব দেশের মাধ্যমে পাকিস্তানতছ নাত ক্ষমতার অতিরিক্ত অন্তর দিয়ে সম্জিত করছে এতে ভারতীয়দের কাছে তার জনপ্রিয়তা যে ভীঙ্গভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার জন্য পে পরো করছে না। চনে নেতৃত্ব এক অদ্ভূত উদ্ধত্যের পরিচয় দিচ্ছে! ব্রিতেন আমেরিকা ভারত মহাবাগর শিঘন্ত্রণের তাকে হশ্যষের এলাকা প্িণঙ করার যডঞ্ত নখে ! পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষে এশিএয মৌখ নিরাপভা শান্তির জন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ষে প্রস্তাব দিষেছে তা গভীবভ1তবে বিবেচন: কপ) যুক্তসঙ্গত কারণ দেখা দিয়েছে এশিয়ার প্রত্যেকটি সাম্রাজ্যবাদী অবশেষ এশীয় নিরাপত্তা প্রস্তাবের বিরোধিতা! করে, কারণ এতে বাস্তবিকই সাম্রাজ্যবাদ এবং তার সব অবশেষের মৃত্যুঘণ্টা বেজে পঠবে। ভারত পোভিয়েত মৈত্রীচুক্ত এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশেত্ মধ্যে প্রায় অস্রূপূ যে ছৃক্তি হয়েছে তা বাস্তবিকই আদর্শ-শ্বরূপ এবং সাম্রাজ্যবাদের 'ধবশেষগুলিকে “এশিয়া ছাড়” বগলে যাতে কঠে।র হুশিয়ারি দেওয়া যার তার জন্য সমগ্র এশিয়ায় এই আদর্শ অনুসরণের জরুরী প্রয়োজন দেখ! দিয়েছে

পরিশি

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণ।

১৯৭৩ সালের ২৯শে নভেম্বর তারিখে প্রচারিত ভারত-সোভিরেত যুক্ত ঘোষণর পুর্ণ বয়ান নীচে দেওয়া হল £-_

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঃ লিওনিদ ব্রেজনেভ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রমতী ইন্দির৷ গান্ধী ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭৩ সালের ২৬ থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যস্ত ভারতে সরকারীভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সফর করেন

/ লিওনিদ ব্রেজনেডের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সাশ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্্মন্ত্রী মিঃ এ. এ. গ্রোমিকো, সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতি ব্যুরোর সদ্য কাজাখস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্পাদক মিঃ ডি, এ. দীনমৃহন্মদ কুনায়েভ, সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রিপরিষদের উপ-সভাপতি মন্ত্রিপরিষদের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা কমিটির সভাপতি মিঃ এন. কে, বাইবাকভ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রিপরিষদের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক রাষ্্ীয় কমিটির সভাপতি মি: এস, এ. স্কাচকভ অন্তান্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মি: এল. আট. ব্রেজনেভ তার সঙ্গীদের লবত্রহই সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে একে সোভিয়েত জনগণ সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি ভারতীয় জনগণের আন্তরিক বন্ধত্ব শ্রদ্ধার মনোভাবের প্রমাণ মেলে। ভারতে মিঃ লিওনিদ ব্রেজনেভের সফর সোভ্তিয়েত-ভারত বন্ধুত্ববন্ধন শক্তিশালী হবার স্স্পষ্ট প্রকাশ

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মি: এল. আই. ব্রেজনেভ ভারতের:রা্রপতি শ্রী ভি. ভি. গিরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার সঙ্গে বন্ধুত্বপৃণণ আলোচনা করেন |

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ

ভারত-সোভিযেত যুক্ত ঘোষণা রং

সম্পাদক মিঃ লিওনিদ ব্রেজনেভ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ষীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিঃ লিওনিদ ব্রেজনেভ ভারত পোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বন্ৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক সদ করার আদর্শে এবং বিশ্বশাস্তি স্থদুঢ করার আদর্শে শ্রীমতী গান্ধীর বিরাট ব্যক্তিগত অবদানের উচ্চ প্রশংসা করেন। ভিনি শ্রীমতী গান্ধীকে সোভিয়েত নেতৃত্বের সমগ্র সোভিয়েত জাতির অভিনন্দন জ্বাপন করেন | শর] প্রধানমন্ত্রীকে বিরাট শ্রদ্ধার চোখে দেখেন

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঃ লিওনিদ ব্রেজনেভ ভারতে তাকে তার সঙ্গীদের নন্ধত্বপূর্ণ সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে +লে গভীর রুতজ্ঞতা প্রকাশ করেন

দিল্লীতে অবস্থানকালে মিঃ লিওনিদ রেজনেভ রাজঘাট, শান্তিবন বিজঘাটে পুষ্পমালা অর্পণ করে ভারন্রে মহান সন্তান মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু লালবাহাচর শাস্ত্রীর স্থৃতির গতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন

মিঃ লিওনিদ 'ব্রেজদেভ লালকেন্ত্রায একটি মন্ত্রীনভায় ভাষণ দেন। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিরাট উৎসাহ উষ্ণ আবেগ সহকারে তাকে স্বাগত জানান মি: কব্রেজনেভ ভারতীয় সংসদ সাশ্যদেরও কাছে ভাষণ দেন, তারা গতীর মনোযোগ আগ্রহ সহকারে তার ভাষণ শ্রবণ করেন! ভারঙ-পোতিয়েত সংস্কৃতি সমিতির নেতা কমীব্রে সঙ্গেও নিনি মিলিত হন |, উষ্ণ আবেগ আস্মরিকতার "্মাবহাওয়ায় এই সভা অন্ষ্ঠিত হয় |

দিল্লীতে অবস্থানকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সন্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মি ব্রেজনেভের কতকগুলি বৈঠক আলোচনা হয়

এইসব আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন £

ভারতের পক্ষে : পররাষ্ট্মস্ত্রী সদ্ণার স্বরণ পিং, অবমন্ত্রী শ্রী ওয়াই. ৰি. চ্যবন, পরিকল্পনা মন্ত্রী শ্রী ডি. পি. ধর, পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীহ্বরেদ্র- পাল সিং, পররাষ্ট্র দ্চরের সচিব শ্রীকেনল সিং' প্রধানমন্ত্রীর সচিব শ্রী পি. এন. ধর, সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্্দূত ডঃ কে. এস. শেলভাঙ্কার, পররাষ্ট্র দগ্ঠরের অতিরিক্ত সচিব শ্রা বি কে. সান্াল এবং পররাষ্ট দ্ধের যুগ্ম সচিব শ্রী এ. পি. ভেম্কটেশ্বরম |

সোভিয়েত পক্ষে £ সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয়

কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সোভিয়েত ইউনিয়নের পররষ্মন্ত্রী মিঃ আন্দেই গ্রোমিকো, সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির

রি ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য কাজাখস্তানের কমিউনিস্ট পার্টর কেন্দ্রীয় কমিটির" প্রথম সম্পাদক যিঃ ডি, এ. কুনায়েভ সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রিপরিষদের উপ-সভাপতি বাস্ত্ীয় পরিকল্পন1 ব্যরোর সভাপতি মিঃ এন. কে, বাইবাকভ, সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রিপরিষদের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক রাষ্ট্রীয় কমিটির সভাপতি মিঃ এস, এ. স্কাচকভ, সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের সহকারী মিঃ এ. এষ.

আলেকজান্দ্রভ এবং ভারতে সোভিয়েত ইউনিয়নের চার্জ আযাফেয়ার্স ভি. কে. বলদিরেভ।

আস্থার আবহাওয়।

আস্থা, বন্ধুত্ব পারস্পরিক বোঝাপড়ার আবহাওয়ায় অন্ষ্ঠিত আলোচনার

সমঘ ভারত-সোভিয়েত সম্পর্ক তার অধিকতর সর্বাঙ্গীণ বিকাশের সম্ভাবন। সংক্রান্ত বছ প্রশ্ন নিয়ে এবং পরস্পরের আগ্রহ আছে এমন প্রাসঙ্থিক 'মান্কর্জাতিক সমস্যাদি নিয়ে মত বিনিময় হয়। উভয়পক্ষই সন্তোষ সহ্কারে লক্ষ্য করেন যে আলোচিত প্রশ্নগুলি সম্বন্ধে মোটামূটি যতেধ মিল রয়েছে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের মধ্যে প্রতিটি ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার সফল বিকাশে উভয়পক্ষ গণ্ভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন

সোভিয়েত ইউনিদ্নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঃ লি€'নদ জনেভ প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দির] গান্ধীকে সোভিয়েত ইউনিয়নে জীতীয় আখব্যবস্থার বিকাশ সম্বন্ধে, সোভিয়েত জনগণের জীবন সম্বন্ধে, সোডিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির ২৪তম কংগ্রেসে উপস্থাপিত শান্তির কর্মস্থচী অনুসারে পরিচালিত সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্রনীত্তি সম্বন্ধে অনহিত করেন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আন্তভাতিক শান্তি স্থসংহত করা, রাষ্ট্রগুলির মধ্যে শাপ্তিপূর্ণ সহযে।গিতা হ্দুট করা এবং উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরূত্ত জাতগুলিকে সমর্থন দান তাদের দেশগুলির রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্বাধানতাকে হুদুঢকরণের উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক ভাবে পরিচালিত সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি ৪৮০ মূল্যায়ন কবেন

ভারতের নীতি

ভারতের প্রপানমন্ত্রীও আবার সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ দম্পাদ্কনেে জোট-নিরপেক্ষতা বাষ্ট্রগুলির মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাব্স্থামেন যৃলনীতিভিন্তিক ভারতের পররাষ্রশীতি সম্বন্ধে এবং ভারতের আর্থব্যবস্থার বিকাশ ভারতীয় জনগণের জীবন উন্নত করার

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণা রা

লক্ষ্যাভিমূখী সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থাদি সম্বন্ধে অবহিত করেন

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধারাবাহিক ভাবে অন্ুশ্ত ভারতের পররাষ্্রনীতির, তার €জাট- নিরপেক্ষতার নীতির এবং শাস্তির পক্ষে এবং উপনিবেশবাদ, নয়! উপনিবেশবাদ বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তার বিরাট অবদানের-- যা ষথাথভাবেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের মর্যাদা এনে দিয়েছে--উচ্চ প্রশংস' করেন ' ভারত সোভিয়েত চুক্তি

আলোচনাকালে ছুই পক্ষই ১৯৭১ সালের অগস্ট মাসে ভারত সোভিয়েত ইউনিরনের মধ্যে সম্পাদিত শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার ঢক্তির অসাধারণ গুরুত্বের উপর জোর দেন। এই টুক্তি দুষ্ট দেশের চিরাচরিত বন্ধুত্ব সুদ করার বাপারে এক নতুন স্তর সচিন করেছে এই চক্ষি বাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক-কাব্রিগরী, সাংস্কৃতিক নন্যান্য ক্ষেত্রে ভারত- সোভিয়েত সহযোগিতার অধিকতর সম্প্রসারণের উপর ক্রমবর্বমান সদর্থক প্রভাব বিস্তার করছে। এশিয়ায় পৃথিবী দ্বুড়ে শান্তি স্থিটিশীলতা হ্থাদঃ করার ব্যাপারে এই চুক্তি হয়ে উঠেছে অন্যতম বৃহৎ শবধদান

উভয় পক্ষই -ই দেশের জাত্তিগুলির যূল্যবান সম্পদস্বন্ূপ ভ্যবত- মোভিয়েত বন্ধুত্ত সহযোগিতা সক তাভাবে বির "শত করতে দুউ' ফেলুশন না, দংকালির কথা-আত্তরিকতাব সঙ্গে পুনরায় ঘোষণা করেন

প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক সমন্যাদ নিয়ে যত বিনিময়ের স্ময় উভর পক্ষ আন্তজাতিক পরিস্থিতিব সবচেযে এ৪এপুণ প্রশ্নগুলি সম্বন্ধে ডারত সোভিয়েত ইউনিয়নের অবস্থানের মিল কিংবা নৈকট্য সন্বোষ প্রকাশ করেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিসং পাটির কেন্দ্রীয় কষ্টির সাধারণ সম্পাদক জোর দিয়ে বলেন যে আন্তজগতিক উত্তেজনা প্রশ্ন আলাপ- আলোচনার. মাধ্যমে বিতকিত প্রশ্বাদির মীমাংসার জন্গ অধিকাংশ রাষ্ট্রে কামনা আজকের পৃথিবীতে ক্রমেই অধিকতর সোচ্চার হয়ে উঠছে! সাধারণ বিশ্ব পরিস্থিতি উন্নতিত্তে সোভিয়েত-মাকিন শীর্ষ আলে'চনার শুক পূর্ণ অবদানের সদর্থক মূল্যায়ন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন মনে করে এই আলোচনা চলাকালে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলি শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা বিকশিত করার এবং আন্তর্জাতিক বাতাবরণ উন্নত করার অভীষ্টের সহায়ক হবে। পারমাণবিক যুদ্ধ নিবারণ সম্পকে সোভিয়েত-মাকিন চুক্তি সম্পাদনে

5৭২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন বিরাট গুরুত্ব আরোপ করে। এই চুক্তি শুধুমাত সোভিয়েত ইউনিয়ন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থ সিদ্ধ করছে তা! নয়, পরজ্ধ সর্বজনীন শাস্তি স্থদুঢ় করার অভীষ্ট সিদ্ধিরও সহায়ক হৃচ্ছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোভিয়েত ইউনিয়ন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনকে বিশ্ব-উত্তেজন। প্রমশনের দিকে একটি পদক্ষেপ ব'লে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি এই প্রসঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের প্রচেষ্টার উচ্চ প্রশংসা করেন এবং আশা! প্রকাশ করেন যে এই উত্তেজনা-প্রশমন পৃথিবীর অন্যান্ত এলাকাতেও ছড়িয়ে পডকে এবং যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা যন্ষ্যজাতির বিপদ হয়ে দেখা

'দিয়েছে তার অবসান ঘটাবে উভয়পক্ষই ইওরোপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজন। প্রশমন শাস্তি স্থদুঢ় করার

প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানান | নিরাপত্ত। সহযোগিতা সংক্রান্ত ইওরোপীয় সম্মেলনের কাজ হ'ল উত্তেজন] প্রশমনে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এব ইরোপ মহাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা সহযোগিতার দুঢ় বনিয়াদ রচন। করা তারা! আশা প্রকাশ করেন যে নিরাপত্রা সহযোগিতা সংক্রান্ত নিখিল ইওরোপীয় সম্মেলনের সফল সমাপ্তি ঘটবে

একই সময়ে, তারা লক্ষ্য করেন যে পৃথিবীর কিছু কিছু অংশে উত্তেজনার উর্বর ক্ষেত্র এখনো রয়ে গেছে, এবং তার! উপনিবেশবাদের অবশেষ, নয় উপনিবেশবাদ, বর্ণবৈষম্য কোণঠাসা! করার নীতির অবসান ঘটানোর জন্তু সর্বপ্রকার প্রয়াস চালিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন উভয় পক্ষ প্রতিক্রিয়া সাম্বাজ্যবাদের শক্কিগুলির বিকদ্ধে সংগ্রামরত সবগুলি সরকারের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন | এখনো বিদ্যমান যুদ্ধের যেসব উর্বর ক্ষেত্র 'মান্তর্জাতিক নিরাপন্রা, বিশ্বশান্তি জাতিগুলির মধ্যে পারস্পরিক ্ববিধাপ্রদ সহযোগিতাকে বিপন্ন করছে সেগুলি নিমূ'ল করার জন্য দুই রাষ্ট্রই চেষ্ার কোন ক্রটি করুবে না ব'লে তারা আরও ঘোষণা করেন

ভিয়েতনাম উভভর পক্ষই বিশ্বাস করেন, উত্তেজন। প্রশমন ছোট বড়, উন্ত উন্নয়নশীল

__প্রথিবীর সব দেশেরই প্ররুভ বাস্থব কল্যাণ আনয়নে সমর্থ এবং তা অবশ্যই আনবে |

ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন এশিয়ার পরিস্থিতিতে সদর্থক পরিবর্তন- গলিতে স্বাগত জানায় |

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোৎণা ১২৩

ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন মনে করে যে ১৯৭৩ সালের ১৭শ জ্রান্তআরি' তারিখের ভিয়েতনামে যুদ্ধাবসান শান্তি পুনঃপ্রতিটা সম্পকিত প্যারিস চুক্তি ভিত্তিতে ভিয়েতনামে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং লাওসে শাস্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠ। জাতীয় একমত্য অর্জন সম্পকিত চুক্তি সম্পাদন এশিয়ায় সারা পরাথবীতে অপেক্ষাকৃত সস্থ আনহাওয়ার তৃহি এবং অন্থান্ত অমীমাংসিত আন্তর্জাতিক, সমন্যাদি মীমাংসার অবস্থা সুষ্টি করছে। ভাবত সোভিয়েত ইউনিয়ন দুঢতার সঙ্গে দাবি করছে যে সংশ্লিষ্ট সবগুলি পক্ষ কর্তৃক উপরে ধণিত ঢুক্তিগুলি অবিচল ভাবে পুরোপুরি রূপায়িত করা এবং কাস্োডিয়ার জনগণের জাতীয় স্বাথ অন্ুযায়ী কাষ্বোভিয়। সমন্যার আশু স্তায়সঙ্গত সমাধান করা হোক,

দুই পক্ষই উত্তর দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগ/ক স্বাগত জানান এবং মনে করেন যে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজন। হ্থাস এশিষায় শান্তি ও. নিরাপত্ত। স্থদুঢ করায় এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে '

ভারভীয় উপমহাদেশ |

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেজনেভ ভারতীবব উপমহাদেশে পরিস্থিতি সন্বদ্ধে মত বিনিময় করেছেন ' যে একাধিক সমস্যা ভারতীয় উপমহাদেশে পরিস্থিতির স্বাভাবিকীকরণে বাধ! স্ত্টি করছিল সেগুপি মীমাংসার ব্যাপারে একমতা প্রতিষ্ঠা এই এলাকা সাম্প্রতিক সংকটের পরিণাম, পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার পক্ষে একটি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ঘটন!

উভয় পক্ষই মনে করেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে এখনে" বিদ্কমান বিতকিত সমন্তাগুলির সমাধান হতে পারে, এগুলির সমাধান করতেই হলে, বাইরের কোনরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে | ভারত পাকিস্তানের যধ্যে সম্পাদিত সিমলা চুক্তি অন্সার্ে এইলব স্মশ্তার মীমাংসা এই এলাকার সবগুলি দেশের সবগুলি জাতির স্বারান্থসারী হবে। ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন মনে করে যে ১৯৭৩ সালের ১৭ই এপ্রিল তারিখের ভারত-বাংলাদেশ যুক্ত ঘোষণা "ও ১৯৭৩ সালের ২৮শে অগস্ট তারিখের ভারত-পাকিস্তান চুক্তি উপমহাদেশে পরিস্থিতির পূর্ণ স্বাভা'বিকীকরণ অভিনুখে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

নিজ আর্থব্যবস্থা হ্থদূঢ় করার এবং বাংলাদেশের জনগণের সামনের জটিল সমস্তাগুলি সমাধান করার ব্যাপারে জনগণত্্রী বালাদেশ যে সাফল্য অর্জন করেছে ছুই পক্ষই সন্তোষের সঙ্গে তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন ভারত

১৭৪ ভারত সে।ভিয়েত চুক্তি

সোভিয়েত ইউনিয়ন জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশকে রাষ্ট্রসংঘে গ্রহণের দাবি করছে এবং তার! মনে করেন যে এই আন্তর্জাতিক সংঠনের সদশ্যপদ পাখার এর গ্যায্য অধিকারের বাস্তবায়নে বিলম্ব করার কোনই কারণ নেই

ছুই পক্ষ মনে করেন যে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে তা হবে উপমহাদেশে দ্রুত রাজনৈতিক মীমাংস৷ অর্জনের এবং স্দ্ঢ স্থিতিশীলতা স্থনিশ্চিত করার স্বাথান্থসারী তার! এই আশা প্রকাশ করেন যে পাকিস্তানের দিক থেকে অদূর ভবিষ্যতে এরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ কর! হবে।

পশ্চিম এশিয়া

ভারত পোভিযেত ইউনিয়ন পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি সন্থদ্ধে গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে। সেখানে ইসরায়েল কর্তৃক আরব ভূখণ্ড অব্যাহতভাবে দখল ক'রে রাখার ফলে সম্প্রতি নতুন ক'রে যুদ্ধ বেধে গেছে ১৯৭৩ সালের ২২শে অক্ট বর নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ৩৩৮নং প্রস্ত।বে ছু'পক্ষই শাগত জানান এবং এটা লক্ষ্য করেন যে, এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পশ্চিম এশিব সংঘর্ষের রাজনৈতিক মীমাংসার একটি ভিত্তর দিকে--১৯৬৭ সালের ২২শে নভেম্বর গৃহীত ২১২নং প্রস্তাব অ.বলদ্ধে বূপায়ণের দিকে স্থম্প$ভাবে অঙ্গুলি নির্দেশ করা হয়েছে। হখরায়েন কর্তৃক দখলীকুত আববভৃমিব পূর্ণ মুক্তি প্যালেন্টাইনের আরব জনগণের বৈধ অধিকার স্বনিশ্চিত করা ব্যতীত এই অঞ্চণে স্থায়ী শা.ন্ত প্রতিষ্ঠা অচিন্তনীয়। দখলীরুত 'আএব এলাকা] ইসরায়েল যত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবে, পশ্চিম এশিয়ায় শাস্তি তত তাড়াতাড়ি স্নিশ্চিত হবে। পক্ষদ্বয এই বিষয়ে একমত হন যে একযাজ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তসযূহ কোনভাবে রূপায়ণের মধ্যে দিয়েই এই এলাকায় স্থায়ী শান্তি আসতে পারে এটাই হবে সেই এলাকার দেশ জাতিসমূহ্রে নিরাপত্তার মধিকারগুলি মান্য ক'রে চপ।র পক্ষে লবচেরে নির্ভরযোগ্য গযারান্টি। পক্ষদ্বয় আবার বাষ্ট্ননুহ জাতিগুলির স্যারসঙগগত আদর্শকে সবাত্মক সহায়ত দানের দুচ় সংকল্পের কথা ঘোষণা বনে |

এশিঝ।

ভাগত পোভিয়েত ইউনিয়ন পুনরায় .ঘাষণ! করে যে তারা বিশ্বের এই সর্বাধিক জনবনতিপূর্ণ সর্বাপেক্ষা বৃহৎ অঞ্চলের মঞ্ল ব্বাষ্ট্ের যৌথ প্রচেষ্টাকর ভিত্তিতে এশিগা পারম্পরিক হবিধাজনক দহযোগিতার ব্যাশক বিকাশ এখং শান্তি নিরাপত্তা সংহত করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরে।প করে। ভারত সোভিগ়েত ইঙানয়ন দেই ধরনের অবস্থ। হই কনার প্রয়োজনায়ত। সম্পর্কে

ভাগত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোবণ! ১৭৫

একমত যে অবস্থায় জাতিসমূহ শান্তিতে প্রতিবেশীর মত বসবাস করতে পারে এবং জাতিসমূহ্রে জীবনযাত্রান্ধ মানোন্নয়নে এবং তার আর্থব্যবস্থা

স্কৃতির উন্নয়নের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অধনৈতিক সমশ্তাবলী সমাধানে তাদের জনশক্তি বৈষয়িক সম্পদ পরিচালিত করা যায়

বলপ্রয়োগ পরিহার, সাবভৌমত্থকে মান্য করা, সামান্তের অলজ্যনীয়তা, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা এবং সমানাধিকার পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে অথনৈতিক অন্থান্ত সহযোগিতার ব্যাপক বিকাশের শ1তসমূহই পকল পাষ্টের মধ্যেকার সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিন্ত বলে পক্ষত্বয় বিশ্বাস করেন

ভারত সো.ভয়েত হউনিয়ন জাতিসমুহের নিজের ভবিতবা নিজে পির

করার, তাদের সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করার এবং প্রগতিশীল সামাজিক- অর্থনৈতিক রূপান্তর সাধন করার অধিকারের অবিচল সমর্থক

রাষ্্রসংঘ

রাষ্ট্রপংঘের উপর প্রভৃত গুরুত্ব আরোপ ক'রে এবং আন্তর্জাতিক উত্তেজনা প্রশমনে তার সদথক "অবদানকে স্বীকার ক'রে পক্ষত্বয় রাষ্ট্রসংঘকে শক্তিশালা কণার জন্য কাজ কণার রাষ্টসংঘ সনদের লক্ষ্য মূলনীতিসযূহ কঠোরভাবে মেনে চলাপ্ [ভত্তিতে বিশ্বশান্তি জান্যৃত্রে নিরাপত্তা" রক্ষা তার কাধকারিতা! বুদ্ধি কমার সংকল্লের কথা পুনরায় ঘোষণা করেন |

ভারত « মৌ/ভরেত হউনিয়ন বিশ্বাম ঝরে যে কার্ধকর আন্থর্জাঁতক নিয়ন্ত্রণাধীনে অগ্প্রতিষোগিতার অবসান, পারমাণবিক চিরপ্রচপিত-হ. এই উভয় ধরনের অস্ত্র সহ সর্বাত্মক সামৃহিক নিরপ্রীকএণ অর্জন শান্তিকে রক্ষা সংহত করার ক্ষেত্রে সর্বাধক গুরুত্বপূর্ণ তারা বিশাস করেন যে একটি বি নিরসত্রীকরণ অন্মেলন 'অভষ্ঠানের জন্য বাস্তব প্রস্ততি চালানোর সময় এসে গিয়েছে, এবং এই উদ্দেশ্যে রাষ্ীসংঘ বিশেষ কমিটর কাছে সমথন জানাতে ভার! প্রপ্তত ব'লে খোৰণা করেন

ভার মহাসাগরকে শ।প্তির এলাকায় পরিণত করাপ প্রশ্নাটর সমাধ।ণ সন্ধান করার জন্য সমানাধিকারের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে অংশগ্রহণ করায় ভারা যে প্রস্তুত একথা পক্গদ্ব্র পুনরায় ঘোষণ] করেন

আন্তজাতিক জীবনের একটি প্রধান ঘটন] হিসাবে রাষ্রসংঘ সাধারণ পরিষদ কতৃক একটি প্রস্তাব গ্রহণকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারত সন্তোষের সঙ্গে লক্ষ্য

১৭৬ ভারত-সোতির়েত চুক্তি.

করে। সেই প্রস্তাবে সদশ্য রাষ্ট্রসমূহ রাষ্রসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতিপুর্ণভাবে আস্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ ব। সব ধরনের রূপ প্রকাশ সহ্‌ বল-

এয়োগের হুমাক পরিহার করার এবং যুগপৎ চিরদিনের জন্য পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আন্তরিক সংকল্প করেছেন পক্ষদ্ধয় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে এই সিদ্ধান্তের রূপায়ণ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে তা সকল রাষ্ট্রের স্বার্থসম্মত হবে রাষ্্রসং্ঘ সাধারণ-পরিষদের এই প্রস্তাব রাষ্সংঘের মারফত বাস্তবসন্মতভাৰে রূপায়ণ সুনিশ্চিত করার জগ্ত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ঠার। জানান

সোভিয়েত ইউনিয়ন রাস্্রসংঘ নিরাপত্ত। পরিষদের স্থায়ী সদন্তদের সামরিক বাজেট হ্রাস করার যে প্রস্তাব রাস্নংখে পেশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রা তাকে স্বাগত জানান এবং এইভাবে বে অর্থ বাচবে তার একট অংশ উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রয়োজন মেটানোর জন্ত অতিরিক্ত সাহায্য হিসাবে দেওয়ায় ভাবুতের বিশ্বাসের কথা তিন আরেকবার প্রকাশ করেন। উভয়পক্ষই বিষয়ে একমত হন যে নিরস্ত্রীকরণের ম্বাথে এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে সাহায্য বৃদ্ধি করার জন্যও কিভাবে এই প্রস্তাবকে কাজে লাগানো যেতে পারে তা! স্থির করার উদ্দেশ্যে গঠনমূলক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

উপনিবেশবাদ

দ্রুততম উপায়ে উপনিবেশবা্দের অবশেষলযূ সম্পূর্ণ দুরাকরণের জন্তঃ, গপনিঝেঁশক শাপনাধান দেশ জাতিসমৃহকে স্বাধীনতা দান সম্পাকিত রাষই- সংঘ ঘোষণাকে দ্রুত কাযকর ভাবে রূপারণের জন্য সোভিয়েত হউনিয়ন ভারত দৃঢ়ভাবে দাবি ক'রে যাবে যেখানেই থাকুক জাতিবেষম্য জাতি- বিদ্বেষের সকল রূপ প্রকাশকে উভয়পক্ষই দৃঢ়তার সঙ্গে নিন্দা করেন

ভারত-তোভিয়েত জম্পক

আলোচনাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিওনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কনিটির সাধারণ সম্পাদক এহ বিষয়ে তাদের গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন যে শান্তি, মৈত্রী মহযোগিতার চুক্তির দৃঢ় ভিন্তির উপর বছ্মুখী ভারত-সোভিয়েত সম্পর্ক অবিচলভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে শক্তিশালী হচ্ছে। তারা একথা আন্তরিকভাবে পুনরায় জোর দিয়ে বলেন যে ভারত সোভিয়েত হউনিয়ন «ই দেশের মধ্যে যে সহযোগিতা বিকাশ লাভ করেছে তাকে জোরদার সম্প্রসারিত করার কর্ধধার1 নিয়মিতভাবে অনুসরণ ক'রে চলবে

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণা ১৭৭-

ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্্রীর কমিটির সাধারণ সম্পাদক দই রাষ্ট্রের সমঝোতা পারস্পরিক আস্থার জন্য, আস্তঃরাষইউ সম্পর্ক বিষয়ক প্রশ্নগুলির সফল মীমাংসার জন্ত এবং বিশ্বশান্তিকে জোরদার করার কতব্য সম্পাদনের জন্য শীর্ষ পর্যায় সমেত সমস্ত পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের মধ্যে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার সংযোগের প্রত্ৃত গুরুত্বের উপর জোর দেন।

উভয় পক্ষই ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে পারস্পরিক স্থবিধা- জনক অনৈতিক, বানিজিতক, বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সফল বিকাশের উচ্চ মূল্যায়ন করেন

£ই দেশের মধ্যে ব্াাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতার দরুন ভারতে অনেক- গুলি প্রধান শিল্প উদ্‌্যে।গ প্রকল্প নিমিত হয়েছে কিংবা নির্মাণ কর] হচ্ছে। যেমন, ডিলাই বোকারোর ধাতু:শল্ল কারখানা, র"াচী, হরিদ্বার দুর্গাপুরের ভারী ইপ্রিনিয়ারিং কারখান।, বারাউনি কয়ালির তৈল শো।ধন/গার, তৈল ক্ষেত্র, বিদ্যুৎ উৎপাদন স্টেশন অন্থান্ত প্রকল্প এগুপি দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করার জন্ত ভারত সরকারের আকাজ্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ__-পরিপুরক |

উভয় পক্ষই ছুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিকশিত তা শক্তিশালা করার দৃঢ় সন্কল্পের কথ। প্রকাশ করেন সোভিয়েত শহায়তায় পূর্বে নিমিত কতকগুলি প্রকল্পকে সম্প্রপারিত ক'রে এবং লৌহ লৌহেতর ধাত্ুবিদ্া, ভূতান্বিক সমীক্ষা, তৈল, প্রাকৃতিক গ্যাস অন্যান্য খনিজ সম্পদ নিফাশন শোধন, বিদ্যুতৎশক্তি উত্পাদন, পেট্রোর্সায়ন অন্ঠান্ত শিঞ্প- শাখা সমেত নতুন শিল্প উদ্যোগ প্রকল্প নির্মাণ ক'রে এবং কৃষিব্যবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় প্রযুক্তবিজ্ঞান কর্মীদের প্রশিক্ষণদানের ক্ষেত্রে এই সই- যোগিতা৷ চালানে। হবে এট! ধরেই নেওয়া হচ্ছে যে ভিলাইয়ের ধাতু কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বৎসরে ৭* লক্ষ টনে এবং বোকারোর ধাতু কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা কোটি টনে সম্প্রসারিত করা, বাধিক ৬* লক্ষ টন তৈল উৎপাদন ক্ষমতাবিশিষ্ট একটি তৈল শোধনাগার মথুরায় নির্মাণ, মালান্জখন্দে একটি তাত্রথনি ড্রেসিং সমাহার নিম, কণকাতার ভু -গর্ভস্থ মেট্রোপলিটন গ্েলপথ নির্মাণ, এবং পক্ষতবয় পরে যেভাবে স্থির করিবেন সেই- ভাবে অন্তান্ত প্রকল্প নির্মাণ করার সঙ্গে সঙ্গে লৌহেতর ধাতু, হালকা অন্তান্ত

১২

১৭৮ ভারত-সো ভিয়েত চুক্তি

শিল্পে উৎপাদ্ন-সহযোগিতা বিকশিত করার ব্যাপারে পক্ষঘরয় বিশেষভাবে সহযোগিতা করবেন

এই প্রসঙ্গে সোভিয়েত সরদার প্রযোজন অস্সারে ভারত সরকারকে যথোচিত অর্থ নৈতিক সাহায্য দেবেন

সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঃ এল. মাই. ব্রেজনেভের ভারত নফরের সময় নিয় 'লখিত চুক্তি- গুলি স্বাক্ষরিত হয় £

ভারতীয় প্রজাতন্ত্র সোভিয়েত সমাজতানতি প্রজাতন্ত্রসমূহের ইউনিয়নের মধ্যে অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সহযোগিতার আরে বিকাশ সম্পর্কে একটি চুক্তি এই চুক্তি বূপায়ণের হুনিদিষ্ট পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে একটি প্রটোকল

ভারতীয় গ্রজাতন্রের পরিকল্পনা কমিশন মোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রসমূহের ইউনিয়নের পাস্ট্ীয় পরিকল্পনা কমিটির মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কে একটি চুক্তি।

তারতীয় প্র্জাতস্ত্রের সরকার সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রসমূহের ইউনিয়নের সপকাগ্ের মধ্যে বাণিজ্য দূতস্থান সম্পকিত একটি চুক্ত।

উভয় পর্ধই বিশ্বাপ কেন যে এই সমস্ত চুক্তি ভাগত মোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মৈত্রী সাবিক সহযোগিতাকে আরো শক্তিশালী করার ব্যাপাব্ে হবে এক নতুন গুরুত্বপূর্ণ অবদান

উভয় পক্ষই এটা সন্তোষের সঙ্গে লক্ষ্য করছেন যে ভারত-সোভিয়েত বাণিজ্য যথেষ্ট পরিমাণে বিকাশলাভ করছে সমানাধিকার পারম্পরিক স্থবিধার মূলনীতির ভিল্িতে ফলপ্রদ বাণ অনৈতিক সহযোগিতা এই দুই বন্ধু রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিকাশে গুয়ে উঠেছে এক বিষয়গত নিন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

গসহযোগের সঞ্চিত আঁভজ্ঞঙ। থেকে অগ্রসর হয়ে পক্ষদ্বয় ১৯৮০ সালের মধে) ভারত-পোভিয়েত বাণিজ্যের পরিমাণ দেড় থকে «হ গুপ বৃদ্ধ সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন। এই উদ্দেশ্টে পক্ষদয়ের সংশ্লিহ্ সংস্থাগুণি ১৯৭৪ সালে দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী ভিত্তির উপর বিরাট পরিসরে ছুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের আরে] বিকাশের জন্য প্রস্তাবসমুহ রচনা করবেন। বিশেষীকণ পৃথক পৃথক শিল্পপণ্য তৈরির ক্ষেত্রে উৎপাদন সহযোগিতা, ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রয়োজনমত পরস্পরকে মাল যোগানে। বৃদ্ধি করার জন্য ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নে নতুন শিল্প

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণা ১৭১

যোগ নির্মাণ বিএবান উদ্যোগ গুলির সম্প্রসারণকে হিসাবে রেখে এই ্রশ্বপমূহে পারস্পরক হ্ববিধাজনক সহযোগিতার নতুন ধরনের ব্যবস্থা থাকবে।

ঝিজ্ছান, শিল্লকল।, নাহিতা, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য সংবাদ, রেডিও, টেলি- ভিশন, চলচ্চিত্র, পর্যটন খেলাধুলার ক্ষেত্রে সোভি:রত-ভারত সম্পর্চবন্ধনকে উভয়পক্ষই স্বাগত জানান এইসব ক্ষেত্রে যে যোগস্ুত্রপ্ুপি রয়েছে তাকে আরে! নিধু[াত নিবিড় করার কাজ চালিয়ে যাওয়। প্রয়োজন ব'লে তীর! মনে করেন।

পক্ষবয় এই ম্মাস্থ। প্রকাশ করেন যে সোভিয়েত ইউয়িনের কর্মউনিন্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঃ এল. আই ব্রেজনেভের সফর এবং সফরকালে অন্ঠিত আলাপ-আলে।চনা সোভিনেত ভারতের মধ্যে মৈত্রী ফলপ্রদ সহযোগিতার আরো! বিকাশের ক্ষেত্রে এবং এশিয়ায় বিশ্বজুড়ে শান্তি জোরদার করার ক্ষেত্রে এক নতুন গুরুত্বপূর্ণ অবদান হচিত করছে।

সোভিয়েত ইউনিরনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ পম্পাদক মিঃ এল, আই. ব্রেজনেত ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারীভাবে মৈত্রী সফর করার জন্ত আমন্ত্রণ জানান আমন্ত্রণ ধন্যবাদের সঙ্গে গৃহীত হয়। ৃ্‌

এল. আই: ব্রেজনেভ

ইন্দিরা গা্ধী সোভিয়েত ইউনিন্রনের কমিউনিস্ট পাটির ভারতের প্রধানমন্ত্রী ক্দীয় কমিটির সাধারণ সম্প।দ্ক নয়াদিল্লী

২৯শে নভেম্বর, ১*৭৩ স্কাশনাল হেত্রান্ড ( নয়াদিলী )-এ প্রকাশিত পুর্ণ বিবর্ণ ১লা ডিসেম্বর, ১৯৭৩, পঃ ৪, স্তস্ত ২-৮ ] (২) অর্থনৈতিক বাণ'জ্যক চুক্তি ১৯৭১ সালের ২৯শে নভে্ষেত ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে অর্থনৈতিক বাণিজিক সহযোগিতার আরও বিকাশ সম্পর্কে স্বাক্ষরিত চুক্তির পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল £--

১৮৯ ভারত-সোতিয়েত চুক্তি

ভারতীয় প্রজাতন্ত্র সরকার সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতহ্ুসমূহের ইউনিয়নের সরকার ১৯৭১ সালের »ই অগস্ট তারিখের ভারতীয় প্রজাতন্ত্র এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রসমূহের ইউনিয়নের মধ্যে শাস্তি, মৈত্রী সহযোগিতার চুক্তির ভিত্তিতে ছুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব সহযোগিতা ধ্ারও শক্তিশালী বিকশিত করতে ইচ্ছুক হয়ে, ভারতের আর্থব্যবস্থার বু শাখায় ছুটি দেশের মধ্যে ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতার ফলে ভিলাই বোকারোতে লৌহ ইস্পাত কারখানা, রখাটী' হুরিদ্বার হর্গাপুরে মেসিন নির্মাণ কারখানা, বারাউনি কয়ালিতে তৈল শোধানাগার, তৈল উৎপাদন প্রকল্প, বিগ্যৎ স্টেশন অন্যান্ত প্রকল্পের স্তায় একাধিক বৃহৎ শিল্প সংস্থা প্রকল্প স্থাপিত হচ্ছে এবং এগুলি ভারত সরকারের নিজ আর্থব্যবস্থা বিকশিত করার ভারতের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা স্থাদুট করার কর্মস্থচীর সঙ্গে সামগ্রসাপূর্ণ _-একথা স্মরণ করে, দই দেশের মধ্যে পারস্পরিক কল্যাণপ্রদ অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সহু- যোগিতা৷ সম্ভাব্য সর্বপ্রকারে প্রসারিত গভীরতর করার জন্য তাদের অভিন্ন আকাজ্ষ। থেকে অগ্রসর হয়ে এবং এরূপ সহযোগিতা হবে অর্থনৈতিক সামাজিক প্রগতির জন্য সংগ্রায়ে উভয়ই দেশের জনগণের স্বার্থান্থসারী-_- সম্বন্ধে স্থির প্রত্যয় হয়ে, এই চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত হুয়েছে। এই চুক্তিণ সংস্থানগুলি নিক্বরূপ £ ১নং ধারা : এই চুক্তির পক্ষদঘ্য় সার্বভৌমত্ব ভূখগ্ডগত অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, অভ্যস্তরীণ ব্যাপারে অ-হস্তক্ষেপ, সমানাধিকার পারস্পরিক উপকারের যূলনীতিগুলির ভিত্তিতে দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক কারিগরী সহযোগিতা এবং বাণিজ্য আরও বিকশিত শক্তিশালী ক'রে চলবে। এরূপ সহযোগিত। রূপায়িত শক্তিশালী বর হবে শ্রমশিল্প, বিছ্যৎশক্তি, কষি, ভূতাত্বিক সমীক্ষা কর্মা-দলের প্রশিক্ষণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, এবং দুই দেশের আর্থব্যবস্থার জন্ত যেসব শাখায় প্রয়োজনীয় অথনৈতিক পূর্বাবস্থা দ্রুত উন্নয়নের পক্ষে অনুকুল ২নং ধারা £ এর ১নং ধারায় বণিত সহযোগিতার লক্ষ্য হবে পরস্পরের অনুকূল শর্তে উৎপাদনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এবং সর্বাধুনিক কারিগরী প্রযুক্তিগত কৃতিত্বগুলির ভাগ নেবার সেগুলি কাজে .লাগাবার ক্ষেত্রে ছুটি দেশের আর্থব্যবন্ছ। বিকশিত করার জস্ভাবন। অশ্ুসন্ধান ক'রে দেখা ক্ষেত্রে নিমলিখিত উদ্দেশ্গুলি বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে £

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণা ১৮১

€) লৌহ ইন্পাত এবং লৌহেতর ধাতু উৎপাদন, তৈল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা অন্যান্য খনিজের সন্ধান, উৎপাদন পরিশোধন, বিদ্বযৎ এঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রো-কেমিক্যাল শিল্প, জাহাজ চলাচল শ্রমশিল্পের অন্যান্ত শাখা কষির ক্ষেত্রে পরস্পরের সম্মত প্রতিষ্ঠান প্রকল্পগুলির নকৃশা৷ রচনা নির্খাণে, এবং কর্মী-দলের প্রশিক্ষণের জন্ত স্বঘোগ বিধানে সহযোগিতা কার্ধকর করা হবে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে পূর্বে যেসব প্রকল্পে হাত দেওয়। হয়েছে সেগুলি প্রসারিত ক'রে, শ্রমশিল্প, কৃষি অন্যান্থ ক্ষেত্রে নতুন নতৃন প্রকল্প স্থাপন ক'রে এবং বিশেষীরুত প্রশিক্ষণের জন্ত ইনষ্টিট্যুট স্থাপনে সাহায্য করে ভিলাই বোকারো লৌহ ইস্পাত কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা যথাক্রমে ৭, লক্ষ কোটি টনে উন্নীত করার জন্য সেগুলির আরও সপ্প্রনারণে, বছরে ৬০ লক্ষ টন তৈল উৎপাদনক্ষম নথুবা তৈল শোধানাগার নির্মাণে, মালাজথন্ে তাত্রখনি সমাহার, কলকাতা পাতাল রেল প্রকল্প এবং দইপক্ষ অন্য যেসব প্রকল্প সম্বন্ধে একমত হবেন সেগুলি নির্মাণে, এবং লৌহেতর ধাতু উৎপাদনের ক্ষেত্রে হানা শিল্পে এবং শিল্পের অন্যান্য শাখায় উৎপাদন সহযোগিতার বিকাশে ছুইপক্ষ সহযোগিতা করবেন

(11) উপরে বশিত উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকার ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সরকারকে খণ দেবেন। এই খণের পরিমাণ এবং শর্তাদি পৃথক চুক্তি অনুসারে স্থির কর] হবে।

(101) সম্পূর্ণ অন্যান্ত সাজসরঞ্জামের যোগান বাড়িয়ে, পরস্পরের আগ্রহ আছে এমন পণ্যাদির বৈচিত্র্য, পরিমাণ সম্প্রপারিত করে পণ্য লেনদেনের অবিচল বিকাশকে আরও এগিয়ে নেওয়া হবে

(£%) হিসাব এবং খণ শম্পকের শর্তাদির পাবম্পরিক মীমাংসার পদ্ধতি জটিলতামুস্ত উন্নত করা হবে।

(৬) তৃতীয় দেশগুলিতে কারখানা স্থাপনের জন্ত লাজপরপ্রাম বিশেষ যোগানের ব্যাপারে ছুই পক্ষ সহযোগিতা করবেন

৩নং ধার] : সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতী প্রজাতন্ত্রের মধ্যে যে বৈজ্ঞানিক কারিগরী সহযোগিতা শাস্তিপূর্ন ব্যবহারের জন্ত পারমানবিক শক্তি, মহাকাশ ইলেক্‌ট্রনিকৃসের ক্ষেত্র সমেত ছুই দেশের বৈজ্ঞানিক কারিগরী প্রগতিতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিকাশে অবদান যোগাচ্ছে তার প্রতি বিরাট গুরুত্ব আরোপ ক'রে দুই পক্ষই এই সহযোগিতা আরও বিকশিত শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে-মনে করেন

১৮২ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

৪নং ধারা : এই চুক্তির পক্গদ্বয় সম্ভাব্য সর্বপ্রকারে অর্থনৈতিক বাণিজ্য সম্প্র্কের ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট সংগঠন- গুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবেন, এবং এর ভিত্তিতে, পক্ষছয়ের পারস্পরিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ছুটি দেশের প্রত্যেকটিতে বলবৎ আইনের সঙ্গে সামঞশ্য রেখে উপযুক্ত দীর্ঘমেয়াদী চূক্তি কন্টাক্ট সম্পাদনের পথ স্থগম করবেন। ৫€নং ধারা £ অপর দেশের বাজারে এক দেশের রপ্তানির প্রবর্ধন ভবিশ্মৃতেও তার্দের কামন৷ থাকছে, এটি লক্ষ্য ক'রে এই চুক্তির পক্ষদ্বয়, তাদের আন্তর্জাতিক দায়-দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, তাদের মধ্যে বলবৎ চুক্তি সন্ধিসমূহ - মেনে চ'লে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্ববিধা, বিশেধ অধিকার, স্থযোগ অনুকূল শর্ত মঞ্জর করবেন

৬নং ধার]: এই টক্তির পক্ষদয় দুই দেশের মধ্যেকার অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পক বিষয়ে পরস্পরের স্বার্থ আগ্রহ আছে এমন সব ব্যাপার সম্বন্ধে নিয়মিত পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করবেন

৭নং ধারা এই চু'ক্ত স্বাক্ষরিত হবার চিন থেকে বলবৎ হবে। বতমান চুক্তিটিপনর বছরের জন্য স্বাক্ষরিত ভচ্ছে। এরপর ঢুক্তির মেয়াদ শেষ হবাৰ ছয় মাস আগে কোন এক পক্ষ যদি অপর পক্ষকে চুক্তি খারিজ করার অভিপ্রায় বিজ্ঞাপিত না করে তাহলে এই চুক্তির মেয়াদ আপনা থেকেই পরবর্তী প্রতি পাচ বছর ক'ৰে বেড়ে যাবে।

নয়াদিললীতে ২৯শে নভেম্বর, ১৯৭৩-এ হিন্দী, রূশ ইংরেজী ভাষার প্রতিটিতে ছুটি ক'রে মূল কপিতে স্বাক্ষরদান করা হুল। চুক্তির প্রতিটি পাঠ সমান প্রামাণ্য

ভারত প্রজ। তঙ্জের সোভিয়তে সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রমমুহের জরকারের পক্ষে ইউনিয়নের সরকারের পক্ষে ইন্দিরা গাঙ্গী এল, আই. ব্রেজনেভ

[ন্তাশনাল হেরান্ড ( নয়াদিস্ভী ), ১লা 1ডসেম্বর, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ৪, ভগ ৪-৭ ]

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণ। ১৮৬

পরিকল্পন! প্রণয়ন সম্পর্কে চুক্তি

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পরিকল্পন। কমিশন এবং পোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রসযূহের ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা কমিটির ( সোভিয়েত ইউনিয়নের গসপ্র্যান ) মধ্যে সহযোগিতা সম্বন্ধে দ্বাক্ষরিত চুক্তির পূর্ণ বিররণ নীচে দেওয়া হল :-_

আর্খব্যবসন্থার পর্িকলিত বিবরণের গুরুত্বের মর্ম উপলদ্ধি ক'রে এবং ক্র্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক কারিগবী সহযোগিতা বিষয়ক আগ্ুঃসর কারা ভারত- সোভিয়েত কমিশন স্থাপন সম্পর্কে ভারত সরকার সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকারের মধ্যেকার চৃত্তিত নং ধারা দ্বারা চালিত হয়ে নুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় নিম্নলিখিত বিষয়ে একমত হয়েছেন £

১। অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক কারিগরী ' সহযোগিতা বিষয়ক আন্তঃ- সরকারী ভারত-সোৌভিয়েত কমিশনের কাঠামোর অভ্যন্তরে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্বপ্ধে একটি যুভ্ত ভারত-সোভিয়েত সমীক্ষক দল স্থাপিত হবে।

২। 11) ভাগাতের পপিকল্পশ! কমিশনের সদশ্যদের এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় পরিণ্ান। কমিটির (মোভিয়েত ইউনিয়নের গসগ্র্যান ) দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সমীক্ষক দল গঠিত হবে ভারত সরকার সময়ে সম." যেকপ প্রয়োজন মনে করবেন সেইভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়সমূহের কিংবা রাজা সপকাবরগুলের প্রতিনিধিরা এদের সাহায্য করবেন !

(11) পরিকল্পনা রচনার সঞ্জে যুক্ত অন্যান্ত সংস্থা ব! প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞদেরও উপদেগ্গা এবং/কিংবা বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজে লাগানো যাবে

৩। (2 সমীক্ষদলের প্রধান কাজ হবে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলিতে জ্ঞান অভিজ্ঞতার বিনিময় £

(ক) অথনৈতিক পুবাভাসদন,

(খ) বাষিক, মাঝারি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার পচ্ছতি বিদ্যা,

(গ) বিভিন্ন প্রকল্প কর্মথচ স্থস্রায়ন,

(ঘ) পরিকল্পিত কর্মস্থচা প্রকল্পগুলি পরীক্ষা ৮'রে দেখার দ্বন্যার়ন করার পদ্ধতি,

(উ) উপকরণ সরবখাহের পরিকল্পনা,

(চ) প্রকাশিত রিপোর্ট, মাল-মসল! ইত্যাদি বিনিময় £

১৯৮৪ ভারত-সোভিপ্নেত চুক্তি

() সমীক্ষকদল যেসব সমস্যার পর্যালোচনা করবেন সেগুলির পরিসব পারস্পরিক সম্মতিত্রমে সপ্রসারিত করা যেতে পারে।

($) প্রথম অনুচ্ছেদে বণিত আন্তঃসরকারী কমিশন অন্য যে-কোন বিষয় পাঠালে সমীক্ষক দল তাও বিচাব-বিবেচনা করবেন সে সম্বন্ধে রিপোর্টে দেবেন

| সমীক্ষক দলের সভা সাধারণত নয়াপিল্লী মক্ষোতে পালা ক'রে বছরে অন্যুন একবার অনুষ্ঠিত হবে।

৫। (1) সমীক্ষক দলের ভারতীয় সোভিয়েত পক্ষের নেতৃবৃন্দ পারস্পরিক সম্মতিক্রমে প্রতিটি সভার আলোচাহ্চী সময়সীষ! নির্ধারণ করবেন ;

(11) সমীক্ষক দলের আলোচনা যাতে ফলপ্রস্থ হয় সেজস্য উভঙ্ন পক্ষ প্রতিটি সভার আগে মাল-মশলা দলিলপত্র প্রচার করবেন

৬। (2) সমীক্ষকদলের প্রতিটি সভার শেষে আলোচনার ফলাফল প্রতি ফলিত করে সর্বসম্মত আলে!চনার বিবরণ রচনা করা হবে;

(11) অবসম্মত আলোচনার বিবরণ প্রথম অঙ্গচ্ছেদে বণিত আস্থঃ সরকারী কমিশনের কাছে বিবেচনার জন্য পেশ কর] হবে।

নয়াদিলীতে ২৯শে নভেম্বর, ১৯৭৩-এ হিন্দী, রশ ইংরেজী ভাষায় প্রতিটিতে দইটি ক'রে মূল কপিতে স্বাক্ষর দান করা হল চুক্তির সবগুলি পাঠই সমান প্রামাণ্য

ভি. পি. ধর

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সরকারের

পরিকলপন। মন্ত্রী

এন. কে. বাইবাকভ

সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পুন।

কমিটির সভাপতি

ঢম্তাশনাল হেরব্চি নয়াদিল্লী ), ১লা ডিসেম্বর, ১৯৭৩) পঃ ৪, স্তত্ত ৫-৬ |]

ভারতীয় সংসদে ব্রেজনেভের ভাষণ থেকে উদ্ধত অংশাবশেষ

শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি, শ্রদ্ধেয়! প্রধানমন্ত্রী, শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতি, স্পীকার মহোদয় সংসদের বিশিষ্ট সদপ্যাবৃন্দ |

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণা ১৮৭৫

সর্বাগ্রে, আপনাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়ন সংস্থা, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সংসদে ভাষণ দেবার সম্মান দেওয়ায় রতজ্ঞতা৷ প্রকাশ করতে চাই। ভারতের রাজনৈতিক জীবনে সংদদ যে বিরাট ভূমিকা! পালন করে সে সম্বন্ধ আমি ভালভাবে অবহিত আছি।

এই ম্ুযোগ গ্রহণ করে আমি আমীর সহকর্মী সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ সোভিয়েতের সন্ভাপতি মণ্ডলীর সদস্যদের, সোভিয়েত সংসদের সকল সদন্টেব পক্ষ থেকে মাপনাঁদের সাদর অভিনন্দন শুভ কামন। জানাই

নন্ধুগণ,

'আপনাদের প্রজাতত্ত্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সহাদয় আমন্ত্রণে আমর! আপনাদের দেশে এসেছি আমরা আপনাদের জ্ঞানাতে চাই এই আমন্ত্রণ অমর সাণন্দে গ্রহণ করেছিলাম

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থদচ করার প্রতি, তার সন্ধে সম্পর্কের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ঘটাবার প্রতি বিরাট তাৎপর্য আরোপ করে।

ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ, স্ব-প্রতিবেশীন্থলভ সম্পর্কের দীর্ঘকালীন এঁতিহাসিক এতিহ্ব এক বড় ভূমিক! পালন করছে। যুদ্ধ বা বিরোধের কৃষ্ণচ্ছায়া কখনে। সম্পর্ককে ব্যাহত করে নি। আমাদের জাতিগুলির পারস্পরিক শ্রস্ক৷ সহমমিতার মনোভাব সোভিয়েত-ভারত সম্পর্কের সমগ্র ইতিহাস ধরে বেড়েছে শক্তিশাপী হয়েছে |

সোভিয়েত জনগণ সবাই ভারতীয় জনগণের মুক্তি -ম্বাধীনতার সংগ্রামের পক্ষে থেকেছেন, একে আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছেন, এর সাফল্যে উল্লসিত হয়েছেন অতীতে এই শতকের উষাকালে সোভিয়েত রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠাতা লেনিন ভারতে উপনিবেশবাদীদের শ্বেচ্ছাচারিতার তীব্র নিন্দা করেছিলেন ভারতীয় জনগণের প্রাণশক্তির উপর তার ছিল গভীর আস্থ তিনি পনিবেশিক শাসনের অনিবার্ধ পতনের ভবিষাদৃবাণী করেছিলেন

আমর? জানি, ভারতীয় জনগণ তাদের প্রখ্যাত নেতৃবুন্দ আমাদের বিপ্লব সম্বন্ধে, সোভিয়েত ভূমিতে এক নতুন সমাজ নির্মাণ সম্বন্ধে একান্ত আগ্রহী হয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু মন্তব্য করেছিলেন যে মহামতি লেনিনের অনুজ্ঞ। পালন ক'রে রাশিয়। ভবিষ্যতের পানে নেত্রপাত করেছে।

গত কয়েক দশকে আমাদের ছুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংযোগের সফল বিকাশের ফলে পারম্পরিক শ্রদ্ধা সহমমিতার এই 'অনোভাবের আরও শক্তিবৃদ্ধি ঘটেছে

১৮৬ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

'আমাদের ছুই দেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রগাঢ় শান্তিকামী গ্রর্কতিও উভন্ত দেশকে নিকটতর করার কারণ। আজকে সোভিয়েত-ভারত বন্ধুত্বের শক্তিবৃদ্ধি' ছই দেশের জাতীয় স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং এই গ্রহ জুড়ে শান্তির সংহতি- সাধন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উন্তিসাধনের দুষ্টিকোণ থেকে সবোৌচ্চ ভাৎপর্য পরিগ্রহ করছে!

শ্রদ্ধেয় বন্ধুগণ,

অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতাদের সামনে বর্তীতা দেবার সময় স্পষ্টতই সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সোভিয়েত পররাষ্ট্রনীতির সবগুলি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ সম্বন্ধে বিস্তারিত সমীক্ষা উপস্থিত করার দরকার পড়ে না। আপনারা ভাল করেই সেগুলি জানেন $ আপনা] মবশ্াই জানেন যে বিশ্ব পরিস্থিতিতে এমন এক. আমুল উন্নতির প্রবর্ধনের জন্য কাজ করাকে মামরা আমাদের কও্ব্য হলে মনে করি যা শাপ্তির দঢ গ্ারাটটি সৃষ্টি করা, প্রকৃত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান স্বরক্ষিত করা, উন্লেজন। প্রশমিত করা এবং ম্মান্তর্|তিক সহযোগিতার ব্যাপক বিকাশ ঘটানো সম্ভবপর ক্র হুলবে। গিক এটিই ফোভিয়েত কমিউনিষ্ট পার্টির ২৪তম কংগ্রেসে প্রণাত কর্মহচীব্ উদ্ধত «এই কর্ষহ্ছচীত আমাদের রা্রের বৈদেশিক রাজনৈতিক কর্মপন্থা হয়ে উঠেছে

সব কর্তবা সম্পাদনের, শা্রির কর্মক্ছচা বূপায়শের উপর কেন আমরা আত বিরাট গুরহ্ আরোপ কি ?

কথ! ম্পষ্্রী বে এক নতুন সমাজ নির্দাতণর বিরাট পাবুক্প্লনা কাধকর করার জন্য সোভিয়েত জনগণের দরকার শাঞ্ছি, প্রশান্ত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, অন্যান্য রাষ্ট্রের সন্ধে পারস্পরিক হবিধাপ্রদ অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক কারিগর! যোগাযোগের প্রস।র শন্যান্ত জাতিব, প্রক্ুতপক্ষে পৃথিবীর শবগুপি জাতিরই দব্রকার আরও ব্যাপক দৃষ্টিতে, এতিিহ।পিক পরিপ্রেক্ষিত ণেকে ব্যাপারটির দিকে তাকালে প্রশ্রটা দাড়ায় কোন্‌ পথ ধরবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গোটা বিকাশ. এবং পুল পরিমাণে মানবলমাজের ইতিহাসের অগ্রগতি ঘটবে

গত ২৫ বছরের "ভিগুভা সন্ভান্য একটি রাস্তা দেখিয়েছে আমি “ঠা জড়াইয়ের” কথ বলতে চাইছি পথের পরিণতি কী ঘটেছিল? এর পরিণতিতে পৃথিবী বৈরা সামরিক-বাজনৈতিক কোটে 1[বভক্ক হয়েছিলঃ অনেক রাষ্ট্রের মধ্যে শ্বাভাবিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল, বগ্ছ দেশের অভ্যন্তরীণ জীবন পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল

এরর কচুর পরিণামে মান্তবের গণ-উৎলাদনের উপায়সমূহ অবিশ্বান্ত রকনে

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণা ১৮৭

বেড়ে গিয়েছিল। মানবপ্রতিভার অনম্যসাধারণ সাফল্যসযৃহকে আশ্বীবাদ থেকে পাপে পরিণত করার এক বিশ্ময়কর সামর্থ্যকে প্রকট করেছিল। আমর! কাল মার্ক স-এর বক্তব্যকে ম্মরণ না ক'রে পারি না। তিনি পু*জিবাদের অধীনে 'প্রগতিকে সেই নিষ্ঠুর দেবতার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন যে দেবতা নিহত ব্যক্তির মাথার খুলিতেই শুধু অমৃত পান করতে চায় ।-*.......

“ঠাণ্ডা লড়াইয়ের” যুলোচ্ছেদ করার জন্য দরকার ছিল এর উদ্যোক্তাদের বলপ্রয়োগ এবং বলপ্রয়োগের হুমকির উপর নির্ভর ক'রে সমাজতন্ত্রকে খতম করার, জাতিগুলির জাতীয় মুক্তি-বিপ্রবের ট্র'টি টিপে মারবার আশা যে দুরাশা তা বিশ্বাপযোগ্যভাবে বোঝানো তাদের আশা! যে দুরাশ। তা তাদের বোঝানোর একটিমাত্র উপায় ছিণ--সেটি হল বিশ্ব স্মাজতন্ত্র জাতীয় মুক্ত আন্দোলনকে এব অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে, মানব-জা(তির কাছে প্রগতি, মুক্তি শান্তি আনরনকারী একটি শক্তিতে পরিণত করা

পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলির সর্বাপেক্ষা দৃরদুষ্টিসম্পন্ন নেতার পৃথিবীর পরিস্থিতি ৰস্ত'নষ্ঠ মূলায়ন ক'রে এই সিদ্ধান্ত টেনেছিলেন যে চাপ হুমকির, উত্তেন! ঘোরালো করার কর্মনীতি চালিয়ে যাওয়া বুথা বিপজ্জনক। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের যে চিন্তাধারাকে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলি নিয়ত একইভাবে উর্ধে তুলে ধরেছিল তা পুণীজবাদী ছুনিয়াতেও ক্রমশ ব্যাপকতর সমথন লাভ করতে শুরু করল! আর এরই মধ্যে, শ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, আমরা একত্রে যথাথই গবিত চিত্তে সেউ শান্তিকামী নীতির এতিহাসিক মূল্য দেখতে পাই ষে- নীতিতে আমদের উভয় ব্রাষ্্র মোভিয়েত ইউনিয়ন ভাবত, তাদের নিজে নিজের মত করে বিরাট অবদান পাখছে ।-*-*** ্‌

আন্তর্জাতিক উত্তেজন। প্রশমন অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবমানে এবং নিরস্ত্রীকরণের জন্য সংগ্রামের গোটা রণাঙ্গনে অগ্রগতির অনুকুল অবস্থ! সৃষ্টি করে। সোভিেত ইউনিয়ন বহু ধশক ধরে সংগ্রাম চাপিয়ে আসছে আমাদের চেষ্টার, অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক রাষ্টরগ্ুলির চেষ্টার, সব শাপ্তিক।মী দেশ গুলির চেষ্টার ইতিমধ্যেই স্থায়ী ফল ফলতে শুরু ধরেছে ।**-** এবং বন্ধু প্রভিম ভারতের সংসদকে আমি এই আশ্বাস দিতে চাই যে সোভিয়েত ভূমি সেই দিনটি নিকটতর করার জন্য তার যথাশক্তি চেষ্টা করবে যেদিন পারস্পরিক ধ্বংসের উপায়গুলির বিনাশ সম্বন্ধে মতত্বম মূনীষীদের ব্ছ শতাব্দী স্বপ্ন বাস্তবে কুপাস্তবিত হবে |*****০০০-

যে উত্তেজন। প্রশমন শান্তিপূর্ণ নহঘোগিত। প্রতিষ্ঠার পথ নির্ধারণ করা

১৮৮ ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

হুয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন সে পথে এগিয়ে চলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমর! অবস্ঠ এই ধারণা থেকেই অগ্রসর হই যে মাকিন পক্ষও একইভাবে কাজ করবে। মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, এটা দেখে আমর] অত্যন্ত সন্তোষ লাভ করি যে আস্তর্জাতিক জীবনে যে 'সদর্থক পরিবর্তনগুলি ঘটেছে বিরাট এশিয়! মহাদেশ তার বাইরে পড়ে নেই। এশিয়াতেও উত্তেজন। প্রশমন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের যানটি ইতিমধ্যেই চলতে শুরু করেছে আর তা আরও গতিশীল হয়ে উঠছে। এশিয়ার পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে জটিল হয়ে বুযেছে। সেখানে এখনো! কাঁখানের গর্জন চলছে এবং দেশপ্রেমিকদের 'রক্ত ঝরছে এখানে এখনে বেশ কিছু জটিল বিরোধ, বড় বড় অমীমাংসিত সমস্যা, আন্তঃবিরোধ উত্তেজনার ভয়াবহ ক্ষেত্র রয়ে গিয়েছে ।************ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে এই আস্তার ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে যে এখানে স্থায়ী শান্তি অর্জন করা যেতে পারে, এবং একটি স্থস্থিত পরিস্থিতি হ্গ্রি করা যেতে পারে যা এইসব দেশের প্রচেষ্টাকে অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের জরুরী কর্তব্যকর্মসমূহের 'দিকে সংহত করার পক্ষে অন্তকূল এশায় বাষ্ট্রগুলির নিরাপত্ব! প্রতিষ্ঠা তাকে হধুঢ করার জন্য আংশিক সামুহিক এই উভয় প্রকৃতির বাস্তব পন্থা নির্দিষ্ট পদক্ষেপ সন্ধান করা হচ্ছে বেশী বেশী করে এই সমস্যাগুলিই এশিয়ার জনগণ গভীরভাবে বিবেচন! ক'রে দেখছে, আর আমরা এট।কে একটা প্রধান সাফল্য বলে মনে করি এশিয়ার শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের চিন্তার দ্বার! উদৃবুদ্ধ অনেকগুলি আকর্ষণীয় উদ্যোগ স্থগ্রি হচ্ছে, যথা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে নিরপেক্ষ করার ভাবনা, দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্্রগুলির পারম্পরিক সম্পর্কের এমন একটা স্তর সন্ধান যা! তাদের মধ্যেকার স্থপ্রতিবেশীহ্লভ সহযো গিতাকে স্থনিশ্চিত করবে, ভারত মহাসাগরকে শান্তির অঞ্চলে পরিণত করার প্রস্তাব এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিকল্পন] | যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এশিয়ার নিরাপরা স্থরক্ষিত শর ধারণ! সম্পর্কেও আগ্রহ বেড়ে উঠছে এট সকলেই জানেন যে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই থারণার দুঢ সমর্থক এর কাবণ শুধু এই নয় যে আমাদের দেশের বিরাট অংশ এশিয়াতে অবস্থিত যে মহাদেশে মানব সমাজের অর্ধেকের বেশী লেক বসবাস করে মেই এশিয়ায় শান্তি, নিরাপত্তা সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা সার! বিশ্বের জাতিলমূহের শান্তি নিরাপত্তা স্থনিশ্চিত করার পক্ষে একটি 'ষুগান্তকারী পদক্ষেপ হযে বলে আমরা মনে করি

ভারত-সোভিয়েত যুক্ত ঘোষণ। ১৮১

ক্ষেত্রে আমর! শুধু ব্যাপারটির রাজনৈতিক নর অথনৈতিক দিকটিও. বিবেচনা করে থাকি। স্থায়ী শাস্তি পেলে এশীয় দেশসমূহ এই প্রথম তাদের সামনের অথনৈতিক সামা'জক সমশ্যাসমূহ সমাধানে এবং সংস্কৃতির অগ্রগতিকে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবে। এই অবস্থায় অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সংহত কর] তাদের পক্ষে সহজতর হবে

সেই পঞ্চাশের দশকে এশীয় দেশগুলি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সহযোগিতার অভিমুখে তাদের আতন্তঃসম্পর্ক বিকাশের মুলনীতিগুকি রচনা করেছিল। এগুলি ছিল বান্দুংএর মূলনীতি এবং প্রঞ্চশীলের কর্মণীতি--ভায়তের কাছে যেগুলি বিশেষভাবে প্রিয় |

পরে কতকগুলি কাএণে এই প্রক্রিয়৷ যেন নিক্িয় হয়ে পড়ে সে কাবণ- গুলির আলোচন1! এখানে অপ্রাসঙ্গিক আমরা মনে করিযে, ব্যাহত আন্দোলনকে পুনরায় শুরু করার সময় এখন এসেছে

এই কারণে এটা মনে হয় যে এশিয়ায় যৌথ নিরাপত্ত। নিয়ে পুরোদস্তর সর্বাত্মক আলোচনা করার এটাই উপযুক্ত সময়। এই আলোচন। মহা- দেশের শান্তি নিরাপত্তা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রের গ্রহণযোগা একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সন্ধানে শাহায্য করবে মোদ্দা কথা, আমর! চাই একটি সক্রিয়, ব্যাপক গঠনমূলক আলোচনা যা জরুরী সমন্তাগুলির উপলদ্ধি গভীরতর করায় সাহাযা করবে স্থযোগ উপস্থিত হয়েছে, এশিয়ার বমান পরিস্থিতি এর যথোপযুক্ত পূর্বশর্ত সৃষ্টি করেছে এশিয়! শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার মহাদেশ হয়ে উঠতে পারে এবং তাকে তা অবশ্যই হাতে হবে। আর এই মহৎ লক্ষ্য অর্জনের জন্ত প্রয়াস সংগ্রাম করা যথোচিত হচ্ছে

সত্যিই এট। একটা সংগ্রাম! কারণ শান্তি উন্লেজনা প্রশমনের বিরোধী শক্তি, বেশ প্রভাবশালী বহু বিরোধী শক্তি এখনো আছে। প্রধানত এব হচ্ছে পুঁজিবাদী ছনিয়ার শক্তি যারা প্রত্যক্ষভাবেযুদ্ধ প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত, যত্তদুর সম্ভব ব]াপক অস্ত্র প্রতিযোগিতায়, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধিতে আগ্রহী অধিকন্ত, এগুলি আমাদের গ্রহের বিভিন্ন অংশে, বিভিন্ন মহাদেশে বিদ্ধমান চরম প্রতিক্রিয়াশীল, বর্ণদ্েধী, গুপ্ত প্রকাগ্ত উপনিবেশবাদের এবং সম- সাময়িক কালের বি1ভন্ন রূপের ফ্যাসিবাদের শক্তিও বটে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিকে যে মোড় ফের! দেখ! দিয়েছে এর তার বিরুদ্ধে সকলে মিলে যেন এক যুক্তফ্রুট গঠন করেছে। এরা

১৯০ 'ভারত-সোভিয়েত চুক্তি

সেই একই শক্তি যার সংগ্রাম করছে সামাজিক প্রগতি, স্বাধীনতা, মুক্তি জাতিসমূহের সমানাধিকারের বিরুদ্ধে

এই সবকিছুই স্থায়ী শান্তিও জাতিলমূহের মধ্যে স্থপ্রতিবেশীহুলভ সহযোগিতার অভিমুখে মানবসমাজের অগ্রগতির পথে বহু বাধ। স্ষ্টি করছে যে লক্ষ্যগুণিকে মনে হবে স্বত.ম্পষ্ট জাতিসযূহের এত কাম্য সে লক্ষ্যগুলি অঞ্জন কর শহজ মরল ব্যাপার নয়। মহজ মম্পর্ক গ্রতিষ্ঠার শক্রদের প্রতিরোধ কাটিয়ে ওঠার জন্য অধ্যবসায়, উদ্যম, প্রস্তুতি দক্ষতা দরকার দ্নকার যার শান্তি প্রগতির সপক্ষে তাদের সন্র্রিয় সংহতি এব্যাপারে প্রতিটি শক্তিকামী দেশের অবদান গুরুত্বপুণ, আর অবশ্যই গুরত্বপূর্ণ ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মত দেশের অবদান যারা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে ।*-**-****

সোভিয়েত ইউনিয়নের দিক থেকে বলতে পারি মধাপ্রাচো তার কোন প্রকার সংকীর্ণ স্বার্থ নেই আমাদের শুধু একান্ত কামনা এই যে পোভিয়েত ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিশ্বের সেই এলাকায় শেষপধন্র প্ররুত স্থায়ী শাস্তি, সায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষঠিত হোক! এবং সোভিয়েত ইন্টনিয়ন তার দিক থেকে এই লক্ষ্য অর্জনে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করার ওন্য সবকিছুই করবে

আরব জাতিসযূহের ন্যায়সঙ্গত মাঁদর্শের প্রন্তি দঢচতার সঙ্ষে ছ্যর্থহীন ভাষায় সমর্থন জানিয়ে মধ্যপ্রাচোর ঘটনাবলী সম্পর্কে ভারত প্রজাতন্ত্র যে অবস্থান গ্রহণ করেছে আমরা তার উচ্চমুল্য দিই ভারত যে এই অবস্থান গ্রহণ করেছে সেটা কোন আকস্মিক্ক ঘটনা নয়। বিপরীতপক্ষে শান্তি জাতিসমূহের অধিকাগের জন্য অক্রিয়তাবে কর্মরত শান্তিকামী রা হিসাবে বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা তার সাধারণ ভূমিকা নির্দেশ করছে।

এটা বলা যেতে পারে, শ্বাধীনতাণাভের পরে ভাত স্বাধীন পরবাষ্- নীতি অনুসরণ রে শবীন বাষ্রগুলির কাহে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছে আফ্ো-এশীয় রাষ্্রগুলির প্রথম প্রধান সাআজ্যবাদ বিরোধী এঞ্চ প্রতিহাসিক বান্দুং সম্মেলমের সে ছিল অন্যতম উদ্যোক্তা ভারত জোট- নিরপেক্ষতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তার প্রগতিশীল মৃলনীতিগুলি গ্রণয়নে তার অবদান ছিল। উপনিবেশবাদ বর্ণ বৈষম্যের বিরোধিত।, সাম্রাছ্যবাদী সামরিক জোটের বিরোধিতা, জাতীয় মুক্তির জন্য সংগ্রামী জাতিসমূহকে সমর্থন এবং শান্তি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মূলনী তিগুপির প্রতি নিষ্ঠা--এইলবের জন্য ভারতের নীতি উচ্চ মর্যাদা অর্জন করেছে।

ভারত সোভিয়েত যুক্ত যোষণ ৯৯১:

এটা সকলেই জানে যে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ভারত প্রভূত অবদান রাখছে তারই সক্রিয় অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিসমূহ সম্পাদিত হয়েছে এবং এই চুক্তিগুপিতে এই অঞ্চলের রাষ্সমূহের মধ্যে স্থপ্রতিবেশীন্থলত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচিত হয়েছে আঙ এই প্রথম এই উপমহাদেশে অবস্থা স্বপ্রতিবেশীন্লুলভ সম্পর্কের দিকে, পারস্পরিক স্থবিধাজনক সহযোগিতার দিকে গুরুত্বপূর্ণ মোড় পিচ্ছ। ভারত, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সমস্ত আন্তরিক বন্ধুদের, সমস্ত খাঁটি শান্তিকামী রাষ্ট্রের কাছে এই ঘটনাপ্রবাহ গভীর আনন্দের বিষয় কথাটা আর গোপন নয় যে ভাবতের নতুন ভূমিকা, তার বধিত মধাদা প্রভাব বিশ্বে সকলের কাছে পছন্দসই নয়। কেউ কেউ চেষ্ট! করছে এই বিরুদ্ধতা করার সোভিয়েত ইউনিয়নের দিক থেকে বলতে পারি যে আমরা এই এ্রতিহানিক পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ভূমিকার মধ্যে আমরা দেখতে পাই, বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গভার গণতন্ত্রীকরণের, েসব জাতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অপরের অন্থম্থতত নীতির নিষ্ক্রিয় পদার্থরূপে গণ্য ছিল, আজ আন্তর্জাতিক জীবনে সমমধাদা সম্পন্ন অংশগ্রহণকারী হিলাবে তার রূপকার হিসাবে তাদের রূপান্তরের বর্তমান প্রক্রিয়ার প্রকাশ ভারতের নতুন সভূমিকাকে আমরা কারণেও স্বাগত জানাই যে তার কর্মনীতি এমন সব লক্ষ্য অঙ্গনের দিকে চালিত ঘা সোভিয়েত কর্মনীতিরও লক্ষ্য এগুলি হচ্ছে, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে, সায্যাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, শান্তিকে সংহত করা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো ! ভারতের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করার বছরগুলি একই "সঙ্গে হয়েছে সোভিয়েত-ভারত মৈত্রীকে জোরদার করার বছর আমরা শুরু করেছিলাম সামান্ত কয়েকটি যোগস্থত্র দিয়ে এবং এসে পৌছেছি নানা ধরনের ক্ষেত্রসমূহে . ঘনিষ্ঠ ব্যাপক সহযোগিতায়--যার ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, মৈত্রী সহযোগিতার চুক্তিটি। এটা আমরা সন্তোষের সঙ্গে লক্ষ) করেছি যে আমাদের ছুই দেশের মধ্যে অহযোগিতার আরো বিকাশ ঘটানোর কর্তব্যকর্ম বিশিষ্ট রাষ্ট্রনেতরী একনিষ্ঠ দবশপ্রেমিক গ্রুমতী ইন্দিরা নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের তরফ থেকে পুর্ণ উপল সক্রিয় সমর্থন প্রাপ্ত হয়েছে নোভিয়েত-ভারত মৈত্রী যে অবশ্ব প্রয়োজনীয় কল্যাণকর, সে ধারণ

শা নে ইল আশাই প্রকাশ কছি €ধ ভাখিভার 'পংলগক। সোভিয়েও- তারি সছযোগিতীক়্ বিকাশে কাজ ঝরে খাবে: াপনাঁদের এষ্ট 'আশ্বাস দিন পারি থে লোভির়েত ইউনিয়নে আমরা এই লারা 'দিউ ফা রে "মাস 1১ লোভিয়েছ ইউনিরন তাজ, ৩৪৫ শশার, করে তোলার তে ধর্মবাযা আমাদের আছে তা ্লপরিবর্তনীয়।

, "আাঁননীয় সংসদ সমন্তবৃন্দ, উপসংহারে আপনাদের মাধ্যধে ছানি সঁভিনন্মন ানাচ্ছি ভারতের মহান জনগণকে, কামনা করছি তাদের সখ নম ধ্বাঁছ।

[ ভাশদাল হেরা (নগাবিজী), ০*শে নতে্বর। ১৯৭০। পৃষ্ঠা ]

ঞঞজ। পর ০,

গ্রন্থপঞ্জী

2300 রর রর 0 2:0098 £0 ৪. 0850316 091 8৪০7৪ 0015874৯821 52151 তিক 1১৩04, 7১০ 7500005 রি তু 808558 20040815588, 19 9৫

|

গে

»॥ ৬, ৬. 2100 1317018 ঠা [17019 2120 005 50৬151 রি [৮৮৯ 72, 1969), 88৫ ৩৫ 1100-90৬151 £৩- 191 6৫ (৩৬ 7061171, /১1106৫ /9151)575, 1923). 1 80017), 1179 561) 5015 ২0898 87 0৩ 17118003102 900০0207611 গা, 50758159১ 2973).

01705,

রত 1০৩০৪০৬৩? পা (থা

[১ ও. ০১৪০৪, 1971).

0185, বধ. 24 5৫, | 8৮ 0889150109 800 8.৫%৩৫৫507১ [খত 19111 10117 709981 79558101, 1100৮. 1972),

| রা 30151 251860129, ০01150601.

8178270৩0 ৪20 5338১৭ ০১011

00981 18৫০৮ ৪0 8০900001012179

|. 68783, 700187 চ91097,

খান সাদ 380 012036 8991 " 2 নি ঢ1558 | রর |, £15800865 ৩£ রর ৬. সপ এ. 22 পি সপ 800 2519, নি ৮৯ " 196 35176

18

সু 2 15507১ 0955 5৮৫ রা 8 যান নি তি 5827

: (947-1912, & [১০০012ঘূ 11018500190, লু %ঃ /8100175 30009 (ও সু,

৮80 85106 200 78151 1001৩৩০, 1.

9998) (খতএ 1921. 1১০ 88510801971),

1610010 8৯ 5০ 25 1030-80579 দত 2 550075 90% %592108 (06110) ৬295 90010510128, 1978),

-01700-50516 হতেও ৩৬৮৮

178 800 36061 (96106, ৬1728

10011517176 [রিড9০ 2০৬৮, 180০ 197 2100 ৩৫7),

সাক

1705, 1956),

» 105 10008555506 £১71511050, 1901516 01195 (001৬৩85 ০1 £০719880, 1962),

11085 90৫ 1) [0.5.5.0. (৩৭ 10611 10-৮.5- 1949).

[1000-9015 31710911, 7,100 2100 88109790810, ০৫.

020 10 101$61315 : 59 31911008 ২৩০1৪ 010101) 0 5015৮ 90০18. 115 23670001195 (৩৮ 30৩11) ৪,

00091 05150780101) 0০02020516055 [7100-90৮160 ছে010191 90০016,) 19723),

ব৩৩11১0170, &6 5:৮8187675 (সী 29855. 4৯ 90009 ঘা) 11000-50৬156 151501015 (06111, 1055 797511917028 7808০, 1972).

1২05, 1750060, 1000-9০%1৩% - ০19 61083 : 1955-71), 73010৮54, 391০0 71011518108 17995৩15973),

987079) 00102081 91089, 20018 8100 £৯0810-0515 2.61511079, 1917. 194 (8012095, 8988 10011917108 7003৩, 1959),

9019010012, চ1501006 175 1012780101098

[১018099 তলা +018, 8100019৮*